তারা মদীনায় ফিরে এসে জানতে পারেন যে ঐ দিনই রিফাঅ আর মৃত্যু হয়েছিল ৷ আরো
হল সিলসিলা ইবন বারহাম এবং কিনানা ইবন সুরিয়া ৷ ইয়াহুদী মুনাফিকদের মধ্যে এরা
ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ এসব মুনাফিক মসজিদে উপস্থিত হতো, মুসলমানদের কথাবার্তা
শুনভো এবং তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবু তা ৷ একদিন তাদের কিছু লোক মসজিদে উপস্থিত
হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) দেখতে পান যে তারা একে অপরের সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দোশ তাদেরকে মসজিদ থেকেতাড়িয়ে দেয়া হয় ৷ আবু আইউব৷ দ ৷ড়িয়ে
বনু নাজ্জারের সদস্য আম্র ইবন কায়সের পা ধরে টেনে হেচড়ে তাকে বের করেন ৷ এ
ল্যেকটি ছিল জাহিলী য়ুগে৩ তাদের প্রতিমার৩ তত্তুাবধায়ক ৷ এ সময় সে বলছিল হে আবু
আইউব, তুমি আমাকে বনু ছ৷ লাবার খােয়াড় থেকে বের কাৰু৷ দিচ্ছন্ এরপর আবু আইউব
রাফি ইবন ওয়াদীআ নাজ্জারীর দিকে এগিয়ে যান এবং কাপড়ে পেচিয়ে সজোরে টান দেন,
মুখে কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে মসজিদ থেকে এই বলতে বলতে বের করে দেন ধিক তোমায়,
পাপিষ্ঠ মুনাফিক ৷ আর যায়দ ইবন আমরের দিকে এপিংণ্ন্’ ধ্ ম ন অ ৷ম্মারা ইবন হায্ম ৷ লে৷ ৷কটি
ছিল দীর্ঘ দাড়িধারী ৷ দাড়ি ধরে টেনে হেচড়ে৩ তাকে মসজিদ থেকে বের করেন ৷ এরপর আম্মারা
তার দু হাত একত্র করে তা র বুকে প্রচণ্ড ঘুষি যাবেন, যাতে সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ তখন সে
বলছিল, হে আম্মারা৷ তুমি আমার বুকে আঘাত করলে ? তখন আম্মারা বললেন যে,
মুনাফিক ! আল্লাহ তােকে দুর করুন, আল্পাহ্ তোর জন্য যে আমার প্রস্তুত করে রেখেছেন , তা
এর চাইতেও কঠোর ৷ আর কখনো রাসুলের মসজিদের কাছেও আসবি না ৷ আবু মুহাম্মদ
মাসউদ ইবন আওস ইবন যায়দ ইবন আসরাম ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন পানাম ইবন
মালিক ইবন নাজ্জার ইনি ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী ৷ তিনি কায়স ইবন
আমর ইবন সাহলের দিকে এগুলেন ৷ সে ছিল যুবক এবং সে ছাড়া মুনাফিকদের মধ্যে আর
কোন যুবক ছিল না ৷ গলা ধাক্কা দিয়ে তিনি তাকে বের করে দেন ৷ বনু খাদ্রার জনৈক ব্যক্তি
হারিছ ইবন আমরের দিকে অগ্রসর হন ৷ এ লোকটি ছিল দীর্ঘকেশী ৷ তিনি তার চুল ধরে তাকে
টেনে হেচড়ে একেবারে ধরাশায়ী করে বের করেছেন ৷ এ সময় সে মুনাফিকঢি বলছিল, হে
আবুল হারিছ ৷ তুমি বড় কঠোর আচরণ করলে ৷ তখন তিনি বললেন, এটা তেব পাওনা ছিল
যে আল্লাহ্র দুশমনাক কারণ আল্লাহ ভোর সম্পর্কে আয়াত নাযিল করেছেন ৷ আর কখনো
রাসুলুল্লাহ্র মসজিদের নিকটেও আসবি না, কারণ তুই অপবিত্র ৷ বনী আসর ইবন আওফের
জনৈক ব্যক্তি তার ভাই যাবী ইবন হ বিছেব দিকে অগ্রসর হন এবং শক্তভাবে তাকে মসজিদ
থেকে বের করতে করতে নাকে হাত দিয়ে বলেন ভোর উপর শয়তান সওয়ার হয়েছে ৷ এরপর
ইমাম ইবন ইসহাক এ ব্যাপারে সুরা বাকারা ও সুরা৩ তাওবার যেসব আয়াত নাযিল হয়েছে
সেসবের উল্লেখ করে এর ব্যাথ্যায় ফলপ্রসু ও কল্যাণকর আলোচনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ তার
প্রতি রহম করুন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম যুদ্ধাডিযান
আবওয়৷ বা ওয়াদ্দানের যুদ্ধ হাময৷ ইবন আবদুল মুত্তালিব বা উবায়দা ইবন হারিছের
বাহিনীর অভিযানের বিবরণ মাগাযী পর্যায়ে আলোচিত হবে ৷ বুখারী ইবন ইসহাকের বরাতে
কিত তাবুল মাণাযীতে বলেন০ ং রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম যে যুদ্ধাভিযান বা গাবওয়ায় অংশ নেন
তা হল আবৃওয়া যুদ্ধ, এরপর বুয়ড়াত, তারপর আশীরাব যুদ্ধ ৷৩ তারপর রাবী বলেন, যায়দ ইবন
আরকাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়ঢি
গাযওয়ায় অং ×শগ্রহং করেছেন ? তিনি বললেন : ১৯টিতে ৷ তবে মতাম্ভরে তিনি ১ ৭টিতে
উপস্থিত ছিলেন ৷ এর মধ্যে প্রথমটা হলো আসীর৷ বা আশীরাব যুদ্ধ ৷ গাণ্ঘুওয়৷ আশীরাব বর্ণনায়
সনদ ও মুল পাঠসহ এ বিষয়ে আলোচনা পরে আসছে ৷ আর সহীহ্ বুখারীতে বুরায়দা সুত্রে
বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৬টি গাযওযায় যোগদান করেন ৷ আর মুসলিম শরীফে একই
রাবী থেকে বর্ণিত আছে, যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে ১৬ট৷ গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ
করেন ৷ একই রাবী সুত্রে মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, রা-সুলুল্লাহ্ (স) ১৯টা গায্ওয়ায়
যোগদান করেন ৷ আর এগুলোর মধ্যে যুদ্ধ করেন ৮টায় ৷ হুসাইন ইবন ওয়াকিদ বুরায়দা
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) ১ ৭টা গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধ করেন
৮টাতে বদর, উহুদ, আহযাব, মুরায়সী, কাদীদ, খায়বর, মক্কা ও নায়ন ৷ ২৪ টা মারিয়া
তথা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ আর ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান মাক্হুল সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৮টা গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ করেন, যুদ্ধ করেন ৮টিতে ৷ এগুলোর প্রথম হলো
বদর, পরে উহুদ, তারপর আহযাব, তারপর কুরায়যা, তারপর ৰিরে মাউনা, এরপর খুযাআ
গোত্রের বনু মুস্তালিক, এরপর গাযওয়৷ খায়বর, তারপর গাযওয়৷ মক্কা, তারপর হুনায়ন এবং
তাইফ ৷ কুরায়য৷ র পর বি রে মা ৷উনা ৷র উল্লেখ তর্কাতীত নয় ৷ আর বিশুদ্ধ কথা এই যে, তা ছিল
উহুদ যুদ্ধের পর, যে সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷ ইয়াকুব বলেন ৪ সাঈদ ইবন ঘুসায্যব
বলেছেন৪ রাসুলুল্পাহ্ (সা) ১৮টা গাযওয়ায় অংশ্যাহণ করেন ৷ আরেকবার আমি তাকে বলতে
শুনেছি, তিনি চব্বিশটিতে অং ×শগ্রহণ করেছেন ৷ আমি জানি না, এটা তার অনুমান, নাকি পরে
তিনি শুনে বলেছেন ৷৩ তাবারানী যুহ্রী থেকে বর্ণনা করে বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ২৪টা
গাযওয়ায় অং ×শগ্নহণ করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন হুমায়দ৩ তার মুসনাদ গ্রন্থে জাবির (রা) এর
বরাতে বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ২১টি গাঘৃওয়ায় অ ×শ গ্রহণ করেন ৷ আর হাকিম হিশাম সুত্রে
কাতাদার বরাতে বর্ণনা করেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাগাযী এবং সারিয়ার মোট সং ×থ্যা ছিল
৪৩টি ৷ অতঃপর হাকিম বলেনঃ হয়তো৩ তিনি গাযওয়া১ ও সারিয়৷ উভয় প্ৰক৷ র অভিযান বুঝাতে
চেয়েছেন ৷ >
আল ইকলীল গ্রন্থে আমি বা রা৷বাহিকভ৷ ৷বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রেরিত অভিযানসমুহের
উল্লেখ করেছি, যেগুলোর সংখ্যা শতাধিক ৷ হাকিম বলেন আমাদের একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী
বুখারড়ায় আমাকে জানান যে,৩ তিনি আবু আবদ্ল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন নাসরশ্এর গ্রন্থে যুদ্ধ ছাড়া
সত্তরটির অধিক সারিয়৷ ও অভিযাত্রী বাহিনীর নাম পড়েছেন ৷ হাকিমের এই বর্ণনা রীতিমভাে
বিস্ময়কর আর কা৩ তাদার উক্তির যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তাও সন্দেহাভীত নয় ৷ ইমাম
আহমদ আযহ৷ র ইবন কাসিম বা ৷সিবী সুত্রে কা ৷তাদ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
১ গড়ায়ওয়৷ হচ্ছে ঐ সব যুদ্ধাতিযান, যেণ্ডলোতে স্বয়ং× নবী করীম (সা) উপস্থিত ছিলেন ৷ পক্ষান্তার সারিয়৷ বলা
হয় তার প্রেরিত বাহিনীগুলির অভিযানসমুহকে ৷
পায্ওয়া ও সারিয়ার মোট সংখ্যা ৪৩টি ৷ ২৪টি মারিয়া আর ১৯টি গাযুওয়া ৷ এর মধ্যে ৮টিতে
যুদ্ধ হয়েছে ৷ সেগুলো হলো : বদর, উহুদ, আহযাব, মুরায়সী, খায়বর, মক্কা বিজয় এবং
হুনায়ন ৷ আর মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে বলেন : এগুলো হলো রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর গায্ওয়া ,
যেগুলােতে তিনি শরীক ছিলেন এবং যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয় সনে বদরের যুদ্ধ রমাযান
মাসে ৷ এরপর তৃতীয় সনে শাওয়াল মাসে উহুদে তিনি লড়াই করেন ৷ এরপর তিনি লড়াই
করেন খন্দকের যুদ্ধে ৷ এটাকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয় ৷ ইিজরী ৪র্থ সনের শাওয়াল মাসে
বনী কুরায়যা, এরপর ৫ম সনে শাবান মাসে তিনি বনী মুসৃতালিক ও বনী লিহ্ইয়ানের যুদ্ধে
অংশ্যাহণ করেন ৷ ষষ্ঠ সনে তিনি খায়বর যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন, ৮ম সনে (মক্কা) বিজয়কালে
রমাযান মাসে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন ৷ এরপর ৷:-ম সনে শাওয়াল মাসে তিনি
হুনায়নের যুদ্ধ লড়েন ও তারপর তাইফ অবরোধ করেন ৷ আর নবম সনে আবু বকর (রা)-এর
নেতৃত্বে হজ্জ পালিত হয় ৷ আর দশম সনে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বিদায় হজ্জ করেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্
(না) ১ ২টা পায্ওয়ায় অংশগ্রহণ করেন, যেগুলোতে কোন যুদ্ধ হয়নি ৷ প্রথম যে পায্ওয়ায়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অংশ্যাহণ করেন, তা ছিল আবওয়ার অভিযান ৷
হাম্বল ইবন হিলাল যুহ্রীর বরাতে বলেন : যুদ্ধ সম্পর্কে প্রথম যে আয়াতটি নাযিল হয়
তা হলো
“যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদেরকে অনুমতি দেয়া হল, কারণ, তারা মজলুম”-
আঘাতের শেষ পর্যন্ত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমনের পর এ আয়াত নাযিল হয় ৷ আর
সর্বপ্রথম যে যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) শরীক হন, তা ছিল বদর য়ুদ্ধ ১ ৭ রমাযান শুক্রবার ৷ তিনি
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনী নাযীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ এরপর শাওয়াল মাসে উহুদ
যুদ্ধ করেন অর্থাৎ তৃতীয় সনে ৷ এরপর ৪র্থ সনে শাওয়াল মাসে খন্দক যুদ্ধ করেন ৷ পরে ৫ম
সনে শা’বান মাসে বনী লিহ্ইয়ানের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ ৬ষ্ঠ সনে খায়বর যুদ্ধ এবং ৮ম
সনে শাবান মাংস মক্কা বিজয়ের অভিযানে নেতৃতৃ দেন ৷ ৮ম সনে রমাযান মাসে হুনায়নের যুদ্ধ
হয় ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১১টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, যেগুলোতে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম যে গায্ওয়ায় অংশ নেন, তা হলো আবওয়া, এরপর আল-আশীরা,
তারপর গায্ওয়া গাতফান, তারপর পায্ওয়া বনী সুলায়ম, এরপর পায্ওয়া আল-আবৃওয়া,
এরপর পায্ওয়া বদর আল-উলা (প্রথম বদর যুদ্ধ) , তারপর গাঘৃওয়া তাইফ, তারপর গাঘৃওয়া
হুদায়বিয়া, তারপর পায্ওয়া সাফরা, এরপর গায্ওয়া তাবুক ছিল তার শেষ অভিযান ৷ এরপর
তিনি সারিয়াসমুহের উল্লেখ করেন ৷ হাফিয ইবন আসাকির-এর ইতিহাস গ্রন্থ থেকে নিয়ে আমি
এটি লিপিবদ্ধ করেছি ৷ তবে এটি একটি বিরল বর্ণনা ৷ পরে আমরা ধারাবাহিকভাবে যা লিখবাে,
তা-ই সঠিক ও বিশুদ্ধ ৷
আর সিয়ার ও মাপাযীর বিষয়টা অত্তীব গুরুত্বপুর্ণ ৷ এর প্রতি গুরুতৃ আরোপ করা, এ
থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং এর জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক ৷ যেমন মুহাম্মদ ইবন উমর
আল-ওয়ড়াকিদী আলী ইবন হুসাইন সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমরা কুরআন
মজীদের সুরা যেভাবে শিখভাম , সে ভাবে রাসুল (সা)-এর যুদ্ধের বিববণসমুহ সম্পর্কে শিক্ষা
লাভ করি ৷ ওয়াকিদী বলেন : আমি মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
আমি আমার চাচা যুহ্রীকে বলতে শুনেছি : ইলমুল মাগাযী হচ্ছে এমনি এক ইল্ম, যাতে
নিহিত রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের জ্ঞান ৷
আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র ) ইয়ড়াহুদী মুনাফিকদের বড় বড় কাফিব সম্পর্কে আলোচনা
করার পর বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন দুশমনের সঙ্গে জিহাদের
জন্য আল্পাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী ৷ আশপাশের মুশরিকদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আল্লাহ্ র্তাকে
নির্দেশ দেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১ ২ই রবিউল আউয়াল সোমবার দুপুরের দিকে
মদীনায় আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বয়স তখন ছিল ৫৩ বছর ৷ এটা ছিল
নুবুওয়াতপ্রাপ্তির ১৩ বছর পরের ঘটনা ৷ রবিউল আউয়াল মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো, রবিউছ
ছানী, জুমদােল উলা ও জুমাদাছ ছানী, রজব, শাবান, রমড়াযান, শাওয়াল , যিলকাদ ও যিলহাজ্জ
অর্থাৎ বছরের শেষাবধি তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷ এ বছর হজ্ঞেৰুর কর্তৃতু মুশরিকদের হাতে
ছিল ৷ মুহাররম মাসও তিনি এভাবে কাটালেন ৷ মদীনায় আগমনের ১২ মাসের মাথায় সফর
মাসে তিনি মুজাহিদের বেশে বের হন ৷ ইবন হিশাম বলেন : এ সময় তিনি সাআদ ইবন
উবাদাকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ ইবন ইসহাক বলেন, তিনি ওয়াদ্দান পর্যন্ত
পৌছেন; এটাকে আব্ওয়ার যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে ৷ ইবন জারীর বলেন : এটাকে ওয়াদ্দানের
যুদ্ধও বলা হয় ৷ তিনি কুরায়শ এবং বনী যামরা ইবন বকর ইবন আবদ মানাত ইবন কিনানার
উদ্দেশ্যে বহির্গত হন ৷ এখানে তিনি বনী যামরার সাথে সমঝোতা করেন এবং বনী যামরার পক্ষ
থেকে মাখৃশী ইবন আম্র যামরী উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যন্থতা করেন ৷ সে সময় ইনিই ছিলেন
তাদের নেতা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় ফিরে আসেন, কোন সংঘাতের মুখোমুখি হননি ৷ সফর
মাসের অবশিষ্ট দিনগুলাে এবং রবিউল আউয়ালের প্রাথমিক দিনগুলাে তিনি মদীনায় অবস্থান
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন : এটা ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম গায্ওয়া ৷ আর ওয়াকিদী
বলেন ;; তার পতাকা ছিল চাচা হড়ামযার হাতে এবং তীর পতাকা ছিল সাদা বঙ্গের ৷
উবায়দা ইবন হাবিছের অভিযান
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) মদীনায় অবস্থানকালে উবায়দা ইবন হারিছ ইবন
মুত্তালিব ইবন আবদ্ মানাফ ইবন কুসাইকে ৬০ জন যা ৮০ জনের বাহিনীসহ প্রেরণ করেন ৷ এ
বাহিনীর সকলেই ছিলেন অশ্বারোহী এবং মুহাজির ৷ তাদের মধ্যে কোন আনসরীি ছিলেন না ৷ এ
বাহিনী রওনা হয়ে চলতে চলতে ছানিয়ড়াতুল মুররার’ নিস্নাঞ্চলে একটা কৃয়াের নিকট পৌছে ৷
সেখানে কুরায়শের এক বিশাল দলের মুখোমুখি হয় ৷ তবে সেখানে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ অবশ্য
সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস এ সময় একটা তীর নিক্ষেপ করেন ৷ আর এটা ছিল ইসলামের
ইতিহাসে আল্লাহর রাস্তায় নিক্ষিপ্ত প্রথম তীর ৷ এরপর সকলে সেখান থেকে ফিরে আসেন ৷
মুসলমানরা তখন ছিলেন হর্যোৎফুল্ল ৷ এ সময় বনু যুহ্রার মিত্র মিকদাদ ইবন আমর
আল-বাহরানী এবং বনু নাওফিল ইবন আবদ মড়ানাফের মিত্র উতবা ইবন গায্ওয়ান ইবন জাবির
আল-মাযিনী মুশরিকদের দল থেকে পলায়ন করে মুসলমানদের দলে যোগ দেন ৷ এরা উভয়েই