Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৬ » রাসূল (সা)- এর মুখমণ্ডল ও সৌন্দর্যের বিবরণ, তার দাত, কপাল, ভুরু, চোখ ও নাকের গঠন সৌন্দর্যের বর্ণনা

রাসূল (সা)- এর মুখমণ্ডল ও সৌন্দর্যের বিবরণ, তার দাত, কপাল, ভুরু, চোখ ও নাকের গঠন সৌন্দর্যের বর্ণনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • তালুর অধিকারী, বিশাল ইে পায়ের গোছা, ইে বাহু ও দুই র্কাধ এবং উভয় র্কাধের মাঝে বেশ
    দুরত্ব, প্রশস্ত বক্ষ, ঈষৎ কোকড়৷ নো চুল, পাপড়িপুর্ণ চোখের পলক, সুন্দর মুখ ও দাড়ি, পরিপুর্ণ
    কর্ণদ্বয়, মধ্যম আকৃতির পুরুষ, অতি লম্বাও নন, বেটেও নন, সুন্দর৩ তম গাত্রবর্ণ, সর্ব শরীরে
    সামনে তাকাতেন এবং সর্ব শরীরে পিছু হটতেন ৷ আমি আগে বা পরে তার মত কাউকে
    দেখিনি এবং তার মত কারো কথা শুনিনি ৷ হড়াফিয আবু বকর আল বায়হাকী আবু আবদুর
    রহমান সুত্রে জনৈক বর্ণনাকারীর বরাত দিয়ে বলেন, আমার দাদা আমার নিকট বর্ণনা
    করেন, আমি মদীনায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম, সে সময় আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দর্শন লাভ

    হ্ক্রান্ত হাদীস স্মরণ করছিলাম, হঠাৎ সুঠামদেহী, বিশাল বাবরি, সরু নাক ও সরু ভ্রাদ্বয়
    বিশিষ্ট এক ব্যক্তি দেখলাম, তার বুক হতে নাভি পর্যন্ত প্রলম্বিত কেশরেথা, তার চুলও
    মাথাপুর্ণ ৷ এরপর তিনি আমার নিকটবর্তী হয়ে বললেন, আস্সালামু ইলাইকা
    নবী (না)-এর কেশ বা চুলের বিবরণ

    বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাস সুত্রে ণ্যুহ্রী বর্ণিত হাদীস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইবন
    আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে বিষয়ে আদিষ্ট না হতেন, সে বিষয়ে আহলে
    কিতাবদের অনুসরণ পছন্দ করতেন ৷ আর আহলে কিতাবরা তাদের চুলে সিথি না কেটে
    অদ্বৈচড়াত ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রথম দিকে সিথিবিহীন চুল আচড়াতেনঃ, তারপর পরব৩
    সিথি কাটতে ন ৷ ইমাম আহমদ হাম্মাদ ইবন খালিদ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণন৩া
    করেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেশ কিছুকাল তার মাথার সামনের চুল সিথিবিহীন আচডাতেন,
    পরবর্তীতে তিনি সিথি কাটতেন ৷ এই সুত্রে এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ এছাড়া
    মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মুহাম্মদ ইবন জাফর আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, আমি (নিজে) রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাথায় সিথি করে দিয়েছি, র্তাব মাথার চীদি বা
    মধ্যন্থল থেকে সিথি বের করেছি ৷ আর মাথার সামনের চুল৩ তার কপালে নামিয়ে দিয়েছি ৷
    ইবন ইসহাক বলেন, সর্বজন স্বীকৃত ফকীহ মুহাম্মদ ইবন জা ফর ইবন যুবায়র মন্তব্য করেন-
    এট৷ খ্রিস্টানদের বৈশিষ্ট্য, মানবজাতির মধ্যে তারাই এ বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করেছে ৷ বুখারী ও
    মুসলিমে বারা (না) থেকে একথা সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাববি চুল তার ন্র্কাধ
    ছুয়ে যেত ৷ এ ছাড়া সহীহ্ বুখারীতে তার ও অন্যদের থেকে এ বর্ণনাও এস্যেছ যে ,ভীর এই
    বাববি তার অর্ধ কান পর্যন্ত পৌছত ৷ আর এ দুই অবস্থার মধ্যে কোন বৈপরি৩ ৷ নেই ৷ কেননা
    চুল কখনও বড় হয় আবার কখনও ছোট হয় ৷ আর প্ৰতে তাক বর্ণনাকারীই৷ যা দেখেছেন সেই
    অনুযায়ী বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ ইবন নুফায়ল আইশা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মাথার চুল ওয়াফ্রার (কান পর্যন্ত বেয়ে নাম৷ চুল) চাইতে
    লম্বা এবং জুম্মার (র্কাধ স্পর্শকারী চুল) চাইতে খাটো ছিল ৷ একথা সাব্যন্ত হয়েছে যে, নবী
    (সা) বিদায় হরুজ্জর সময় তার মাথায় সব চুল মুণ্ডন করে ফেলেছিলেন ৷ আর এর একাশি দিন
    পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সব সময় তার প্রতি ৩আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও
    করুণ৷ বাবি বর্ষিত হোক ৷

    ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, উম্মে হানী (রা) বলেন, একবার নবী করীম (সা) যখন মক্কায় আগমন করলেন, তখন
    তার মাথায় চারটি বেণী ছিল ৷ তিরমিযী সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার বরাতে তা রিওয়ায়াত
    করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিংম রাবীআর হাদীস থেকে হযরত আনাস (রা)-এর বরাতে একথা
    সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর চুলের কথা উল্লেখ করার পর বলেন, তা
    একেবারে সোজাও নয়, আবার একেবারে কৌকড়ানােও নয়; বরং ঈযৎ কেকেড়ানাে ৷ তিনি
    (আনাস) বলেন, আর আল্লাহ্ র্তাকে ওফাত দান করলেন অথচ মাথা ও দাড়িতে পাকা (সাদা)
    চুলের সংখ্যা কুড়িও জ্জি না ৷ সহীহ্ বুখারীতে ইবন সীরীন থেকে আয়ুব বর্ণিত হাদীসে রয়েছে
    যে, তিনি (ইবন সীরীন) বলেন, আমি হযরত আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্
    (সা) কি তার চুল-দাড়িতে থেযাব ব্যবহার করেছেন? জবাবে তিনি বললেন, (না, তার
    প্রয়োজন হয়নি) কেননা তার মধ্যে বার্ধরুকক্রর সামান্যই প্রকাশ পেয়েছিল ৷ অনুরুপ তিনি
    (বুখারী) ও মুসলিম উভয়ে হাম্মাদ ইবন যায়দের বরাতে এরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর
    হাম্মাদ ইবন সালামা ছাবিত থেকে বলেন, হযরত আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলো,
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাথায় ও দাড়িতে কি বার্ধক্য প্রকাশ পেয়েছিল ? তিনি বললেন, আল্লাহ
    তার নবীকে বার্ধক্য (সাদা চুলদাড়ি)-র খুতযুক্ত করেননি ৷ তার মাথায় মাত্র সাতর বা আঠারটি
    পাকা-সাদা চুল ছিল ৷ আর মুছান্নড়া ইবন সাঈদ সুত্রে আনাস (না)-এর বরাতে মুসলিমের
    রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) খিযাব ব্যবহার করেননি ৷ তার থুতনির ছোট দাড়িতে
    সামান্য পাক ধরেছিল, দুই কানপট্টি এবং মাথায়ও কিছু কিছু ৷ বুখারী আবু নৃআয়ম সুত্রে
    কাতাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্
    (সা) কি খিযাব ব্যবহার করেছেন? জবাবে তিনি বললেন, না ৷ তার ইে কানপট্টিতে সামান্য
    পাক ধরেছিল ৷ বুখারী ইসাম ইবন খালিদ জারীর ইবন উছমান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন বুসর আস্ সুলামীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনিত্তো রাসুলুল্লাহ্
    (সা)-কে দেখেছেন, তিনি কি বুড়াে হয়েছিলেন ? জবাবে তিনি বললেন, তার নিচের ঠোট ও
    চিবুকের মধ্যখানে কয়েকটি সাদা দাড়ি ছিল ৷ আর ইতিপুর্বে জাবির ইবন সামুরা সুত্রে অনুরুপ
    রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে ৷

    বুখারী ও মুসলিমে আবু জুহায়ফা আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণিত আছে ৷ তিনি (আবু জুহায়ফা)
    বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিচের ঠোট ও চিবুকের মধ্যকার শুভ্র কেশ দেখেছি ৷
    ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন উছমান সুত্রে উছমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
    মাওহিব আল কুরাশী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা আমরা উষ্মে সালামা (রা)-এর
    কাছে গেলাম ৷ তখন তিনি আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকটি কেশ বের করে
    দেখালেন, আমরা দেখলাম তা মেহদী রঞ্জিত লাল ৷ বুখারী ইসমাঈল ইবন মুসা উষ্মে
    সালামা (বা) সুত্রে এ হাদীসখড়ানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিয
    সুত্রে উছমান ইবন মাওহিব থেকে ৷ তিনি বলেন, উষ্মে সালামা (রা)-এর কাছে ঘপ্টি
    আকৃতির বিশাল একটা রুপার কৌটা ছিল ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকটি কেশ
    সংরক্ষিত ছিল ৷ যখন কেউ জ্বরাক্রান্ত হত, তখন তার কাছে লোক পাঠাত, তখন তিনি তাতে
    পানি দিয়ে নাড়া দিতেন, তারপর সেই পানি নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তি তার মুখমণ্ডলে ছিটিয়ে দিত ৷

    তিনি বলেন, (একবার) আমার স্বজনেরা আমাকে তার কাছে পাঠালেন, তখন তিনি তা বের
    করলেন ৷ তখন দেখলাম তা এমন একথা বলে রাবী ইসরাঈল তিন আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত
    করলেন আর তাতে পাচটি লাল চুল ছিল ৷ মালিক ইবন ইসমাঈল ইসরাঈল সুত্রে বুখারী তা
    রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু নুআয়ম সুত্রে আবু রিমছা থেকে
    বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) আমি আমার পিতার সাথে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
    দরবারে গেলাম ৷ যখন আমি তাকে দেখতে পেলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, তৃমি কি
    জান, ইনি কে ? আমি বললাম, জী না ৷ তিনি বললেন, ইনি হম্ভচ্ছা আল্লাহ্র রাসুল ৷ তিনি
    যখন একথা বললেন তখন আমি শিউরে উঠলাম ৷ আর আমার ধারণা ছিল রাসুলুল্পাহ্ এমন
    কেউ হবেন, যার মানুষের সাথে সাদৃশ্য নেই ৷ কিন্তু আমি দেখলাম, তিনি একজন মানুষ, যার
    রয়েছে কান পর্যন্ত দীর্ঘ বাবরি, যাতে রয়েছে যেহেদীর ছাপ ৷ আর তীর পরণে দু’টি সবুজ
    চাদর ৷ আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ উবায়দুল্লাহ্ ইবন আইয়াদের হাদীস থেকে আবু
    রিমছার বরাতে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আবু রিমছার আসল নাম হাবীব ইবন হায়্যান ৷ কেউ কেউ
    তাকে রিফাআ ইবন য়াছরাবীও বলেছেন ৷ তিরমিযী ণ্খলেন, হাদীসখানি গরীব পর্যায়ের,
    ইয়াদের হাদীস সংগ্রহ থেকে ছাড়া আমরা অন্য কোন সুত্রে এটা পায়নি ৷

    নাসাঈও সুফিয়ান ছাওরী ও আবদুল মালিক ইবন উমায়রের হাদীস সংগ্রহ থেকে
    আৎশিকতাবে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া য়াকুব ইবন সুফিয়ানও জ্যি সুত্রে আবু
    রিমছা থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মেহেদী ও কাতাম
    খিযাবরুপে ব্যবহার করতেন ৷ আর তার চুল তার দুই র্কাধের উদ্ভিন্ন হাড় কিৎবা দুই কাধ্ স্র্শে
    করত ৷ আবু দাউদ আবদুর রহীম ইবন মুতার রিফ ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) ন্সিবৃতি (পশমবিহীন চামড়ার তৈরী) পাদুকা পরভেন এবং ওয়ারস্ (রঞ্জক
    উদ্ভিদ বিশেষ) ও জাফরান দ্বারা দাড়ি রাঙাতেন ৷ আর ইবন উমর (রা)-ও তা করতেন ৷
    নাসাঈও জ্যি সুত্রে তা বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয আবু বকর আল বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ্ আল
    হাফিয ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মাথা ও দাড়ি
    মিলে বিশটির মত পাকা চুল ছিল ৷ আর রাবী ইসহাকের রিওয়ায়াতে এসেছে, আমি রাসুলুল্লাহ্
    (সা)-এর বার্ধক্যের চিহ্ন দেখেছি ৷ তীর মাথার অগ্রভাগে কুড়িটির মত সাদা চুল ৷ বায়হাকী
    আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিয আবদ্বস্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আর্কীল সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেন, উমর বিন আবদুঃ৷ আযীয গভর্ণর থাকাকালে হযরত আনাস ইবন মালিক মদীনায়
    আগমন করলেন ৷ তখন উমর ইবন আবদুল আযীয তীর কাছে এই বলে দুত পাঠালেন যে,
    তাকে জিজ্ঞেস কর, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি খিযাব ব্যবহার করেছেন ? কোনো আমি তার একটি
    খিযাব রঞ্জিত চুল দেখেছি ৷ এ প্রশ্নের উত্তরে আনাস (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাল কলপ
    ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, আর তার চুল-র্দাড়ির বার্ধক্যের যা আমার দৃষ্টিগোচর হত তা
    আমি গুণতে চাইলেও এগারটির বেশি সাদা চুল গুণতে পারতাম না ৷ আর যে চুলটি পরিবজ্যি
    রঙে দৃষ্ট হয়েছে তা সুগন্ধি ব্যবহারের কারণে, যা দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চুল সুগন্ধিযুক্ত করা
    হত ৷ আর এই সুগন্বিইি তার রঙ পরিবর্ত্যনর কারণ ৷

    আমি (গ্রহুকার) বলি, হযরত আনাস কর্তৃক খিযাব ব্যবহারের অস্বীকৃতি পুর্বে বর্ণিত
    অন্যদের কর্তৃক তা সাব্যস্তকরণের পরিপন্থী ৷ আর এক্ষেত্রে মুলনীতি হল সাব্যস্তকরণ

    নাকচকরণের তুলনায় অপ্রাধিকারযােগ্য ৷ কেননা সাব্যস্তকারীর সাথে যে অতিরিক্ত অবগতি
    রয়েছে, তা নাকচকারীর নিকট নেই ৷ একইভাবে অতিরিক্ত অবগতি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে
    অন্যদের সাব্যস্তকারী রিওয়ায়াতসমুহও নাকচকারী বর্ণনার মুকাবিলায় প্রাধান্য পাবে ৷ বিশেষত
    ইবন উমর থেকে যে রিওয়ায়াতখানি বর্ণিত হয়েছে ৷ কেননা সম্ভবত তিনি এ বর্ণনা গ্রহণ
    ’ করেছেন, তার বোন উন্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা) থেকে ৷ আর তার অবগতি হযরত
    আনাসের অবগতির চাইতে পুর্ণতর ৷ কেননা, কখনও কখনও তিনি নবী আলাইহিস সালামের
    মাথা আচড়িয়ে উকুন বেছে দিয়েছেন ৷

    , নবী (সা)-এর কাধ, বাহু, বগল, পা ও পায়ের নিনাংশের উজ্যি হাড়দ্বয়

    ইতিপুর্বে শুবা সংগৃহীত হাদীস থেকে হযরত বারা ইবন আযিব থেকে ইমাম বুখারী ও
    মুসলিম যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মধ্যম
    আকৃতির ছিলেন ৷ তার দৃকাধের মাঝে বেশ খানিকটা দুরতু ছিল ৷ আবুন নুমান হযরত
    আনাস সুত্রে ইমাম বুখারী বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) অপেক্ষাকৃত বড় মাথা
    ও পদদ্বয়ের অধিকারী ছিলেন ৷ আর তার হাতের তালুদ্বয় ছিল কোমল সুষম গঠনের ৷ একথা
    একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) কোমল ও মাংসল হাতের তালু ও পদদ্বয়ের
    অধিকারী ছিলেন ৷ অন্য রিওয়ায়াতে এসেছে, তিনি পুষ্ট তালু ও পদদ্বয়ের অধিকারী ছিলেন ৷
    ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সালিহ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি (সালিহ) বলেন, আবু হুরায়রা
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গঠন বর্ণনা দিয়ে বলতেন, তিনি ছিলেন পুষ্ট ও ভরটি বাহুদ্বয়ের অধিকারী
    দৃই র্কাধের মধ্যবর্তী দুরতৃসম্পন্ন ৷ দুই চোখের পলকে পাপড়িপুর্ণ ৷ আর আলী (রা)-এর বরাতে
    বর্ণিত নাফি ইবন জুবায়রের হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাটু ছিলেন কোমল ও
    মাংসল হাতের তালু ও পায়ের অধিকারী-বিশাল অন্থিন্গ্নন্থিওয়ালা, তার বুক থেকে নাভি পর্যন্ত
    প্রলন্বিত কেশ-ব্লেখা ছিল ৷ আর হাজ্জাজ জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি
    বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পায়ের গোছাদ্বয় সরু ছিল ৷ সুরাকা ইবন মালিক জু’শুম বলেন,
    আমি তীর পায়ের গোছাদ্বয়ের দিকে তাকালাম ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আংছ-রেকাবিতে রাখা তার
    পদদ্বয়ের দিকে, যেন তা শুভ্রতায় খেজুর বৃক্ষের তরুমজ্জা ৷ জাবির ইবন সামুরা থেকে বর্ণিত
    হাদীস মুসলিমের রিওয়ায়াতে রয়েছে-তিনি ছিলেন ভরটি মুখমগুলের অধিকারী ৷ আর তিনি
    এর ব্যাখ্যা করেছেন যে তার মুখমণ্ডল ছিল বেশ বড় এবং তার চক্ষুদ্বয় ছিল ডাগৱ ডাগৱ ৷

    তিনি এর ব্যাখ্যা করেছেন, দীর্ঘ ডাগৱ চক্ষু এবং শীর্ণ গোড়ালির অধিকারী ৷ অর্থাৎ তার
    গোড়ালী ছিল অমাংসল ৷ আর পুরুষের দেহগঠনে এটাই অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ ও সুন্দর ৷

    হারিছ ইবন আবু উসামা আবদুল্লাহ্ ইবন বকরের সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মদীনায় আগমনকালে উষ্মে সুলায়ম আমার হাত
    ধরে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ আনাস ! লিখক বালক, সে আপনার থেদমত করবে ৷ তিনি
    (আনাস) বলেন, এরপর আমি নয় বছর তার খিদমত করেছি, কিন্তু আমার কৃত কোন কাজ
    সম্পর্কে তিনি একথা বলেননি, তুমি মন্দ করেছ; বা তুমি কি মন্দ করেছ ৷ আর আমি কখনও
    তার হাতের চাইতে কোমল কোন রেশমী কাপড় ইত্যাদি স্পর্শ করিনি এবং রাসুলুল্পাহ্
    (না)-এর দেহের সুঘ্রাণের চাইতে উত্তম কোন মিশক বা আম্বরের ঘ্রাণ গ্রহণ করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ রাসূল (সা)- এর মুখমণ্ডল ও সৌন্দর্যের বিবরণ, তার দাত, কপাল, ভুরু, চোখ ও নাকের গঠন সৌন্দর্যের বর্ণনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.