স্বপহ্মে টানতে পারেন, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলায়ফায় রাত কটিড়ান্সেন;
তাববুশঘে সকাল হলে তিনি ফজর সালাত আদায় করলেন, তারপর তার বড়াহনে আরোহণ
করলেন ৷ বাহন প্রাম্ভরে গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি হজ্জ ও উমরত্ত্বর ইহরাম বীধলেন ৷ তবে এ
হাদীসের সনদে তাজ্ঞাতনামা জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন; সম্ভবত তিনি আবু কিলাবা (র) ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷
ইমাম মুসলিম (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন হাবীব আল হারিহী (র) আইশা (রা) সুত্রে, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলাম, তারপর তিনি তার সহবর্মিণীদের
সান্নিধ্যে গমন করেন ৷ তারপর ইহরাম বীধলেন, তখনও তীর সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল ৷ বুখারী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন শুবা (র) সুত্রে ৷ আবার বুখত্ত্বরী মুসলিম (র) উভয় তা উদ্ধৃত
করেছেন আবু আওয়নাে (র) সুত্রে (এ সনদে মুসলিম (র)-এর অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে) ৷
অনুরুপ মিসআর ও সুফয়ান ইবন সাঈদ ছাওয়ী (র) এ চারজন পুর্বোল্লিখিত সনদে ৷ এ ছাড়া
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবনৃল মুনতাশির (ব) ( এর পিতা মুহাম্মদ (র) হতে নেয়া মুসলিম (র)-
এর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে মুহাম্মদ (র) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রড়া)এর কাছে
সুগন্ধি মাখিয়ে ইহরাম সম্পাদনকারী ব্যক্তির মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, সুপন্ধি
ছড়াতে ছড়াতে মুহরিম হব তা আমি পসন্দ করি তেমন করার চেয়ে আমি আলকাতরড়া
মাখড়াব তা বরং আমার কাছে অধিক পসন্দনীয় ৷ (এ জবাব শুনতে পেয়ে) আইশা (রা)
বললেন, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) (ক তার ইহরামের সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছিলাম ৷ তারপর
তিনি তার দ্রীদেব কাছে ঘুরে এসেছেন; তাবপরে মুহরিম হয়েছেন ৷
মুসলিম (র) বর্ণিত এ ভাম্যের দাবী হল স্তীদের সাথে মিলনের আগে নবী করিম ( সৰু )
সুগন্ধি মাখতেন, যাতে তা তার নিজের কাছে সৃখকর ও দ্রীদের কাছে পছন্দনীয় হয় ৷ তারপর
জানাবভে এর জন্য গোসল এবং সে সাথে ইহরামের গোসলের সময় ইহরামেব উদ্দেশ্যে
নীিয় বার সুপন্ধি ব্যবহার করতেন ৷ যেমন তিবমিযী ও নড়াসড়াঈ (ব) আবদুর রহমান ইবন
আবয যিনড়াদ (র)যড়ায়দ ইবন ছাৰিত (রা ) সুত্রের হাদীস রিওয়য়োত করেছেন যে , তিনি
(যারদ রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরামের জন্য থেলােমেলা ভাবে গোসল করতে দেখেছেন ৷ এ
হাদীস সম্পর্কে তিরমিযী (র)-র মন্তব্য হল একক সুত্রীয় উত্তম (হাসান পরীব) ইমাম আহমদ
(র) বলেন, যাকারিয়া ইবন আদী (র)আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইহরাম বীধার ইচ্ছা করতেন তখন র্তার মাথা (সুগন্ধিযুক্ত) খিতমী ও
উসমান (মাস) দিয়ে ধুইতেন এবং তার কিছু তেল মাথায় দিতেন ৷ এটা আহমদ (র)-এর
একক বর্ণনা ৷ আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন
উরব্বয়ন৷ (র ) , আইশা (রা ) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তার ইহরাম র্বীধড়ার সময় এবং
ইহরাম খোলার সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ আমি (উরওয়া) র্তাকে বললাম, (কান
সুগন্ধি দিয়ে? তিনি বললেন, সব চাইতে উত্তম সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম ও বুখাবী (র) ভিন্ন ভিন্ন
সুত্রে এ হাদীসটি বংনাি করেছেন ৷
বৃখায়ী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (রা ) থেকে তিনি বলেন,
আর্মি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-ফে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম তার ইহরামেব জন্য, যখন তিনি ইহরাম
র্বাধতেন এবং তীর ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার জন্য, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফের আগে ভাগে ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবদ ইবন হুমায়দ (র)অ আইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, বিদায়
হরুজ্জ ইহরাম বাধা ও খোলার সময় আমি আমার দু’হড়াত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যারীরাহ
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ মুসলিম (র) সুফিয়ড়ান ইবন উয়ায়নড়া (র) (যুহরী) , আইশা (বা) সুত্রে
আর একটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি আমার এ দু’হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি, তার ইহরামের জন্য ৷ যখন তিনি ইহরাম বেধেছেন এবং তীর
হালাল হওয়ার জন্য তার বায়তুল্লাহ্ তাওয়ফে করার আগে ৷
মুসলিম (র) আরো বলেন, আহমাদ ইবন মানী ও ইয়াকুব আদ দাওরাকী (র), আইশা
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আ ৷মি নবী করীম (সা) কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতড়াম র্তার
ইহরাম বাবা ও তার হালাল হওয়ার আগে এবং নড়াহর দিবসে (জিলহাজ্জ্বর দশ তারিখে) র্তার
বায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করার আগে, যেশৃকষুক্ত সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম (র) বলেন, আবু বকর
ইবন আবুশ্ ৷ড়ায়বা ও যুহায়র ইবন হারব (র) আ ৷ইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সিথিতে মেশ কের ঔশ্বর্য, যখন তিনি তাল্বিয়া পাঠ করছিলেন, যেন আমি
এখনও দেখতে পাচ্ছি ৷ মুসলিম (র) ও বুথারী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন, আশআছ (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, মনে হয় যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চুলের গোড়া ওলিং৩ , তার ইহরাম অবস্থায়, সুগন্ধির
ঔজ্জ্বল্য আমার নজরে ভাসছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আ ইিশা (বা) হতে,
তিনি বলেন নবী করীম (সা) এর ইহরাম বাধার কয়েকদিন পরেও যেন আমি তার সিথিতে
সুগন্ধির ঝলক দেখতে পাচ্ছি ৷ আবদুল্লাহ ইবনৃয যুবায়র আ ল হুমড়ায়দী (র) বলেন, সুফিয়ান
ইবন উয়ায়ন৷ (রা) আ ইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর সিথিতে তার
ইহরামের তিন দিন পরে আমি সুগন্ধি দেখেছি ৷
এ সব হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা) গোসলের পরে সুগন্ধি ব্যবহার
করেছিলেন ৷ কেননা, গোসলের আগে সুগন্ধি লাগানো হয়ে থাকলে গোসল তা ( ধুয়ে) শেষ
করে দিত এবং তার কোন চিহ্ন বিশেষত ইহরড়ামের তিন দিন পরেও অবশিষ্ট থাকত না ৷
পুর্বসুরীদের অনেকে, যীদের মাঝে ইবন উমর (রা) উন্থল্লখযোগ্য, ইহরড়ামের প্ৰক্কালে সুগন্ধি
ব্যবহার মাকরুহ হওয়ার অভিমত পোষণ করেছেন ৷ তবে আমরা আইশা (বা) হতে ইবন উমর
(রা) সুত্রের হাদীস ও রিওয়ায়াত করেছি ৷ যেমন, হাফিয বায়হার্কী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন
ইবন বুশরান (র) ইবন উমার (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আইশা (বা) থেকে ৷ এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে তার ইহরামের সময় উত্তম দামী
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ এ সনদঢি একক ও বিরল উৎসের ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) তার
মাথায় আঠালাে বস্তু লাপিয়েছেন যাতে তা তীর মাথার সুগন্ধিকে রক্ষা করতে পারে এবং ধুলা
বা বালু জমে যাওয়া থেকে উত্তমভাবে হিফাজত হয় ৷ মালিক (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে
১ যারীরাহ উন্নতমানের সুগন্ধি বিশেষ, সুগন্ধি রেণু ৷ অনুবাদক
বলেছেন যে, নবী করীম (সা)-এর সহধর্মিণী হযরত হাফস৷ (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্পাহ্!
ব্যাপারটি কী যে, লোকেরা তাদের উমর৷ হতে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা
হতে হালাল হলেন না ? তিনি বললেন,
(চুল ৰিন্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে) আ ৷মি আমার মাথায় আঠালো দ্রব্য ব্যবহার করেছি এবং
আমার কুররানীৱ উটের (গলায়) কিলাদা (চামড়া, চপ্পল ইত্যাদির তৈরী মালা) পরিয়েছি, (দশ
তারিখে) কুরবানী করা পর্যন্ত অ৷ ৷মি হালাল হচ্ছি না ৷ বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ্
গ্রন্থদ্বয়ে মা ৷লিক (র) এর বরাতে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া নাফি (র) হতেও এ
হাদীসের একাধিক সুত্র রয়েছে ৷
বড়ায়হাকী (র) বলেন, হাকিম (র) ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মধু দিয়ে তা ৷র মাথা আঠ৷ ৷লাে করেছিলেন ৷ এ সনদঢি উত্তম ৷৩ তারপর নবী
করীম (সা)৩ তার কুরবানীর উটটিকে (যখম করে) চিহ্নিত করলেন এবং যুল-হুলাফায় সেটিকে
মালা পরালেন ৷ লায়ছ (র) ইবন উমর সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জ হজ্জ ও
উমরা মিলিয়ে তামাভু হজ্জ আদায় করেছিলেন এবং কুরবানীর পশু সাথে নিয়েছিলেন অর্থাৎ
যুল-হুলায়ফা হতে নিজের সাথে কুরবানীর উট পরিচালিত করেছিলেন ৷ পুর্ণাৎগ হাদীসের
বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ এ হাদীস সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে ৷ পরবর্তী আলোচনায় এ হাদীসের
পর্যালোাচনাও করা হবে, ইনশাআল্লাহ্ ৷ মুসলিম (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্ন৷ (র)
ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায়
পৌছলে তার উটনী নিয়ে আসতে বললেন এবং তার কুজের ডান পাশে যখম করে রক্ত লেপটে
দিলেন এবং তাকে দৃখানি চপ্পলের মালা পরিয়ে দিলেন ৷
তারপর তিনি তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ সুনান গ্রন্থের চতুষ্টয় স কলণগণ আবু দাউদ,
তিরমিষী, নাসাঈ, ইবন মাজা এ হাদীসখান৷ ক ৷তাদা (র) থেকে একা ৷ধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ হাদীস নির্দেশ করে যে, নবী করীম (সা)৩ তার পবিত্র হাত ৩দিয়েই ঐ উটনীটি
চিহ্নিত করেন ও মালা পরানাের কাজ সম্পাদন করেছিলেন এবং অবশিষ্ট কুরবানীর
পশুগুলোকে যখম করা ও তাদের মালা পরাবার দা ৷য়িত ৩অন্যদেরকে অর্পণ করেছিলেন ৷ কারণ
কুরবানীর পশু ছিল উল্লেখযোগ্য সং খ্যক একশউটি কিংবা তা ৷র চেয়ে সামান্য কম ৷ তিনি তার
পবিত্র হাতে তেষট্টিটি উট যবেহ করেছিলেন এবং আ ৷লী (রা) কে দায়িৎ দিলে তিনি বাকীগুলি
যবেহ করেছিলেন ৷
এ প্রসং গে জা ৷বির (রা) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, আলী (রা) ইয়ড়ামান থেকে নবী করীম
(সা) এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এসেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক (র)-এর বিবরণে রয়েছেন যে,
নবী করীম (সা) তার কুরবানীর উটে আলী (রা)-কে শবীক করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷ অন্যদের বর্ণনায় রয়েছে নবী করীম (সা) ও আলী (বা) মিলে মোট একশত উট
কুরবানী করেছিলেন ৷ এ বংনাির ভিত্তিতে বলা যায় যে, এ সব পশু তিনি যুলহুলায়ফা থেকে
সাথে নিয়েছিলেন কিৎবা কিছু সং খ্যক পথে ইহরাম অবস্থায় কিনে নিয়েছিলেন ৷
৭
রাসুলুল্পাহ (সা) এর ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠের স্থান নির্ণয়
এবং বর্ণনাকারীদের মতবিরোধ ও তার মীমাষ্স৷
আওযাঈ (র) উমর (রা) থেকে বর্ণিত, বুখায়ীর হাদীস ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে উমার (রা) বলেছেন, ওয়াদিল আকীকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-£ক বলতে তনেছি, আমার
প্ৰতিপালকের নিকট হতে একজন আগন্তুক আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন হব্লুজ্জর সাথে উমর৷ ৷ বুখারী (র) আরো
বলেছেন অনুচ্ছেদ৪ ষুল হুলায়কা মসজিদের কাছে ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠ৪ ংআলী ইবন
আবদুল্লাহ (র)আবদুল্পাহ্ ইবন উমার (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ অর্থাৎ বুল-
হুলায়ফার মসজিদ-এর নিকট ব্যতীত অন্য কোথাও ইহরাম ৰীধেন নি ৷ ইবন মাজা বাতিরেকে
সিহাহ সিত্তার ইমামণণ সকলেই এ হাদীস (উল্লিখিত সনদের মধ্যবর্তী বাবী) মুসা ইবন
উকৰা (র) হতে ৩বিতিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) এর অন্য একটি রিওয়ায়ড়াতে
অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তিনি (নবী করীম সা) তখন বললেন, লাব্বায়েক ৷ বুখারী মুসলিমের অন্য
একটি রিওয়ায়াতে (মালিক, মুসা, সালিম) রয়েছে যে, সালিম (র) বলেন, ৩া৷রদুস্নাহু ইর ন
উমর (রা) বলেছেন, তোমাদের এ খোলা মাঠ, যাতে (ত ৷মরা (ইহরাম বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ইহরাম করেছিলেন মসজিদের
কাছে থেকে ৷ আবার এই ইবন উমর (রা) হতেই এর বিপরীত বর্ণনা রয়েছে ৷ যেমন
প্রতিপক্ষে আলোচনা করা হবে-ব যাবুখারী, মুসলিম (র)ত তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক (র)
ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ (ইবন উমর রা) বললেন,ত তবে ইহরাম ও
তালবিয়৷ পাঠের বিষয়টি তা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ক ইহরাম-তালবিয়৷ পাঠ করতে প্রত্যক্ষ
করি নি যতক্ষণ না তার বাহন৩ তাকে নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করল ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র)সাঈদ ইবন জুবায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) কে আমি বললাম, (হ আবুল আব্বাস ’ রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর ইহরাম-৩ ৷লবিয়৷ ব্যাপারে যে, কখন তিনি তা সস্পা ধ ন করলেন ৷ রাসুণুহুমাহু (সা)-
এর সাহাবীণণের পরস্পর বিরোধী বর্ণনায় আমরা তাজ্জব যাচ্ছি ৷ তিনি বললেন, আমি ই এ
বিষয়ে সৰ্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যেহেতু (মদীনা থেকে) মাত্র একবার ই হজ্জ
করেছিলেন ৷ তাই তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হভ্রুজ্জর উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ পরে যখন যুল হলায়ফায় তার সালাতের স্থানে ইহরাম বাধার উদ্দেশে ৷৷ দু রাকআত
নামায আদায় করলেন এবং ঐ বসা অবস্থায়ত তার হভ্রুজ্জর ইহরামের নিয়ত করলেন ৷ তখন
কিছু লোক তার কাছে তা শুনতে গেল এবং তারা তাই স্মরণ রাখল ৷ তারপর তিনি বাহনে
আরোহণ করলেন; পরে যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির হয়ে র্দাড়াল তখন তিনি তালবিয়া
উচ্চারণ করলেন এবং অন্য কিছু লোক তখন তার নিকট হতে তা স্মরণ রাখলো, এর কারণ
হল এই যে, লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে আসছিল, তাই তাদের এক দল শুনতে পেল
আল-বিদড়ায়ড়া ওয়ান নিহড়ায়ড়া ২১ ১
তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির দাড়ড়াবার সময় তিনি তালৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ তা ইি তারা
(তাদের অভিজ্ঞতা মতে) বলতে লাগল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো তালবিয়ড়া উচ্চারণ করেছিলেন
যখন তার উট তাকে নিয়ে স্থির হয়ে দীড়িয়েছিল ৷ তারপর বাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে লাগলেন,
যখন তিনি বায়দা প্রাতরের চড়াইতে উঠলেন তখন (আবার) তালবিয়া উচ্চারণ করলেন, তখন
অন্য কিছু লোক তা তাদের স্মরণে রাখলো এবং তারা বলতে লাগলো যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) তো
তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন বয়েদা প্রাম্ভরের চড়াইতে উঠেছিলেন ৷ আল্লাহর কসমা
তিনি অবশ্যই নিয়ত (ও ইহরাআঃতড়ালবিয়া) তড়ালৰিয়া করেছিলেন তার বাসায় পড়ার স্থানে এবং
তালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির সড়াড়িয়েছিল্ এবং তালবিয়া
উচ্চারণ করেছিলেন যখন তিনি বায়দড়া প্রান্তরের চড়াইতে উঠেছিলেন তখনও ৷
অতএব, যারা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি গ্রহণ করেছেন যে, নবী কবীম (সা)
র্তার নামাযের স্থানে ইহরড়াম-তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন, ? তিরমিবী ও নড়াসাঈ (র) উভয়
কুতায়বা (র)থুসায়ফ (র) থেকে এ হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিবী
(র) মন্তব্য করেছেন, একক সুত্রীয় উত্তম; (কুতায়বার উর্ধ্বত ন রাবী) আবদুস সালাম (র)
ব্যতীত আর (কউ তা রিওয়ায়ড়াত করেন নি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে খুসায়ফ (র)
সুত্রে ইমাম আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৩ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
গ্রন্থকারের মস্তব্য৪ ংউক্ত হাদীসটি সহীহ্ সড়াবস্তে হলে তা সং শ্রিট হাদীসসমুহের মধ্যে
সমন্বয় সাধন করতে পড়ারত এবং বাস্তবে এর পরিপস্থি বর্ণনক্যেবীদের বর্ণনার কারণরুপে গৃহীত
হতে পড়ারভো কিন্তু এর সনদে দৃর্বলতা রয়েছে ৷ এ ছাড়া ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (বা)
হতে তাদের পুর্বোল্লিখিত রিওয়ায়াতের বিপরীত রিওয়ায়াত ও রয়েছে (পরবর্তীতে তার ব্যাখ্যা
বিশ্লেষণ পেশ করা হবে) ৷ যারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, নবী কবীম (সা) তার বাহন
তাকে নিয়ে স্থির দাড়ালে তালৰিয়া উচ্চারণ করেছিলেন তারাও অনুরুপ রিওয়ায়তে উল্লেখ
করেছেন ৷
বুখাবী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) , আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন যে, নবী কবীম (সা) মদীনায় চার রাকআত (যুহর) আদায় করলেন এবং
মুলহুলায়ফায় দুই বাকআত আদড়ায় করলেন, তারপর যুল-হুলায়ফায় রাত যাপন করলেন ৷
পরে যখন তার বাহনে আরোহণ করলেন এবং বাহন তড়াদুক নিয়ে স্থির হন, তখন তিনি
তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন ৷
আর বুখড়াবী, মুসলিম (র) ও সুনান গ্রছসমুহের সং কলকবৃন্দ (পুর্বোল্লিজ্যি সনদের) মুহাম্মদ
ইবনুল মুনকার্দির (র) এবং ইবরাহীম ইবন মড়ায়েসারড়া (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে আবাস (বা)
থেকে এ হাদীসটি রিওয়য়ােত করেছেন ৷ ওদিকে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে মালিক (র)ইবন
উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীস, ইবন উমর (রা) বলেন, ইহরাম তালবিয়ড়া বিষয়টি তা আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক ত ড়ালৰিয়ড়া উচ্চারণ করতে প্রত্যক্ষ করি নি, যতক্ষণ তার বাহন তাকে নিয়ে
দ্রুত চলতে শুরু করে নি ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বরে ইবন ওয়ড়াহব (র) , ইবন উমর সুত্রে এ মর্মে
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুলহুলায়ফায় তার বড়াহনে আরোহণ করার পরে তা
তাকে নিয়ে সোজা হয়ে সড়াড়ান্সে তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷
বুখারী (র) আরো বলেছেন, অনুচ্ছেদ : বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াবার পর যারা তালবিয়া
উচ্চারণ করেন আবু আসিম (র), ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম
(সা)কে নিয়ে তার বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াৰার সময় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ মুসলিম
ও নাসাঈ (র) এ হাদীসটি (উল্লিখিত সনদে) ইবন জুরায়জ (র) হতে রিওয়ারাত করেছেন ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র), ইবন উনার (বা) থেকে তিনি
বলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) যখন বাহনের পা দানীতে তার পা রাখলেন এবং তার বাহন তাকে নিয়ে
উঠে র্দাড়াল তখন ঘুল-হলায়ফায় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ এ বর্ণনা সুত্র একাকী
মুসলিম (র)-এর ৷ বুখারী মুসলিম (র) অন্য একটি সুত্রে উবায়দুল্পাহ্ ইবন উমর (র) , ইবন উমর
(রা) সনদে হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা ও কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া উচ্চারণ প্ৰসংগে, আবু মামার
(র) বলেছেন, নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) যুল-হুলায়ফায় ফজরের সলোত
আদায় করার পর তার বাহন প্রস্তুতির নির্দেশ দিতেন, তখন তাতে ণদী আটা হলে তিনি তাতে
আরোহণ করতেন ৷ বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে তিনি কিংলামুখী হয়ে র্দাড়াতেন,
পরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন ৷ হারাম শরীফ উপনীত হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতো ৷
তারপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন ৷ অবশেষে ঘু-তুওয়ায় উপনীত হলে সেখানে রাত
কাটাতেন ৷ ফজরের সলোত আদায়ের পরে গোসল করতেন এবং বলতেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)
এমন করেছেন ৷ তারপর বুখারী (র) বলেছেন, গোসল করার বিষয় ইসমাঈল (র) , আয়ুৰে (র)
সুত্রে সমার্থক রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ মুসলিম এবং আবু দাউদও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
তারপর বুখারী (র) বলেছেন, সুলায়মান আবুর-রাবী (র), নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন,
ইবন উমার (বা) মক্কা অভিমুখে সফর করার নিয়ত করলে, এমন তেল মাখতেন যাতে কোন
সুঘ্রাণ থাকতো না ৷ তারপর যুল-হুলায়ফার মসজিদে পৌছে সালাত আদায় করতেন ৷ তারপর
বাহনে চড়তেন ৷ তার বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে ইহরাম বাধ্তেনঃ ৷ তারপর
বলতেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি এভাবেই করতে দেখেছি ৷ এ সুত্রে বুখারী (র) এ হাদীসটি
একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে তিনি বলেন, তোমাদের এ খােলা প্রাতর যেখানে (ইহরাম করা)-এর কথা বলে
তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক, আল্লাহর কলম; রাসুলুল্পাহ্ (না)
(ঐ) গাছঢির কাছে ছাড়া অন্য কোন স্থান হতে ইহরাম ৰীধেন নি ৷ তিনি ইহরাম বেধেছিলেন,
যখন তার উট তাকে নিয়ে র্দাড়িয়েছিল ৷ এ হাদীসটি ইবন উমর (রা)-এর পুর্বোল্পিখিত
রিওয়ায়াত ও এখানকার রিওয়ায়াতগুলির মাঝে সমন্বয় সাধন করে ৷ তা এভাবে যে, ইইরাম
হয়েছিল (পরবর্তী সময় নির্মিত) মসজিদের কাছ থেকেই ৷ তবে তা ছিল তার আরোহণ এবং
বাহন তাকে নিয়ে বায়দা প্রাম্ভরে অর্থাৎ সমতল ভুমিতে সোজা হয়ে র্দাড়াবার পরে ৷ আর তা
ছিল বায়দা প্ৰম্ভেরে (ইহরামের স্থানরুপে জনতার মাঝে) পরিচিত স্থানটির কাছে পৌছার
আগেই ৷
তাছাড়া বুখারী (র) অন্যত্র বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আল মুকাদ্দাযী (র),
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী করীম (সা) মাথা আচড়ানাে, তেল