যাকাতের নেসাব কী? এ বছরের যাকাতের নেসাবের পরিমাণ জানতে চাই। স্বর্ণের যাকাত কি এক বছর পর দিতে হয়? আমার যাকাত এক বছর হওয়ার আগেই আমি কিছু টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম তা কি বৈধ হবে? আর কারো উপর নেসাব পরিমাণ স্বর্ণ আছে কিন্তু তা মাত্র দুই মাস হয়েছে এমন ব্যক্তিকে কি যাকাত দেওয়া যাবে? আর আমার একটি স্বর্ণের আংটি ছিল, যা ১ বছর হওয়ার আগেই বিক্রি করেছিলাম। এখন কি সেই আংটিরও যাকাত দিতে হবে?
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী (ভরি প্রতি প্রায় ৬৫০/- টাকা হিসাবে) রূপার নেসাব হয় ৩৪০০০/- টাকা। তাই কারো নিকট ঐ পরিমাণ টাকা থাকলে বা স্বর্ণ-রূপা কিংবা টাকা ও স্বর্ণ-রূপা এবং ব্যবসায়িক পণ্য মিলে নেসাব পরিমাণ থাকলে তার উপর যাকাত ফরয হবে। তদ্রূপ কারো নিকট শুধু স্বর্ণ থাকলে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা শুধু সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা থাকলে তার উপর যাকাত ফরয হবে। এর কম থাকলে যাকাত ফরয হবে না।
নেসাব পরিমাণ সম্পদের উপর এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত দিতে হবে। তাই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে যে আংটি বিক্রি করা হয়েছে তার যাকাত প্রদান করতে হবে না।
আর গরিব-মিসকীনরাই হল যাকাতের প্রকৃত হকদার। তাই কারো নিকট প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে ঐ সম্পদের উপর বছর অতিক্রান্ত না হলেও তাকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কারণে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৯৬৬, ৯৯৪৮, আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৫৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৭৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৪৯, ১/২৬৪; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৩০৫, ২/২৬৬, ২/৩৯০; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৯৩, ২/৩৪৮