প্রশ্ন
যারা ব্যংকে চাকরী করে তাদের বেতনের টাকা কি হালাল নাকি হারাম?
উত্তর
ব্যপকভাবে তার উত্তর দেয়া তো মুশকিল কারন এ বিষয়টি তে একটু ব্যাখ্যা রয়েছে৷ ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি হলো-
ব্যাংকে চাকরী করা হারাম হওয়ার কারণ দুইটি।
যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা। ২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা
থাকা।
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন ধাপ আছে। ইসলাম সর্ব প্রকারের সহায়তাকে হারাম বলে নি। বরং ঐ সব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে লিপ্ত। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯৷
তবে যদি সুদী কাজে লিপ্ত না হয়, বরং তার কাজ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন চাকরী করার সুযোগ আছে।
হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ও একটি মূলনীতি রয়েছে তা হল- যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হালাল মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ। আর যদি হারাম মাল বেশি হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে না৷
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২
বর্তমানে ব্যাংকের অবস্থা হলো, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী। উক্ত চারটি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৪র্থ সুরতটি
হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন বেশি । আর ৪র্থ বিষয়টির লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে এসব চাকরী না করাই উত্তম৷
কিন্তু যদি হারাম আমদানী হালালের তুলনায় বেশি হয়৷ বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয়, তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা ও বেতন নেওয়া কোনটি ই জায়েজ নয়। উক্ত ব্যাংকের চাকরীজীবির বেতনের সমস্ত অর্থ হারাম হিসেবে বিবেচ্য হবে৷
ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
ব্যাংকে চাকরী করা হারাম হওয়ার কারণ দুইটি।
যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা। ২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা
থাকা।
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন ধাপ আছে। ইসলাম সর্ব প্রকারের সহায়তাকে হারাম বলে নি। বরং ঐ সব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে লিপ্ত। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯৷
তবে যদি সুদী কাজে লিপ্ত না হয়, বরং তার কাজ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন চাকরী করার সুযোগ আছে।
হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ও একটি মূলনীতি রয়েছে তা হল- যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হালাল মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ। আর যদি হারাম মাল বেশি হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে না৷
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২
বর্তমানে ব্যাংকের অবস্থা হলো, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী। উক্ত চারটি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৪র্থ সুরতটি
হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন বেশি । আর ৪র্থ বিষয়টির লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে এসব চাকরী না করাই উত্তম৷
কিন্তু যদি হারাম আমদানী হালালের তুলনায় বেশি হয়৷ বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয়, তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা ও বেতন নেওয়া কোনটি ই জায়েজ নয়। উক্ত ব্যাংকের চাকরীজীবির বেতনের সমস্ত অর্থ হারাম হিসেবে বিবেচ্য হবে৷
ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
বাড়ি ভাড়ার টাকা কি হালাল
সুদখোরের বাড়িতে কি খাওয়া যাবে
হারাম উপার্জনকারীর দাওয়াত