তবে কিছু প্ৰতিশোধ আমি নািয়ছি ৷ আমার এখানে আগমনের যতাটুকু আশা করেছিলাম তার
পুরোটা অর্জিত হয়নি ৷
এ প্ৰসংপে ইবন ইসহাক আরো বহু কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ দীর্ঘ হয়ে যাওয়া এবং বিরক্তি
সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় আমরা সেগুলো বাদ দিলাম ৷ যা আমরা উা:ল্লখ করেছি তা ২ ন্যথেষ্ট হবে ৷
ইবন ইসহাক তার গ্রন্থে যতগুলো কবিত ৷ উল্লেখ করেছেন উমাভী তার মাগাযী গ্রন্থে তার চেয়ে
অধিক কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ত তার নিয়ম এটাই ছিল ! তার উল্লেখিত কবিতাগুলো থেকে
হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) এর একটি কাবত তা আমরা নিম্নে উল্লেখ করছি ৷ উহুদ যুদ্ধ
সম্পর্কে হযরত হাসৃসান (রা) বলেছেন :
ওর৷ তো শয়তানের আনুগত্য করেছে ৷ শয়তান তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছে ৷
ফলে লাঞ্চুন৷ ও সাহসহীনতা তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷
ওরা আবু সুফিয়ানের সাথে সমস্বরে যখন চীৎকার করেছিল তখনত তারা বলেছিল, হুবল
প্রতিমা র জয় হোক ৷
তখন আমরা সকলে সমস্বরে ওদের জবাব দিয়ে বলেছি “আমাদের দয়াময় প্রতিপালক
সর্বোচ্চ সুমহান ৷
দাড়াও, তোমরা অতি স শ্হুব মৃত কৃপ থেকে তিক্ত পানি পান করবে ৷ মৃত্যু তাে প্রথম বার
পান করইি ৷
া’
জেনে রাখ যে, মৃত্যু ঘোড়ার পাতিল ভর্তি করে যখন তা ফুণ্টানাে হয় তখন ওই পাতিল
টগবগ করে ফুটতে থাকে ৷
আবদুল্লাহ ইবন যাবআরীর কবিতার উত্তরে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা) যে কবিতা
বলেছিলেন উপরোক্ত পংক্তিগুলো ওই কবিতার অংশ বিশেষ ৷
অধ্যায় : উহুদ যুদ্ধ সম্পর্কে শেষ কথা
তৃতীয় হিজরীতে সংঘটিত ঘটনাবলী ও যুদ্ধ বিগ্রহ সম্পর্কে আমরা ইভােপুর্বে আলোচনা
করেছি ৷ ওই সব ঘটনার মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ঘটনা হল উহুদ-যুদ্ধের ঘটনা এটি সংঘটিত
হয়েছিল ৩য় হিজৰীর শাওয়াল মাসের মধর্টভাগে ৷ এর বিস্তারিত বিবরণ পুরুর্কী দেওয়া হয়েছে ৷
সকল প্ৰশ সা আল্লাহ্র ৷
ঐ যুদ্ধে আবুইয়ালা (রা) ও শহীদ হন ৷ তাকে আবু উমারাও বলা হতো ৷ ওই যুদ্ধে আল্লাহর
সিংহ এবং রাসুলের সিংহ উপাধিপ্রাপ্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চাচা হামযা (রা ) শহীদ হন ৷ হযরত
হামযা (বা) এবং আবু সালামা ইবন আবদ্যু৷ আসাদ দুজনই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধ ভাই ছিলেন ৷
আবু লাহাবের দামী ছুওয়ায়বা তাদের তিনজনকে স্তন্যদান করেছিলেন ৷ বুখারী ও মুসলিমের হাদীছ
দ্বারা তা প্রমাণিত ৷ এই তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় যে, হযরত হামযা (রাঃ যে দিন শহীদ হন যে
দিন তার বয়স পঞ্চাশ অতিক্রম করেছিল ৷ তিনি ছিলেন সাহসী বীর এবং প্রথম কাতারের
সিদ্দীক ৷ সেদিন তিনি সহ ৭০ জন সাহাবী (রা) শহীদ হন ৷ ওই বছরই রাসুলের কন্যা হযরত
উছমানের শ্রী রুকইিয়া (রা) ইনতিকাল করেন এবং তার ইনতিকালের পর হযরত উছমান (রা)
রাসুল-কন্যা উম্মু কুলছুম (রা)-কে বিবাহ করেন ৷ এই আক্দ সম্পন্ন হয় তৃভীয় হিজরী সনের
রবীউল আওয়াল মাসে ৷ তাদের বাসর সম্পন্ন হয় ওই বছর জুমাদাল উখৃরা মাসে ৷ বিষয়টি
ইতোপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
ইবন জারীর বলেছেন, তৃতীয় হিজরীতে আলী ও ফাতিমা (রা)এর পুত্র হাসানের জন্ম হয় ৷
ওই বছরই ফাতিমা (রা) হুসায়নকে গর্ভে ধারণ করেন ৷
হিজরী চতুর্থ সন
এ বছর মুহাররম মাসে আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ আবু তৃলায়হা আসাদীর নেতৃত্বে
একটি অভিযান প্রেরিত হয় ৷ তারা “কাতান নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন ৷ এ প্রসংগে
ওয়াকিদী বলেন, উনার ইবন উছমান বর্ণনা করেছেন, সালামা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন
আবুসালামা প্রমুখ থেকে ৷ তারা বলেছেন যে , হযরত আবু সালামা উহুদ যুদ্ধে ৎশ নিয়েছিলেন ৷
যুদ্ধে তিনি বাহুতে প্রচণ্ড আঘাত পান ৷ এক মাস ষাবত চিকিৎসা চলে ৷ হিজরতের ৩৫ মাসের
মাথায় মুহাররম মাসে রাসুলুল্লাহ (মা) তাকে ডেকে বললেন, এই অভিযান নিয়ে তুমি বের হও ৷
আমি তোমাকে ওদের নেতা মনোনীত করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে পতাকা বেধে দেন ৷ তিনি
বললেন, নির্ধারিত মুজাহিদদেরকে নিয়ে তুমি যাত্রা কর ৷ বনু আসাদ গোত্রে পৌছে তোমরা
ওদেরকে আক্রমণ করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবুসালামা এবং তার সাথীদেরকে তাকওয়া অবলম্বন
ও সৎ কাজের উপদেশ দিলেন ৷ ১৫০ জন মুজাহিদ নিয়ে আবু সালামা “কাতানে শিবির স্থাপন
করেন ৷ সেটি ছিল বনু আসাদ গোত্রের একটি জলাশয় ৷ ওখানে অবস্থান করছিল শত্রুপক্ষ
থুওয়াইলিদের পুত্রদ্বয় তৃলায়হা আসাদী এবং তার ভাই সালামা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে বনু আসাদ গোত্রের সকল মিত্র গোত্রকে একত্রিত করেছিল ৷ ওদেরই একজন লোক
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপ ত হয়ে তৃলায়হা ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ
তাকে জানায় ৷ ওই লোকের সাথেই তিনি আবু সালামার নেতৃত্বে অভিযান প্রেরণ করেন ৷
মুসলিম বাহিনী ওখানে পৌছার পর শত্রুপক্ষ ভয় পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায় ৷ তারা বহু
ধন-সম্পদ ফেলে যায় ৷ তার মধ্যে ছিল উট, বকরী ইত্যাদি ৷ আবুসালামা (রা) ও তার সাথীগণ
ওইসব ধন-সম্পদ দখল করে নেন ৷ তারা তিনজন ক্রীতদাসকে বন্দী করেন ৷ শত্রুপক্ষ পালিয়ে
যাওয়ার পর দলবলসহ আবুসালামা (রা) মদীনায় দিকে ফিরতি যাত্রা করেন ৷ আসাদ গোত্রের যে
ব্যক্তি গোপন সংবাদ জানিয়েছিল গনীমতের সাল থেকে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ তাকেও দেওয়া হয় ৷