যে ঘরে মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর ছবি টাঙানো থাকে সে ঘরে নামায পড়ার হুকুম কী? একজন আলেম বলেছেন, এমন ঘরে নামায পড়া মাকরূহ। তবে কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে যদি ছবি ঢেকে দেওয়া হয় তাহলে মাকরূহ হবে না। এখন আমি তাই করছি। নামাযে দাঁড়ানোর পূর্বে কিছু দিয়ে ছবিটি ঢেকে দেই। এতে কোনো অসুবিধা নেই তো? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
যে ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি দৃশ্যমান থাকে তাতে নামায পড়া মাকরূহ। অবশ্য নামাযের সময় ছবি ঢাকা থাকলে নামায মাকরূহ হবে না।
আর একথা মনে রাখা দরকার যে, ঘরে-বাইরে কোনো প্রাণীর ছবি টাঙিয়ে রাখা কিংবা প্রদর্শনী হয় এভাবে খোলা রাখা নাজায়েয। এ কারণে ঐ স্থানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফেরেশতারা এমন ঘরে প্রবেশ করে না যাতে কোনো কুকুর রয়েছে এবং এমন ঘরেও না, যাতে কোনো (প্রাণীর) ছবি রয়েছে। -সহীহ বুখারী,হাদীস ৩৩২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১০৬
তাই আপনার কর্তব্য হলো, মানুষ বা জীবজন্তুর যত ছবি ঘরে টাঙানো আছে তা নামিয়ে ফেলা এবং তা নষ্ট করে ফেলা।
প্রকাশ থাকে যে, বিনা প্রয়োজনে ছবি উঠানো নাজায়েয। হাদীস শরীফে ছবি উঠানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর ধমকি এসেছে।
-মাবসূত, সারাখসী ১/২১১; ফাতহুল কাদীর ১/৩৬২; শরহুল মুনইয়াহ ৩৫৯; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭; রদ্দুল মুহতার ১/৬৪৮
সম্পর্কিত পোস্ট:
সূরা বনী ইসরাইলের ৭৯ নং আয়াতে ‘মাকামে মাহমুদ’ দ্বারা কী- আমি মাগরিব নামাযের প্রতম রাকাতে সূরা হুমাযাহ ও দ্বিতীয় রাকাতে
- নামাযে কীভাবে মন স্থির রাখা যায়। খুশু-খুযুর গুরুত্ব কী? খুশু-খুযুর
- মসজিদের দেয়ালে অনেক সময় নিচের বাক্যগুলো হাদীস হিসেবে লেখা থাকে-ক
- গত রমযানে একদিন আমি বিতরের তৃতীয় রাকাতে ইমামের সাথে শরিক
- আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ (আমার মার ফুফা আমাদের নানা) ৮০ বছর
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব জুমার নামাযে মেহরাবের কাছে দাঁড়ান আর
- আমি একদিন আসরের নামাযে ইমামতি করছিলাম। চতুর্থ রাকাতের জন্য না
- দাড়িয়ে নামায পড়া কষ্টকর হলে নামাযের ভিতরে বসে যাওয়া
- আমি একদিন নফল নামাযে প্রথম রাকাতে সূরা লাহাব এবং দ্বিতীয়
- আমাদের গ্রামে একটি ওয়াকফিয়া মসজিদ আছে। মুসল্লী কম বিধায় কোনো
- অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর পিছনে নামাযের ইক্তিদা করা
- এক ব্যক্তি নামাযের জামাতে রুকুতে এমন সময় শামিল হল যে
- আমাদের মসজিদের মুয়াযযিন একদিন ফজরের নামাযের সময় হয়েছে ভেবে আযান
- আমি একবার একাকি যোহরের নামায পড়ছিলাম। প্রথম বৈঠকে ভুলে সূরা
- কখনো এমন হয় যে আমি যোহরের নামাযের নিয়তে জায়নামাযে দাঁড়াই
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয়
- আমার বয়স বিশ বছর। বালেগ হওয়ার পর থেকে মাঝেমধ্যে কয়েক
- ক) ফরয নামাযের পর মোনাজাতের আগে বা মোনাজাত ব্যতীত আয়াতুল
- মহিলারা নিজ ঘরে একা নামায পড়াকালীন সতর ঢাকার বিধান
- একবার আমার গোসল ফরয হলে খুব তাড়াহুড়া করে গোসল করি
- আমি জানি যে, হানাফী মাযহাবে ফজরের নামায ফর্সা হওয়ার পর
- আমি মাগরিবের নামাজ জামাতের সহিত এক রাকাত পেয়েছি আর দুই
- এক ব্যক্তি একাকী যোহর নামায পড়ছিল। দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়ানোর পর
- একদিন আমি আযান দেওয়ার সময় أشهد أن لا إله إلا
- নামাযে সেজদা অবস্থায় বাংলাতে দোয়া করা
- গত রমযানে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বিতর নামাযে ভুলে দুআ
- অস্থায়ী বাসস্থানে পনের দিনের কম থাকার নিয়তে আসলে, নামায পুর্ন পড়বে নাকি কসর পড়বে
- একদিন আমার ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দেয়। ওর মা
- আযানে আল্লাহু আকবার এর "হামযা" অথবা বা কে লম্বা করে পড়া