Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » নবী করীম (না)-এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ নবী কবীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না

নবী করীম (না)-এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ নবী কবীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • নবী করীম (না) এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ

    নবী করীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না

    ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
    বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন

    “আমার মীরাছ বন্টিত হবে না দীনড়ারও না, দিরহামও না ৷ আমার শ্রীদের থােরপােষ এবং
    আমার আমিল (কর্মচারী)-দের ব্যয় নির্বাহের পরে যা অবশিষ্ট রেখে যাব তা হবে সাদাকা ৷
    বুখাবী-মুসলিম ও আবু দাউদ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন, মালিক ইবন আনাস (র),
    আবু হুরায়রা (না)-এর বরাতে একাধিক সনদে, এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
    “আমার মীরাছ দীনাররুপে বন্টিত হবে না ৷ বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা আবদুল্লাহ ইবন
    মাস্লামা (র) আইশা (না) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে নবী
    সহধর্মিনীগণ তাদের মীরাছের দাবী উথাপনের উদ্দেশ্যে উছমান (রা)-কে আবু বকর (বা)
    সমীগে পাঠাতে মনস্থ করলেন ৷ তখন আইশা (রা) বললেন, কেন, রাসুলুল্পাহ (না) কি এ কথা
    বলে নি যে, ট্রেএপ্লুপ্রুও মহ্ও১ন্ৰু এেওঢুওত্রু আমরা (নবীগণ) ওয়ারিছ বানিয়ে যাই না, আমরা যা
    রেখে যাই তা সড়াদাকা ? মুসলিম (র)-ও হাদীসটি ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) সুত্রে এবং
    আবু দাউদ (র) কানাবী (র) সুত্রে এবং নাসাঈ (র) কুতায়বা সুত্রে (সকলেই) মালিক (র)
    সুত্রে, অনুরুপই রিওয়ায়াত ক্যরছেন ৷

    পর্যালোচনা : তা হলে ঘীরাছ প্রাপিকা স্তীদের অন্যতমা (আইশা) যদি মীরাছের কথা ধরে
    নেয়া হয় স্বীকারােক্তি দিচ্ছেন যে, নবী কবীম (সা) তীর পরিত্যক্ত সম্পদকে মীরাছ নয়,
    সড়াদাকা সাবম্ভে করে গিয়েছেন ৷ আর স্পষ্টতই বলা যায় যে, অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন্যাণও তার
    এ রিওয়ায়াতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং নবী করীম (না)-এর বাণী র্তারা স্মরণ
    করতে পেরেছেন ৷ কেননা, তার বর্ণনা ভৎগি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি র্তাদের জ্ঞাত ও
    স্বীকৃত ছিল ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

    বুখাবী (র) আরো বলেছেন, ইসমড়াঈল ইবন আবড়ান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে
    নবী করীম (সা) বলেছেন, “আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা
    সড়াদাকা ৷ ” বুখারী (র)এর একটি “অনুচ্ছেদ শ্যিরানাম : রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাণী আমরা
    মীরাছ রেখে যইি না; আমরা যা রেখে যাই তা সড়াদাকা ৷ ” আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আইশা
    (বা) থেকে বংনাি করেন যে, ফাতিমা ও আব্বাস (বা) বড়াসুলুল্লাহ (না)-এর উত্তরাধিকারীরুগে
    তাদের প্রাপ্য মীরাছের আবেদন নিয়ে আবু বকর (না)-এর নিকটে গেলেন ৷ র্তারা ফাদাকে
    নবী কৰীম (সা) এর ভুমি এবং খায়বারে তার প্রাপ্য অংশের দাবী করছিলেন ৷ আবু বকর (বা)
    তাদের দু’জনকে বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছিশ্

    আমরা মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা পরিত্যাগ করে যাই তা সাদাকা ৷ তবে মুহাম্মদ
    পরিবার এ সম্পদ হতে (খােরপোষ) গ্রহণ করবে ৷” আবু বকর (বা) আরো বললেন,
    “আল্লাহ্র কসম ! এ সম্পদে রাসুলুল্পাহ (না)-কে যা কিছু আমি করতে দেখেছি তা-ই আমি
    করব ৷” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হতে ফাতিমা (বা) তার মৃত্যু পর্যন্ত আবু বকর (রা)-এর
    সংগে বাক্যালাপ করতেন না ৷ ইমাম আহমদ (র)-ও হাদীসঢি আব্দুর রায্যাক (র) সুত্রে
    অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বর্ণনায় আহ্মদ (র) ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (র)
    অইিশা (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতের পরে ফা ৷তিমা (রা)
    আবু বকর (বা) এর কাছে তার মীরাছ অর্থাৎ আল্লা হ্র দেয়া আর য’(সন্ধিলব্ধ সম্পদ) হতে নবী
    করীম (সা) যা রেখে গিয়েছিলেন তা দাবী করলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) তাকে বললেন,
    রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমরা ঘীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা ৷
    ফলে ফাতিমা (রা) রল্ট হয়ে আবু বকর (রা)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এবং তার মৃত্যু
    পর্যন্ত এ সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত ছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরে
    ফাতিমা (রা) ছয় মাস বেচে ছিলেন ৷

    এ প্রসংগে ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনা অনুরুপই ৷ তবে বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
    মাগাযী’ (সময়) অধ্যায়ে হাদীসটি ইবন আবু বকর (র) আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত
    করেছেন (যা পুর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে) ৷ তাতে তিনি অধিক বলেছেন যে, ফাতিমা (বা) মৃত্যুবরণ
    করলে রাতের বেলা আলী (যা) তাকে দাফন করলেন এবং আবু বকর (রা)-কে অবহিত না
    করেই তিনি নিজেই তার (জানাযা) প্সালাত আদায় করলেন ৷ ফাতিমা (রা)-এর জীবদ্দশায়
    মানুষের কাছে আলী (রা)-এর বিশেষ সমাদর ছিল ৷ ফাতিমা (রা)-এর মৃত্যু হলে আলী (বা)
    লোকদের ঢেহারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন ৷ তখন তিনি আবু বকর (রা)-এর সাথে সন্ধি-
    সৌহার্দ গড়ে তুলতে এবং বায়আত করতে প্রয়াসী হলেন ৷ পুর্বের মাসগুলিতে তিনি বায়আত
    করেননি ৷ এ উদ্দেশ্যে তিনি আবু বকর (রা) এর নিকটে সংবাদ পাঠালেন যে, আমাদের
    এখানে তশ ৷রীফ আনবেন, তবে আপনার স ×গে অন্য কেউ যেন না আসে ৷ তিনি উমর (রা)-
    এর স্বভ ৷ব কঠােরত৷ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন বিধায় তার আগমন পসন্দ করছিলেন না ৷ উমর
    (রা) বললেন, “আল্লাহর কসম! আপনি একা ৷কী তাদের কাছে যাবেন না ৷ আবু বকর (বা)
    বললেন, কেন, তারা আমার সংগে আর কী ই বা করবে ? আল্লাহর কসম ৷ আ ৷মি অবশ্যই

    তাদের কাছে যাব ৷ আবু বকর (বা) সেখানে গেলেন ৷ আ ৷লী (রা) বললেন, আমরা আপনার
    মাহাত্ম্য এবং আপনার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং যে কল্যাণে আল্লাহ
    আপনাকে দান করেছেন তাতে আমরা আপনার প্রতি ঈযানিত নই ৷ তবে আপনারা (খিলাফত)
    বিষয়টিতে একাধিপত্য বিস্ত৷ ৷র করেছেন; অথচ র ৷সুলুল্লাহ (সা) এর সংগে আমাদের আত্মীয়তা
    সুত্রে আমরা ধারণা করতাম যে, বিষয়টিতে আমাদের বিশেষ হিসৃসা রয়েছে ৷” আলী (রা)
    এভাবে বলতে থাকলেন যাতে শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা)-কেদে ফেললেন এবং বললেন, যার
    হাতে আমার জীবন তার শপথ! রাসুলুল্লা হ (সা) এর আত্মীয়দের সংগে সদাচরণ রক্ষা করে
    চলা আমার কাছে আমার নিজের আত্মীয়দের স ×গে সদাচরণের তুলনায় অধিক কাম্য ৷ আর এ

    সম্পদে আপনাদের মাঝে যে কলহ দেখা দিয়েছে তাতে উত্তম পন্থা অবলম্বনে আ ৷মি শৈথিল্য
    কবিনি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) করে গিয়েছেন এমন কিছু আমি ত্যাগ করিনি ৷ পরে আবু বকর (বা)
    যুহর সালাত আদায়ের পর মিম্বরে উঠলেন এবং হাম্দ সালাত পাঠের পরে আলী (রা) এর
    অবস্থান, বায়আত হতে তার পিছিয়ে থাকা এবং সে ব্যাপারে পেশকৃত কৈফিয়তের বিবরণ দান
    করলেন ৷ আলী (রা)-ও হাম্দ ও দরুদ আদায়ের পরে আবু বকর (রা)ষ্এর অ্যাধিকার তার
    মাহাত্ম্য এবং তার যোণতো ও অবদান ড্ডাগণ্যতার বিবরণ দিলেন ৷ তিনি এ কথাও বললেন
    যে, তিনি যা কিছু করেছেন তার পেছনে আবু বকর (রা) এর প্রতি ঈর্ষাবােধ ছিল না ৷ তারপর
    তিনি আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে দাড়িয়ে তার হাতে বায়আত করলেন ৷ তখন লোকেরা
    আলী (রা)-এর কাছে এগিয়ে এসে তাকে মুবারকবাদ জ্ঞাপন করল এবং তাকে অভিনন্দিত
    করলো ৷ এ ন;া৷যসংপত অবস্থানে প্ৰতব্রুাবর্তনের পর সাধারণ্যে আলী (রা) এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
    পায় ৷ বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নানা ৷ঈ (র) প্রমুখও হাদীসটি যুহ্রী (র),অ আইশা (রা)
    সনদে একা ৷ধিক পন্থায় প্রায় অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    পর্যালোচনাং : ফাতিম৷ (বা) এর মৃত্যুর পরে আলী (বা) কতৃক আবু বকর (বা) এর হাতে

    এ রায় আত গ্রহণ ৷ছিল তাদের মাঝে সং ঘটিত আপােষ ও সস্প্রীতির মনোভারের দৃঢ়তা জ্ঞা ৷পক
    বায় আত ৷ আর এ বায়৷ আত ছিল আমাদের পুর্বোল্লিখিদ্ভ সার্কীফ৷ দিবসের বায় আতের
    নবায়ন ও দ্বিতীয় বারের বায়আত-যেমন ইবন থুযায়ম৷ (র) রিওয়ায়াত করেছেন এবং
    মুসলিম (র) তার সহীহ গ্রন্থেও তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং আলী (বা) এ ছয় মাস যাবত
    আবু বকর (রা)-কে পাশ কাটিয়ে চলেছিলেন এমন নয় ৷ বরং তিনি নিয়মিত আবু বকরের
    পিছনে সালাত আদায় করছিলেন এবং মজলিসে শুরার পরামর্শ বৈঠকেও উপস্থিত থাকছিলেন
    য়ুল কাসৃসা অভিয৷ ৷নও তিনি আবু বকর (রা) এর সংগে অৎশ্যাহণ ৷করেছিলেন (পরবর্তী বর্ণনা
    দ্রষ্টব্য) ৷ সহীহুল বুখারীতে রয়েছে, যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতে তর কয়েক দিন পরে আবু
    বকর (রা) আসর সালাত আদায় করলেন ৷ পরে মসজিদ হতে বের হয়েও তিনি হাসান ইবন
    আলী (রা)-কে বালকদের সাথে খেলা করতে দেখতে পেয়ে তাকে নিজের কাধে তুলে নিলেন
    এবং বলতে লাগলেন, দেখাে নবী করীম (না)-এর গঠনের সাথে এর কতই না মিল, আলী-র
    সাথে নয় ! “আলী (বা) তা দেখছিলেন আর হাসছিলেন ৷ কিন্তু এ দ্বিতীয় বারের বায়আত
    ৎযটিত হওয়ার কারণে বর্ণনা-কড়ারীদের মাঝে কারো কারো ধারণা জন্মেছে যে, ইতোপুর্বে
    আলী (বা) বায়আত করেননি, তাই তারা তা অস্বীকার করেছেন ৷ অথচ (বিধান অনুসারে)
    ইতিবাচক বিবরণ নেতিবাচকের তুলনায় অগ্নগণ্য ৷ যেমনটি যথাস্থানে বিবৃত ও স্থিরীকৃত
    হয়েছে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ তবে আবু বকর রাবিয়াল্লাহ আনহুর প্ৰতি ফাতিমা
    রাযি য়াল্লাহু আনহার অসন্তুষ্টির কারণ আমার বোধগম্য হয়নি ৷ যদি তা তার দাবীকৃত মীরাছ
    প্রদানে আবু বকর (বা) এর অস্বীকৃতির কারণে হয় তবে তিনি তো এ বিষয় নিজের
    অপরাপতার এমন কা রণ ৷দর্শিয়েছেন যা গ্রহণ না করে গতন্তের যেই ৷ তা হলত তারই পিতা ও
    আল্লাহর রাসুল (সা) হতে আহরিত রিওয়ায়াত যে,৩ তিনি বলেছেন, আমরা ষীরাছ রেখে যাই
    না; আমরা যা রেখে যাই তা হয়ে সাদাক৷ ৷ আর নবী করীম (সা)এর ভাষ্যের প্রতি ফাতিমা
    (রা)-র অনুপত্যও প্রশ্নাভীত ব্যাপার ৷ যদিও মীরাছের দাবী করার আগে বিষয়টি তার অজ্ঞাত

    ছিল, যেমন অজ্ঞাত ছিল অইিশা (রা)-এর বর্ণনা প্রদানের আগে অন্যান্য নবী সহধর্মিনীণণের
    অনেবেল্ম কাছেও ৷ অবশ্য র্তারাও পরে আইশা (রা)-এর সংগে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন ৷
    আর আবু বকর সিদ্দীক (বা) কতৃর্ক বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে ফাতিমা (বা) তাকে মিথ্যা
    কথনের অভিযোগ দেবেন এমনঢিও কল্পনা করা যায় না ৷ ফাতিমা ও আবু বকর (রা) উভয়ই
    এমন পারস্পরিক অবিশ্বাসের অবস্থান হতে অনেক অনেক উর্ধে ৷ আর তা কী করে হতে পারে,
    যখন নাকি এ হাদীস বর্ণনায় আবু বকর (রা)-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন উমর
    ইবনুল খাত্তাব, উছমান ইবন আফ্ফান, আলী ইবন আবু তালিব ৷ আব্বাস ইবন আবদুল
    মুত্তালিব, আবদুর রহমান ইবন আওফ, তাল্হা ইবন উৰায়দুল্লাহ, যুবায়র ইবনৃল আওয়াম,
    সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, আবু হুরায়র৷ ও আইশা রাযিয়াল্লাহু আনহুমের ন্যায় বিশিষ্ট
    সাহাবীণণ (বিবরণ ণরে আসছে) ৷ অথচ সিদ্দীক (বা) এ হাদীসটি একাকী বর্ণনা করলেও
    তার বিওয়ায়াত গ্রহণ করা এবং ৎশ্রিষ্ট বিষয়ে তীর আনুগত্য করা গোটি৷ ৰিশ্ববাসীর জন্য
    অপরিহার্য হত ৷ আর যদি ধরে নেয়া হয় যে, ফাতিমা (বা) তার দাবীকৃত তুসম্পত্তি মীরাছ না
    হয়ে সাদাকা সাব্যস্ত হওয়ার কথা আমার পরেও তার স্বামীকে সে সম্পত্তির তত্তুাবধায়ক
    (যুতাওয়ড়াল্লী) নিয়ােগের আবেদন করেছিলেন এবং তা গৃহীত না হওয়াই ছিল তার অসন্তুষ্টির
    কারণ, তবে তো আবু বকর (বা) যে বিযয়ও তার অপারণতা প্রকাশ করেছিলেন ৷ তার
    বক্তব্যের সার কথা ছিল এই যে, যেহেতু তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) এর খলীফা ও
    স্থালাভিষিক্ত, তাই তিনি মনে করেন যে, ঐ সব ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (না) যে কর্তব্য সম্পাদন
    করতেন (পদাধিকারী হিসাবে) তা সম্পাদন করা এবং রাসুলুল্লাহ যে দায়িতৃ বহন করতেন তা
    বহন করা তীর জন্য অপরিহার্য ৷ এ কারণেই তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ্র কসম! তাতে
    রাসুলুল্পাহ (না) যা কিছু সম্পাদন করতেন তার কােনটিই সম্পাদন করা আমি ত্যাগ করব না ৷
    বর্ণনাকারী বলেন, তখন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ফাতিমা (রা) তীর সাথে বাক্যলাণ বন্ধ রাখেন ৷
    বর্ণিত পরিস্থিতিতে তার এ সম্পর্কাচ্ছদ বাতিল পন্থী রাফিযী উপদলের জন্য বিশাল অকল্যাণ
    ও অপরিসীম অজ্ঞতার দুয়ার খুলে দেয়া এবং এ কারণেই তারা অর্থহীন বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে ৷
    অথচ তারা বিষয়টি যথাযথ অনুধাবনে সচেষ্ট হলে অবশ্যই তারা সিদ্দীক (রা)-এর মাহাত্ম্য
    উপলব্ধি করতে সক্ষম হত এবং র্তার সে ওযর মেনে নিতে স্বীকৃত হত যা গ্রহণ করা
    প্রত্যেকের জন্যই অপরিহার্য ৷ কিন্তু ওরা তো আল্লাহর সাহায্য বর্জিত পরিত্যাক্ত ও প্রত্যাখ্যাত
    উপদল যারা ঘুতড়াশাবিহ (সাদৃশ্যতাপুর্ণ জঢিলতম বিষয়) এর পশ্চাতে ধাবিত হয়ে সে
    মুহ্কাম (সুস্পষ্ট সুনিশ্চিত) বিষয় বর্জন করে যা সাহাবী-তাবিঈন (বা) হতে শুরু করে সব
    যুগের ন্যায় পন্থী মহান বিদ্বান মনীষীবর্পের পসন্দীয় ও সর্বজন স্বীকৃত অভিমত ৷

    আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর বর্ণিত হা ৷দীসের সংগে হাদীস সৎকলকবৃন্দের
    একাত্মত৷ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়৷ ত ৷দের রিওয়ায়াতের বিবরণ
    বুখারী (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন বুকায়র (র) ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,

    মালিক ইবন আওস ইবনুল হাদাছান (র) আমাকে হাদীস অবহিত করেছেন ইতোপুর্বে
    মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন মুতইম (র) মালিক (র) বণিতি এ হাদীসের কিছু উল্লেখ আমার

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ নবী করীম (না)-এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ নবী কবীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.