করুন করুণাময় বর্ষণে, সুখকর, সজীব, অভ্রুলে, প্রচুর, নগদ, অবিলঘিত উপকায়ী, অপকারহীন
বর্ষণ দিয়ে ! হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি দিন রহমতের, আযাবের বৃষ্টি নয়; ধ্বংসের নয়,
নিমজ্জনের নয়, বিনাশেরও নয় ৷ হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে
আমাদের সাহায্য করুন! বর্ণনাকারী বলেন, আকাশ বৃষ্টি বর্ষাতে লাগল ৷ এক সপ্তাহ যাতে তারা
আকাশ দেখতে পেলেন না ৷ (পরের সপ্তাহে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বারে উঠে দৃআ করলেন-
“ইয়৷ আল্লাহ্ ! আমাদের আশেপাশে, আমাদের উপরে নয়; পাহাড় ও টিলার বুকে
উপত্যকার নিম্নভুমিতেও গাছপালার বাগানে বৃষ্টি হোক ৷
ফলে মদীনায় আকাশ থেকে মেঘ কেটে গেল, যেমন করে কাপড় গুটিয়ে ফেলা হয় ৷
বনুযুরুরা৪ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়া ৷কিদী (র) বলেন, নবী করীম (সা)-এৱ তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তনকালে নবম হিজরীতে
তারা আগমন করেছিলেন ৷ তাদের সদস্য সং ধ্যা ছিল তের ৷ হারিছ ইবন আওফ এদের মাঝে
উল্লেখযোগ্য ৷ নবী করীম (সা) প্রতিনিধি দলের প্রণ্ডে ককে দশ উকিয়৷ (চারশ দিরহাম) করে
কথা সম্মা ৷নী উপহার দিলেন এবং দল নেতা হারিছকে দিলেন বার উকিয়৷ রুপ৷ ৷ তারা তাদের
দেশ দুর্তিক্ষ কবলিত হওয়ার কথা আলোনাে করার তিনি তাদের জন্য এই বলে দৃআ
করেছিলেন ইয়৷ আল্লাহ্! তাদের বর্ষণ সিক্ত করুন ! তারা নিজেদের এলাকার ফিরে গিয়ে
দেখলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে দিন তাদের জন্য দৃআ করেছিলেন, যে দিনই ঐ এলাকায়
বৃষ্টি হয়েছে ৷
বনুছালাব৷ : প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী (র) বলেন, মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম (র)ৰ্নু হল্যেবার জনৈক
ব্যক্তি সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, অষ্টম হিজ্জীতে বহ্সুলুল্লাহ্ (ষ) দ্রিইবৃরানাহ্ থেকে
ফিরে এলে আমরা চারজন লোক তার কাছে উপস্থিত ন্তুদ্র কাং স্মর৷ আমাদের
পশ্চাতে অবস্থানরত স্বগােত্রের প্রতিনিধি দুত; তার৷ ইসলাম ধর্ম জৈ কার নিয়েছে ৷
তিনি আমাদের আপ্যায়ন আতিখেয়তার নির্দেশ দিলেন : আমরা ৰিছুল্লি ঙ্ঘহাম্ করার পর
তার কাছে বিদায় নিতে গেলাম ৷ তিনি বিলাল (বা)-কে ল্যাং মোঃ ন্মেৰু তু
যেভাবে সম্মানী উপহার দিয়ে থাক, এদেরও উপহার দিয়ে দওে! ৰিষ্া৷৷ নৌ রুপার গরু’
(রুপার তৈরি থােমুর্তি) নিয়ে এলেন এবং আমাদের প্রতেক্যেৰ্ পাষ্ জ্যি সমপব্রিমাণ
দিয়ে বললেন, এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নগদ দিরহাম (মুদ্রা) যেই ৷ আমরা আমাদের
আবাস ক্ষেত্রে ফিরে এলাম ৷
বনুমুহাৰিব প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী বলেন, মুহাম্মদ ইবন তলিং (র)আৰু হৃহুঅ্যাং প্লোঙ্গী (ব) মোঃ তিনি
বলেন, দশম হিজ্জীভে ৰিদার হৰেঘ ষম
সদস্যের অন্যতম ছিলেম্
গ্ৰে হিদেৰ ৷ জ্যো ব্যবস্থা করা হল বাংলা বিনতৃল হাব্লিছ-এর বাড়িতে ৷ ৰিলাল
শ্যে জ্জ র্দিম্বে ৩ ম্বক্সে বাবার পৌছে দিতেন ৷ তারা ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং
ব্ষ্স্লে৷ fl মোঃ দায়িত্ব নিলেন ৷ হক্ষুজ্জর মওসুমে এ পােত্রটিই রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
৩ জৰ৷ প্রতি সর্বাধিক কঠোর আচরণকারী ছিল ৷ প্রতিনিধি দলের মাঝে ঐ
দোকদ্যে৷ একজন বিদ্যমান ছিল ৷ যাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দেখে চিনতে
যে কাল, বাবতীর হামৃদ সে আল্লাহ্র যিনি আপনাকে সত্য বলে স্বীকার করে নেয়া
পর্যন্ত আমাকে ৰীচিয়ে রেখেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, (মানুষের) এ মনওলাে মহান মহীয়ান আল্লাহ্র কুদরতী হাতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুযায়মা :
ইবন সাওয়া-এর ঢেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন, ফলে তা শুভ্র উজ্জ্বল হয়ে গেল ৷ নবী করীম
(সা) এ দলের সদস্যদেরও প্রতিনিধি দলকে যেরুপ দেয়া হতো সেরুপ উপচৌকন প্রদান
করলেন ৷ তারা নিজেদের এলাকায় ফিরে গেলেন ৷
রনুকিলাব প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওরাকিদী (র) উল্লেখ করেছেন, নবম হিজরীতে তা ৷দের তের সদস্যের প্রতিনিধি দলের
আগমন হল ৷ তাদের মাঝে ছিলেন কবি লাবীদ ইবন রাবীআ ও জব্বার ইবন সুলম৷ ৷ কা ব
ইবন মালিক (বা) ও জব্বারের মাঝে হৃদ্যতা ছিল, তাই তিনি তাকে সুস্বাগতম জানালেন
এবং তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উপহার দিলেন ৷ তারা তা ব (বা) কে সাথে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর খিদমাতে হাযির হয়ে ইসলামী য়ীতিডে তাকে সালাম করলেন ৷ তারা উল্লেখ
করলেন যে, যাহ্হাক ইবন সুফিয়ান আল কািাৰী আল্লাহর কিতাব ও তার রাসুলের সুব্লাহ্
অর্থাৎ আল্লাহ্র নির্দেশিত পথ ও পন্থার মোঃ
এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জনািক্রো ৷ তার৷ তার ত্মহ্বানে সড়ো দিম্নেহ ৷ বা
হোক মাহ্হাক ধ্র্নীদেব কাছ থেকে যাকাত-সাদকো উসৃল করে তা তার সম্প্রদায়ের গ্ৰীৰ্দেব
মাঝে বিতরণ করেছেন ৷
কিলাব-এর উপগােত্র রুআসী প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওরাকিদী (র) আরো উল্লেখ করেছেন, আমব ইবন মালিক ইবন কায়স (ইবন বুজায়দ ইবন
রুআস ইবন কিলাব ইবন রাবীআ ইবন আমির ইবন সাসাআ) নামের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর খিদমতে এসে ইসলাম কবুল করলেন ৷ পরে স্বগােত্রে ফিরে গিয়ে তাদের আল্লাহ্র
পথে আহ্বান জানালেন ৷ তারা বলল, বনু উকায়ল আমাদের উপর যে চড়াও হয়েছিল, তার
প্রতিশোধে তাদের উপর পাল্টা চড়াও হওয়ার পরেই (আমরা ইসলাম গ্রহণ করব) ৷ এ
পর্যায়ে বর্ণনাকারী (ওয়াকিদী র ) বনু উকায়ল ও রুআসীদের মাঝের একটি যুদ্ধের বিষয়
আলোচনা করেছেন এবং এ আমব ইবন মালিক বনু উকায়লের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে
ফেলেছিলেন (এ ঘটনা রাসুল (না)-এর কানে পৌছে গেল) ৷ আমর (বা) বলেন, আমি আমার
দৃহাত রেড়িতে জড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ আমার এ সংবাদ তীর
কাছে পৌছে গিয়েছিল ৷ তিনি বললেন, আমার কাছে এলে রেড়ির উপর থেকে তার হাত
কেটে ফেলব ৷ আমি এসে তাকে সালাম করলাম ৷ তিনি সালামের জবাব না দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে
নিলেন ৷ আমি তীর ডান দিক থেকে পুনরায় এলে তিনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন ৷ আমি আবার তার