করতেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) আরো বলতেন, “উমর , ইবনুল খাত্তাব (বা) নবী করীম
(সা)এর তালবিয়া পাঠের অনুকরণে এই শব্দমাল৷ দিয়ে তালবিয়৷ পড়তেন ৷ তিনি বলতেন-
এ পর্যন্ত মুসলিম (র)-এর তা ৷ষ্য ৷ এ ছাড়া ও জ ৷বির (রা) এর হাদীসে ইবন উমর (রা) এর
হাদীসের অনুরুপ তা ৷লবিয়া উদ্ধৃত হয়েছে ৷ একটু পরে দীর্ঘ হাদীস উল্লিখিত হবে ৷ নুসন্ধিম
(র) একাকী তা রিওয়ায়াত করেছেন
বুখারী (র) তার পুর্নোল্লিখিত মালিক (র) :ইবন উমর (রা) এর রিওয়ায়াতের পরে
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র)অ৷ ৷ইশা (বা) সুত্রে বংনাি করেন, তিনি বলেন, আমি
সুনিশ্চিতই জানি, নবী করীম (সৃা) কীভাবে তালবিয়৷ পাঠ করতেন-
আবু মু আবিয়া (র)শুবা (র) থেকে এর সমর্থ্যন রিওয়ায়া ৷ত করেছেন ৷ আর শুব৷ (র)
বলেছেন, সুলায়মান (র) ক্ষ্মাইশা (বা) কে বলতে শুনেছি বুখারী ণ্ (র) এ হাদীস ষ্এক৷ ৷কী
বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ (র)-ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অনুরুপ আবু দাউদ তায়ালিসী (র)-ও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন,
মুহাম্মদ ইবন ফুযায়ল (র) তিনি আ ৷ইশা (বা) সুত্রে তিনি বলেন, আমি অবশ জানি
বাসুলুল্লা হ্ (সা) কীরুপে তালবিয়৷ পাঠ করতেন ৷ বর্ণনাক৷ রী (আবু আতিয়্যা) বলেন, তারপর
আমি তাকে তালবিয়া পড়তে শুনলড়াম তিনি বললেন-
-অর্থাৎ একমাত্র এ বর্ণনা টিতে
বায়হাকী (র) বলেন হ কিম (র) অ ৷বু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনাি করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তালবিয়ার একটি অংশ ছিল এ হাদীস নাস৷ ৷ঈ (র) এবং
ইবন মাজা (র)৩ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার মা ৷সাঈ (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ
ইবনুল ফায্ল (র) থেকে আবদুল আ ৷যীয (র) ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীস ঘুসনাদ রুপে
রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমার জ ৷ন৷ যেই ৷ আর ইসন৷ ঈল ইবন উমায়্যা (র) এটি ঘুরসাল
বিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম শাফিঈ (ব) বলেন, সাঈদ ইব ন সা ৷র্লিম অ৷ ল কাদদ৷ হ (ব),মুজ ৷হিদ (র) বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন যে, নবী করীম (সা) প্ৰক৷ ৷শ কররুতন
(প্ৰচলিত তা ৷লৰিয়৷ উল্লেখ করেছেন) তিনি বলেন, অবশেষে একদিন এমন হল যে,
যখন লোকেরা তার কাছ থেকে চলে যাচ্ছিল, তখন তার সে অবস্থা ও অবস্থান যেন তাকে
বিমােহিত করল
তখন তিনি তাতে বাড়িয়ে হাযির ! জীবন হলো
আথিরাতের জীবন ৷ (মধ্যবর্তীরুরাবী) ইবন জুরায়জ (র) বলেন, আমার ধারণা এটা; ছিল
আরাফ৷ দিবসে ৷ এ হাদীসও এ সুত্রে ঘুরসাল’ ৷
হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) বলেন, আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফাতে খুতব৷ দিচ্ছিলেন ৷ (তাতে) তিনি যখন
বললেন, তখন বলেছিলেন এে প্রকৃত কল্যাণ তো আখিরাতের
কল্যাণ ৷ এটি বিরল প্রকৃতির সনদ এবং এ সনদ সুনান গ্রহুসবুহের ; তবে সুনান
সর্দ্ধলকগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, রাওহ (র)(মুত্তালিব) আবু হুরায়র৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন-
“জিবরীল (আ) আমাকে তালবিয়৷ পাঠের সময়ে আওয়ায উচু করতে বলেছেন ৷ কেননা,
তা হচ্ছে হত্রুজ্জর অন্যতম প্রতীক ৷ ” এ বিওয়ায়ার্ত একাকী আহমদ (র)-এর ৷ আর বায়হাকী
(র) ও এ হাদীস বিওয়ায়াতৰুরেছেন, ৰুহ্যাকমণ্ আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অনুরুপ হাদ্রীস উল্লেখ
করেছেন ৷ আবদুর রামযাক (ব) ও বলেছেন ৷ সুফিয়ান ছাওর্বী (র)যায়র্দ ইবন র্খালিদ
(রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন, জিবরীল (আ) নবী কয়ীম (সা) এর কাছে এসে
বললেন-
“আপনার সাহাবীদের উচট্স্বরে তালবিয়া পাঠ করতে ,বলুন কেননা, তা হচ্ছে হভৈজ্জর
প্রতীক ৷ ইবন মাজা (র) ও অনুরুপ রিওমায়তে করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ঈবৎ শাব্দিক
পবিবর্ত্যাসহ হাদীসটি বণ্নাি করেছেন ৷
সাইব আনসারী (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
“জি বরীল (আ) আমার কাছে এসে আমাকে নির্দেশু দিলেনন্ যেন আমি আমার সাহাৰীগণ্কে
কিংব৷ যারা আমার সাথে রয়েছেন তাদেরকে নির্দেশ নেই যে, তারা তালুবিয় ৷ পাঠে কিংবা
ইহরাম উচ্চারণে তাদের আওয়ায যেন উচু করে ৷ শাফিঈ (র) ও আবু দাউদ (র) মালিক (ব)
সুত্রে অনুরুপ বিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ এবং তিরমিষী, নাসাঈ ও ইবন মাজা (র)
ত্মি ভিন্ন সুত্রে হাদীসখানি বিওয়ায়ার্ত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন এ হাদীসটি
হাসান সহীহ্ ৷ হাফিজ্ব বায়হাকী (ব) ও আহমদ (র) বলেছেন, ইবন জুরায়জ (র)-ও এ
হাদীসটির সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এৱ হজ্জ সম্পর্কে জাবিৱ ইবন
আবদুল্লাহ (রা)-এব সুদীর্ঘ হাদীস
আমাদের পুৰ্বালোচিত ন্তালবিয়া ইত্যাদি ও পরবর্তী বিবয়ার্বলীর বিবরণের ক্ষেত্রে জাবির
(রা) এর হাদীস একাই একটি অধ্যায়ে তুলা ৷ তইি, সেটিকে স্বতন্ত্র অনুচ্ছেদে উপস্থাপন করা
আমরা সমীচীন মনে করছি ৷ প্রথমে হাদীসটির মুলপাঠ উল্লেখ করার পরে আমরা তার সমর্থক
(শাইিদ) রিওয়ায়াতগুলাে উল্লেখ করব ৷ আল্লাহ সহায়!
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) মুহাম্মদ সুত্রে বলেন যে, তিনি
বলেছেন জা ৷বির (রা) এর কাছে গেলাম, তিনি তখন বনু সালিমায় অবস্থান করেছিলেন ৷
আমরা জ ৷কে রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাদেরকে
জানালেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত ৩হজ্জ না করে মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর
সাধারণ্যে ঘোষণা দেয়া হল যে, র৷ সুলুল্পা হ্ (না) এ বছর হজ্জ পালন করবেন ৷ বর্ণনাক৷ রী
(জাবির) বলেন, ফলে মদীনায় অনেক লোকের সমাগম হল যাদের প্রত্যেকের বাসনা ছিল
রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) এর সাথে হজ্জ করা এবং তিনি যা যা করবেন তা করা ৷ যিলকদ মাসের পাচ
দিন বাকী থাকতে রাসুলুল্লা হ্ (সা) বের হলেন ৷ আমরাও তার সাথে বের হলাম ৷ অবশেষে
তিনি যুলহুলায়ফ৷ য় উপনীত হলে আসমা বিনত উমায়স (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-
কে প্ৰসব করে নিফস্ফোস্থ৷ হলেন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে লোক পা
চাইলেন যে, তিনি কী করবেন? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন “গোসল করে নাও তারপর ণ্;কান কাপড় দিয়ে পট্টি’ জড়িয়ে নাও, তারপর ইহরাম
ৰীধো ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন এবং যখন জ ৷র ৷উটনী তাকে নিয়ে প্রান্তরে স্থির
হয়ে দাড়ালো তখন তাওহীদ সহ তালৰিয়া পড়লেন–
লোকেরা ত ৷লবিয়া উচ্চারণ করতে লাগল ৷ তারা সুউচ্চ আসমানস্মুহেৱ অধিক্র্তা এবংএ
ধরনের অন্যান্য শব্দ বেশী বলছিন ৷ নবী করীম (না) তা শুনেও আপত্তি করেন নি ৷ আমার
দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত নজর দৌডিংয় জ৷ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে আরোহী ও পথচ৷ বীদের
দেখতে পেলাম, জার পিছরুনও তেমনি, তার ডান দিকেও( তমনি এবং তার বাম দািকও
তেমনি লোকে লোক ৷রণ৷ দেখতে পেলাম ৷ জা ৷বির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন
আমাদের মাঝে এমন অবস্থায় তার উপরে কুরআন অবতীর্ণ হলো ৷ তিনি তার ব্যাখ্যা জানতেন
এবং সে অনুসারে তিনি যে কোন আমল করতেন আমরাও সে আমল করতাম ৷ আমরা যখন
বের হই তখন হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ অবশেষে আমরা কাবায়
উপনীত হলে নবী করীম (সা) হাজার ৰুআসওয়াদ চুম্বন করলেন; তারপর তাওয়াফের তিন
চক্করে রমল’ করলেন এবং চার চক্করে স্বাভাৰিকভাবে ছুাটলেন ৷ তাওয়াফ শেষ করে তিনি
মাকামে ইব্রাহীম-এর দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার পুেছনে দু’রাকআত সালাত আদায়
করলেন ৷
তারপর তিলাওয়াত করলেন “ এবৎ (বলেছিলাম)
তোমরা ইবরাহীমের র্দাড়াবার স্থানকে ণ্সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর” (২ : ১২৫) ৷ আহমদ
(র) বলেন, আবু আবদুল্পাহ্শুবলেছেন, সে দু’রাকআতে তিনিসুরা ইখলাস ও কাফিরুন
পড়েছিলেন ৷ তারপর হাজার আসওয়াদ চুম্বন করে সাফার উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷ (সেখানে)