প্রশ্ন
আমরা জানি পুরুষ বা মহিলার উত্তেজনার সহিত যে গাড় তরল পদার্থ বের হয়, তাকে বীর্য বলে ৷ বীর্য বের হলেই গোসল ফরজ হয় ৷ উক্ত বীর্য দিয়েই সকল মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ যে বীর্য বের হলেই গোসল ফরজ হয় তা নাপাক তা-ই জানি ৷ কিন্তু কিছু লোক বলে বীর্য নাকি পাক ৷ আমার প্রশ্ন হচ্ছে বীর্য পাক না নাপাক ? কুরআন হাদীসের আলোকে সঠিক বিধান জানাবেন৷
উত্তর
সাধারন জ্ঞানেও স্বীক়তি দেয় যে, বীর্য নাপাক। যে বীর্য বের হলেই গোসল পর্যন্ত ফরজ হয়ে যায় তা পাক হবার প্রশ্নই উঠে না। এ জন্যই বীর্য শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে খুটিয়ে তুলে ফেলা ও ভিজা হলে কাপড়টি ধৌত করার কথা বহু হাদীসে এসেছে। যেমন-
আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯
ইমাম বুখারি রঃ উক্ত হাদীসকে বীর্য নাপাক হওয়ার অনুচ্ছেদে এনে তাঁর মত বীর্য নাপাক হওয়া-ই প্রমান করেছেন ৷ ইমাম বুখারীর বিরোধীতা করে বীর্যকে কিছু লোক দলীল ছাড়াই পাক বলে থাকে ৷
রাসূল সাঃ এটা সিক্ত থাকলে ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর শুকিয়ে গেলে খুটিয়ে তুলে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ পাক হলে ধৌত করার নির্দেশনা দিলেন কেন? আর নবীজী সাঃ এর কাপড়ে যে বীর্য লেগে শুকিয়ে গিয়েছিল, তা তিনি খুটিয়ে তুলে ফেলাটাই প্রমাণ করে তা নাপাক ৷ পাক থাকলে খুটে ফেলে দেয়ার দরকার কি? যেমন কাপড়ে যদি আটা লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে ফেলে দিলে তা একেবারেই উঠে যায়, এমনি বীর্যও শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে তা তুলে ফেললে তার কোন কিছু আর বাকি থাকত না, তাই নবীজী সাঃ খুটিয়ে তুলে ফেলার পর তা না ধুয়েই নামায পড়েছেন। বীর্য পাক এজন্য নয়।
এছাড়া অন্যান্য হাদীসে এসেছে-
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথাঃ পায়খানা, প্রশ্রাব,
বমি, রক্ত, বীর্য। সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮৷
হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ বলেন- বীর্য সিক্ত থাকলে তা ধুয়ে ফেল, আর শুকিয়ে গেলে তা খুটিয়ে তুলে ফেল।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯৩৩
সুতরাং বুঝা গেল যে, বীর্য নাপাক। তা শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে খুটিয়ে তুলে ফেললে আর কোন চিহ্ন বাকি না থাকলে পাক হয়ে যাবে । আর সিক্ত হলে ধৌত করতে হবে ৷ কাপড়ে বীর্য লেগে থাকলে কাপড় ধৌত করতে হবে ৷ উক্ত কাপড়সহ নামায পড়লে নামায সহিহ হবে না।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯
ইমাম বুখারি রঃ উক্ত হাদীসকে বীর্য নাপাক হওয়ার অনুচ্ছেদে এনে তাঁর মত বীর্য নাপাক হওয়া-ই প্রমান করেছেন ৷ ইমাম বুখারীর বিরোধীতা করে বীর্যকে কিছু লোক দলীল ছাড়াই পাক বলে থাকে ৷
রাসূল সাঃ এটা সিক্ত থাকলে ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর শুকিয়ে গেলে খুটিয়ে তুলে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ পাক হলে ধৌত করার নির্দেশনা দিলেন কেন? আর নবীজী সাঃ এর কাপড়ে যে বীর্য লেগে শুকিয়ে গিয়েছিল, তা তিনি খুটিয়ে তুলে ফেলাটাই প্রমাণ করে তা নাপাক ৷ পাক থাকলে খুটে ফেলে দেয়ার দরকার কি? যেমন কাপড়ে যদি আটা লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে ফেলে দিলে তা একেবারেই উঠে যায়, এমনি বীর্যও শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে তা তুলে ফেললে তার কোন কিছু আর বাকি থাকত না, তাই নবীজী সাঃ খুটিয়ে তুলে ফেলার পর তা না ধুয়েই নামায পড়েছেন। বীর্য পাক এজন্য নয়।
এছাড়া অন্যান্য হাদীসে এসেছে-
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথাঃ পায়খানা, প্রশ্রাব,
বমি, রক্ত, বীর্য। সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮৷
হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ বলেন- বীর্য সিক্ত থাকলে তা ধুয়ে ফেল, আর শুকিয়ে গেলে তা খুটিয়ে তুলে ফেল।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯৩৩
সুতরাং বুঝা গেল যে, বীর্য নাপাক। তা শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে খুটিয়ে তুলে ফেললে আর কোন চিহ্ন বাকি না থাকলে পাক হয়ে যাবে । আর সিক্ত হলে ধৌত করতে হবে ৷ কাপড়ে বীর্য লেগে থাকলে কাপড় ধৌত করতে হবে ৷ উক্ত কাপড়সহ নামায পড়লে নামায সহিহ হবে না।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন