পবিত্র কেবলা বাইতুল মুকাদ্দাসের সম্মানিত ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আলী ইয়াকুব উমর আল আব্বাসী ৮ দিনের সফরে এসে বর্তমানে সিলেটে অবস্থান করছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ফরিদ খাঁন।
২৮ জানুয়ারি দারুল উলূম হাটহাজারীতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ নসিহত করেছেন। সেখান থেকে পনেরটি বিষয় তুলে ধরছি।
১. উলামায়ে দেওবন্দই হলো প্রকৃত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী।
২. প্রতি শতাব্দীর মাথায় আল্লাহ তা’আলা মুজাদ্দিদ পাঠান। আমার মনে হয় বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ উলামায়ে দেওবন্দ।
৩. হাটহাজারী মাদরাসা দেশ, জাতি ও বিশ্বে যে খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন তা নজিরবিহীন।
৪. দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে সার্বক্ষণিক কুরআন ও হাদীছের ঘ্রাণ বের হয়।
৫. আল্লামা শাহ আহমদ শফী বর্তমান যুগের পথহারা উম্মাহর রাহবার।
৬. আল্লামা শাহ আহমদ শফী জাতির অন্যতম সম্পদ।
৭. আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আল্লাহ তা’আলা সুস্থ ও দীর্ঘায়ু করুন।
৮. আমাদের সবার উচিত তার জন্যে দু’আ করা। আমি মসজিদে আকসায় গিয়ে তিনি এবং আপনাদের সবার জন্যে দু’আ করবো।
৯. নবীজি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম যুগ হলো আমার যুগ। তারপর তাবেঈনের যুগ। তারপর তবে তাবেঈনের যুগ। এই তবে তাবেঈনের যুগেই ইমাম আবু হানিফা রহ. (৮০-১৫০) জন্মগ্রহণ করেছেন।
তালিবে ইলমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, ইনস্টল করতে ক্লিক করুন
তালেবে ইলমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন,
১০. তোমরা আসাতাযায়ে কেরামের অনুসরণ করো। একদিন নিজেরাই উস্তাদের মতো হয়ে যাবে।
১১. পার্থিব লোভ পরিহার করে ভালোভাবে কিতাব মুতালা’আ করো।
১২. ইলমের বড় অধ্যায় হলো তাকওয়া অর্জন করা।
১৩. ইলম অর্জনের পূর্বশর্ত হলো নিয়তকে বিশুদ্ধ করা।
১৪. বৃষ্টি যেভাবে বিভিন্ন স্থানে বর্ষণ করে, উলামারাও বিভিন্ন স্থানে ইলম বিতরণ করে।
১৫. তিনি ‘ইহয়াউল উলূম ও বেদায়তুল হেদায়া’ কিতাবদ্বয়ের লেখকের নাম ইমাম ‘গাজালী’ উল্লেখ করেছেন, ‘গাজ্জালী’ নয়। বিশুদ্ধ উচ্চারণ গাজালী। যিনি ৫ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ।
বয়ান শেষে খতিবুল আকসা এবং শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী ‘ফুজালায়ে বেনায়ে দারুল উলূম’ নামে দশতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক মুঈনুল ইসলাম
সরওয়ার কামাল