আদায় করা হয় ফজরের ওয়াক্ত উকি মারা মাত্র ৷ আবদুল্লাহ (রা) বলেন, নবী করীম (না)-কে
আমি তা করতে দেখেছি ৷ ণ্
তবে এ রিওরায়াতের “ফজর সালাত ফজরের ওয়াক্ত উকি মারা মাত্র”-উক্তিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
হাফস ইবন উমর ইবন গিয়াছ (র)আবদৃল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে আহরিত বুখারী (র)
এর অন্য একটি রিওয়ায়াত হতে অধিকতর বিশদ ও স্পষ্ট ৷ কারণ তাতে বলা হয়েছে
“রাসুলুল্লাহ (না)-কে সালাতের নির্ধারিত সময় ব্যতীত কোন সালাত আদায় করতে দেখি নি,
কিন্তু দুটি সালাত (মুবৃদালিফায়) নাগরিক ও ইশা তিনি একত্রিত করেছেন এবং ফজর সালাত
আদায় করেছেন তার (নির্ধারিত) সময়ের আগে ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন
আবু ঘুআবিয়া ও জায়ীর (র) সুত্রে ঐ সনদে ৷ জাবিব (বা) তার হড়াদীসে বলেছেন “র্তারপর
রাসৃলুল্লাহ (সা) শুয়ে থাকলেন ফজরের সময় হওয়া পর্যন্ত ৷ সুরুবৃহ (সাদিক) স্পষ্ট হয়ে উঠলেই
তিনি আযড়ান ও ইকামত সহকারে ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ ”-র্তার সাথে এ সালাতে হাযির
ছিলেন উরওয়া: ইবন যুযাররিস ইবন আওস ইবন হারিছা: ইবন লাম’ আত্-তাঈ (রা) ৷ এ
প্রসত্গে ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম (র)উরওয়া ইবন ঘুযাররিস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (না)-এর কাছে পৌছলাম-যখন তিনি ঘুঘৃদালিফায়
ছিলেন ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ ৷ “আমি আপনার সকাশে এসেছি সুদুর তায় পার্বত্য
এলাকা হতে ৷ নিজে ক্লান্তি সহ্য করেছি, আমার বড়াহনকেও শীর্ণ করেছি ৷ আল্লাহর কসম৷ পথে
যে কোন পাহাড় অতিক্রম করেছি, তাতে কিছুক্ষণ অবস্থান’ করে এসেছি-তাতে আমার হজ্জ
হয়ে যাবে কী? তিনি বললেন-
১এ ব্লু
“যারা আমাদের সাথে এ সালাতে অর্থাৎ ফজর সালাতে মুঘৃদালিফায় হাযির থাকল এবং
এখান হতে প্রস্থান করা পর্যন্ত আমাদের সাথে অবস্থান করল এবং ইভােপুর্বে দিনে কিংবা রাতে
আরাফাত হতে প্রস্থড়ান করে এসেছে তাদের হজ্জ পুর্ণ হয়েছে এবং তাদের (আল কুরআনে
বর্ণিত) ময়লা-আবর্জনা দুরীভুত হয়েছে ৷” চার স্নান গ্রন্থ সংকলকগন এবং ইমাম আহমদ
(র) ও শাবী (র)-এর বরাতে উরওয়া ইবন মুযাররিস (রা) হতে এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন এবং তিরমিযী (র) একে হাসান সাহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
নারী ও দুর্বল্দের আগে তাগেমুয্দান্সিফা হতে প্ৰস্থান প্রসংগ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জড়ার পরিবার বর্গের একটি দলকে সাধারণ জনতার ভিড়ের আগে
রাতের বেলা মুয্দালিফা হতে মিনা-য় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এ প্ৰসংগে বুখারী (র) বলেন,
“অনুচ্ছেদ : যারা তাদের পরিবারের দুর্বল লোকদের রাতের বেলা আগে পাঠিয়ে দেয় এবং
তারা নিজেরা মুয্দালিফায় অবস্থান করে দুআ করতে থাকে এবং ঐ রাতের চাদ ডুবে
যাওয়ার পরে মিনার চলে যায় তাদের প্ৰসংগ ৷ ইয়াহ্য়া ইবন বৃকায়র (র) (ইবন শিহাব
বলেন) সালিম (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) তার পরিবারের দুর্বলদের আগে
পাঠিয়ে দিতেন আর তারা রাতের বেলা আল মাশআরুল হারাম’ মুঘৃদালিফায় অবস্থান
করে যতক্ষণ ইচ্ছামত দুআ করতে থাকতেন এবং পরে ইমামের অবস্থান ও প্ৰস্থানের আগেই
তারা মিনার উদ্দেশ্যে প্রস্থান করতেন ৷ তাদের কেউ কেউ ফজর সালাতের সময় মিনায় পৌছে
যেতেন আর কেউ বা তার একটু পরে পৌছাতেন ৷ তারা সেখান পৌছে জামবৃায় কৎকর নিক্ষেপ
করতেন ৷ ইবন উমর (রা) বলতেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) এদের ব্যাপারে বিশেষ অনুমতি
দিয়েছেন ৷ সৃলায়মান ইবন হাবৃব (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে রাতের বেলা মুযদালিফা হতে পাঠিয়ে দিলেন ৷” বুখায়ী (র) আরো বলেন, আলী ইবন
আবদুল্লাহ (র) আবদুল্লাহ ইবন আবু ইয়াযীদ (র) ইবন আব্বাস (রা)-কে বলতে শুনেছেন,
“মুঘৃদালিফার রাতে নবী করীম (সা) তীর পরিবারের দুর্বলদের মাঝে যাদের আগে পাঠিয়ে
দিয়েছিলেন আমিও ছিলাম তাদের একজন ৷ ” মুসলিম (র) এ হাদীস খানা রিওয়ায়াত করেছেন
ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুযদালিফা হতে শেষ রাতে
তীর পরিবারের আলবাব-পত্র ও নারীগণের সাথে আমাকে প্ৰতুষে পা৷ঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷
ইমাম অ ড়াহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান ছাওরী (র) ইবন৷ আরব লাল (বা) হতে, বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের বনু ঘুত্তা ৷লিবের কিশো ৷রদের আমাদের দুর্বলতায়
খাতিরেআসবাব পত্রের দায়িত্ব দিয়ে আগে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি আমাদের (মনো রঞ্জনের
উদ্দেশ্যে) র্তার হাত দিয়ে, আমাদের উরুতে কোমল স্পর্শ দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, “আমার
ছেলেরা ! সুর্য উদয়ের আগে কিন্ত রাযী (শয়তানকে কং কর নিক্ষেপ) কর না ৷ আহমদ (র)
আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী (র) হতেও এ হাদীসখানা অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ
(র) এ হাদীস এবং নাসাঈ (র) ও ইবন মাজা (র) আহমদ ও তাবারাণী বিজ্যি সনদে অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বুখারী (র) আরো বলেছেন, ঘুসাদ্দাদ (র) আসমা (রা)র আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ
(র) হতে-আসমা (রা) সর্ম্পকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, জ ৷র যুযদালিফায় অবস্থানের রাতে
তিনি সেখানে অবতরণ করলেন এবং সালাত ৩(নফল) আদায়ে নিম১প্ন হলেন ৷ কতক্ষণ সাল ৷ত
আদায়ের পরে বললেন, ও ছেলে ! দেখো তাে ৷ চাদ ডুরেছে কি না? আমি বললাম, না ৷ তখন
তিনি আরো কিছুক্ষণ সালাত আদায়ের পরে বললেন, চাদ অস্ত গিয়েছে কি ? আমি বললাম, ত্মী
হ’ তিনি বললেন, তবে রওয়ান৷ হওয়ার ব্যবস্থা কর ৷ আমরা প্ৰস্থা নের ব্যবস্থা করলাম এবং
(মিন৷ ৎণ্দ্ধপ্টিমাখ) চললাম ৷ এমন কি তিনি জা ৷মরায় কং কর মেরে ফিরে আসলেন এবং তার
অবস্থান স্থলে পৌছে ফজরের সাল ৷ত আদায় করলেন ৷ আ ৷মি তাকে বললাম, আশা ৷জ জান, আমার
মনে হয় আমরা আধার থাকভ্রুজী সালাত আদায় করে ফেল্লাম ! তিনি বললেন, হে বৎস ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) নারীদের জন্য এ অনুমতি দিয়েছেন ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে ঐ সনদে ৷ সুতরাং এখানে যেমন উল্লেখ করা হল-হযরত
আসমা’ বিনৎ (আবু বকর) সিদ্দীক (রা) ফজর হওয়ার আগে জ্যমরায় কৎকর মারা যদি
তাওকীফী’ অর্থাৎ নবী করীম (না)-এর পক্ষ হতে শরীআত সম্মত অনুমোদন রুপে হয়ে থাকে
তবে তার এ রিওয়ায়াত ইবন আব্বাস (রা)-এর (পুর্ববর্তী) রিওয়ায়াতের তুলনায় অগাধিকার
পাবে ৷ কেননা, আসমা’ (রা)-এর হাদীসের সনদ ইবন আব্বাসের হাদীসের সনদের তুলনায়
১ শেষ বয়সে হযরত আসমা (রা) দৃষ্টিশক্তি হা ৷রিয়ে ফেলেছিলেন ৷ অনুবাদক
বিশুদ্ধতর ৷ হা, তবে (আল্লাহ ভরসা করে) (প্রাধান্য প্রদানের পন্থা অবলম্বন না করে দুই
হাদীসের মাঝে সমন্বয় বিধান প্রয়াসে) এ কথাও বলা যেতে পারে যে, কিশোররা নারীদের চোয়
ভুলামামলক কম ভারী ও উদ্যযী ণ্৷ তাই কিশোরদের সুর্যোদয়ের আগে রামী না করার হুকুম
দেয়া হয়েছে ৷ আর নারীদের জন্য সুর্যেড়াদয়ের আগেও রানী করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, যেহেতু
তারা চলনে ভারী এবং তাদের ক্ষেত্রে পর্দড়ার ব্যবস্থা অধিক জরুরী ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
আর যদি আসমা’ (রা) তাওকীফী নবী করীম (সা) হতে প্রাপ্ত সরাসরি শরীআভী বিধানরুপে
না শুনে তা করে থাকেন তবে (তা হবে আসমা’-এর ব্যক্তিগত আমল এবং সে ক্ষেত্রে , ) ইবন
আব্বাস (রা)-এর হাদীস আসমা (রা)এর বাতিঃাত আমল ও কর্যপন্থার চেয়ে অথাধিকার যোগ্য
হবে ৷ তবে আবু দাউদ (র)এর বিবৃতি প্রথম অভিমতকে সরল করে ৷ আবু দাউদ (র) বলেন,
মুহাম্মাদ ইবন খাল্লাদ আল বাহিলী (র) সুত্রে (আতা’ বলেন, জনৈক খবর দাতা’ আমাকে
খবর দিয়েছেন) আসমা (রা) হতে এ মর্মে যে, তিনি রাতের বেলা জামৃরায় কৎকর নিক্ষেপ
করলেন ৷ আমি (রানী) বললাম, আমরা রাতের বেলা জামরায় কংকর মেরে ফেললাম! তিনি
বললেন, নবী করীম (না)-এর যুগে আমরা এ ভাবেই করতাম ৷
বৃখারী (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র)ন্(মুহাম্মাদ সুত্রে) আইশা (বা) হতে, তিনি বলেন,
আমরা মুঘৃদালিফায় অবতরণ করলে সাওদা (বা) জনতার অিড়র আগে (মিনার) চলে যাওয়ার
জন্য নবী করীম (না)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন ৷ সাওদা ছিলেন ধীর গামিনী ভারী নারী ৷ নবী
করীম (সা) র্তাকে অনুমতি দিলে মানুষের ভিড় ও হৈ হুল্লোড়ের আগেই তিনি চলে গেলেন ৷
আমরা সকাল হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করলাম এবং পরে নবী করীম (সা)এর প্রস্থানের সময়
প্ৰস্থান করলাম ৷
তবে কিনা, আমিও যদি রাসুলুল্পাহ্ (সা)এর কাছে (আগে চলে যাওয়ার) অনুমতি চেয়ে
নিতাম যেমন সাওদা অনুমতি নিয়েছিলেন তবে তা আমার কাছে যে কোন আনন্দের বিষয়ের
চেয়ে অধিক পসন্দনীর হত ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস আহরণ করেছেন কানাবী (র)
সুত্রে ঐ সনদে ৷ আর বুখারী-মুসলিম , উভয় অন্য সনদে আহরণ করেছেনসুফ্য়ান ছাওরী
(র) এর হাদীস সংগ্রহ হতে আইশা (না)-এর বরাতে ৷
আবু দাউদ (র) বলেন, হারুন ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (রা) হতে, তিনি বলেছেন, দশ
তারিখের রাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মু সালামাকে পাঠিয়ে দিলে তিনি ফজ্যরর আগেই জামরায়
ৎকর নিক্ষেপ করলেন ৷ তারপর অবস্থান ক্ষেত্রে চলে গেলেন ব্র সে দিনটি ছিল, যে দিন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) পালা মতে থাকবেন-অর্থাৎ (আবু দাউদ বলেন) উম্মু সালামা-এর কাছে ৷ ’
এটি একটি সরল ও উত্তম সনদ যার রাবীগণ সকলেই নির্ত্যাযােগ্য ও বিশ্বস্ত ৷
ঘুবৃদালিফায় নবী করীম (সা)ন্এর তালবিয়া পাঠ প্রসংগ
মুসলিম (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বাআবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (র)
থেকে বর্ননা করেছেন, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (রা) আমাদের মুঘৃদালিফায় অবস্থান কালে
১ অর্থাৎ নবী করীম (না)-এর বিবিগণের পালাক্রমিক , হিসাবে ঐ দিন-রাত ছিল উম্মু সালামার-পালা ৷-
অনুবাদক ৷ ,