Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » মৃত্যুকালে তার বয়স

মৃত্যুকালে তার বয়স

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • করলাম ৷ তিনি এক হড়াবশী কিশোরী (দাসী)-কে দেখিয়ে বললেন, এটি রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর
    পরিচারিকা , একে জিজ্ঞেস কর ৷ তখন সে বীদীটি বলল, আমি বিকেলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
    জন্য একটি পড়াত্রে (মশকে) থুরমা তিজিয়ে সেটির মুখ বেধে রাখতাম ৷ সকাল হলে তিনি তা
    থেকে গান করতেন ৷ মুসলিম ও নাসাঈ (র) হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ করেছেন কাসিম
    ইবনৃল কাঘৃল (র) এর বরড়াতে, ঐ সনদে ৷ বংনািকারীগণ হাদীসটি এভাবে আইশা (রা)-এর
    মুসনাদে’ উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু তা নবী করীম (সা) এর খিদমতকারিণী অন্যতমা হড়াবশী
    বীদীর মুসমাদরুগে উল্লেখিত হওয়াই অধিক সমীচীন ৷ তবে সে বীদী আমাদের উল্লেখিত
    বীদীদের একজনও হতে পারেন ৷ আবার তাদের অতিরিক্ত অন্য কউও হতে পারেন ৷
    আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷

    নবী করীম (না)-এর সেবার আত্মনিয়োজিত তার সাহাবী খাদিমপণ
    (যারা £পালড়ামও মাওলাও নয়)

    এক : এ তালিকার শীর্ষে রয়েছেন আনড়াস ইবন মালিক (বা) ৷ তার বংশ সুত্র আনাস ইবন
    মালিক ইবনৃয নড়ামর ইবন যমযম ইবন যায়দ ইবন হড়ারাম ইবন জুনদাব ইবন আসিম
    ইবন পনম ইবন আদী ইবনুন নড়াজ্জার-নড়াজ্জার গোত্রের আনসাবী ৷ তার কুনিয়াত ছিল আবু
    হামযা , বাসস্থান মদীনায়, পরে বসরায় বসতি স্থাপন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-এর মদীনায়
    অবস্থানকাল দীর্ঘ দশ বছর পর্যন্ত তার খিদমত করেন ৷ এ ধীর্ঘ দিন নবী করীম (সা) কখনো
    তাকে ভভুসনা করেননি এবং তিনি করেছেন এমন কোন কাজের ব্যাপারে বলেননি, তা
    করলে কেন ? এবং তিনি করেননি এমন কোন বিষয়ে তিনি বলেননি, এটা করলে না কেন ?
    তার মা হলেন উম্মু সুলায়ম বিনত মিলহান ইবন খালিদ ইবন মায়দ ইবন হারড়াম ৷ এ মা-ই
    তাকে রড়াসুলুল্লাহ (সা ) এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন এবং তিনি তা কবুল করেছিলেন ৷ যা তার
    এ সন্তানের জন্য নবী করীম (না)-এর কাছে দুআর আবেদন করলে নবী করীম (সা)
    বলেছিলেন,

    “হে আল্লাহ ৷ তার বন-দৌলত ও সন্তান-সওতি বাড়িয়ে দিন এবং তাকে দীর্ঘ্যয়ু করুন এবং
    তাকে জান্নড়াতে দাখিল করুন ৷” আনাস (বা) বলেন, এর দুটি ৰিবয় আমি দেখেছি এবং
    ভৃভীয়টির (জান্নড়াতে প্রবেশ) প্ৰর্তীক্ষায় রয়েছি ৷ আল্লাহর কসমৰু আমার রয়েছে অবশ্যই অধিক
    সম্পদ এবং আমার সন্তান ও সন্তানের সন্তান-সম্ভতির সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে গেছে ৷ ’ অন্য একটি
    র্যণনড়ায় রয়েছেষ্আমার আৎগুর বাগান বছরে দদুবার করে ফল দেয় ৷ আর আমার ঔরবজাত
    সন্তানের সংখ্যা একশ ছয় জন ৷

    তার বদরে অংশ্যাহণ সসম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে ৷ আনসাবী (র) তার পিতা সুত্রে ছুমামা
    (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, আনড়াস (রা)-কে বলা হল, আপনি কি বদরে
    উপস্থিত ছিলেন ? তিনি বললেন, মা-মরা কােথাকার, বদর হতে অনুপস্থিত থেকে আমি
    কোথায় যাব ? তার প্রসিদ্ধ মতে তিনি বয়সের স্বল্পতার কারণে বদরে অংশ্যাহণ করেন নি
    এবং একই কারণে উহুদেও অংশ্যাহণ করেননি ৷ তবে হুদড়ায়বিয়া, খ্যয়বর, উমরাতুল কাযা ,
    মক্কা বিজয়, হুনায়ন ও তাঈফ এবং এর পরবর্তী অভিযান সমুহে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷

    আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রড়াসুলুল্পাহ (না)-এর সংগে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ সালাত আদায়কারী
    ইবন উম্মু সুলায়ম অর্থাৎ আবাস ইবন মালিক (রা)-এর ন্যায় অন্য কাউকে আমি দেখিনি ৷
    ইবন সীরীন (র) বলেন, সফরে ও বাড়িতে তিনি ছিলেন অতি সুন্দর সালাত আদায়কারী
    মানুষ ৷ বসরায় তিনি ইনতিকাল করেন এবং সেখানে বিদ্যমান সাহাবীগণের মধ্যে তিনিই
    সর্বশেষ ব্যক্তি ৷ এ তথ্য ব্যক্ত করেছেন আলী ইবনুল মাদীনী (র) ৷ তার মৃত্যু হয়েছিল নব্বই
    হিজরীতে ৷ মতান্তরে একনিব্বই, বিরানব্বই ও তিরানববই হিজরীতে ৷ তবে শেষ মতর্টি অধিক
    প্রসিদ্ধ এবং তা অধিকাংশের সমর্থিত ৷

    মৃত্যুকালে তার বয়স : ইমাম আহমদ (র) তার ষুসনাদে রিওয়ায়াত করেছেন, মুতামির
    ইবন সুলায়মান (র) হুমায়দ (র) সুত্রে এ মর্মে যে, আনন্দে (বা) এক কম একশ বছর আয়ু
    পেয়েছিলেন ৷ সর্বনিম্ন কথিত বয়স ছিয়ানব্বই এবং সর্বাধিক কথিত হয়েছে একশ সাত বছর ৷
    কেউ কেউ একশত ছয় এবং অন্যরা একশ তিন বছরের কথা বলেছেন ৷-আল্লাহই সৰ্বাধিক
    অবগত ৷

    দুই ৪আল আসলা ইবন শারীক ইবন আওফ আল অড়ারাজী (রা) ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র)
    বলেন, তার নাম ছিল মায়মুন ইবন সামৃবায ৷ রাবী ইবন বদর আল আরাজী (র) বলেন, তার
    পিতা ও দাদা সুত্রে আসলা (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, আমি নবী কৰীম (সা)এর খিদমত
    করতড়াম এবং তার সংগে সংগে সফর করতাম (ও গান্ধীর দায়িত্ব পালন করতাম) ৷ এক রাতে
    তিনি বললেন,আসলা! ওঠো এবং পাক্ষী নিয়ে চল ৷” আসলা (রা)
    বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার গোসল ফরজ হয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (সা)
    কিছু সময় নীরব থাকার পর জিবরীল (আ) তায়াম্মুম বিষয়ক আয়াত নিয়ে আগমন করলেন ৷
    তখন নবী করীম (সা) বললেন, হে আসলা! তায়াম্মুম করে নাও
    বর্ণনাকারী বলেন, আমি তায়াম্মুম করলাম এবং সালাত আদায় করলাম ৷ পরে পানির কাছে
    পৌছলে তিনি বললেন, ওঠ হে আসলা ! এখন গোসল করে নাও ৷ ”
    বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (না) তখন আমাকে তায়াম্মুমের পদ্ধতি দেখিয়ে দিলেন ৷
    রড়াসুলুল্লাহ (সা) তার দৃহাত মাটিতে রাখলেন, তারপর তা ণ্ঝড়ে নিলেন ৷ তারপর দু’হাত
    দিয়ে নিজের চেহারা মাসেহ করলেন ৷ পরে আবার নিজের দুহড়াত মাটিতে লাগাবার পর তা
    বোড়ে নিয়ে দৃহাত দিয়ে নিজের দুই হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করলেন ৷ ডান হাত দিয়ে বাম
    হাত মুসলেন এবকং বাম হাত দিয়ে ডান হাত আইরের ও ভিতরের দিক মাসেহ করলেন ৷
    রাবী (র) বলেন, আমার পিতা (বদর) আমাকে (তায়াম্মুমের নিয়ম) দেখিয়েছেন ৷ যেমন তার
    পিতা তাকে দেখিরেহিংলন ৷ যেমন আসলা (মা) তাকে দেখিরেছিলেন ৷ যেমন রাসুলুল্লাহ
    (সা) আসলা (রা)-কে দেখিরেছিলেন ৷ রাবী (র) বলেন, আমি এ হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি আওফ
    ইবন আবু জামীলা (র)-কে সেখানে তিনি বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি হাসীন (র)-াক
    এভাবেই করতে দেখেছি ৷ ইবন মানদা ও বাপাৰী (র) তাদের ম্জাযুস সাহাবা’ গ্রন্থদ্বয়ে
    হাদীসটি এ রাবী ইবন বদর (র) সুত্রেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বাপাবী (র) বলেন, তিনি
    ব্যতীত অন্য কোন রাবী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ ইব ন আসাকির

    (র) বলেন, হায়ছাম ইবন রুযায়ক মালিকী আল মিদলাজী (র)-ও হাদীসটি তার পিতা সুত্রে
    আসলা ইবন শারীক (যা) থেকে রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷

    তিন : আসমা ইবন হারিছা ইবন সাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাদ ইবন সাদ ইবন
    আমর ইবন আমির ইবন ছালাবা ইবন মালিক ইবন আকসা আল আসলামী (রা) ৷ তিনি ছিলেন
    আসহড়াবে সুফফার অন্যতম ৷ এ তথ্য দিয়েছেন মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ৷ তিনি হিনদ ইবন
    হারিছা (রা) এর ভাই ৷ এ দুভাই-ই নবী করীম (সা) এর থিদমত করতেন ৷

    ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফফান (র)ইয়াহয়া ইবন হিনদ ইবন হারিছা (রা)
    থেকে-হিনদ (রা) হুদায়বিয়ায় অংশ্যাহণকড়ারীদের অন্যতম ছিলেন ৷ তীর ভাইকেই রাসুলুল্লাহ
    (সা) পাঠিয়েছিলেন তার গোত্রকে আশুরা দিবসের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়ে ৷ এ ভাইয়ের
    নাম হল আসম৷ ইবন হারিছা (রা) ৷ ইয়াহয়া ইবন হিনদ (র) (তার চাচা) আসম৷ ইবন হারিছা
    (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে এই বলে পাঠালেন যে, “তোমার সম্প্রদায়কে এ দিনটির সওম পালন করতে বল ৷” তিনি বললেন,
    আমি যদি তাদের দেখতে পাই যে, তারা ইতোমধ্যেই আহার করে ফেলেছে তবে আপনার কি
    হুকুম ? নবী করীম (সা) বললেন, ণ্৫শঃ-এ )-গ্রা ন্স্পো “তবে যেন তারা দিনটি শেষ পর্যন্ত আর
    আহার না করে ৷ ” আহমদ ইবন খালিদ ওয়াহবী (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মদ
    ইবন ইসহাক (র) সুত্রেহিনদ (রা) থেকে-তিনিঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে আসলাম
    গোত্রের একটি দলের কাছে পাঠালেন ৷ তিনি বলে দিলেন,

    “তোমার কওমকে আদেশ দিয়ে এস যেন তারা এ দিনটির সিয়াম পালন করে এবং তাদের
    মধ্যে যাকে দেখবে যে, সে দিনের প্রথম ভাগেই আহার করে ফেলেছে সে যেন দিনের শেষ
    পর্যন্ত সিয়ামের অবস্থায় থাকে ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ওয়াকিদী (র) সুত্রে বলেছেন,
    মুহাম্মদ ইবন নুআয়ম ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল মুজমির (র) তার পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা)-কে বলতে শুনেছি, হিনদ ও আসমাকে আমি রাসুলুল্লাহ
    (সা) এর মালিকানাধীন গোলামই মনে করতড়াম ৷ ওয়ড়াকিদী বলেছেন, এ দুজন নবী করীম
    (সা) এর খিদমত করতেন এবং এ দুজন ও আসাম ইবন মালিক (রা) নবী করীম (না)-এর
    দুয়ারেই পড়ে থাকতেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেন, আসমা ইবন হারিছা (রা) ছিষট্টি
    হিজরীতে আশি বছর বয়সে বসরায় ইনতিকাল করেন ৷

    চার : নবী কবীম (না)-এর খাদিম বুকায়র ইবনুশ শাদ্দাখ লায়হী (রা) ৷ ইবন মানদা (র)
    উল্লেখ করেছেনন্আবু বকর আল হুযালী (র) সুত্রে আবদুল মালিক ইবন ইয়ালা আল লায়ন্থী
    (র) থেকে এ মর্মে যে, বুকায়র ইবনুশ শাদ্দাখ আল লায়হী (রা) নবী করীম (সা) এর খিদমত
    করতেন ৷ তিনি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে এ ব্যাপারে তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে অবহিত করলেন এবং
    বললেন, আমি তো আপনার পরিবারে (অন্দর মহলে) যাতায়াত করতাম; এখন আমি বালিগ
    হয়ে গিয়েছি ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ! নবী করীম (সা) বললেন, “ইয়া
    আল্লাহ তাকে সত্যভাষী করুন এবং সফলতা-ধন্য করুন ৷” পরে উমর (রা) এর যুগে এক

    ইয়াহুদী ব্যক্তি নিহত হল ৷ উমর (রা) দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন, এ বিষয় যার কোন অবণতি
    রয়েছে তাকে আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি ৷ ” তখন বুকায়র (বা) দাড়িয়ে বললেন, আমীরুল
    যুমিনীন! আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ উমর (রা) বললেন, তার খুনের দায় তো তুমি বহন
    করলে, এখন পরিত্রানের উপায় কি ? বৃকায়র (রা) বললেন, আমীরুল যুমিনীন ! জনৈক গাজী
    (মুজাহিদ) ব্যক্তি আমাকে তার পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিল ৷ একদিন আমি
    এসে দেখলাম এ ইয়াহুদীট৷ ঐ যুজাহিদের ত্রীর কাছে রয়েছে আর যে একটা অশ্লীল কবিতা
    আবৃত্তি করছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, বুকড়ায়র (রা)-এর জন্য রাসুলুল্লাহ (না)-এর পুর্বোল্লিখিত্ত
    দৃআর কারণে উমর (বা) তার বক্তব্যের সত্যতা মােন নিলেন এবং ইয়াহুদীর খুনের দায়কে
    বাতিল সাব্যস্ত করলেন ৷

    পাচ : বিলাল ইবন রাবাহ আল হাবশী (রা) ৷ তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন
    গোলাম এবং তার মনিব ছিল উমায়্যা ইবন খালফ ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে ধর্ম
    ত্যাগে বাধ্য করার জন্য মনিব উমায়্যা তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালাত ৷ বিস্তু তিনি ছিলেন
    ইসলামে অটল অবিচল ৷ তার এ অবস্থা দেখে আবু বকর (রা) অঢেল সম্পদের বিনিময়ে
    তাকে খরিদ করলেন এবং আল্লাহর সম্ভষ্টি অন্বেষায় তাকে মুক্ত করে দিলেন ৷ লোকেরা যখন
    হিজরত করল তখন তিনিও তাদের সং গে হিজর৩ করলেন ৷ রদ র উহ্দ ও পরবর্তী
    অভিযানসমুহে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ তিনি তার মা হামামা-র পরিচয়ে বিলাল ইবন
    হামামা নামে পরিচিত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন প্রাঞ্জল ভাষী বান্সী ৷

    সুতরাং তিনি সীন’ (০৪) কে শীন (০উ) উচ্চারণ করতেন বলে যে প্রসিদ্ধি রয়েছে তা
    আদৌ ঠিক নয় ৷ তিনি ছিলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর চার মৃয়ড়ায্যিনের অন্যতম, যেমনটি পুর্বে
    বিবৃত হয়েছে ৷ তিনিই সর্ব প্রথম আমান দিয়েছিলেন ৷ তিনি নবী কবীম (সা)-এর পরিবারের
    ব্যয় নিবাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ৷ সমস্ত সম্পদ তার হাতেই থাকত ৷ নবী কবীম (সা)-
    এর ওফাত হয়ে গেলে তিনিও সিরিয়াগামী বা ৷হিনীর সং গে গিয়েছিলেন ৷ক কারো কারো মতে
    আবু বকর (রা) এর খিলাফতকা ৷লে তার মুয়াবৃযিনরুপে তিনি (মদীনায়) অবস্থান করছিলেন ৷

    তবে প্রথম অভিমত অধিক প্রসিদ্ধি ও তথ্য নির্ভর ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, বিশ হিজরীতে
    তিনি দামিশকে ইনতিকা ৷ল করেন এবং তখন তার বয়স হয়েছিল যা ৷হ্বটর অধিক ৷ ফাল্লাস (র)-
    এর বক্তব্য মতে দামিশকে এবং মতাতরে মারিয়া-য় তার সমাধি রয়েছে ৷ কেউ কেউ হ লাবে
    তার মৃত্যু হওয়ার মত ব্যক্ত করেছেন ৷ তবে প্রামাণ্য তথ্য মতে হালাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন
    তার ভাই খালিদ (রা) ৷ মাকহুল (র) বলেন, বিলাল (রা) কে দেখেছেন এমন এক ব্যক্তি
    আমাকে বিবরণ দিয়েছেন যে, তিনি ছিলেন পুর্ণ শ্যামল বর্ণের, ক্ষীণকায় ও প্রশস্ত কপালধারী ৷
    এবং তার মাথায় ছিল অনেক চুল ৷ তিনি সাদা চুল-দাড়িতে খিযাব ব্যবহার করতেন না ৷

    ছয়-সাত : নববী দরবারের খাদিম হাব্বা ইবন খালিদ ও সাওয়৷ ইবন খালিদ (বা) দু’ভাই ৷
    ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআবিয়৷ (র)হাব্বা ইবন খালিদ ও সাওয়৷ ইবন খালিদ (রা)
    থেকে বর্ণিত ৷ র্তার৷ বলেন, আমরা নবী কবীম (না)-এর নিকটে পৌছলাম-তিনি তখন কোন
    কিছু যেবামতসংস্কার করছিলেন, যা তাকে ক্লাম্ভ-ক্লিষ্ট করে দিয়েছিল ৷ তিনি তখন বললেন,

    “যতদিন তোমাদের মাথা দুটি স্পন্দিত হতে থাকবে ততদিন রিযক বিলম্বিত (স্থগিত)

    রাখা হবে না ৷ কেননা, মানব সম্ভানকে তার মা জন্ম দেয় লালচে বর্ণে; তার থাকে না কোন
    ছাল-বাকল ৷ পরে মহান মহীয়ান আল্লাহ তাকে (সব কিছু) রিযক দান করতে থাকেন ৷”

    আট ? নবী কৰীম (না)-এর খাদিম বু-যুখন্মোর-মতান্তার ঘু-যুহাব্বার (রা) ৷ তিনি হাবশা
    সম্রাট নাজাশী (রা)-এর ভাইয়ের ছেলে এবং মতান্তরে তীর বোনের ছেলে ৷ তবে প্রথম মতটি
    যথার্থ ৷ সম্রাট নাজ্যশী নিজের নাইব ও প্রতিনিধিরুপে রাসুলুল্লাহ (সা)এর খিদমতের জন্য
    ভীকে পাঠিয়েছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবুন নযর (র) যু-মুখস্ফোর (রা) থেকে ৷
    তিনি ছিলেন নবী করীম (সা) এর লেবার আত্মনিয়ােজিত জনৈক হাবশ ৷৷বাসী ৷ তিনি বলেন,
    আমরা তার স গে সফরে ছিলাম ৷ তিনি দ্রুত পথ অতিক্রম করতে লাগলেন এমন কি কা ৷ফিলা
    থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন ৷ তিনি এমন করছিলেন পাথেয় স্বল্পতার কারণে ৷ তখন কেউ তাকে
    বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! লোকেরা তো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন নবী
    করীম (সা) উপবেশন করলেন এবং ল্যেকেদের থামিয়ে রাখলেন ৷ সকলেই তার কাছে
    সমবেত হলে তাদের তিনি বললেন, ^ একটু সময় আমরা ঘুমিয়ে নিৰ
    কি ? কিংবা অন্য কেউ তীর কাছে এ আবেদন করেছিল ৷ তখন লোকেদের সহ তিনি
    সেখানে অবস্থান নিলেন ৷ তারা বলল, এ রাতে আমাদের পাহারাদারী করবে কে ? আমি (যু-
    মুখাম্মার) বললাম, আমি, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গীত করুন ৷ তিনি তখন তার
    উশ্ৰীর লাগাম আমাকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, ৷-ঙ্গ-ত্এ ৷)ঐ১-ৰুম্র ১! এা১ “দেখ বোকা বসে
    (থাকা না যেন ! বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর উটের লাপাম ও আমার
    উটের লাগাম তুলে নিয়ে অনতি দুরে সরে গেলাম এবং সে দৃটিকে আপন ইচ্ছার চরতে
    দিলাম ৷ আ ৷মি সে দুটির প্রতি ৩লক্ষ্য রাখছিলাম এ অবস্থায় ঘুম আমাকে পেয়ে বসল ৷

    এরপর আমার চেহারায় সুর্য কিরণের প্ৰখরত৷ অনুভব করার আগ প্হৃন্স্ত আর কিছুরই
    আমার বোজখবর ছিল না ৷ সুর্য তাণে আমি জেগে উঠে আমার ভাবে বামে তাকালাম ৷
    দেখলাম, বাহন দুটি আমার অনতিদুরেই রয়েছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর উট ও আমার
    উটের লাগাম ধরে সবচেয়ে কাছের লোকটির নিকট গেলাম এবং তাকে জাগিয়ে তুলে বললাম,
    সালাত আদায় করেছ কি ? সে বলল, না ৷ তখন লোকেরা একে অন্যকে জ্যপাতে লাগল এবং
    অবশেষে রাসুলুল্লাহ (সা) ও জেগে উঠলেন ৷ তিনি বললেন,
    বিলাল! উয়ুর পাত্রে কি কিছু পানি আছে ? তিনি বললেন, হা, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য
    উৎসর্গীত করুন ৷

    পরে তিনি উয়ুর পানি নিয়ে এলেন যার মাটি পরিষ্কার করা হয়নি ৷ পরে বিলাল (বা) কে
    হুকুম করলে তিনি আমান দিলেন ৷ পরে নবী করীম (সা) র্দ৷ ড়িয়ে ফজরের পুর্বেক৷ র দুই
    রাকআত লালাত আদায় করলেন এবংও তাতে তাড়াহুড়া করলেন না ৷ পরে বিলাল (রা) কে
    আদেশ করলে তিনি ইকামত বললেন এবং নবী করীম (সা) ত ৷ড়াহুড ড়া না করেই (ফরম)

    সালাত আদায় করলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, ইয়া রড়াসুলাল্লাহ! আমরা কি অবহেলার
    অপরাধ করছি ? নবী করীম (সা)
    আল্লাহ আমাদের রুহ (সাময়িকভাবে) তুলে নিয়েছিলেন এবং তা ফেরত দিয়েছেন ৷ এবং
    আমরাও তো সালাত আদায় করে নিয়েছি ৷”

    নয় : নবী করীম (না)-এর খাদিম তালিকায় বিশেষ উল্লেখযোগ্য আবু ফিরাস রাবীআ
    ইবন কাব আল-আসলামী (রা) ৷ আওযাঈ (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন আবু কাহীর (র) আবু
    সালামা (র) সুত্রে রাবীআ ইবন কাব (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ
    (সা)এর সংগে রাত্রি যাপন করতাম এবং তার উবুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনের সৃরাহা
    করতাম ৷ তিনি রাতের বেলা জেগে উঠে বলতেন, (আমার প্ৰতিপালকের
    পৰিত্রতা এবং তার প্রশংসা সহকারে ) দীর্ঘক্ষণ ৷ এবং :গ্রজগতসমুহের
    প্রতিপালকের পবিত্রতা!) দীর্ঘক্ষণ ৷ একদিন রাসুলুল্পাহ (সা) আমাকে বললেন,তােমার কি চাওয়ার মত কিছু আছে ? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহা
    জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য লাভ ৷ তিনি বললেন,-১স্পো৷ চগ্লুট্রব্লুগ্লু ঞা শুা ষ্ও;ঙ “তবে তুমি
    নিজে অধিক সিজদা করে আমাকে সহায়তা কর” (অর্থাৎ অধিক সালাত আদায়ের অভ্যাস
    কর) ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম (র) রাবীআ ইবন কাব (বা)
    থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আমার সারটিড়া দিন রাসুলুল্পাহ (না)-এর সেবার
    কাটিয়ে দিতাম ৷ অবশেষে ইশার সালাত আদায় করা হয়ে গেলে তিনি যখন তার ঘরে যেতেন
    আমি তখন তার দরজায় বসে থাকতাম ৷ মনে মনে বলতাম, হতে পারে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    ,কান প্রয়োজন দেখ দেবে ৷ আমি তখন শুনতে থাকতাম যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলে
    চলেছেন, (আল্লাহর পবিত্রত৷ তার হামদসহ) ৷ শুনতে শুনতে এক সময়
    আমি ক্লান্ত হয়ে চলে আসতড়াম কিৎবা আমার দৃচােখ আমাকে পরাভুত করলে আমি ঘুমিয়ে
    পড়তাম ৷ তীর প্রতি আমার অধীর মনযোগ ও আমার সাগ্রহ খিদমত দেখে একদিন তিনি
    আমাকে বললেন, আমার কাছে
    কিছু চাও ৷ আমি তোমাকে তা দিয়ে দেব ৷ রড়াৰীআ (বা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া
    রাসুলাল্পাহ ! আমি নিজের ব্যাপারে একটু ভেবে নেই ৷ তড়ারপরে আমার চাহিদার কথা আপনাকে
    অবহিত করব ৷ রড়াবীআ (রা) বলেন, আমি মনে মনে চিন্তা করতে থাকলাম ৷ আমার বোধদয়
    হল যে, দুনিয়া এক সময় ফুরিয়ে যাবে ৷ আর এখানে আমার জন্য অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ
    রিষক রয়েছে যা আমার কাছে আসতে থাকবে ৷ রাৰীআ (রা) বললেন, তাই আমি মনে মনে
    বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটে আমার আখিরাতের বিষয় দরখাস্ত করব ৷

    কেননা, তিনি তো আল্লাহর নিকট যথাযােগ্য মর্যাদার অধিষ্ঠিত রয়েছেন ৷ রাবীআ (বা)
    বলেন, এ সব ভেবে-চিস্তে আমি তার কাছে গেলাম ৷ তিনি বললেন, “হে রড়াবীআ ৷ কী ঠিক
    করলে?” আমি বললাম, জী হী ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার কাছে আমি দরখাম্ভ করছি যে,
    আপনি আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার জন্য সুপারিশ করবেন যেন তিনি আমাকে
    জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন ৷ রাবীআ (বা) বলেন, নবী করীম (সা) বললেন, “হে
    রাবীআ ! একথা তোমাকে কে বলে দিয়েছে? রাবীআ (বা) বলেন, আমি বললাম, যিনি

    আপনাকে সত্য ও ন্যায় সহকারে পাঠিয়েছেন তার কসম ৷ কেউ আমাকে এ কথা বলে দেযনি ৷
    তবে আপনি যখন আমাকে বললেন, “আমার কাছে চাও , তোমাকে দিয়ে দেব ৷ ” আর আপনি
    তো আল্লাহর নিকট অধিষ্ঠিত রয়েছেন আপনার যথাদুযাগ্য মর্যাদার ৷ তখন আমি, নিজের বিষয়
    ভেবে দেখলাম ৷ আ ৷মি উপলব্ধি করলাম যে, দুনিয়া তো বিচ্ছিন্ন ও বিলীন হয়ে যাবে ৷ আর
    এখানে আমার জন্য অবশ্য বিযক রয়েছে যা আমার কাছে আ ৷সবেই ৷ ত ই অমি তাবলাম যে,

    আল্লাহর রাসুল (সা) এর কাছে আমার আ ৷খির৷ ৷দুত র বিষয় পেশ করব ৷ রাবী আ (রা) বলেন,
    রাসুলুল্লাহ (সা) দীর্ঘসময় নীরব হয়ে রইলেন ৷ পরে আমাকে বললেন,“আমি তা করব, তবে তুমি নিজে অধিক সিজদা দিয়ে আমাকে
    সহায়তা করবে ৷”

    হাফিয আবু ইয়ালা (র) বলেন, আবু খায়ছামা (র)আবু ইযরান আল জাওনী (র) সুত্রে
    রাবীআ আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ ইনি নবী করীয (না)-এর খিদমদুত নিয়োজিত ছিলেন ৷
    তিনি বলেন, একদিন নবী করীম (সা) আমাকে বললেন, হে রাবীআ! বিয়ে করবে না ?” রাবীআ
    (রা) বললেন, আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ কোন কিছু আপনার খিদমত করা থেকে আমাকে
    বিরত রাথুক তা আমি পসন্দ করি না ৷ তাছাড়া দ্রীকে দেবার মত কিছু আমার কাছে নেই ৷ রাবীআ
    (রা) বলেন, এ জবাব দেয়ার পরে আমি মনে মনে বললায, আমার অবস্থা রাসুলুল্লাহ (সা) আমার
    চাইতে অধিক জানেন ৷ তিনি আমাকে বিবাহ করার দিকে উদ্বুদ্ধ করছেন; এবার আমাকে উদ্বুদ্ধ
    করলে আমি অবশ্যই তার আহ্বাদুন সাড়া দিব ৷ রাবীআ (রা) বলেন, তারপর একদা নবী করীম
    (সা) আমাকে বললেন, রাবীআ! বিয়ে করবে না ?” আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহৰু আমার কাছে
    আর কে যেয়ে বিয়ে দেবে ? তাছাড়া ত্রীকে দেয়ার মত কিছু তো আমার কাছে দুনই ৷ নবী করীম
    (যা) আমাকে বললেন, “অমুক বংশের কাছে চলে যাও ৷ গিয়ে তা ৷দের বল, রাসুলুল্লাহ (সা)
    তোমাদের আদু দশ করেছেন যে, তোমাদের অমুক তরুণীকে আমার মা দুগ বিয়ে দিয়ে দিয়ে ৷”
    র রাবী আ (রা) বলেন, আ ৷যি ত ৷দের ওখানে গিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল (সা) আমাকে
    আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন যেন আপনারা আপনাদের কন্যা অযুককে আমার মা দুগ বিয়ে দিয়ে
    দেন ৷ তারা বলল, অমুক কে ? রাবীআ (রা) বললেন, ইা’ ৷ তারা বলল, মারহাব ৷ ! স্বাগতম !
    আল্লাহর রাসুল (না)-কে এবং স্বাগতম তার দুতকে ৷ তারা আমার সংগে (তাদের কন্যার) বিয়ে
    দিয়ে দিল ৷ আ ৷মি র ৷সুলুল্লাহ (সা) এর নিকট গিয়ে বললাম, ইয়৷ বা মুল ৷ল্লাহা অমি একটি
    কল্যাণময় পরিবারের নিকট হতে আপনার নিকট আসছি ৷ ত ৷রা আমাকে সত বােদী জোনছে এবং
    আমার সংগে তাদুদর যেয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে ৷ এখন আ ৷মি এমন কিছু কোথায় পাব যা দিয়ে
    মহরানাঅ আদায় করব ? তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বুরায়দা আসলাষী (রা)-কে বললেন, “রাবীআর জন্য তার মহররুদুপ থেজুদুরব এক আটি ওযন
    পরিমাণ সোনা সংগ্রহ কর ৷ ” র্তার৷ তা সংগ্রহ করে আমাকে দিয়ে দিলে আমি তা নিয়ে তাদের
    (শ্বশুরকুলের) কাছে গেলাম ৷ তারা তা (সানন্দে) গ্রহণ করল ৷ আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর
    নিকটে এসে বললায, ইয়৷ রাসুলাল্লাহা র্তার৷ তা গ্রহণ করেছে ৷ এখন ওলীমা (বৌভাত)
    করার মত কিছু আমি কোথায় পাব ? রাবীআ (বা) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (না) বুরায়দা

    (রা)-কে বললেন, : রাবীআর জন্য একটা দৃশ্বার মুল্য পরিমাণ
    সংগ্রহ কর ৷ ” রড়াবীআ (রা) বলেন, তারা তা সংগ্রহ করে দিলেন এবং নবী করীম (যা)
    আমাকে বললেন, “যাও
    আইশাকে গিয়ে বল, তার কাছে যে যব আছে তা যেন তোমাকে দিয়ে দেন ৷ ” রাবীআ (রা)
    বলেন, আমি তার কাছে গেলে তিনি আমাকে তা দিয়ে দিলেন ৷ পরে আমি দুম্বা ও যব নিয়ে
    (শ্বশুরালয়ে) চললাম ৷ তারা বললেন, বরের কাজটি (রুটি তৈরী করা) আমরা তোমাকে সমাধা
    করে দিচ্ছি! আর দুম্বাটি ষ্তা তোমাদের সাথীদের বল ৷ তারা সেটা জবাই করুক ৷ তারা
    জবাই করলেন ৷

    ফলে আল্লাহর কলম! আমাদের কাছে রুচি ও গোশতের ব্যবস্থা হয়ে গেল ৷ এছাড়া
    রাসুলুল্লাহ (না) তার একটি জমি আবু বকর (রা)-কে বন্দেড়াবস্ত করে দিয়েছিলেন ৷ আমরা
    একটি খেজুর গাছের (কাদির) ব্যাপারে মতবিরোধ করলাম ৷ আমি বললাম, ওটা আমার
    জমিতে রয়েছে ৷ আবু বকর বললেন, ওটা আমার জমিতে রয়েছে ৷ আমরা এ নিয়ে কলহে লিপ্ত
    হলাম ৷ তখন আবু বকর (রা) আমাকে এমন একটি কথা বললেন, যা আমাকে কষ্ট দিল ৷ পরে
    তিনি অনুতপ্ত হলেন এবং আমাকে ডেকে এনে বললেন, আমি তোমাকে যেমন বলেছি, তৃমিও
    আমাকে তেমনটি বল ৷ রাবীআ (রা) বলেন, আমি বললাম, না ৷ আল্লাহর কসম৷ আপনি
    আমাকে যেমন বলেছেন আমি আপনাকে তেমন কথা বলতে পারব না ৷ তিনি বললেন, তবে
    আমি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকটে যাচ্ছি ৷ রাবীআ (রা) বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)এর কাছে
    যেতে লাগলেন ৷ আমিও তার পিছু নিলাম ৷ আমার গোত্রের লোকেরা আমার পিছনে পিছনে
    আসতে লাগল ৷ তারা বলল, তিনিই না তোমাকে শক্ত কথা বলেছেন ৷ এখন তিনিই আবার
    রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে যাচ্ছেন নালিশ করতে ৷ রাবীআ (রা) বলেন, আমি তাদের দিকে
    তাকিয়ে বললাম, তোমরা জান ইনি কে? ইনি সিদ্দীক (নির্দিধ ও অকপট সত্যবাদী) এবং
    মুসলমানদের মুরবৰী ৷ তোমরা ফিরে যাও ৷ এমন না হয় যে তিনি ফিরে তাকিয়ে তোমাদের
    দেখতে পান এবং তোমরা তীর বিপক্ষে আমাকে সাহায্য করতে এসেছ এই ধারণায় তিনি না
    আবার রেগে যান ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকটে গিয়ে তাকে অবহিত করেন এবং
    রাবীআর কপাল পুড়ে যায় ৷ রড়াবীআ (বা) বলেন, তিনি নবী করীম (না)-এর নিকট পৌছে
    বললেন, আমি রাবীআকে একটা কটু কথা বলেছিলাম ৷ তারপর আমি তাকে যেমন বলেছিলাম
    আমাকেও তেমন বলার জন্য তাকে বললাম, কিন্তু যে তা অস্বীকার করল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
    বললেন, রাবীআ তোমার ও সিদ্দীকের ব্যাপার কি ? রাবীআ (রা)
    বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর কলম! তিনি আমাকে যা বলেছেন, আমি তাকে তা বলতে
    পারব না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (না)-ও বললেন, “(হী) তিনি যেমন তোমাকে বলেছেন তুমিও তাকে তেমনটি বল না ৷ বরং তুমি বল,
    আবু বকর ! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন ৷

    দশ : নবী দররারের অন্যতম খাদিম আবু বকর (রা)-এর মাওলা সাদ (রা) ৷ মতান্তরে
    তিনি নবী করীম (না)-এর মাওলা ছিলেন ৷ আবু দাউদ, তড়ায়ালিসী (র) বলেন, আবু আমির

    (র) হাসান (র) সুত্রে আবু বল সিদ্দীক (রা)-এর মাওলা সাদ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
    রাসুলুল্লাহ (সা) আবু ববত্র (না)-কে বললেন, সাদ (মা) ছিলেন আবু বকর (রা)-এর
    আযাদকৃত গোলাম এবং তার খিদমত রাসুলুল্পাহ (না)-এর পসন্দনীয় ছিল ৷ নবী কবীম (সা)
    বললেন সাদচক যুক্তি দিয়ে দাও ৷ আবু বকর (বা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
    আমাদের জন্য এখানে যে ব্যতীত অন্য কোন খাদিম নেই ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, সাদকে যুক্তি দিয়ে দাও ৷ তোমার জন্য অনেক লোক
    (খাদিম) আসছে ৷ তোমার জন্য অনেক লোক আসছে ৷” আহমদ (র)ও আবু দাউদ তায়ালিসী
    (র) সুত্রে অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়লিসী (র) আরো বলেছেন, আবু
    আমির (র) হাসান (র) সুত্রে সাদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি নবী কবীম (সা)-
    এর সামনে খুরমা পরিবেশন কালাম ৷ লোকেরা জোড়ায় জোড়ায় (অর্থাৎ দুটি দুটি) করে
    যেতে লাগলে রাসুলুল্লাহ (সা) দুটি দুটি করে খাওয়া নিষেধ করলেন ৷ ইবন মাজার বুনৃদার
    -আবু দাউদ (র) সুত্রে, হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন ৷

    এপার : অন্যতম খ্যদিম বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) ৷ উমরাতুল কন্যা-র
    দিন তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাহন ট্ন্থীর লাণাম টেনে নিয়ে চলেছিলেন এবং মক্কায় প্রবেশ
    কালে আবৃত্তি করছিলেন-(কবিতা)

    “কাফিরের পুতেরাং তার পথ ছেড়ে দাও ৷ আজ তোমাদের আঘাত হানব তার (আল
    কুরআনের) ব্যাখ্যা বাস্ত-ঘায়নে ৷ —’ যেমন তোমাদের আঘাত হোনছিলাম তার অবতারণে ৷
    এমন আঘাত যা মাথার খুলি বিচ্ছিন্ন করে দেয় তার স্থান থােকআর অস্তরত্গ বন্ধুকে নির্লিপ্ত
    করে দেয় তার অতরংগ থেকে ৷” ইতােপুর্বে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ এর কয়েক মাস পরে
    ঘুত৷ যুদ্ধে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) শাহাদাত বরণ করেন ৷ যেমনটি পুর্বেই বিবৃত
    হয়েছে ৷

    বার ও নবী কবীম (না)-এর ঘনিষ্ট খাদিম শীর্ষস্থানীয় সাহাবীগ্ণের অন্যতম আবু আবদুর
    রহমান আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ ইবন পাফিল ইবন হাৰীব ইবন শামখ আল হুযানী (বা) ৷ দুই
    হিজরতের যুহাজির; বদর ও পরবর্তী অভিযানসমুহে অংশ গ্রহণকাবী ৷ নবী কবীম (না)-এর
    পাদুকা বাহন এবং তার পবিত্রতা (উয়ু ইত্যাদি)-র দায়িত্ব পালন করতেন এবং নবী লীেম
    (না)-এর বড়াহনে আরােহণের ইরাদা করলে তিনি হাওদা বসিয়ে দিতেন ৷ আল্লাহ্র কলোম
    কুরআন শরীফের তড়াফসীরে তার ছিল সৃগভীর পাণ্ডিত্য এবং সেই সংগে বিশাল বিদ্যা ভাংমর,
    মাহাত্ম্য ও জ্ঞান-গরিমার অধিকারী ৷ হাদীস শবীফে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহ্যবীদের
    বললেন-যখন তার! ইবন মাসউদ (না)-এর পায়ের গোছা দৃটির কৃস্ত৷ ৩ ক্ষীণতার ল্লি

    ১ বারভ্যুাহ তলোঃ কর! লোঃ নদী কবীম (না)-এর

    হচ্ছিলেনশ্তিনি বললেন, “বীর হাতে আমার
    প্রাণ তীর কসম৷ অবশ্য ঐ পা দৃখানি মীযানে উহুদ পাহাড়ের চাইতে অধিক ভারী প্রতিপন্ন
    হবে ৷” উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) ইবন মাসউদ (বা) সম্বন্ধে বলেছেন, তিনি তো ইল্ম ভর্তি
    একটা ঘর ৷ বণ্নিাদাতাণণ উল্লেখ করেছেন যে, অবয়রে তিনি ছিলেন কৃশকায় কিন্তু স্বভাব-
    চরিত্রে উত্তম ৷ কথিত আছে যে, তিনি হটিবার সময় বসে থাকা লোকের মত মনে হয় ৷ তিনি
    আচার আচরণ ও ধরন ধারণে নবী করীম (সা) এর সৎগে সাদৃশ্যপুর্ণ ছিলেন ৷ অর্থাৎ তার
    চলাফেরা, উঠা বসা কথাবার্তায় এবং ইবাদতের মথাসাধ্য তিনি নবী করীম (সা ) এর স গে
    সাযুজ্য রক্ষা করতেন ৷ তেবট্টি বছর বয়সে বত্রিশ অথবা তেত্রিশ হিজবীতে উছমান (রা) এর
    খিলড়াকত আমলে তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ তীর ইনতিকাল কুফায় হওয়ার
    কথা বলেছেন ৷ তবে প্রথমােক্ত মতটি অধিকতর প্রামাণ্য ৷

    তেব ৎ অন্যতম খাদিম সাহাবী উকব৷ ইবন আমির আল জুহানী (রা ) ৷ ইমাম আহমদ
    (র) বলেন, ওলীদ ইবন ঘুসলিমউকবড়া ইবন আমির (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, যে
    পার্বত্য পণনঘুহের কোন একটিতে (সম্ভবতঃ খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তন কালে) আমি
    রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাহনকে টেনে নিয়ে চলছিলেন ৷ হঠাৎ তিনি আমাকে বললেন, ৷ “উকব৷ ! তুমি কি সওয়ার হবে না? উকব৷ (বা) বলেছেন, আমার আশংকা হল
    যে, (এখন তার কথা না ওনলে) অবাধ্যতার পাপ হতে পারে ৷ উকব৷ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ
    (সা ) নেমে পড়লেন এবং আমি ক্কিছুক্ষ্যণর জন্য নওয়াব হলাম ৷ তারপর তিনি আরোহণ
    করলেন এবং পরে বললেন, গ্রাশ্রো স্ফোৰু)ৰু
    “হে উকবা! আমি কি তোমাকে এমন দুটি সুরা শিখিয়ে দ্যেবা না যা মানুষের পঠিত
    উত্তম সুরা ? আমি বললাম, অবশ্যই, ইয়া রাসুলাল্লাহৰু তখন তিনি আমাকে সুরা আল ফালাক
    ও সুরা আন নান পড়িয়ে দিলেন ৷

    পরে সালাতের জামা আত শুরু হয়ে গেলে র ৷সুলুল্লাহ (সা) ইমাম হয়ে ঐ দুই সুরা দিয়ে
    (সা লাভের) কিরা৷ আ ত পাঠ করলেন ৷ পরে আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি
    বললেন, ঞা মোঃ) ৷ “যখনই তুমি ঘুম্রে এবং যখনই তুমি তখনই এ
    দুটি পাঠ করবে ৷ ” নাসাঈ (র) ও ওলীদ ইবন মুসলিম ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (র) থেকে
    হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ ছাড়া আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) উভয় ইবন ওয়াহব
    (র)-এর সৎগ্নহ হতেউকব৷ (বা) থেকেও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    চৌদ্দ ও অন্যতম খাদিম কারন ইবন সাদ ইবন উবাদ৷ আনসারী খাযরাজী (রা) ৷ বুখারী
    (র) আনড়াস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, কায়স ইবন সাদ (রা) নবী কবীম (সা )
    এর জন্য ছিলেন শাসনকর্তড়ার পক্ষে “প্রতিরক্ষা সচিবের’ ন্যায় ৷ এ কম্নেস (বা) ছিলেন অতি
    দীর্যকায় মানুষ এবং তার চিবুকে অল্প একটু দাড়ি ছিল ৷ কথিত আছে যে, কায়স (রা) এর পা-
    জামা কোন দীর্ঘকায় ব্যক্তি তার নাকের উপরে বীধলেও পাজামার পা দুটি মাটিতে পৌছে
    যেত ৷ মপুআবিয়৷ (বা) কারন (রা)-এর পা-জামা রোমান সম্রাটের কাছে পাঠিয়েছিলেন এই
    বলে যে, আপনাদের ওখানে এমন কোন লোক আছে কি যার জন্য এ পা-জাম৷ দৈর্যে তার
    মাপমত হবে ? রোম সম্রাট তা দেখে বিস্মায়াভিভুত হয়েছিলেন ৷

    বর্গনাকারীদের মতে, তিনি ছিলেন মহানুতং, সম্রান্ত, প্ৰশংসইি এবং প্ৰখর বুদ্ধি ও কুশলতা
    সম্পন্ন ৷ সিফফীন যুদ্ধকালে তিনি ছিলেন আলী (রা)এর পক্ষে ৷ যিসআর (র) মাবাদ ইবন
    খালিদ থেকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, কায়স ইবন সাদ (রা) তীর তত্তনীি ভুলে রাখতেন এবং
    দৃআ করতে থাকতেন ৷ (আল্লাহ তার প্ৰতি রাবী থাকুন এবং র্তাকেও সন্তুষ্ট করুন) ওয়াকিদী
    ও খালীফ৷ ইবন খ্যয়্যাত (র) প্রমুখ বলেছেন, যুআবিয়৷ (রা) যুগের শেষ দিকে করেন (বা)
    মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ হাফিয আবু বকর আল বাবৃযার (র) বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব
    সিজিসতানী (র)আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আনসারীদের মধ্যকার বিশ
    জন তরুণ রাসুলুল্পাহ (সা) এর দরকায়ী কাজের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে তার নিকটে উপস্থিত
    থাকতেন ৷ কোন কাজ সম্পাদনের সং কল্প করলে নবী করীম (সা) তাদের সে কাজে পাঠিয়ে
    দিতেন ৷

    পনের : নবী কয়ীম (না)-এর বিশিষ্ট খাদিম ঘুগীর৷ ইবন শুবা ছাকাফী (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ
    (না)-এর দরবারে তিনি যেন ছিলেন সিলাহদার’-রক্ষীদল প্ৰ ধান ৷ যেমন-তাকে দেখা যাচ্ছে
    হুদায়ৰিয়া সন্ধিকালে তাবুতে নবী করীম (না)-এর মাথার কাছে স্থির দাড়িয়ে রয়েছেন হাতে
    তরবারী উচিয়ে অতস্ত্রপ্ৰহয়ী রুপে ৷ সেখানে সন্ধি আলোচনায় আগত মক্কার প্রতিনিধিদলের
    অন্যতম সদস্য উরওয়৷ ইবন মাসউদ ছাকাফী তৎকালীন আরবের প্ৰথানুযায়ী বার বার তার
    হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর দাড়ি (চিবুক) স্পর্শ করতে যাচ্ছিল ৷ আর যতবারই যে তা
    করছিল, ততৰারই ঘুগীরা (রা) তরবাবীর ৰ্বাট দিয়ে উরওয়ার হাতে ঠোক৷ লাগিয়ে বলছিলেন,
    এ (তরবাবীটি) তোমার (গর্দান) পর্যন্ত পৌছার আগেই রাসুলুল্লাহ (না)-এর পবিত্র দাড়ি হতে
    তোমার হাত সরিয়ে ফেল ৷ পুর্ণ হাদীস পুর্বে বিবৃত হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) প্রমুখ
    বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে সব গুলো যুত্তুইে তিনি অংশ্গৃহণ করেন ৷ তায়েকবাসীদের
    ৰিগ্রহ য৷ রাব্ব৷ নামে অভিহিত হত এবং এটিই প্রসিদ্ধ প্রতীমা লাত ধ্বং স করার কাজে
    আবু সুফিয়ান (রা)-এর সং গে ঘুগীর৷ (রা)-কেও নবী লীেম (না) দল নেতা নিয়োগ
    করেছিলেন ৷

    ঘুর্গীর৷ (বা) ছিলেন আরবের চৌকষ কুশলীদের একজন ৷ বলেন, আমি তাকে
    বলতে শুনেছি, কেউ কখনও আমাকে পরাতুত করতে পারেনি ৷ গ্ৰী (র) আরো বলেন,
    কাবীসা ইবন জাৰির (রা)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমি মুনীর! ইবুন মাে (ৰা৷)-এর সান্নিধ্যে
    অবস্থান করেছি ৷ তাতে (আমি বলতে পারি যে) যদি কোন নগরীর আটটি মোঃ থাকে যার
    কোনটি দিয়েই কৌশল ব্যতিরেকে বের হয়ে আনা যায় না তবুও মুর্গীব৷ (রা) করে যে কোন
    তােরণ দিয়েই বের হয়ে আসতে পারবেন ৷ শাবী (র) আরো বলেন, কাবী (বিচারপতি)
    হ্নিলন চার জন, আবু বকর, উমর ইবন মাসউদ ও আবু মুসা (বা) ৷ কুশলী বুদ্ধিমান ছিলেন
    মোঃ-মুসৌং আমর ইবনুল আন, যুণীরা ও যিয়াদ (বা) ৷ ঘুহবী (র) বলেছেন, কুশলী
    প্লি ঠম-যুআৰিরা আসর অ্যাংমোঃর্মোলকঅন্সী (রা)-এর সংগে,
    ইবন রৈাদা ৩ আবদুল্লাহ ইবন বুদারল ইবন ওরারকা (রা) ৷

    ইমাম মালিক (র) বলেছেন, মুপীর৷ ইবন শুবা (বা) ছিলেন বহু বিবাহে অভ্যস্ত ৷ তিনি
    বলতেন, একক ভার্যাধারীর শ্রী ঋভুবর্তী হলে বেচারা স্বামীও তার স গে ঋতুপালনে বাধ্য হয় ৷
    আর স্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীও অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ আর দুই ত্রীর স্বামী দুই লেলিহান
    অগ্নিশিখার মাঝে ৷ বর্ণনাকারী (মালিক) বলেন, তাই তিনি চারজনকে বিয়ে করতেন এবং
    তাদের এক সংগে তালাক দিয়ে দিতেন ৷ অন্যদের বর্ণনায় রয়েছে, তিনি সর্বমোট আশিজন
    নারীর পানি গ্রহণ করেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনশত নারীকে ৷ আবার কেউ তো
    বলেছেন, এক হাজার নারীকে তিনি বিবাহ করেছিলেন ৷ তার মৃত্যু সম্পর্কে বেশ মতবিরোধ
    রয়েছে ৷ তবে খতীব বাগদাদীর দাবীকৃত ঐকমত্য সম্পন্ন, অধিক প্রামাণ্য ও প্রসিদ্ধ মতে তিনি
    পঞ্চাশ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷

    সােল : নবৃবী দরবারের অন্যতম খাদিম আবু মাবাদ মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ আল-
    কিনদী (রা)বনু যুহরার মিত্র ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফফান (র) মিকদাদ ইবনুল
    আসওয়াদ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, দুই জন সৎগীসহ আমি মদীনায় উপনীত
    হলাম এবং লোকদের কাছে নিজেদের (অবস্থা) তুলে ধরলাম ৷ কিন্তু কেউ আমাদের অতিথি
    (জাগীর)-রুপে গ্রহণ করল না ৷ আমরা নবী কবীম (না)-এর নিকটে গিয়ে তীর কাছে অবস্থা
    উল্লেখ করলাম ৷ তিনি আমাদের তীর বয়ে নিয়ে গেলেন ৷ তীর কাছে তখন চারটি বকরী ছিল ৷
    তিনি বললেন, “মিকদাদা
    এগুলিকে দােহন করবে এবং সেগুলি (-র দুধ)-কে চার ভাগে ভাগ করে প্রতিজনকে এক এক
    ভাগ দেবে ৷ সুতরাং আমি অনুরুপ করতে লাগলাম ৷ এক রাতে আমি নবী কবীম (না)-এর
    জন্য (তার অংশ) তুলে রাখলাম ৷ তিনি আসতে দেরী করলেন এবং আমি আমার বিছানায়
    শুয়ে পড়লাম ৷ তখন আমার প্ৰবৃত্তি আমাকে মন্ত্রণা দিল, নবী কবীম (সা) নিশ্চয়ই কোন
    আনসারী পরিবারে গিয়ে থাকবেন (এবং স্বতাবতই তারা তীকে মেহমানদীবী করবে) ৷

    সুতরাং তুমি যদি এখন উঠে এ পানীয় অংশটুকু পান করে ফেল প্রবৃত্তি এভাবে ফুসলাতে
    থাকলে অবশেষে আমি উঠে নবী কবীম (না)-এর জন্য রেখে দেয়৷ অংশ পান করে কেললাম ৷
    কিন্তু তা আমার উদরে ও আতুড়ীতে প্রবেশ করা মাত্র আমাকে অস্থির করে তুলল ৷ এখন আমি
    ভাবতে লাগলাম, নবী কবীম (না) এখন ক্ষুধার্ত গিপাসার্ত হয়ে আগমন করবেন এবং পাত্র
    শুন্য দেখতে পাবেন ৷ আমি আমার মুখের উপর একটি কাপড় ঘুড়ি দিয়ে শুয়ে রইলাম ৷
    ওদিকে নবী কবীম (সা) আগমন করলেন এবং এমনভাবে সালাম করলেন যা জাগ্রতকে শুনানী
    দেয় এবং ঘুমম্ভকে জাগিয়ে দেয় না ৷ তিনি পাত্র অনাবৃত করে তাতে কিছুই দেখতে পেলেন
    না ৷ তিনি তখন নিজের মাথা আসমানের দিকে তুলে বললেন,
    স্পো৷ “ইয়া আল্লাহা যে আমাকে পান করাবে তাকে আপনি পান করান এবং যে আমাকে
    খাওয়াবে তবে আপনি খাওয়ান ৷ ” আমি তার দু আকে নিজের জন্য সৌভাদ্র দ্বু করে উঠে
    পড়লাম এবং ছুরী নিয়ে বকরীগুলির কাছে গেলাম ৷ আমি তাদের ছুছুয় দেখতে লাগলাম যে
    কোনটি যে টা তাজা, যাতে আমি সেটি জবা ৷ই করতে পারি ৷ আমার হাত তাদের একটির
    দুধের থনে পড়লে দেখতে পেলাম যে তা দুধে পুর্ণ রয়েছে ৷ পরে অন্য একটিকে লক্ষ্য করে
    দেখলাম সেটির থনও দুধে পুর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ পরে দেখি সবগুলির ওলান দুধে পুর্ণ ৷ তখন

    আমি পাত্রে করে দুধ দুরে নিলাম এবং তা নবী কবীম (সা) এর নিকট নিয়ে গিয়ে বললড়াম,
    পান করুন ৷ তিনি বললেন,“মিকদাদ ! ব্যাপার কি?” আমি বললাম, আগে
    পান করুন তারপরে ব্যাপার ৷ তিনি বললেন, “মিকদাদ! এ তোমার
    দুষ্টুমীর একটি ৷ ” তিনি পান করলেন ৷ পরে বললেন, তুমি পান কর ৷ আমি বললাম,
    ইয়া নাৰিয়্যাল্লাহা আপনি পান করুন ৷ তিনি পেট পুড়ে পান করলেন ৷ পরে আমি তা নিলাম
    এবং পান করলাম ৷ এরপর আমি তাকে সব ব্যাপার অবহিত করলে নবী কবীম (সা) বললেন,
    “এ হচুচ্ছ আসমান হতে
    নাযিলকৃত বরকত ৷ তুমি আগেই আমাকে অবহিত করগে না কন ? ৩এে তো তোমার সংগী
    দু’জনকেও পান করড়াতাম ৷” আমি বললাম, বরকত যখন আমি এবং আপনি পান করে ফেলেছি
    এখন আর (ক গেল না পেল সে পরেড়ায়া আমার সেই ৷ ইমাম আহমদ (র)-ও হাদীসটি
    রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবুন-নাযর (র)নিকদড়াদ (বা) থেকে পুর্বোক্ত বিবরণ উল্লেখ
    করেছেন ৷ তাতে আরো রয়েছে যে, তিনি এমন পড়াত্রে দুধ দৃইয়েছিলেন যাতে অন্য সময় তারা
    দুইতে সমর্থ হতেন না ৷ তিনি এত দুইলেন যে, তার উপর ফেনা ভেসে উঠল ৷ তিনি যখন তা
    নিয়ে আসলেন তখন রড়াসুলুল্লাহ (না) বললেন,
    আজ রাত্রে তোমাদের পানীয় (দুধ) তোমরা পান করনি?” আমি বললাম, ইয়া রাস্ফুা৷ল্লাহন্ত্র
    আপনি পান করুন! পরে তিনি (পাত্র) আমার দিকে এগিয়ে দিলে আমি অবগ্রিষ্টিটুকু নিয়ে
    নিলাম এবং পরে তা পান করলাম ৷

    পরে, যখন আমি বুঝতে পারলাম যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা) পরিতৃপ্ত হয়েছেন এবং তার দৃআ
    আমি পেয়ে গিয়েছি তখন আমি হাসির তোড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম ৷ রাসুলুল্লাহ
    (সা) বললেন, “এ তোমার দৃর্মতির একটি হে মিকদাদ! আমি
    বললাম, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহা আমার ব্যাপার হ্নি! এই এইআষি এরুপ ঘটিয়ে স্মিন্ম ৷ তিনি
    বললেন,

    “এটা আল্লাহর বরকত বৈ আর কিছু ছিল না ৷ তুমি কেন আমাকে (আগে) অবগত করলে
    না, তোমার সংগীদ্বয়কে জাগিয়ে দিলে তারাও তা থেকে অংশ (পরে যেত ৷ মিকদাদ (রা)
    বলেন, আমি বললাম, যিনি আপনাকে সত্য-ন্যায় সহকারে পাঠিয়েছেন তীর কলম! যখন
    আপনি তা পেয়েছেন এবং আপনার সংগে আমিও তা পেরে গেলাম তখন আর কে কে তা
    গেল না পেল তা নিয়ে আমার কোন মাথাবথ্যে নেই ৷” মুসলিম, তিরযিযী ও নাসাঈ (র)-ও
    হাদীসটি সুলায়মান ইবনুল যুগীরা (র) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    সতের : নবী কবীম (সা)এর সাহাবী-খাদিম তালিকায় অন্যতম-উম্মু সালমা (রড়া)-এর
    আযাদকৃত গোলাম সৃহাজির (বা) ৷ তাবারানী (র) বলেন, আবুয যড়ামরা রাওহ্ ইবনুল ফাবৃজ
    (র) বুকায়র (র)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন তিনি বলেন উম্মু সালামা (রা)-এর মাওলা ঘৃহাজির
    (রা)-ক আমি বলতে শুনেছি, আমি অনেক বছর রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমত করেছি ৷ এ

    দীর্ঘস্মিন আমি করে ফেলেছি এমন কোন কিছুর ব্যাপারে তিনি (সা) আমাকে বলেননি ৷ কেন
    ম্নো? আমার কোন কিছু আমি করিনি, (সে জন্য বলেননি) কেন করলে না ? একটি
    রিওরান্নাত রয়েছে, আমি দশ অথবা পনের বছর যাবত তার খিদমত করেছি ৷

    অঠোর : অন্যতম খাদিম আবুস সামহ (রা) ৷ আবুল আব্বাস মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ছাকাফী
    (র) বলেন, মুজাহিদ ইবন মুসা (র) মাহিল ইবন খালীফা (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, আবুসৃ সামহ (বা) বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমত করতাম ৷ তিনি বলেন,
    নবী করীম (না) যখন গোসল করতে মনস্থ করতেন তখন আমাকে বলতেন, আমার (পানির)
    পাত্রটি আমাকে এগিয়ে দাও ৷ আবুসৃ সামহ (বা) বলেন, আমি তাকে পাত্র এগিয়ে দিতাম এবং
    র্তীকে আড়াল করে রাখতাম ৷ একবার হাসান বা হুসায়ন (রা)কে নিয়ে আসা হল ৷ তিনি
    নবীজী (না)-এর বুবেন্ম উপর পেশার করে দিলেন ৷ আমি তা ধুয়ে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলে
    তিনি বললেন, ণ্ “মেয়ের পেশার (পর্যপ্ত
    পরিমাণে) ধুতে হয়; আর ছেলের পেশারে পানি ছিটিয়ে (হাল্কা) দিতে হয় ৷ ” আবু দাউদ, নাসাঈ
    ও ইবন মাজ৷ (র)-ও মুজাহিদ ইবন মুসা (র) সুত্রে অনুরুপই ব্রিওয়ায়াত করেছেন ৷
    উনিশ : খাদিম তালিকায় অন্যতমসর্ব বিচারে গ্রেষ্ঠতম সাহাবী আবু বকর (বা) ৷
    হিজরতের সফরে, বিশেষত (হাওর) গুহায় অবস্থান কালে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে মদীনায়
    উপনীত হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বহন্থে নবীজী (না)-এর যাবতীয় খিদমত আনজাম দিয়েছেন ৷
    বিশদ বিবরণ যথাস্থানে বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহর জন্য সব হামদ এবং সব অনুকম্পা র্তারই ৷

    ৱাসুলুরহে (না)-এর দরবারের লিখকবৃন্দ
    ও অন্যান্য কর্তব্য পালনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ

    এক-চার ৪১ ওহী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় লেখকবৃন্দের মাঝে রয়েছেন, খলীফা চতুষ্টয়
    আবু বকর, উনার, উসমান ও আলী ইবন আবু তালিব (বা) ৷ তাদের প্রত্যেকে খিলাফত যুগের
    বর্ণনায় তাদের জীবনী আলোচিত হবে ৷ ইনশাআল্লাহ!

    পাচ : এ তালিকার অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আবান ইবন সাঈদ ইবনুল আন ইবন
    উমায়্যা ইবন আবদ শামছ ইবন আবদ মানাফ ইবন কুসার-উমাৰী (বা) ৷ তার দুই ভাই
    খালিদ ও আমৱ (রা)-এর পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ জার-ইসলাম গ্রহণের সময়টি ছিল
    হুদায়ৰিয়া সন্ধির পরে ৷ ক্যেনা, চ্দায়ৰিয়া সত্যি মোঃ রসুলুল্লাহ (না) যখন উছমান (রা)-
    কে দুতরুপে মক্কার পাঠিয়েছিলেন তখন এ অবােন (রা)-ই উহুম্লে (না)-কে হিফাযত
    করেছিলেন ৷ তবে কারো কারো মতে, তিনি বারবার অতিবাৰ্নর প্রাক্কালে ইসলাম গ্রহণ
    করেছিলেন ৷ কেননা, খায়বারের গণীমত বন্টন মোঃ সহীহ বুখারীতে আবু হুরায়রা (রা)
    বর্ণিত হাদীসে তার নমােল্লেখ রয়েছে ৷ তার ইনদাম্ গ্রহণের কারণরুপে বিবৃত হয়েছে যে,
    সিরিয়ার তেজারতী সফরে এক বুস্টান ধ্র্যযাক্রো ঝো তার সাক্ষাত হয়েছিল ৷ তার কাছে
    তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিষয় আলোনো কালে তিনি তাকে বলেন, তার নাম কি? তিনি

    ১ বর্ণ ক্রমিকে অনুচ্ছেদের শেষাংশে তাদের ররেহে ৷গ্অনুৰাদক

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ মৃত্যুকালে তার বয়স Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.