মুসলিম নারীর জন্য পর্দা শরিয়তের ফরজ বিধান। একজন আনুগত্যশীল মুসলিম নারী পরপুরুষের সামনে নিজেকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখবে এবং চলাফেরায় শালীনতা বজায় রাখবে। উম্মাহাতুল মুমিনীন ও অন্যান্য সাহাবিয়ার আমল দ্বারা বিষয়টি সুপ্রমাণিত। তবে নারীদের পরদার সীমানা কতটুকু এনিয়ে পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ওলামায়ে কেরামের মতপার্থক্য রয়েছে।
মতপার্থক্যপূর্ণ ব্যাপার হলেও বর্তমানে নারীদের জন্য কিভাবে পরদা করা উচিত— এ বিষয়ে আরব জাহানের বিশিষ্ট দাঈ ও ইসলামি স্কলার শায়খ আবদুর রহমান আল আরিফীর একটি ভিডিও সাক্ষাতকারের চুম্বকাংশ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল।
টেলিফোনে সাক্ষাতকারটি নিয়েছিলেন হাফিজা নামের একজন আলজেরিয়ান নারী। বাংলায় ভাষান্তর করেছেন বেলায়েত হুসাইন।
হাফিজা: নেকাব জড়িয়ে চেহারা সম্পূর্ণ ঢেকে রাখা ওয়াজিব নাকি মুস্তাহাব?
শায়খ আরিফী: প্রথমেই আমাদের দেখতে হবে মহান আল্লাহ তায়ালা এ প্রসঙ্গে কী বলেছেন—মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এরশাদ করেছেন, তারা (নারীরা) যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।
বাস্তবতা এটাই যে,নারীদের সৌন্দর্যের মূল জায়গা তাদের চেহারা, আর বর্তমান সময়কে ফিতনার যুগ বলা —এ সময়ে নারী-পুরুষ পরস্পরের মধ্যে দৃষ্টি বিনিময় খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এজন্য নারীরা নেকাব জড়িয়ে তাদের চেহারা সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে।
হাফিজা: শায়খ, ধরুন আমি একটি যৌথ ফ্যামিলিতে বসবাস করি, আমার বোন এবং তার স্বামীসহ আমরা সকলে একটি বাসায় থাকি। তাহলে এই পরিস্থিতিতে বাসায় সবসময় কীভাবে আমি চেহারা ঢেকে রাখব?
শায়খ আরিফী: আপনি বলেছেন আপনার বোন ও তার স্বামীসহ আপনারা একটি অভিন্ন বাসায় থাকেন, এ ক্ষেত্রে রান্না করা, ঘরের কাজগুলো করার সময় আপনি চেহারা খোলা রাখতে পারেন। কেননা, পুরুষরা সাধারণত রান্নাঘরে খুব বেশি আসে রনা কিংবা ঘরেও সবসময় থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
তবে যখন আপনারা একসঙ্গে বসেন, গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলেন, তখন অবশ্যই চেহারায় নেকাব জড়িয়ে রাখবেন। আর নেকাব এমনভাবে তৈরি করবেন যেটা সহজেই ব্যবহার উপযোগী; কাজের সময় মাথার দিকে উঠিয়ে রাখবেন আর যখন পরপুরুষের সামনাসামনি হবেন, তখন নেকাব নামিয়ে দিবেন। ব্যস, কোন সমস্যা থাকবেনা।
হাফিজা: শায়খ, মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন!
শায়খ আরিফী: মারহাবা,আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দীর্ঘজীবি করুন।