“হে মুমিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং
তারা যেন তোমাদের মাঝে কঠোরতা দেখতে পায় ৷ জেনে য়েখো, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে
রয়েছেন” (৯ং ১২৩) ৷
তাবুক যুদ্ধের বছরে যখন রাসুলুল্লাহ (না) বোমকদের সাথে যুদ্ধাভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেন,
তখন প্রচণ্ড গরম পড়েছিল এবং মুসলমানদের তখন অনটন চলছিল তইি তিনি বিষয়টি মুসলিম
জনতার কাছে স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যন্ত এলাকার আরব গোত্রওলিকে তার
সহগামী হওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন ৷ ফলে প্রায় ত্রিশ হাজারের এক বিশাল বাহিনী তার
সাথে যোগ দিলষ্যেমনটি শীঘ্রই বর্ণিত হবে ৷ কিন্তু কিছু লোক তার এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া
দিল না ৷ বিনা ওযরে পিছিয়ে থাকা এ মুনাফিক ও শিথিলতা প্রদর্শনকারী মুসলমানাদরকে
আল্লাহ্ পাক ভর্চুসনা করলেন ৷ তাদের এরুপ আরােণর নিন্দা করে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ
করলেন এবং তাদের চরম লাঞ্চুনার হুশিয়ারী দিয়ে কুরআনের আয়াত নাযিলশ্রুকরলেন ৷ জন-
সাধারাণ্য যারত্বিলাওয়াভ হতে থাকল ৷ তাদের বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে সুরা তাওনায় বার বিশদ
বিবরণ আমি তাফসীর গ্রন্থে পেশ করেছি ৷ সাথে সাথে আল্লাহ্ তাআলা ঈমানদারদের সৰ্বাবস্থায়
যুদ্ধাভিযানে বেরিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন ৷ যেমন ইরশাদ করেছেন-
“অভিযানে বেরিয়ে পড়, হাসক৷ অবস্থায় কিংবা ভারী অবস্থায় এবং তোমাদের সম্পদ ও
তোমাদের জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ সাধনায় রত থাকে৷ ৷ এটাই তোমাদের জন্য উত্তম,
যদি তোমরা জানতে ৷ আশু লাভের সম্ভাবনা থাকলে ও সফর সহজ হলে তারা অবশ্যই আপনার
অনুসরণ করত ৷ কিন্ত যাত্রা পথ তাদের কাছে সুদীর্ঘ মনে হল ৷ তারা আল্লাহর নামে শপথ করে
বলল, পারলে আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে বের হতাম ৷’ ওরা নিজেদের ধ্বং স করছে ৷
আর ওরা যে মিথ্যাবাদী তা তো আল্লাহ্ জানেনই” ৷ এর পরবর্তী আয়াতসমুহও
এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ৷ এ সুরারই অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে
মুষিনরা যেন সকলে এক সংগে যুদ্ধাভযানে বের না হয় ৷ তাদের প্রত্যেক দলের একটি
অংশ বেরিয়ে পড়ে না বেল ? যাতে করে তারা দীনের জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং তাদের
স্বজাত্যিক সতর্ক করতে পারে-যখন তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে, যাতে তারা সঙ্ঘর্শ্ব হয়’
কোন কোন মনীষীব মতে এ শেষোক্ত আয়াত পুর্ববর্তী আয়াতের বিধান রহিত করেছে ৷
আর কারো কারো মতে ভেমনটি নয় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ইবন ইসহাক বলেন-, তারপর রাসৃলুল্লাহ (সা) নবম হিজ্জীর জিলহজ্জ থেকে রজব মাস পর্যন্ত
মদীনায় অবস্থান করার পর রােমক্যদর বিরুদ্ধে অভিযান প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন ৷ প্রাথমিক
যুগের আলিমগণের মধ্যে যুহয়ী, ইয়াযীদ, ইবন রুমান, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর, আসিম ইবন
উমার ইবন কাতাদ৷ (র) প্রমুখ তড়াবুক অভিযান সম্পর্কে তাদের প্রাপ্ত তখ্যাদির বিবরণ
দিয়েছেন ৷ তাদের প্রত্যেকের বর্ণনা অন্যের বর্ণনার সম্পুরক ৷ তাদের বক্তব্য এরুপ দাড়ায় যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবীগণের রোম অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন ৷ তখন
জনজীবনে ছিল অতা ৷,বণ্অনটন প্রচণ্ড পরম ও দেশব্যাপী দুর্তিক্ষ ৷
অপরদিকে নঙু ন ফসল থেকে আসছিল ৷ ফলে লোকেরা তাদের পাক৷ ফল ও ফসল এবং
বাড়ী ঘরের ছায়াত্৩ লে থাকাকেই বেশী প্রিয় মনে করছিল এবং চরম স কটে যেরা এ সময়টাতে
অভিযানে যেতে অনীহাপ্রস্ত ছিল ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) ইতো ৷পুর্বের যে কোন যুদ্ধ মাত্র ৷য় উদ্দিষ্ট
ক্ষেত্রের প্রচ্ছন্ন ইংগিত দিতেন কিন্তু তাবুক অভিযান ছিল এর ব্যতিক্রম ৷ এ অভিযানে পথের
দুর্গমতা ও দুরতৃ, সময়ের ন ৷যুকতা ও উদ্দিষ্টশ ৷ত্রুর প্রবল সৎ থ্যাধিক্যের কথা বিবেচনা করে তিনি
ব্যাপা ৷রটি স্পষ্টভ৷ ৷রে বলে দিলেন ৷ যাতে করে লোকেরা প্রয়োজনীয় প্রম্ভভিন্ব ৩গ্রহণ করতে পারে ৷
তাই তিনি তাদেরকে জিহাদ মাত্রার নির্দেশ দিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যে, এবারে তার লক্ষ্য
হচ্ছে রোমকরা ৷
এ অভিযানের প্রস্তুতি পর্বে তিনি একদিন বনু সালামার অন্যতম ব্যক্তি জুদ ইবন কায়সাকে
বললেন, “ওহে জুদ ; এ বছর বনু আসফার তথা গৌরবর্ণের রোমকদের সাথে লড়াই করার ইচ্ছা
কি তোমার আছে ? সে বলল, হয়া রাসুলাল্লাহ৷ দয়া করে আমাকে ঝামেলায় না ফেলে মদীনায়
রয়ে যাওয়ার অনুমতি দিবেন কি ? দোহাই আল্লাহর! আমার স্বগােত্রীয়রা ভাল করেই আসে যে,
আমার চইিতে অধিক নারী লিলু আর কো ন পুরুষ নেই; তাই আমার আশংকা হয় যে, রোমীয়
রাৎগ৷ রমণীদের দেখলে আমি নিজেকে স যত রাখতে পারব না ৷ এর জবাবে রাসুলুল্পাহ (সা)
তাকে এড়িয়ে গিয়ে বললেন, “ঠিক আছে, তোমাকে অব্যাহতি দিলাম ৷” এ জুদ সম্বহ্মেই আল্লাহ্
তাআল৷ এ আয়াত নাযিল করলেন
“এবং তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে বলে, অড়ামাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে
ফিতনায় ফেলবেন না ৷ শুনে রেখো, ওরা ফিতনায় পড়ে রয়েছেই ৷ আর জাহান্নাম তো কাফিরদের
যেষ্টন করেই আছে (৯ : ৪৯) ৷
আর ঘুনাফিকদের একদল পরস্পরকে বলল, এই ণরমে অভিযা ৷নে যের হয়াে না ৷ এ উক্তির
উৎস ছিল জিহ দে অনীহা, ইসলামের সভ্যতায় সন্দেহ এবৎর বাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যাপারে গুজব
ছড়াবার ম্পৃহ৷ ৷ আল্লাহ্ পাক তাদের সম্পকে “নাযিল করলেন,
“এবং তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়াে না ৷ ’ বলুন, জাহড়ান্নামের আগুন প্রচণ্ড
উত্তাপময়, যদি তারা বুঝত ৷ অতএব তারা অল্প হেসে নিক, তারা প্রচুর র্কীদবে, তাদের কৃতকর্মের
ফলস্বরুপ (৯ : ৮১৮২) ৷
ইবন হিশাম বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন হারিছা (র) তার পিতা সুত্রে তার দাদা থেকে এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-এর কাছে সংবাদ পৌছলো যে, একদল
মুনাফিক জাসুম মহল্লায় অবস্থিত সৃওয়ড়ায়লিম ইয়াহুদীর বাড়িতে সমবেত হয়ে তাবুক অভিযানে
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহণামী হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য লোকদের নিরুৎসাহিত করছে ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তালহা ইবন উবায়দৃল্লাহ (রা)-এর নেতৃত্বে সাহাবীদের একটি ক্ষুদ্র দল
সেখানে পাঠালেন এবং তাদেরকে সুওয়ায়ালিমের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷
তালহা (বা) এ হুকুম পালন করলেন ৷ এ সময় যাহহাক ইবন খলীফা ঘরের পিছন দিয়ে
টপকাতে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে গেল ৷ তার অন্যান্য সংগী-সাথীরা হুড়মুড় করে পালিয়ে বীচল ৷
এ প্ৰসংগে যাহ্হাক রচিত কবিতায় রয়েছে-
(কবিতা ৪) আল্লাহর ঘরের কসম ! মুহাম্মদের (লোকদের) লাগানো আগুন মাহ্হাক ও ইবন
উবায়রিককে দিয়ে বয়ে ঝলসে ফেলছিল প্রায়; তা জ্বলতে লাগল আর সুওয়ায়লিমের কুড়ে
ঘরঢি রেষ্টন করে ফেলল ৷ আমি তখন আমার ভঙ্গো পা আর কনুইয়ে হামাগৃড়ি দিয়ে র্দাড়াবার
ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম ৷
তোমাদের ৰিদায়ী সালাম ৷ এমন কাজ কস্মিনকালেও আর করতে যাচ্ছি না ৷ আতংকে
মরবার উপক্রম হয়েছে ৷ আগুন যাকে জাপটে ধরে, সে তো পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবেই ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) তার সফরের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিলেন এবং
লোকদের পুর্গোদ্যমে দ্রুততর প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন ৷ সম্পদশালীদের আল্লাহর বাহে
বাহন প্রদান ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ বিত্তবান লোকেরা ছাওমাবের
নিয়তে বাহনের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ উছমান ইবন আফফান (বা) এত বিশাল পরিমাণ সম্পদ
ব্যয় করলেন যে, অন্য কেউ তার মত করতে পারেননি ৷ এ বিষয়ে ইবন হিশাম বলেন, আমার
নিকট ৰিশ্বস্ত এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, উছমান (বা) সংকটকালীন বাহিনী তথা তাবুক
অভিযানের বাহিনীর জন্য এক হজাের দীন্যর ব্যয় করেন ৷ তইি বাসুলুল্লাহ (না) তার দৃআয়
বললেন, ইয়ড়া আল্পাহ্ ৷ আপনি উছমানের প্রতি সন্তুষ্ট হোন কেননা, আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট ৷ ”
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হারুন ইবন মারুফ (র) আব্দুর রহমান ইবন সামুবা (বা)-
এর আযাদকৃত গোলাম কুছছ৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) যখন
সংকটকালীন বাহিনীর প্রম্ভতিপর্ব সম্পাদন করছিলেন, তখন উছমান ইবন আফফান (বা)
তীর কাপড়ে বেধে এক হাজার দীনার নিয়ে নবী কবীম (না)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে
সেগুলি তার কোলে ঢেলে দিলেন ৷ নবী কবীম (সা) সেগুলি তার হাতে নিয়ে নড়োচাড়া
করছিলেন আর বলছিলেন, “আজকের পরে ইবনুল অড়াফফড়ান যে কোন আমল করুক না
কেন, তা তার কোন ক্ষতি করবে না ৷ তিরমিষী এ হাদীসখানা উদ্ধৃত করে বর্ণনাটি হাসান
গাবীব বলে মন্তব্য করেছেন (একক সুত্র) ৷
আব্দুল্লাহ ইবন আহ্মদ (র) তার পিতার সনদেআবৃদুর রহমান ইবন হুবাব আস-
সৃলামী (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, নবী কবীম (সা) সংকটকালীন বাহিনীর
ব্যাপারে উৎসাহ ব্যঞ্জক খুতবা দিলেন ৷ তখন উহমান (বা) বললেন, গদী ও হাওদাসহ একশ’
উটের দায়িৎ আমি নিচ্ছি ৷ বর্ণন্যকারী বলেন, নবী কবীম (সা) মিমরের এক ধাপ নীচে নেমে
আবার উদ্দীপনাময়ী ভাষণ দিলেন ৷ তখন উছমান (রা) বললেন, গদী ও হাওদাসহ আরো
একশ উটের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে এভাবে
তার হাত দোলাতে দেখলাম (সুত্রের মধ্যবর্তী অন্যতম বর্ণনাকারী) আব্দুস সামাদ এ বর্ণনা
দেওয়ার সময় ৰিস্ময়াবিতুত ও মুগ্ধ ব্যক্তির ভঙ্গিমায় তার হাত দোলালেন ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, এর পরে যে কোন আমলই করুক না কেন, উছমানের উপরে কিছু বর্তাবে না ৷
তিরমিষী (র) মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র)উছমান পরিবারের আযাদকৃত গোলাম আবু
মুহাম্মদ সাকান ইবনুল মুগীরা (রা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন বর্ণনাটি
পরীব পর্যায়ের ৷
বায়হাকী (র) এ রিওয়ায়ড়াতটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে তাতে তিনি তিনবার ভাষণ দেওয়া
এবং গদী ও হাওদাসহ তিনশ উটের দায়িত্ব গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আব্দুর রহমান
বলেন, আমি নিজে রাসুলুল্লাহ (না)-কে মিম্বরের উপরে একথা বলতে শুনেছি যে, এরপরে
কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহে, তিনি বলেছেন) এ দিনের পরে (কোনও আমল) উছমানের ক্ষতি
করবে না ৷ ’
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন, আবু আওয়ানা (রা)আল-আহনাফ ইবন কায়স (বা)
থেকে বর্ণনা করেন, তেনি বলেন, (বিদ্রোহী উছমান ঘাতকদের মদীনা অবরােধকালে) আমি
সাদ ইবন আবু ওয়াককাস, আলী, যুবায়র ও তালহা (রা)-কে সম্বোধন করে উছমান (রা)-কে
বলতে শুনেছিষ্আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে তোমাদের বলছি, তোমরা কি জান যে, রাসুলুল্পাহ
(সা) ইরশাদ করেছেন, “ ৎকটকালীন (তড়াবুক) বাহিনীকে যে সমরেড়াপকরণ সরবরাহ করবে,
আল্লাহ্ তার মাগফিরাত করবেন ৷” তখন আমি যুদ্ধোপকরণ দিয়ে তাদের সাজিয়ে দিলাম ৷
এমনকি তারা প্রয়োজনীয় (নগণ্য) লড়াণাম-রশিরও অভাব বোধ করছিল না ৷ এ কথা কি সত্য
নয় ? তারা বললেন, হী , আল্পাহ্ সাক্ষী ৷
নাসায়ী (র) এ হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে হুসায়ন (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ওযরের কারণে পিছিয়ে থাকা ত্রুদনকারী ও অন্যান্যদের প্রসংগ
আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন-
কোন সুরা অবতীর্ণ হয় এ মর্মে যে, আল্পাহ্র প্ৰতি ঈমান আন এবং রাসুলের
৷ তখন তাদের মধ্যকার যাদের শক্তি সামর্থ রয়েছে, তারা তোমারৰ্!মৌ মা! এবং বলে, আমাদের রেহাই দিন, যারা বসে থাকে আমরা তাদের সংগে
সাথে অবস্থান করা পসন্দ করেছে এবং তাদের আর
তার! বুঝতে পারে না ৷ জ্যি রাসুল এবং যারা তার সংগে ঈমান
মোঃ দিরে আল্পাহ্র পদে ন্বিহােদ লোঃ জো ন্যেই মোঃ
৷ আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নড়াত , যার নিম্ন
ন্মো নদী বয়ে চলে, যেখানে তারা স্থায়ী হবে, এটাই মহা সাফল্য ৷ মরুবাসীদের মধ্যে কিছু
অজুহাত পেশ করতে আসলো ণ্লাকেরা যাতে করে অব্যাহতি পেতে পারে এবং যারা
আল্পাহ্কে, তার রাসুলকে মিথ্যা কথা বলেছিল তারা বসে রইল ৷ তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছে অচিরেই তাদের বেদনাদায়ক শান্তি হবে ৷ যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং বাবা ব্যয়
নির্বাহে অসমর্থ তাদের কোন অপরাধ নেই ৷ যদি তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অবিমিশ্র
অনুরাগী হয়, যারা সৎকর্যশীল তাদের বিরুদ্ধে কোন অতািবাগের হেতৃ নেই ৷ আল্লাহ
ক্ষমড়াশীল, পরম দয়াবান ৷ আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই বাবা বাহনের জন্য আসলে তুমি
তাদেরকে বলেছিলে, তােমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷’ তারা অ্যাং ভরা চোখে
ফিরে গেল এ দু৪থে যে, ব্যয় করার মত সামর্থ তাদের নেই ৷ অত্যিযাগের হেতৃ ভো রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে যারা ৰিত্তবান হওয়া সত্বেও তোমার কাছে অব্যাহতি ঢেয়েছে ৷ তারা অভ
পুররাসিনীদের সংগে থাকা পসন্দ করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাদের অন্তর সােহর করে দিয়েছিল, ফলে
তারা বুঝতে পারে না” (৯ : ৮৬-৯৩) ৷
আল্লাহর গোকর যে, তাফসীর গ্রন্থে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার আমি যথেষ্ট আলোচনা
করেছি ৷ এখানে উদ্দিষ্ট হচ্ছে, অশ্রুসিক্তদের কথা আলোচনা করা, যারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে এ বাসনা নিয়ে হাযির হয়েছিল যে, তিনি তাদেরকে বাহন দিবেন, যাতে করে তারা এ
যুদ্ধে তার সহযোগী হতে পারেন ৷ কিন্তু তারা তার কাছে আরোহণ যোগ্য বাহন না পেয়ে
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে এবং কিছু ব্যয় করতে না পারার আক্ষো:প র্কাদতে তাদতে
ফিরে গিয়েছিলেন ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, আনসারী ও অন্যদের সহ এদের সংখ্যা ছিল লাভ ও (১) আমর ইবন
আওফ গোত্রের সালিম ইবন উমায়র; (২) বনু হারিছার উলবা ইবন যায়দ; (৩) বনু মাযিন
ইবন নাজ্জারের আবু লায়লা আব্দুর রহমান ইবন কাব; (৪) বনু সালমড়ার আমর ইবন আল
হস্ফোম ইবনুল জামুহ; (৫) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুগাফকাল আল-মুযড়ানী তবে কারো কারো মতে
ইনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন হামর১ আল-ঘুযড়ানী; (৬) বনু ওয়াকিফ-এর হারামী ইবন আব্দুল
আনা ও (৭) ইরবায ইবন সারিরাঃ আল ফাযারী (বা) ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, ইবন ইয়ামীন ইবন উমায়র ইবন
কাব আন-নাযড়ারী আবু লায়লা ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুগাফফালের সাথে দেখা করলেন ৷ তখন
তারা দুজন তাদছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের কান্নার কারণ কি? তারা বললেন, আমরা
বাহন লাভের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের বাহন
রুপে দিতে পারেন এমন কিছু তার কাছে পেলাম না ৷ আর আমাদের নিজেদের কাছেও তার
অভিযান সহগামী হওয়ার সামর্থ নেই ৷ তখন ইবন ইয়ামীন তাদের দৃ’জনকে তার একটি
পানিবাহী উট দিলেন, এবং পাথেয় স্বরুপ কিছু খুরমাও দিলেন ৷ তারা পালাক্রমে বাহনে চড়ার
নিরতে উটের পিঠে হাওদা চড়ালেন এবং নবী করীম (না)-এর সহগামী হলেন ৷
১ সম্ভবতঃ ছাপার ভুলে আমরকে হামর বলা হয়েছে ৷