পাগড়ি ছিল ৷ ওকী মুসাবির আলওয়াবরাক সুত্রে হুরায়ছ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন ৷ এ সময় তার মাথায় ছিল একটি তৈলাক্ত (কালচে)
পাপড়ি ৷ শেষোক্ত এই বর্ণনা দু ’টি ইমাম তিরমিযী তার শামাইলে উল্লেখ করেছেন ৷ এ ছাড়া
তিনি আদ্ দারাওয়ারদীয় হাদীস থেকে ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন,
রাসৃলুলাহ্ (সা) যখন পাগড়ি পরতেন তখন তা উভয় র্কাধের মাঝে ঝুলিয়ে দিতেন ৷ হাফিয
আবু বকর আল বাবয়ার তার মুসনাদে আবু শায়বা ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ আনাস ইবন
মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে তার (আমাদের) কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর একটি লাঠি জ্জি ৷
তিনি মৃ৩ তাববণ করলে লাঠিটি তার কাফন ও পাশ্বদৈশের মধাখানে রেখে তার সাথে দাফন
করে দেন ৷ বর্ণনা শেষে বায্যার মন্তব্য করেন যে, মিখওয়াল ইবন রাশিদ ব্যতীত অন্য কোন
রাবী এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জ না সেই ৷ তিনি স৩ ৷বাদী,৩ তবে শিয়াপন্থী ৷
আর এ বর্ণনাটিকেও শিয়াপ্রীতির প্রকাশ বলে ধরে নেয়া যায় ৷ আর হাফিয বায়হাকী এই হাদীস
বর্ণনা করার পর মন্তব্য করেন, এই হাদীসখানি মিখওয়াল ইবন রাশিদ সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
শিয়াপন্থী এবং ইসরাঈল সুত্রে এমন সব বর্ণনার অবতারণা করে থাকেন, যা অন্য কেউ করে
না ৷ আর তার বর্ণিত হাদীসসমুহে দৃর্বলত৷ প্রকাশ্য ও সুস্পষ্টা
নবী করীম (না)-এর ব্যবহৃত পাদুকার বর্ণনা
সহীহ বুখারীতে ইবন উমর (রা ) সুত্রে প্রামাণ্য বর্ণনা রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সিবভী
(পাকা চামড়ার) পাদুকা পরতেন ৷ আর তা হল লোমমুক্ত পাকা চামড়ার পাদুকা ৷ এ ছাড়া
ইমাম বুখারী তার সহীহ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন যুকাতিল ঈসা ইবন৩ তাহমড়ান থেকে বর্ণনা
করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, একদা হযরত আনাস (বা) আমাদের কাছে ফিতাযুক্ত এক জোড়া
পাদুকা নিয়ে আসলেন ৷ তখন ছাবিত আল বুনানী বললেন, এ হল নবী করীম (সা) এর
পাদুকা ৷ হাদীসখানি ইমাম বুখারী কি৩ তাবুল থুমুস এ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ঈসা ইবন
তাহমান (র) সুত্রে আনাস (রা) থেকে রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ ঈসা বলেন, (একবার) আনাস
(রা) আমাদের কাছে একজােড়া পশমবিহীন চামড়ার জুতা বের করে আনলেন, যাতে দুটি করে
ফিতা ছিল ৷ পরবর্তীতে হযরত আনাসের বরাতে ছাবিত বুনানী আমাকে বর্ণনা করেছেন যে,
বন্তুত সে দু’টি নবী করীম (সা) এর পাদুকা ছিল ৷ আহমদ ইবন মানী সুত্রে ইমাম তিরমিযী
শামাইল অধ্যায়ে তা বর্ণনা করেছেন ৷ শামাইলে ইমাম তিরমিযী আবু কুরায়ব সুত্রে ইবন
আব্বাস (বা) থেকে আরো বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাদৃকার ফিতা
ছিল দু ত’াজ করা ৷ ইসহাক ইবন মনসুর সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে তিনি আরো বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাদুকার দুটি ফিতা র্হিণ্৷ ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাবয়ুক সুত্রে আবু হুরায়রা (বা )
থেকে তিরমিযী বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাদৃকার দুটি ফিতা ছিল
(গিরাযুক্ত ) , হযরত আবু বকর ও উমরেরও এরুপই ছিল ৷ আর তাতে প্রথম একটি গিরা দেন
হযরত উসমান (রা ) ৷ জাওহারী বলেন, (কাফ হরফে কাসরা যোগে ) হল পায়ের
মধ্যমা ও তার স লগ্ন আঙ্গুলের মধ্যবর্তী ফিতা ৷ আমার (গ্রন্থকারের) বক্তব্য হল ছয়শ
হিজবীর ক্রান্তিকাল ও তার পরবর্তীকালে ইবন আবুল হাদরাদ নামক এক ব্যবসায়ীর কাছে
র রক্ষিত এক পাটি পাদুকার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে যে,৩ তা নবী করীম (সা)-এর ব্যবহৃত পাদুকা ৷
তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আবু বকর বিন আয়ুব্রবের পুত্র বাদশাহ্ আল আশরাফ মুসা অঢেল
অর্থের বিনিময়ে তা খরিদ করতে চইিলেন ৷ কিন্তু ব্যবসায়ীটি তা বিক্রি করতে অস্বীকার
করলেন ৷ ঘটনাক্রমে এর কিছুদিন পর তার মৃত্যু হলে তা উল্লেখিত বাদশাহ্র অধিকারে এসে
যায় ৷ তিনি তা গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদার সংরক্ষণ করেন ৷ তারপর যখন তিনি তথাকার
কিল্লার পার্শে দারুল হাদীস আল আশরাফিয়া নির্মাণ করেন তখন তার একটি ভাণ্ডারে তা
ৎরক্ষাণর ব্যবস্থা করেন এবং মাসিক চল্লিশ দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করে এ জন্যে স্বতন্ত্র
তত্তুাবধায়ক নিয়োগ করেন ৷ উল্লেখিত দারুল হাদীসে তা আজও বিদ্যমান রয়েছে ৷ তিরমিযী
শামাইলে মুহাম্মাদ ইবন রাফি প্রমুখ সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ ( সা )-এর একটি কৌটা ছিল, যা থেকে তিনি সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ৷
নবী করীম (না)-এর পানপাত্রের বিবরণ
ইমাম আহমদ (র) ইয়াহ্য়া ইবন আদম সুত্রে আসিম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,,
আমি হযরত আনাস (রা)-এর কাছে নবী করীম (সা )-এর পানপাত্র দেখেছি, তা’ রুপার পাতে
মােড়ানাে ছিল ৷ হাফিয বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ বৃখারী আসিম
আলু আহ্ওয়াল সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত আনাস ইবন মালিকের কাছে
নবী কবীম (না)-এর পেয়ালা দেখেছি, তা ফেটে যাওয়ার কারণে রুপার পাত দিয়ে তিনি তা
মুড়িয়ে নিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেন, তা ছিল অত্যুৎকৃষ্ট কাঠের চওড়া ও উত্তম পানপাত্র ৷ হযরত
আনাস বলেন, এই পানপাত্রে আমি নবী করীম (না)-কে এত এত বারের অধিক পান
করিয়েছি ৷ তিনি বলেন, ইবন সীরীন বর্ণনা করেছেন, তাতে লোহার একটি কড়া সংযুক্ত ছিল ৷
পরবর্তীতে হযরত আনাস (রা) তাতে স্বর্ণ বা রৌপোর কড়া সংযুক্ত করতে চইিলেন ৷ তখন
আবু তালহা (রা) তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তৈরী কোন বন্তুতে পরিবর্ত্য৷ সাধন
করে৷ না, তখন আনাস (রা ) তার ইচ্ছা পরিত্যাগ করলেন ৷ এ ছাড়া ইমাম আহমদ (র ) রাওহ
ইবন উবাদা সুত্রে হাজ্জাজ ইবন আনাস থেকে বর্ণনা করে বলেন, একবার আমরা হযরত
আমাদের কাছে ছিলাম ৷ তখন তিনি একটি পানপাত্র আনলেন, যাতে তিনটি লোহার পাত এবং
একটি লোহার আৎটা সংযুক্ত ছিল ৷ তিনি একটি কাল গিলাকের (আবরণের) ভিতর হতে তা
বের করলেন ৷ আর তা ছিল এক চতু ৎশের চেয়ে কম এবং এক অষ্টমাংশের চেয়ে বেশি ৷
এরপর আনাস ইবন মালিকের নির্দেশে তাতে পানি তবে আমাদের কাছে আনা হল ৷ তখন
আমরা তা থেকে পান করলাম এবং আমাদের মাথায় ও মুখে ঢেলে নিলাম এবং দরুদ
পড়লাম ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
নবী করীম (না)-এর ব্যবহৃত সুরমাদানি
ইমাম আহমদ য়াযীদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি সুরমাদানি ছিল ৷ প্রতিদিন নিদ্র৷ যাওয়ার সময় তিনি তা থেকে
উভয় চোখে তিনবার করে সুরমা লাগাতেন ৷ ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজা ইয়াযীদ ইবন
হারুনের হাদীস থেকে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আলী ইবন মাদীনী বলেন, আমি ইয়াহ্য়া ইবন
সায়ীদকে বলতে শুনেছি (একবার) আমি আব্বাস ইবন মনসুরকে বললাম, আপনি কি