Home » মাসায়েল / ফতোয়া » ঈদ » বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময়…

বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময়…

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • প্রশ্ন

    বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লিরা বসে বসে গল্প করে। আবার অনেককে দেখা যায়, যখন ইমাম সাহেব খুতবায়

    إن اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

    আয়াতটি পড়েন তখন তারা উচ্চস্বরে দরূদ পাঠ করে। আর আমাদের মসজিদে ছোটকাল থেকেই লক্ষ্য করছি যে, ঈদের নামাযের খুতবায় ইমাম সাহেব যখন তাকবীরে তাশরীক বলেন তখন সকল মুসলিস্ন একসঙ্গে উচ্চস্বরে ইমাম সাহেবের সাথে সাথে তাকবীর বলতে থাকেন। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে শরীয়তের বিধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।

    উত্তর

    জুমা ও ঈদের খুতবা মনোযোগের সাথে শ্রবণ করা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন সময়ে কোনো ধরনের কথা বলা, কাজ করা নিষিদ্ধ। এমনকি তাসবীহ-তাহলীল পড়াও নিষিদ্ধ।

    হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু যার রা. বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় সূরা বারাআত পাঠ করলেন। তখন আমি উবাই ইবনে কাআব (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এ সূরাটি কখন অবতীর্ণ হয়েছে? আমার প্রশ্ন শুনে তিনি চেহারা মলিন করলেন এবং চুপ থাকলেন। এভাবে পরপর তিনবার প্রশ্ন করার পরও তিনি আমাকে কোনো উত্তর দিলেন না। জুমার নামায শেষ হওয়ার পর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে বার বার প্রশ্ন করার পরও কোনো উত্তর দিলেন না কেন? তখন উবাই রা. বললেন, (খুতবা চলাকালে প্রশ্ন করার কারণে) আপনি জুমার কোনো সওয়াব পাননি। আপনার অনর্থক কথা বলা হয়েছে। তখন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উবাই রা.-এর এ কথা জানালাম। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই ঠিকই বলেছে। (দ্রষ্টব্য : সহীহ ইবনে খুযাইমা ২/৮৭৪, হাদীস : ১৮০৭

    হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও যুহরী রাহ. বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে কোনো নামায পড়া যাবে না। আর খুতবা শুরু করলে কোনো কথা বলা যাবে না।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/১০৩-১০৪

    হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি যদি ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় পাশের ব্যক্তিকে কথা বলতে নিষেধ কর তবে তুমি অনর্থক কাজ করলে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮৫১

    এ সকল হাদীস ও আসারের আলোকে ফকীহগণ খুতবা অবস্থায় মুকতাদীর জন্য কোনো কথা বলা এবং কোনো তাসবীহ পড়াকে নিষিদ্ধ বলেছেন। তাই খুতবা চলাকালে মুকতাদীর জন্য দরূদ শরীফ বা তাকবীরে তাশরীক বলা থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক।

    -তাফসীরে তবারী ৬/১৬৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৫; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২১৭৩০; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৬০

    উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
    খুতবার সময় কথা বলা
    খুতবার সময় নামাজ পড়া যাবে কি

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময়… Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.