তায়ম, মাখবুম ও যুহরা গোত্রের কথাও আমি উল্লেখ করছি ৷ সাহায্য প্রার্থনাকালে ওরা
আমাদের সাহায্যকারী ছিল ৷
তবে আল্লাহর কসম, এখন তোমাদের মাঝে আর আমাদের মাঝে শত্রুত৷ ও বৈরিতার
অবসান হবে না যতদিন আমাদের একজন বংশধরও জীবিত থাকে ও
ইবন হিশাম বলেন, দু’টি পৎক্তিতে কটুক্তি থাকার কারণে আমরা ওই দুটো পৎক্তি উল্লেখ
কৰিনি ৷
পরিচ্ছেদ
দুর্বল ও অসহায় মুসলমানদের প্রতি বিধর্মীদের সীমাহীন নির্যাতনের বিবরণ
ইবন ইসহাক (র) বলেন, বিভিন্ন পােত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর যে সকল সাহাবী ছিলেন এবং
র্যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে কুরায়ভৈশব লোকেরা একে
অন্যকে প্ররোচিত করে ৷ ফলে, প্রতেকে গোত্রের লোকেরা নিজ নিজ গোত্রে অবস্থানকারী
মুসলমানদের উপর বাপিয়ে পড়ে ৷ত তারা তাদের প্রতি নির্য৷ ৷তন চালায় এবং তাদেরকে ধর্মচ্যুত
করা বচেষ্ট৷ চালায় ৷ চাচা আবু৩ তালিবেব মাধ্যমে আল্লাহ তা অ ৷ল৷ প্রিয়নবী (সা) কে এ দৃরবস্থা
থেকে রক্ষা করেন ৷ কুরায়শ ৷বৎশীয় লোকদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ দেখে আবৃত তালিব বনু
হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রে উপস্থিত ৩হন ৷ তিনি নিজে যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাহায্য-সহযােগিত ৷ ও নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছেন ওরাও যেন তেমন করে তার পাশে দাড়ায়
তিনি তাদেরকে এ অনুরোধ করেন ৷ আল্লাহর দৃশমন আবু লাহাব ছাড়া অন্য সকলে তার
আহ্বানে সাড়া দেয় ৷ এই প্রেফাপটে তাদের প্রশংসা সুত্রে এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহযোগিতার জন্যে তাদেরকে উৎসাহিত করে তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
কুরায়শ বংশীয় গােত্রগুলো যদি কোন দিন নিজ নিজ গৌরব ও মর্যাদা প্রকাশের জন্যে
সমবেত হয়, তবে আবৃদ মানাফের গোত্রই হবে কুর৷ য়শ গোত্রগুলো র শীর্ষন্থানীয় ৷
আবৃদ মানাফের বংশীয়দের মধ্যে শোযদি সড্রাম্ভ ও সম্মানিত বাক্তিদের ঘোজখবর নেয়া হয়,
তবে অধিকাৎশ সন্তুাম্ভ ও সম্মানিত ব্যক্তি পাওয়া যাবে হাশিমের বংশীয়দের মধ্যে ৷
হাশিম গোত্র যদি কে ন দিন পর্ব ও গৌরব প্রকাশ করতে চায়, তবে৩ তাদের গৌরব ও
পর্বের প্রধান স্তম্ভ হলেন মুহা ন্মদ ৷ গোত্রের সকল মর্যাদাবান ও সম্মানযোগ্য লোকদের মধ্য থেকে
তিনিই মনোনীত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতু ৷
কুরায়শ গোত্র তাদের খ্যাত অথ্যাত এবং উচু নীচু সবাইকে আমাদের বিরুদ্ধে
প্রতিযােগিত ৷র জন্যে আহ্বান করেছে ৷ কিন্তু তারা সফল হতে প ৷রেনি বরং৩ তাদের বুদ্ধিবিভ্রম
ঘটেছে ৷
াৰুঠুছুৰু’; ঢ়’ব্র,
সুপ্রাচীনকাল থেকেই আমরা কোন প্রকার জুলুম-নির্যাতনকে সমর্থন করি না ৷ কেউ
অহংকারবশত ঘাড় বীকা করলে আমরা তা সোজা করে দিই ৷
সকল দুঃখ-দুর্দিনে আমরা কুরায়শ গোত্রের মর্যাদ৷ রক্ষা করি এবং যে কেউ এই বংশের
ঘর-দোর ও দুর্গ-কুঠুরীতে আক্রমণের দুরভিসন্ধি করে আমরা তাকে প্রতিহত করি ৷
আমাদের মাধ্যমেই বীক৷ লাঠি সোজা হয়েছে এবং আমাদের দ্বারাই এ বংশের শিকড় ও
মুল পত্র পল্লবিত ও বিকশিত হয়েছে ৷
পরিহেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জব্দ করার উদ্দেশে ঘুশরিকরা যে সব নিদর্শন ও
অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের দাবী জানিয়েছিল
তাদের এ দাবী ছিল সত ব্রুদ্রোহিতামুলক ৷ হিদায়াত কামনা ও সৎপথপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নয় ৷
এ জন্যেই তাদের অধিকা ৎশ আবদা ৷রই পুরণ করা হয়নি ৷ কা ৷রণ, মহান আল্লাহর নিশ্চিত জানা
ছিল যে, তাদের পেশকৃত দাবী ও ঘটনাগুলাে স্বচক্ষে দেখা সত্বেও তা ৷রা তাদের সত্যদ্রোহিতায়
অন্ধ হয়ে থাকবে এবং তাদের গোমরাহীর অন্ধকারে আবর্তিত হতে থাকবে ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ
তাআলা বলেন :
তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে, তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসতো,
তবে অবশ ৷৩ ৷ ৷রা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত ৷বলুন, নিদর্শন তো অ ৷ল্লাহ্র ইখতিয়ারভুক্ত ৷
তাদের নিকট নিদর্শন আসলেও তারা যে বিশ্বাস করবে না তা কিভা ৷বে তোমাদের বোধগম্য
করা যাবে ? তারা যেমন প্রথমবার তাতে বিশ্বাস করেনি তে মন আমিও তাদের অম্ভরে ও নয়নে
বিভ্রান্তি সৃষ্টি করব এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াতে দেব ৷ আমি
তাদের নিকট ফেরেশতা প্রেরণ করলেও এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল
বস্তুকে তা ৷দের সম্মুখে হাবিব করলেও যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন নতার৷ বিশ্বাস করবে না ৷ কিন্তু
তাদের অধিকাং শই অজ্ঞ (৬৪ ১০৯ ১১১) ৷