প্রশ্ন
হুজুর! রমযান আসলে দেখা যায় অনেকেই সালাতুত তসবীব নামায পড়ে ৷ আসলে এ নামাযে কথা হাদীসে আছে কি না? থাকলে তার হুকুম কি? এনামাযের ফযিলত কি? এবং পড়া সঠিক নিয়ম কি? যদি বিস্তারিত বলতেন!
উত্তর
সালাতুত তসবীহ নামায হল নফল ৷ পারলে দৈনিক একবার নয়ত প্রতি জুমায় একবার, নয়ত প্রতি মাসে একবার, নয়ত জীবনে একবার পড়া উচিত ৷ উক্ত নামায সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত ৷ কারণ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্নিত ৷ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাঃ বলেছেন, হে আব্বাস! হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আপনাকে দান করব না? আপনার কাছে আসব না? আমি কি আপনার নিকট দশটি ভাল গুন বর্ননা করব না? যা করলে আল্লাহ আপনার আগে পিছনে, নতুন পুরাতন, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, ছোট বড়, প্রকাশ্যে গোপনে কৃত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন? আর সে দশটি ভাল গুন হল, আপনি চার রাকাত নামায পড়বেন ৷ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহা ও অন্য সূরা পড়বেন৷ প্রথম রাকাতে যখন কেরাত শেষ করবেন তখন দাড়ানো অবস্থায় ১৫ বার পড়বেন,
سبحان الله والحمد لله و لا اله الا الله و الله اكبر
( উচ্চারন: সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার)
এর পর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় ১০ বার পড়বেন৷ এরপর রুকু হতে দাড়াবেন ৷ দাঁড়িয়ে ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন ৷( প্রথম) সিজদায় ১০ বার পড়বেন । এরপর সিজদা হতে উঠে ( বসা অবস্থায়) ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন ৷ ( দ্বিতীয় ) সিজদায় ১০ বার পড়বেন । (দ্বিতীয় ) সিজদা হতে উঠে বসা অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এহল, এক রাকাতে ৭৫ বার। এভাবে আপনি চার রাকাতেই পড়বেন ৷ যদি আপনি প্রতিদিন পারেন তাহলে করুন,না হয় প্রতি জুময়ায় একবার,নতুবা প্রতিমাসে একবার, আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে জীবনে একবার ৷
-আবু দাউদ শরীফ, হাদীস: ১২৯৭; ইবনে মাজাহ,হাদীস: ১৩৮৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস: ১২১৬৷
সালাতুত তসবীহ এর হাদীসে বর্নিত উক্ত নিয়মটি ই সর্বোত্তম ৷ সুতরাং এ নিয়মেই পড়া উচিত ৷ অবশ্য কেরাতের পুর্বে ১৫ বার তাসবীহ পড়ার নিয়মে পড়লেও নামায আদায় হয়ে যাবে ৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
سبحان الله والحمد لله و لا اله الا الله و الله اكبر
( উচ্চারন: সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার)
এর পর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় ১০ বার পড়বেন৷ এরপর রুকু হতে দাড়াবেন ৷ দাঁড়িয়ে ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন ৷( প্রথম) সিজদায় ১০ বার পড়বেন । এরপর সিজদা হতে উঠে ( বসা অবস্থায়) ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন ৷ ( দ্বিতীয় ) সিজদায় ১০ বার পড়বেন । (দ্বিতীয় ) সিজদা হতে উঠে বসা অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এহল, এক রাকাতে ৭৫ বার। এভাবে আপনি চার রাকাতেই পড়বেন ৷ যদি আপনি প্রতিদিন পারেন তাহলে করুন,না হয় প্রতি জুময়ায় একবার,নতুবা প্রতিমাসে একবার, আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে জীবনে একবার ৷
-আবু দাউদ শরীফ, হাদীস: ১২৯৭; ইবনে মাজাহ,হাদীস: ১৩৮৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস: ১২১৬৷
সালাতুত তসবীহ এর হাদীসে বর্নিত উক্ত নিয়মটি ই সর্বোত্তম ৷ সুতরাং এ নিয়মেই পড়া উচিত ৷ অবশ্য কেরাতের পুর্বে ১৫ বার তাসবীহ পড়ার নিয়মে পড়লেও নামায আদায় হয়ে যাবে ৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত
মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
সালাতুল তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম মিজানুর রহমান আজহারী
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম
সালাতুত তাসবিহ আল কাউসার
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও সূরা
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত