সময় নাজাশীর আশ্রয়ে আবিসিনিয়ায থাকতেন) ৷ সংবাদ পেয়ে তারা নাজাশীর দরবারে
উপস্থিত হন ৷ নজােশী তখন ঘরের মধ্যে পুরনো কাপড় পায়ে ফরাশ ছাড়া মাটিতে বসা
ছিলেন ৷ জাফর বলেন নাজাশীকে এ অবস্থায় দেখে আমরা তড়কে পেলাম ৷ আমাদের
চেহারায় ভীতির লক্ষণ দেখে তিনি বললেন আমি তােমাদেরকে এমন একটা সুসংবাদ দেব, যা
তোমাদের আনন্দ দান করবে ৷ তারপর বললেন, তোমাদের :দশ থেকে আমার এক গুপ্তচর
এসে বলেছে, আল্লাহ্ তার নবীকে সাহায্য করেছেন ৷ নবীর শত্রুদেরকে ধ্বংস করেছেন ৷ অমুক
অমুক বন্দী হয়েছে এবং অমুক অমুক নিহত হয়েছে ৷ পীল বৃহ্মে ঘেরা বদর উপত্যকায় তারা
শত্রুদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ৷ আমার চোখের সামনে যেন ঐ উপত্যকাটি ভাসছে ৷ কারণ,
এক সময় আমি সেখানে বনুযামরার আমার এক মুনীবের উট চরত্যেম ৷ জাফর (রা) বললেন,
আপনার কী হয়েছে ? পুরনো কাপড় গায়ে ফরাশ ছাড়া খালি মাটির উপরে বসে আছেন কেন ?
নজােশী বললেন, ঈস৷ (আ)-এর প্রতি অবতীর্ণ কিভাবে আমরা দেখেছি যে, বান্দ৷ যখন
আল্লাহর কোন নিআমতের কথা মানুষকে শুনাবে, তখন তার উচিত বিনয়েয় সঙ্গে শুনানাে ৷
আল্লাহ যেহেতু তার নবীকে সাহায্য করার সুযােপ আমাকে দিয়েছেন তাই আমি তার জন্যে
এরুপ বিনয় ভাব অবলম্বন করেছি ৷
অনুচ্ছেদ
বদরের বিপর্যয়ের সংবাদ মক্কায় পৌছল
ইবন ইসহাক বলেন : হায়সুমান ইবন আবদুল্লাহ থুযাঈ বদরে কুরায়শদের বিপর্যয়ের
ৎবাদ নিয়ে সর্বপ্রথম মক্কায় পৌছে ৷ লোকজন তার নিকট জিজ্ঞেস করল, ওখানকড়ার সংবাদ
কী ? সে বলল০ : উত্বা ইবন রাবীআ , শায়বা ইবন রাবীআ, আবুল হাকাম ইবন হিশাম,
উমাইয়৷ ইবন থালফ্, যামআ ইবন আসওয়াদ, নাবীহ, মুনাব্বিহ্ এবং আবুল বুখতারী ইবন
হিশাম এরা সকলেই নিহত হয়েছেন ৷ হায়সুমান যখন নিহত কুরায়শ নেতাদের নাম একে
একে বলে যাচ্ছিল, তখন সাফওয়ান ইবন উমাইয়৷ বলল, এ লোকটির যদি জ্ঞানবুদ্ধি ঠিক
থাকে, তবে ওকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর দেখি তখন তারা হায়সুমানকে জিজ্ঞেস করল
আচ্ছা সাফওয়ান ইবন উমা ইয়ার স০ বাদ কি ? হায়সুমান বলল, এই যে সে ৫৩ ত৷ হাতীমের মধ্যে
বসা আছে ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার পিতা ও ভাইকে নিহত হতে ৩দেখেছি ৷ মুসা ইবন উকবা
বলেন০ বদরে পরাজয়ের স০ বাদ যখন মক্কায় পৌছল, তারা এর সত্যতা যাচাই করে দেখল ৷
এরপর মহিলারা তাদের মাথার চুল কেটে ফেলল এবং অনেক সওয়ারীও ঘোড়ার পা কেটে
দিল ৷ কাসিম ইবন ছাবিত রচিত দ ৷লায়েল গ্রন্থের বরাতে সুহায়লী উল্লেখ করেছেন০ : বদরের
যুদ্ধ চলাকালে মক্কাবাসীর৷ শুনতে পায়, এক অদৃশ্য জিন বলে যাচ্ছে :
(কবিতা)
এ ১
মক্কার হ নীফী বলে দাবীদার কুরায়শরা বদর রণ ৎগনে এমন এক ঘটনার সমম্মুখীন হল,
যার প্রভাবে অচিরেই কিসরা ও কায়সারের সিং হাসন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ৷
সে ঘটনা লুআই বংশীয় পুরুষদেরকে ধ্বংস করে দিল, আর লজ্জাশীল মহিলারা বেরিয়ে
এসে অনুশোচনায় বুক চাপড়াতে থাকল ৷
বড়ই দুর্তাগা সে যে মুহাম্মদের শক্রতে পরিণত হয়েছে ৷ সুপথের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে সে
জুলুম করেছে ও হতাশায় ভুগছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন ও হুসাইন ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের আযাদকৃত দাস ইকরিমা
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত দাস আবু রাফি’ বর্ণনা করেছেন,
আমি আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবের গোলাম ছিলাম ৷ আব্বাস পরিবারে ইসলামের প্রবেশ
ঘটল ৷ ফলে আব্বাস তার শ্রী উম্মুল ফযল ও আমি ইসলাম গ্রহণ করি ৷ আব্বাস তার
সম্প্রদায়কে ভয় করতেন, তাদের বিরোধিতা অপসন্দ করতেন এবং নিজের ইসলাম গ্রহণের
ব্যাপারটা গোপন করে রাখতেন ৷ তিনি ছিলেন অগাধ সম্পদের মালিক ৷ নিজ সম্প্রদায়ের
লোকদের মাঝে তার মাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ আবু লাহাব বদর যুদ্ধে নিজে অংশগ্রহণ না
করে তার স্থলে আস ইবন হিশাম ইবন মুপীরাকে প্রেরণ করে ৷ এ ভাবে কুরায়শদের মধ্যে যারা
স্বয়ং যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি, তারা নিজেদের স্থলে একজন করে লোক পাঠায় ৷ এরপর বদর
যুদ্ধে কুরায়শদের গোচনীয় পরাজয়ের সংবাদ যখন মক্কায় পৌছে, তখন আল্লাহ আবু লাহড়াবকে
লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেন ৷ পক্ষান্তরে আমরা অন্তরে শক্তি ও মর্যাদা অনুভব করি ৷ আবু রাফি
বলেন, আমি ছিলাম দুর্বল প্রকৃতির লোক ৷ আমার পেশা ছিল তীর বানান ৷ যমযম কুপের পাশে
একটি র্তাবুতে বলে আমি তীর ৰানাবার কাঠ চাছতাম ৷ একদিন আমি সেখানে বসে তীর
বানানোর কাজ করছিলাম ৷
উম্মুল ফযল তখন আমার কাছে বসা ছিলেন ৷ বদর যুদ্ধের সংবাদ পেয়ে আমরা
আত্মতৃপ্তিবোধ করছিলাম ৷ এমন সময় আবু লাহড়াব খুব খারাপ অবস্থায় দু’পা টেনে-হেচড়িয়ে
সেখানে আসলাে এবং র্তাবৃর একটি টানা রশির কাছে আমার পিঠের দিকে পিঠ ফিরিয়ে
বসলো ৷ আবু লাহাবের বসার কিছুক্ষণ পর লোকেরা বলল, এই তো আবু সুফিয়ান তার
আসল নাম ছিল মুগীরা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব১ এসে গেছে ৷ তখন আবু লাহাব
তাকে বলল, আমার কাছে এলো! তুমি তো সব খবরই জান ৷ সে আবু লাহাবের কাছে গিয়ে
বসলো ৷ আর সব লোক পাশে দাড়িয়ে থাকল ৷ আবু লাহাব তাকে বলল, ভাতিজা! সেখানকার
ঘটনা কী খুলে বল ! সে বলল, আল্লাহর কসম৷ ঘটনা আর বেশী কিছু না ৷ আমরা যখন
মুসলমানদের মুকাবিলায় গেলাম , তখন মনে হল যেন আমরা আমাদের গর্দান তাদের হাতে
সপে দিয়েছি ৷ আর তারা যেমন ইচ্ছা আমাদের কচুকাটা করেছে এবং যেমন ইচ্ছা আমাদের
বন্দী করেছে এতদসত্বেও আল্লাহ্র কসম, আমি আমাদের লোকদের তিরল্কার করি না ৷ কারণ,
আমরা তখন আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে ধুসর বর্ণের ঘোড়ার উপর অসংখ্য শুভ্র রঙের সৈন্য
দেখেছি ৷ আল্লাহর কসম, তারা কাউকে ছাড় দেয়নি এবং কেউ তাদের সামনে টিকতে পারেনি ৷
১ ইনি সে মশহুর কুরায়শ নেতা আবুসুফিয়ান নন ৷
আবু রাফি’ বলেন, আমি হাত দিয়ে র্তাবুর রশি উচু করে বললাম, আল্লাহর কসম , তারা তো
ছিলেন ফেরেশতা ৷ এ কথা বলংতই আবুলাহাব আমার মুখে এক থাপ্পড় মারলাে ৷ আমিও তার
উপর ক্ষেপে উঠলাম ৷ এরপর সে আমাকে উপরে তুলে ধরে মাটিতে আছাড় মারলাে এবং
আমার বুকের উপর বসে আমাকে আঘাত করতে লাগলো ৷ আমি ছিলাম দৈহিক দিক দিয়ে
দুর্বল এ সময় উম্মুল ফযল র্তাবুর একটি খুটি তুলে নিয়ে আবু লাহাবের মাথায় আঘাত করেন ৷
এতে তার মাথা গুরুতরভাবে যখম হয় ৷ উম্মুল ফযল আরও বললেন, আবু রাফি’র মুনীর
এখানে নেই বলে তাকে দুর্বল ভেবেছ ? এরপর আবু লাহাব সেণ্ ৰুস থেকে লাঞ্ছিতঅপমানিত
হয়ে চলে গেল ৷ আল্লাহর কসম, এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তার শরীরে এক প্রকার ফোস্কা
(বসন্ত) ওঠে এবং তাতেই সে সাত দিনের মধ্যে মারা যায় ৷
ইবন ইসহাক থেকে ইউনুস আরো বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র তাকে
দাফন না করে তিন দিন পর্যন্ত ফেলে রাখে ৷ লাশে পচন ধরে ৷ ক্রায়শরা বসন্ত রোগকে প্লেগ
রোগের মত ভয় পেত ৷ অবশেষে জনৈক কুরায়শী আবু লাহাবের পুত্রদ্বয়কে বললাে ৷ তোমরা
কি হভ্রভাগ্য নির্লজ্জ! তোমাদের পিতার লাশ ঘরের মধ্যে পচে যাচ্ছে ৷ অথচ তোমরা তাকে
দাফন করছ না ৷ তারা বলল, এই রোগ ছেদ্বয়াচে বলে আমাদের ভয় হচ্ছে ৷ সে বলল, তোমরা
চল, আমি তোমাদের সহযোগিতা করব ৷ আল্লাহ্র কসম, তারা লাশের কাছেও গেল না,
গোসলও করলে না; বরং দুর থেকে পানি ছিটিয়ে দিল ৷ এরপর মক্কার উচ্চ ভুমিতে নিয়ে একটি
প্রাচীরের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখে ৷ ইউনুস ইবন ইসহাকের সুত্রে হযরত যুবায়র থেকে
বর্ণনা করেন যে, অইিশা (রা) আবু লাহাবের এই বাড়ি অতিক্রমকালে কাপড় দ্বারা নিজেকে
ভালভাবে আবৃত করে নিতেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আমাকে ইয়াহ্ইয়া ইবন আব্বাদ বলেছেন, কুরায়শরা তাদের নিহত
লোকজনের জন্যে কিছু দিন বিলাপ করে ৷ পরে এ কথা বলে লোকেদের বিলাপ করতে ধারণ
করে যে, মুহাম্মদ ও তার সাথীরা জানতে পারলে তােমাদেরকে ভর্মুসনা করবে ৷ তারা
কুরায়শদেরকে আরও বলে দিল যে, মুসলমানদের সাথে যোগাযোগ না হওয়া পর্যন্ত বন্দী যুক্ত
করার জন্যে কাউকে মদীনায় পাঠিও না ৷ তা না হলে মুহাম্মদ ও তার সাথীরা মুক্তিপণের
পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেবে ৷ বন্তুত এটা ছিল তাদের উপর আল্লাহর দেয়া শাস্তির চুড়ান্ত অবস্থা ৷
অর্থাৎ নিহতদের জন্যে র্কাদা ও পােকতাপ প্রকাশ বন্ধ রাখা ৷ কেননা, মৃত ব্যক্তির জন্যে
কান্নাকাটি করলে গোকাহত ব্যক্তির হৃদয় অনেকটা শান্ত হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন : বদর যুদ্ধে
আসওয়াদ ইবন যুত্তালিবের তিন পুত্র নিহত হয় ৷ তারা হল যামআ, আকীল ও হারিছ ৷ সে তার
পুএদের শোকে কান্নকােটি করতে চাচ্ছিল ৷ সে এরুপ চিন্তা-ভাবনা করছিল এমন সময় গভীর
রাতে এক গোকাহত নারীর বিলাপধ্বনি তার কানে ভেসে আসে ৷ আসওয়াদ ছিল অন্ধ ৷ তাই
সে তার এক ভৃত্যকে বলল, যাও তো দেখে এসো উটচ্চ৪স্বরে বিলাপ করার অনুমতি দেয়া
হয়েছে কি না ? জেনে এসো, কুরায়শরা তাদের নিহতদের উপর বিলাপ করছে কিনা : তা হলে
আমিও আবু হাকীমা অর্থাৎ যামআর জন্যে ৰিলাপ করবো ৷ কেননা, আমার কলিজা জ্বলে
গেছে ৷ রাবী বলেন, ভৃত্য ফিরে এসে তাকে জামাল : এক মহিলা তার উট হারিয়ে যাওয়ায় এ
ভাবে ৰিলাপ করছে ৷ এ কথা শুনে আসওয়াদ একটি কবিতা আবৃত্তি করলো :
এফ্তে
ঐ মহিলা কি এ জন্যে ৰিলাপ করছে যে, তার একটা উট হারিয়ে গিয়েছে এবং এ ভাবে
বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে দিচ্ছে ? একটা জওয়ান উট হারানাের জন্যে এরুপ ৰিলাপ কর না ৷ বরং
বদরের ঘটনার জন্যে ৰিলাপ কর ৷ সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ৷
তুমি ৰিলাপ কর বদরে নিহত নেতাদের জন্যে; অর্থাৎ বনু হাসীস, বনু মাখবুম ও আবুল
ওয়ালীদের সন্তানদের জন্যে ৷
যদি তুমি ৰিলাপ করতে চাও, তবে আবু আকীল ও বীরা:শৃষ্ঠ হারিছের জন্যে ৰিলাপ কর ৷
এদের সকলের জন্যে তুমি ৰিলাপ করতে থাক, বিলড়াপে বিরতি দিও না ৷ আর আবু
হাকীমার (যামআ) সাথে তো কারও তুলনাই হয় না ৷
জেনে রাখ, ওদের মৃত্যুর পর এমন সব লোক নেতা হয়েছে, যদি বদরের যুদ্ধ সংঘটিত না
হত, তবে এরা কখনও নেতা হতে পারত না ৷
অনুহেদ
কুরায়শ যুদ্ধবন্দীদের মুতিপণ আদায়
ইবন ইসহাক বলেন £ বদর যুদ্ধের বন্দীদের মধ্যে একজন ছিল আবু ওয়াদ্দাআ ইবন
যাবীরাতুস সাহ্মী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, মক্কায় তার এক ছেলে আছে ৷ যে খুব চতুর,
ব্যবসায়ী ও সম্পদশালী ৷ মনে হয় সে তার পিতাকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে
তোমাদের কাছে আসবে ৷ কুরায়শরা যখন বলাবলি করছিল যে, তোমরা বন্দীদের ছাড়াবার
জন্যে খুব তাড়াহুড়া করবা না ৷ তা হলে মুহাম্মদ ও তার সংগীরা যুক্তিপণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
দেবে, তখন মুত্তালিব ইবন ওয়াদাআ (রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর পুর্বকথিত সেই ছেলেটি) বলল,
তোমরা ঠিকই বলেছ, তাড়াহুড়া করা যাবে না ৷ কিত্তু এ কথা বলে সে নিজেই রাতের আধাবে
মক্কা থেকে বেরিয়ে মদীনায় এসে চার হাযার দিরহামের বিনিময়ে তার পিতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে
চলে যায় ৷
এই ওদড়াআ হচ্ছে প্রথম বন্দী যাকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়ান হয় ৷ এরপর কুরায়শরা
তাদের বন্দীদের মুক্ত করাবার জন্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তিপণ পাঠাতে থাকে ৷ তখন মিকরায ইবন
হাফ্স ইবন আখয়াফ সুহায়ল ইবন আমরের যুক্তির ব্যাপারে আসলো ৷ তাকে বনু সালিম ইবন
আওফ গোত্রের মালিক ইবন দাখশাম বন্দী করেছিল ৷ এ প্রসঙ্গে সে নিম্নের স্বরচিত কবিতা
আবৃত্তি করল চ্