সাধারণত আযানের পর শুধু দুআ পড়া হয়। দরূদ পড়া হয় না। তাই আমরা ঐভাবে আমল করতাম। একদিন এক আলোচনা মজলিসে আমার ভাই বলল যে, আযানের পর দরূদ পড়তে হয় এরপর দুআ। জানার বিষয় যে, কোনটি সঠিক? বরাতসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
আযানের পর দুআর পূর্বে দরূদ পড়ার কথা হাদীসে আছে। সহীহ মুসলিমের এক বর্ণনায় এসেছে, (অর্থ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা.-এর মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আযানের সময় মুয়াযযিন যা বলে উত্তরে তোমরা তা বল। অতঃপর আমার উপর দরূদ পড়। যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পড়বে তার উপর আল্লাহ তাআলা ১০টি রহমত অবতীর্ণ করেন। এরপর আল্লাহর কাছে আমার জন্য ‘ওছিলা’ লাভের দুআ কর। কারণ ওছিলা হল জান্নাতের এক সুউচ্চ মর্যাদা, যা শুধু একজনই পাবে। আমি আশা করি সে ব্যক্তি আমি হব। যে ব্যক্তি আমার জন্য ওছিলা’ লাভের দুআ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।’- সহীহ মুসলিম ১/১৬৬
সুতরাং আযানের দুআর আগে দরূদ পড়ার আমলটিই সঠিক।
সুনানে আবু দাউদ ১/৭৭; শরহুত তাহযীব ৩/১২৪; শরহুন নুকায়া ১/১৩৪; রদ্দুল মুহতার ১/৩৯৮
সম্পর্কিত পোস্ট:
কখনো কখনো আমি মাসবুক হই। কিন্তু ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর- এক ব্যক্তি ফরয নামাযে রত বন্ধুকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে সে
- আমাদের এলাকায় মশা খুব বেশি। ঘুম থেকে উঠে অনেক সময়
- লঞ্চ, ফেরী ইত্যাদিতে জুমার নামায পড়ার বিধান কী? যদি জুমার
- আমার মাঝে মাঝে এমন হয় যে, ফজরের সময় মসজিদে গিয়ে
- আমি একদিন মিরপুর এক মসজিদে মাগরিবের নামায পড়েছি। ইমাম সাহেব
- আমাদের বাসা ও মসজিদ পাশাপাশি অবস্থিত। মসজিদের বারান্দায় একটি সাউন্ডবক্স
- আমার বয়স তেইশ বছর। আমি নিয়মিত নামায পড়ি। কিন্তু মাঝে
- কখনো আমি নামাযে মাসবুক হই। নামায শেষে ভুলক্রমে ইমামের সাথে
- একজন বললেন, যদি ফরয বা ওয়াজিব নামায কাযা হয়ে যায়
- কখনো এমন হয় যে আমি যোহরের নামাযের নিয়তে জায়নামাযে দাঁড়াই
- আমার বড় ভাই একজন ভালো হাফেয। সে রীতিমতো দৈনিক সকাল-বিকাল
- উমরা পালন করার সময় তাওয়াফের দুই রাকাত ওয়াজিব নামায তওয়াফের
- আমি একটি বইয়ে পড়েছি, বিতরের নামাযে দুআ কুনূতের পর দরূদ
- আমরা জানি যে, আযানের মধ্যে ‘হাইয়াআলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়াআলাল ফালাহ
- আমার জামায় একদিন কিছু রক্ত লাগে। তখন জামাটি আমি পানি
- একদিন আমার ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দেয়। ওর মা
- আমার বাড়ি মসজিদের একপাশে এবং মসজিদের আরেক পাশে বাজার। তাই
- দাড়িয়ে নামায পড়া কষ্টকর হলে নামাযের ভিতরে বসে যাওয়া
- জনশ্রুতি আছে যে, হযরত বেলাল রা. আযানে ‘আশহাদু’-এর শীনকে ছীন-এর
- মশার রক্ত মিশ্রিত কাপড় পরে নামায পড়া
- একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি সূরা-কিরাত, তাসবীহ-দুআ ইত্যাদি কতটুকু জোরে পড়বে
- আমার দাদী খুবই অসুস'। বসেও নামায পড়তে পারেন না। এখন
- এক ব্যক্তি এক রাকাতে ভুলে তিনটি সিজদা করে এবং সাহু
- এক ব্যক্তি মাগরিবের ফরযের মধ্যে এক রাকাতে সূরা কুরাইশ ও
- নামাযে সুতরা কেমন হতে হবে? রুমাল বা জায়নামাযকে সুতরা হিসেবে ব্যবহার করা
- একদিন আসরের নামাযের তৃতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব তিনটি সেজদা করে
- কারো যদি আইয়ামে তাশরীকের কোনো নামায কাযা হয়ে যায় এবং
- নামাযে তাশাহুদের পরিবর্তে সূরা ফাতেহা পড়ে ফেলা
- নামাযে ভুলে তাশাহহুদের স্থলে সূরা ফাতেহা পড়ে ফেললে করনীয়