পার্বত্য চট্টগ্রাম বৌদ্ধ ধর্মীয় জঙ্গি কার্যক্রম মিশন 969 অনেক দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে ।
নাইন সিক্স নাইন মুভমেন্ট বাংলাদেশে প্রাথমিক ভাবে চালু হয় ২০১২ সালের দিকে ।
সংগঠনিক কার্যক্রম এর প্রধান ধাপ হচ্ছে কর্মী সংগ্রহ করে কর্মীদেরকে মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে গড়ে
তোলা ।
টার্গেট হচ্ছে কলেজ শিক্ষার্থী ও নেশা গ্রস্ত বেকার উপজাতীয় যুবক। প্রাথমিক পার্যায়ে কার্যক্রম টি বান্দরবনে শুরু হলেও বর্তমানে রাঙ্গামাটি ও খাগরাছড়িতেও রয়েছে এর প্রভাব ।
ইতিমধ্যে প্রায় চল্লিশ হাজার উপজাতীয় নারী ও পুরুষকে তাদের দলে ভিড়িয়েছে ।
কিয়াংবিহারের ভেতরে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ । বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত উপজাতির পুলিশ সৈনিকদের উগ্রপন্থি ধর্মীয় মতাদর্শে দিক্ষিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে নাইন সিক্স নাইন ।
২০১৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার ২য় কলামে ও অনলাইনে ( bd today dat nat news) পার্বত্য নিউজ ডটকম এবং দ্যা রিপোর্ট ২৪ ডটকমে ।
বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু উচহ্লা ভ্রান্তে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শির্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ।
ভূমি দখল, অস্র ব্যবসা, দেশের গোপন তথ্য পাচারসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার প্রমানও পাওয়া গেছে ।
উচহ্লা ভ্রান্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় যুবকদের মিয়ানমার সিন প্রদেশে নিয়ে গিয়ে ৮ মি. মি. পিস্তল ৭.৬৫ বোরের পিস্তল শর্ট গান একে -৪৭ হেকলার খুচ m a কার্বাইন সহ রাইফেল চালানো শেখানো হয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং শেখানো হয় আত্মরক্ষার কৌশল,
কিন্তু ভয়াবহ বিষয় হল তাদের প্রশিক্ষণের মূল টার্গেট
মুসলিম জাতি ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম বাঙ্গালিদের উপর হামলায় এসব ভান্তদের উস্কে দেয়া এবং অনলাইনে ও মিডিয়ায় রাষ্ট্রের
সার্ব ভৌমত্ব বিরোধী লেখাপোস্ট করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা।
খাগড়াছড়ির কুতুবছড়ির পাহাড়ে বৌদ্ধ জঙ্গিদের শুটিংরেঞ্ থাকলে ও বর্তমানে গোয়েন্দা তৎপরতার কারনে তা বন্ধ হয়ে গেছে ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ যে কোন তুচ্ছ ঘটনাকে মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক রুপ দিতে জঙ্গি সংগঠনটির বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিওর আপলোড ও অপপ্রচার চালাচ্ছে ।
প্রমান স্বরুপ দেখুন
(1 https :// goo.gl /kxquaq
(2 https//:goo. gl / qsg5 s)
(3 https //:goo.gl / rgos 6f )
তাহলে এবার পরিচিত হয়ে নেই 969 সম্পর্কে নাইন সিক্স নাইন হচ্ছে এক স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ।
এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা জনগণ হত্যায় এরাও মাঠে নামে।
বৌদ্ধধর্মের প্রতিক 969।
বৌদ্ধধর্মের বিশ্লেষণ, বৌদ্ধধর্মটি গঠিত হয়েছে বৌদ্ধ ,ধর্ম ও সংঘ এ তিন রত্নকে একত্রে ত্রিরত্নও বলে অর্থাৎ বৌদ্ধরত, ধর্মরত্ন,ও সংঘরত্ন। ত্রিপিটকে বৌদ্ধের প্রধান ৯টি গুণ, ধর্মের ৬টি গুণ ও সংঘের ৯টি গুণের কথা বলা হয়েছে।
এমন বিশ্বাস থেকে এসেছে 969 নাইন সিক্স নাইন এর নেতৃত্বে রয়ছে উগ্রপন্থী বৌদ্বধর্ম গুরু আশিন ইউরাথু সে হল রোহিঙ্গা বিদ্বেষীদের অন্যতম.
বিশ্বে ব্যপকভাবে সমালোচিত কট্টর বৌদ্ধদের সংগঠন মা, বা ও থা এর নেতা।
তিনি 2014 সালে মুসলিম বিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী এ সংগঠন গড়ে তুলে।
তাকে নিয়ে ১লা জুলাই ২০১৩সালে
টাইম ম্যাগাজিনে সচিত্র প্রতিবেদন করে যার শিরুণাম ছিল (একজন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ) এই সংগঠনটি মিয়ানমারের মা, বা ও থা সংগঠনের জঙ্গি শাখার মূলকার্যক্রম পরিচালিত হয়, মিয়ানমার রাজধানীর ইয়াংগুন থেকে এবং সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সিন প্রদেশ থেকে ।
( https : // goo.gl / ummqza)
বাংলাদেশ ও ভারতে রয়েছে এর শাখা প্রশাখা ।
মিয়ানমার এর উগ্রপন্থি সেনাবাহিনী ও সিবিলিয়ান বৌদ্ধদের রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্বেষী গড়ে তুলতে সাংগঠন টি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে ।
969 সংগঠনটি বৌদ্ধধর্মের ঐতিহ্য মন্ডিত শান্তির বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও উগ্রপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রভাবশালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন হলো (অ্যাসোসিয়েশন ফরদ্যা প্রটেকশন অব রেস এন্ড বিলিজিয়ন) বার্মিজ ভাষায় যার সংক্ষিপ্ত নাম মা ,বা ও থা ।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ে গড়া এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারে তাদের জাতি ও ধর্ম রক্ষা করা। সরকার এ গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও কার্যত তেমন ফল আসেনি।
রোহিঙ্গাদের নাগরিক সুবিধা বাতিল করতে মাবাথা সংগঠনের পরামর্শ মতে 1982 সালে মিয়ানমারের সংবিধানে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করে সীমান্ত সূত্রে জানা যায় প্রতি মাসে অন্তত ৩৫- ৪০ জন উপজাতিয় বাংলাদেশী নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলার অরক্ষিত সীমানা ব্যবহার করে মিয়ানমারে প্রবেশ করে গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ্য সহায়তায় 969 সংগঠনের আদলে বাংলাদেশেও এধরনের একটি উগ্রপন্থী সংগঠনটির শাখা গড়ে তোলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে আমরা খবর পেয়েছি বান্দরবনের দুই শতাধিক উপজাতিয় বৌদ্ধ যুবক রোহিঙ্গা গণহত্যায় অংশ নিতে মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থান করছে
(https ://goo.gl / zedj8c)
Shared with https://goo.gl/9IgP7
সংগ্রহেঃ ফয়েজ আল হুসাইনি
ছাত্র জামিয়া-ইসলামিয়া পটিয়া।