
যদি মাতা স্বচ্ছল এবং পিতা অস্বচ্ছল হন; তাহলে দরিদ্র ছেলেকে বিয়ে করানো কি মায়ের উপর ওয়াজিব?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি ছেলের বিয়ের প্রয়োজন থাকে এবং তার কাছে বিয়ে করার মত অর্থ না থাকে সেক্ষেত্রে ছেলেকে বিয়ে করানো পিতার উপর আবশ্যক; যদি পিতা সামর্থ্যবান হন। কেননা খরচ বহনের দায়িত্বের মধ্যে বিয়ে করানো অন্তর্ভুক্ত।
আল-মিরদাবী হাম্বলি “আল-ইনসাফ” নামক গ্রন্থে (৯/২০৪) বলেন: “কোন ব্যক্তির উপর যাদের খরচ বহন করা ওয়াজিব (বিয়ের মাধ্যমে) তাদের চরিত্র পবিত্র রাখাও তার উপর ওয়াজিব। উদাহরণতঃ পিতাগণ, দাদাগণ, ছেলেগণ এবং ছেলেদের ছেলেগণ প্রমুখ যাদের খরচ বহন করা তার উপর ওয়াজিব। এটাই মাযহাবের সঠিক অভিমত। এটা ও এর প্রশাখাগত মাসয়ালাগুলো (হাম্বলি) মাযহাবের একক অভিমত।”[সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: “বিয়ে মানুষের তীব্র প্রয়োজন। কখনও কখনও হতে পারে এর প্রয়োজন পানাহারের মত। এ কারণে আলেমগণ বলেছেন: কোন ব্যক্তির খরচ চালানো যার উপর আবশ্যক তাকে বিয়ে করানোও তার উপর আবশ্যক; যদি তার সম্পদ বিয়ের খরচ দেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়। তাই ছেলেকে বিয়ে করানো পিতার উপর ওয়াজিব; যদি ছেলের বিয়ের প্রয়োজন হয় এবং ছেলের কাছে বিয়ে করার মত অর্থ না থাকে। কিন্তু আমি এমন কিছু পিতার কথা শুনেছি যারা তাদের যৌবনকালের কথা ভুলে গেছেন। যখন ছেলে তার কাছে বিয়ের কথা বলে তখন বাবা জবাব দেন যে, ‘তুমি তোমার পরিশ্রমের অর্থ দিয়ে বিয়ে কর’। এটি নাজায়েয। এটি তার জন্য হারাম হবে যদি সে ব্যক্তি ছেলেকে বিয়ে করানোর সক্ষমতা রাখে। অচিরেই কিয়ামতের দিন নিজের ছেলে তার বিরুদ্ধে বিচার দিবে; যদি ছেলেকে বিয়ে করানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি ছেলেকে বিয়ে না করান।”[মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (১৮/৪১০), ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম (পৃষ্ঠা ৪৪০-৪৪১)] আর যদি পিতা অস্বচ্ছল হন এবং মা স্বচ্ছল হন: তাহলে ছেলেকে বিয়ে করানো মায়ের উপর অনিবার্য হবে। তবে পরে কি ছেলের মা যে অর্থ খরচ করেছেন ছেলের পিতার কাছে সে অর্থ দাবী করবেন; নাকি করবেন না? এ নিয়ে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন: “মায়ের খরচ বহন করা আবশ্যক এবং ছেলের খরচ বহন করাও মায়ের উপর আবশ্যক; যদি ছেলের বাপ না থাকে। এটি ইমাম আবু হানিফা ও শাফেয়ির অভিমত…।
আর যদি পিতা অস্বচ্ছল হন তাহলে মায়ের উপর খরচ বহন করা ওয়াজিব। বাবা যদি পরে স্বচ্ছল হন তখন মা তার কাছে এ সম্পদ দাবী করতে পারবেন না।
আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ বলেন: দাবী করতে পারবে।
আমরা বলব: রক্তের সম্পর্কের কারণে যার উপর খরচ চালানো ওয়াজিব সে পরবর্তীতে এটি দাবী করতে পারবে না; যেমন- পিতা।[আল-মুগনি (৮/২১২)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।