মাওলানা আতিক উল্লাহ
কুরআন কারীমে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিভিন্নভাবে সম্বোধন করা হয়েছে। কেউ কেউ সম্বোধনগুলোকে তিনভাবে বিভক্ত করেছেন,
(১) মূলত নবীজিকে সম্বোধন করা হয়েছে, তবে উম্মতকেও পরোক্ষভাবে সম্বোধন করা হয়েছে।
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ
এবং নিজ পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ করুন এবং নিজেও তাতে অবিচলিত থাকুন (ত্বহা ১৩২)।
(২) শুধু নবীজিকেই সম্বোধন করা হয়েছে। এই সম্বোধনে উম্মত শামিল নেই।
تُرْجِي مَن تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَن تَشَاءُ ۖ
আপনি স্ত্রীদের মধ্যে যার পালা ইচ্ছা করেন, মুলতুবি করতে পারেন এবং যাকে চান, নিজের কাছে রাখতে পারেন (আহযাব ৫১)।
(৩) মূলত নবীজিকে সম্বোধন করা হয়েছে। তবে আদেশটা নবীজির জন্যে ‘খাস’ নয়। উম্মতও যদি আমলটা করে সওয়াব পাবে।
وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَىٰ أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا
রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বেন যা আপনার জন্যে এক অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায় আপনার প্রতিপালক আপনাকে ‘মাকামে মাহমুদ’-এ পৌঁছাবেন (ইসরা ৭৯)।
তাহাজ্জুদ যদিও শুধু নবীজির জন্যে ‘নির্দিষ্ট’ নয়, কিন্তু প্রশংসিত স্থান (مَقَامً مَّحْمُود) নবীজির জন্যেই নির্ধারিত। উম্মত ‘মাকামে মাহমুদ’-এর স্তরে উঠতে পারবে না। এটা নবীজির বিশেষ সম্মানজনক ‘অবস্থান’। নবীজি তাহাজ্জুদ পড়ে মাকামে মাহমুদ লাভ করবেন। উম্মত কী পাবে? উম্মত মাকামে মাহমুদের স্তরে উন্নীত হতে না পারলেও, কেয়ামতের দিন মাকামে মাহমুদের কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবে। একটি সুবিধা হল ‘শাফায়াত’। তাহাজ্জুদগুজার তার পরিবার ও পরিজনের জন্যে শাফায়াত বা সুপারিশ করতে পারবে।