তালুর অধিকারী, বিশাল ইে পায়ের গোছা, ইে বাহু ও দুই র্কাধ এবং উভয় র্কাধের মাঝে বেশ
দুরত্ব, প্রশস্ত বক্ষ, ঈষৎ কোকড়৷ নো চুল, পাপড়িপুর্ণ চোখের পলক, সুন্দর মুখ ও দাড়ি, পরিপুর্ণ
কর্ণদ্বয়, মধ্যম আকৃতির পুরুষ, অতি লম্বাও নন, বেটেও নন, সুন্দর৩ তম গাত্রবর্ণ, সর্ব শরীরে
সামনে তাকাতেন এবং সর্ব শরীরে পিছু হটতেন ৷ আমি আগে বা পরে তার মত কাউকে
দেখিনি এবং তার মত কারো কথা শুনিনি ৷ হড়াফিয আবু বকর আল বায়হাকী আবু আবদুর
রহমান সুত্রে জনৈক বর্ণনাকারীর বরাত দিয়ে বলেন, আমার দাদা আমার নিকট বর্ণনা
করেন, আমি মদীনায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম, সে সময় আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দর্শন লাভ
হ্ক্রান্ত হাদীস স্মরণ করছিলাম, হঠাৎ সুঠামদেহী, বিশাল বাবরি, সরু নাক ও সরু ভ্রাদ্বয়
বিশিষ্ট এক ব্যক্তি দেখলাম, তার বুক হতে নাভি পর্যন্ত প্রলম্বিত কেশরেথা, তার চুলও
মাথাপুর্ণ ৷ এরপর তিনি আমার নিকটবর্তী হয়ে বললেন, আস্সালামু ইলাইকা
নবী (না)-এর কেশ বা চুলের বিবরণ
বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাস সুত্রে ণ্যুহ্রী বর্ণিত হাদীস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে বিষয়ে আদিষ্ট না হতেন, সে বিষয়ে আহলে
কিতাবদের অনুসরণ পছন্দ করতেন ৷ আর আহলে কিতাবরা তাদের চুলে সিথি না কেটে
অদ্বৈচড়াত ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রথম দিকে সিথিবিহীন চুল আচড়াতেনঃ, তারপর পরব৩
সিথি কাটতে ন ৷ ইমাম আহমদ হাম্মাদ ইবন খালিদ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণন৩া
করেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেশ কিছুকাল তার মাথার সামনের চুল সিথিবিহীন আচডাতেন,
পরবর্তীতে তিনি সিথি কাটতেন ৷ এই সুত্রে এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ এছাড়া
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মুহাম্মদ ইবন জাফর আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি (নিজে) রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাথায় সিথি করে দিয়েছি, র্তাব মাথার চীদি বা
মধ্যন্থল থেকে সিথি বের করেছি ৷ আর মাথার সামনের চুল৩ তার কপালে নামিয়ে দিয়েছি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, সর্বজন স্বীকৃত ফকীহ মুহাম্মদ ইবন জা ফর ইবন যুবায়র মন্তব্য করেন-
এট৷ খ্রিস্টানদের বৈশিষ্ট্য, মানবজাতির মধ্যে তারাই এ বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করেছে ৷ বুখারী ও
মুসলিমে বারা (না) থেকে একথা সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাববি চুল তার ন্র্কাধ
ছুয়ে যেত ৷ এ ছাড়া সহীহ্ বুখারীতে তার ও অন্যদের থেকে এ বর্ণনাও এস্যেছ যে ,ভীর এই
বাববি তার অর্ধ কান পর্যন্ত পৌছত ৷ আর এ দুই অবস্থার মধ্যে কোন বৈপরি৩ ৷ নেই ৷ কেননা
চুল কখনও বড় হয় আবার কখনও ছোট হয় ৷ আর প্ৰতে তাক বর্ণনাকারীই৷ যা দেখেছেন সেই
অনুযায়ী বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ ইবন নুফায়ল আইশা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মাথার চুল ওয়াফ্রার (কান পর্যন্ত বেয়ে নাম৷ চুল) চাইতে
লম্বা এবং জুম্মার (র্কাধ স্পর্শকারী চুল) চাইতে খাটো ছিল ৷ একথা সাব্যন্ত হয়েছে যে, নবী
(সা) বিদায় হরুজ্জর সময় তার মাথায় সব চুল মুণ্ডন করে ফেলেছিলেন ৷ আর এর একাশি দিন
পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সব সময় তার প্রতি ৩আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও
করুণ৷ বাবি বর্ষিত হোক ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, উম্মে হানী (রা) বলেন, একবার নবী করীম (সা) যখন মক্কায় আগমন করলেন, তখন
তার মাথায় চারটি বেণী ছিল ৷ তিরমিযী সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার বরাতে তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিংম রাবীআর হাদীস থেকে হযরত আনাস (রা)-এর বরাতে একথা
সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর চুলের কথা উল্লেখ করার পর বলেন, তা
একেবারে সোজাও নয়, আবার একেবারে কৌকড়ানােও নয়; বরং ঈযৎ কেকেড়ানাে ৷ তিনি
(আনাস) বলেন, আর আল্লাহ্ র্তাকে ওফাত দান করলেন অথচ মাথা ও দাড়িতে পাকা (সাদা)
চুলের সংখ্যা কুড়িও জ্জি না ৷ সহীহ্ বুখারীতে ইবন সীরীন থেকে আয়ুব বর্ণিত হাদীসে রয়েছে
যে, তিনি (ইবন সীরীন) বলেন, আমি হযরত আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্
(সা) কি তার চুল-দাড়িতে থেযাব ব্যবহার করেছেন? জবাবে তিনি বললেন, (না, তার
প্রয়োজন হয়নি) কেননা তার মধ্যে বার্ধরুকক্রর সামান্যই প্রকাশ পেয়েছিল ৷ অনুরুপ তিনি
(বুখারী) ও মুসলিম উভয়ে হাম্মাদ ইবন যায়দের বরাতে এরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর
হাম্মাদ ইবন সালামা ছাবিত থেকে বলেন, হযরত আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলো,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাথায় ও দাড়িতে কি বার্ধক্য প্রকাশ পেয়েছিল ? তিনি বললেন, আল্লাহ
তার নবীকে বার্ধক্য (সাদা চুলদাড়ি)-র খুতযুক্ত করেননি ৷ তার মাথায় মাত্র সাতর বা আঠারটি
পাকা-সাদা চুল ছিল ৷ আর মুছান্নড়া ইবন সাঈদ সুত্রে আনাস (না)-এর বরাতে মুসলিমের
রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) খিযাব ব্যবহার করেননি ৷ তার থুতনির ছোট দাড়িতে
সামান্য পাক ধরেছিল, দুই কানপট্টি এবং মাথায়ও কিছু কিছু ৷ বুখারী আবু নৃআয়ম সুত্রে
কাতাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্
(সা) কি খিযাব ব্যবহার করেছেন? জবাবে তিনি বললেন, না ৷ তার ইে কানপট্টিতে সামান্য
পাক ধরেছিল ৷ বুখারী ইসাম ইবন খালিদ জারীর ইবন উছমান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন বুসর আস্ সুলামীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনিত্তো রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে দেখেছেন, তিনি কি বুড়াে হয়েছিলেন ? জবাবে তিনি বললেন, তার নিচের ঠোট ও
চিবুকের মধ্যখানে কয়েকটি সাদা দাড়ি ছিল ৷ আর ইতিপুর্বে জাবির ইবন সামুরা সুত্রে অনুরুপ
রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে ৷
বুখারী ও মুসলিমে আবু জুহায়ফা আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণিত আছে ৷ তিনি (আবু জুহায়ফা)
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিচের ঠোট ও চিবুকের মধ্যকার শুভ্র কেশ দেখেছি ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন উছমান সুত্রে উছমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
মাওহিব আল কুরাশী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা আমরা উষ্মে সালামা (রা)-এর
কাছে গেলাম ৷ তখন তিনি আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকটি কেশ বের করে
দেখালেন, আমরা দেখলাম তা মেহদী রঞ্জিত লাল ৷ বুখারী ইসমাঈল ইবন মুসা উষ্মে
সালামা (বা) সুত্রে এ হাদীসখড়ানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিয
সুত্রে উছমান ইবন মাওহিব থেকে ৷ তিনি বলেন, উষ্মে সালামা (রা)-এর কাছে ঘপ্টি
আকৃতির বিশাল একটা রুপার কৌটা ছিল ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকটি কেশ
সংরক্ষিত ছিল ৷ যখন কেউ জ্বরাক্রান্ত হত, তখন তার কাছে লোক পাঠাত, তখন তিনি তাতে
পানি দিয়ে নাড়া দিতেন, তারপর সেই পানি নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তি তার মুখমণ্ডলে ছিটিয়ে দিত ৷
তিনি বলেন, (একবার) আমার স্বজনেরা আমাকে তার কাছে পাঠালেন, তখন তিনি তা বের
করলেন ৷ তখন দেখলাম তা এমন একথা বলে রাবী ইসরাঈল তিন আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত
করলেন আর তাতে পাচটি লাল চুল ছিল ৷ মালিক ইবন ইসমাঈল ইসরাঈল সুত্রে বুখারী তা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু নুআয়ম সুত্রে আবু রিমছা থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) আমি আমার পিতার সাথে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে গেলাম ৷ যখন আমি তাকে দেখতে পেলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, তৃমি কি
জান, ইনি কে ? আমি বললাম, জী না ৷ তিনি বললেন, ইনি হম্ভচ্ছা আল্লাহ্র রাসুল ৷ তিনি
যখন একথা বললেন তখন আমি শিউরে উঠলাম ৷ আর আমার ধারণা ছিল রাসুলুল্পাহ্ এমন
কেউ হবেন, যার মানুষের সাথে সাদৃশ্য নেই ৷ কিন্তু আমি দেখলাম, তিনি একজন মানুষ, যার
রয়েছে কান পর্যন্ত দীর্ঘ বাবরি, যাতে রয়েছে যেহেদীর ছাপ ৷ আর তীর পরণে দু’টি সবুজ
চাদর ৷ আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ উবায়দুল্লাহ্ ইবন আইয়াদের হাদীস থেকে আবু
রিমছার বরাতে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আবু রিমছার আসল নাম হাবীব ইবন হায়্যান ৷ কেউ কেউ
তাকে রিফাআ ইবন য়াছরাবীও বলেছেন ৷ তিরমিযী ণ্খলেন, হাদীসখানি গরীব পর্যায়ের,
ইয়াদের হাদীস সংগ্রহ থেকে ছাড়া আমরা অন্য কোন সুত্রে এটা পায়নি ৷
নাসাঈও সুফিয়ান ছাওরী ও আবদুল মালিক ইবন উমায়রের হাদীস সংগ্রহ থেকে
আৎশিকতাবে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া য়াকুব ইবন সুফিয়ানও জ্যি সুত্রে আবু
রিমছা থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মেহেদী ও কাতাম
খিযাবরুপে ব্যবহার করতেন ৷ আর তার চুল তার দুই র্কাধের উদ্ভিন্ন হাড় কিৎবা দুই কাধ্ স্র্শে
করত ৷ আবু দাউদ আবদুর রহীম ইবন মুতার রিফ ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ন্সিবৃতি (পশমবিহীন চামড়ার তৈরী) পাদুকা পরভেন এবং ওয়ারস্ (রঞ্জক
উদ্ভিদ বিশেষ) ও জাফরান দ্বারা দাড়ি রাঙাতেন ৷ আর ইবন উমর (রা)-ও তা করতেন ৷
নাসাঈও জ্যি সুত্রে তা বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয আবু বকর আল বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ্ আল
হাফিয ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মাথা ও দাড়ি
মিলে বিশটির মত পাকা চুল ছিল ৷ আর রাবী ইসহাকের রিওয়ায়াতে এসেছে, আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর বার্ধক্যের চিহ্ন দেখেছি ৷ তীর মাথার অগ্রভাগে কুড়িটির মত সাদা চুল ৷ বায়হাকী
আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিয আবদ্বস্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আর্কীল সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, উমর বিন আবদুঃ৷ আযীয গভর্ণর থাকাকালে হযরত আনাস ইবন মালিক মদীনায়
আগমন করলেন ৷ তখন উমর ইবন আবদুল আযীয তীর কাছে এই বলে দুত পাঠালেন যে,
তাকে জিজ্ঞেস কর, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি খিযাব ব্যবহার করেছেন ? কোনো আমি তার একটি
খিযাব রঞ্জিত চুল দেখেছি ৷ এ প্রশ্নের উত্তরে আনাস (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাল কলপ
ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, আর তার চুল-র্দাড়ির বার্ধক্যের যা আমার দৃষ্টিগোচর হত তা
আমি গুণতে চাইলেও এগারটির বেশি সাদা চুল গুণতে পারতাম না ৷ আর যে চুলটি পরিবজ্যি
রঙে দৃষ্ট হয়েছে তা সুগন্ধি ব্যবহারের কারণে, যা দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চুল সুগন্ধিযুক্ত করা
হত ৷ আর এই সুগন্বিইি তার রঙ পরিবর্ত্যনর কারণ ৷
আমি (গ্রহুকার) বলি, হযরত আনাস কর্তৃক খিযাব ব্যবহারের অস্বীকৃতি পুর্বে বর্ণিত
অন্যদের কর্তৃক তা সাব্যস্তকরণের পরিপন্থী ৷ আর এক্ষেত্রে মুলনীতি হল সাব্যস্তকরণ
নাকচকরণের তুলনায় অপ্রাধিকারযােগ্য ৷ কেননা সাব্যস্তকারীর সাথে যে অতিরিক্ত অবগতি
রয়েছে, তা নাকচকারীর নিকট নেই ৷ একইভাবে অতিরিক্ত অবগতি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে
অন্যদের সাব্যস্তকারী রিওয়ায়াতসমুহও নাকচকারী বর্ণনার মুকাবিলায় প্রাধান্য পাবে ৷ বিশেষত
ইবন উমর থেকে যে রিওয়ায়াতখানি বর্ণিত হয়েছে ৷ কেননা সম্ভবত তিনি এ বর্ণনা গ্রহণ
’ করেছেন, তার বোন উন্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা) থেকে ৷ আর তার অবগতি হযরত
আনাসের অবগতির চাইতে পুর্ণতর ৷ কেননা, কখনও কখনও তিনি নবী আলাইহিস সালামের
মাথা আচড়িয়ে উকুন বেছে দিয়েছেন ৷
, নবী (সা)-এর কাধ, বাহু, বগল, পা ও পায়ের নিনাংশের উজ্যি হাড়দ্বয়
ইতিপুর্বে শুবা সংগৃহীত হাদীস থেকে হযরত বারা ইবন আযিব থেকে ইমাম বুখারী ও
মুসলিম যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মধ্যম
আকৃতির ছিলেন ৷ তার দৃকাধের মাঝে বেশ খানিকটা দুরতু ছিল ৷ আবুন নুমান হযরত
আনাস সুত্রে ইমাম বুখারী বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) অপেক্ষাকৃত বড় মাথা
ও পদদ্বয়ের অধিকারী ছিলেন ৷ আর তার হাতের তালুদ্বয় ছিল কোমল সুষম গঠনের ৷ একথা
একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) কোমল ও মাংসল হাতের তালু ও পদদ্বয়ের
অধিকারী ছিলেন ৷ অন্য রিওয়ায়াতে এসেছে, তিনি পুষ্ট তালু ও পদদ্বয়ের অধিকারী ছিলেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সালিহ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি (সালিহ) বলেন, আবু হুরায়রা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গঠন বর্ণনা দিয়ে বলতেন, তিনি ছিলেন পুষ্ট ও ভরটি বাহুদ্বয়ের অধিকারী
দৃই র্কাধের মধ্যবর্তী দুরতৃসম্পন্ন ৷ দুই চোখের পলকে পাপড়িপুর্ণ ৷ আর আলী (রা)-এর বরাতে
বর্ণিত নাফি ইবন জুবায়রের হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাটু ছিলেন কোমল ও
মাংসল হাতের তালু ও পায়ের অধিকারী-বিশাল অন্থিন্গ্নন্থিওয়ালা, তার বুক থেকে নাভি পর্যন্ত
প্রলন্বিত কেশ-ব্লেখা ছিল ৷ আর হাজ্জাজ জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পায়ের গোছাদ্বয় সরু ছিল ৷ সুরাকা ইবন মালিক জু’শুম বলেন,
আমি তীর পায়ের গোছাদ্বয়ের দিকে তাকালাম ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আংছ-রেকাবিতে রাখা তার
পদদ্বয়ের দিকে, যেন তা শুভ্রতায় খেজুর বৃক্ষের তরুমজ্জা ৷ জাবির ইবন সামুরা থেকে বর্ণিত
হাদীস মুসলিমের রিওয়ায়াতে রয়েছে-তিনি ছিলেন ভরটি মুখমগুলের অধিকারী ৷ আর তিনি
এর ব্যাখ্যা করেছেন যে তার মুখমণ্ডল ছিল বেশ বড় এবং তার চক্ষুদ্বয় ছিল ডাগৱ ডাগৱ ৷
তিনি এর ব্যাখ্যা করেছেন, দীর্ঘ ডাগৱ চক্ষু এবং শীর্ণ গোড়ালির অধিকারী ৷ অর্থাৎ তার
গোড়ালী ছিল অমাংসল ৷ আর পুরুষের দেহগঠনে এটাই অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ ও সুন্দর ৷
হারিছ ইবন আবু উসামা আবদুল্লাহ্ ইবন বকরের সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মদীনায় আগমনকালে উষ্মে সুলায়ম আমার হাত
ধরে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ আনাস ! লিখক বালক, সে আপনার থেদমত করবে ৷ তিনি
(আনাস) বলেন, এরপর আমি নয় বছর তার খিদমত করেছি, কিন্তু আমার কৃত কোন কাজ
সম্পর্কে তিনি একথা বলেননি, তুমি মন্দ করেছ; বা তুমি কি মন্দ করেছ ৷ আর আমি কখনও
তার হাতের চাইতে কোমল কোন রেশমী কাপড় ইত্যাদি স্পর্শ করিনি এবং রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর দেহের সুঘ্রাণের চাইতে উত্তম কোন মিশক বা আম্বরের ঘ্রাণ গ্রহণ করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্