তারপর তার ভাষণে তিনি বললেন, “আমার পরে তোমরা এমনভাবে কাফির দলে পরিণত
হয়ে যেয়াে না, যে, তোমাদের একে অন্যের ণদান উড়াতে শুরু করবে ৷” আহমদ (র) এ
হড়াদীসখানা গুনদার ও ইবন মাহ্দী (র) হতেও ঐ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ৰুখারী ও
মুসলিমও হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেন, ইবন ৰুমায়র (র)
জাবীর (রা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, সােকদের নিরব থাকতে বল’ এর পরে
ষ্ এখন যা
দেখতে পাচ্ছি তারপরে যেন আমাকে এমন অবগত হতে না হয় যে, তোমরা কাফির দলরুপে
প্রত্যাবর্তীত হয়ে একে অন্যের গদান উড়াতে শুরু করেছ ৷ নাসাঈ (র) ও আবদুলাহ্ ইবন
নুমায়র (র)-এর বরাতে এটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নাসাঈ (র) আরো বলেছেন, হানৃনাদ
ইবনৃস সারী (র)সুলায়মান ইবন আমৃর (র) তীর পিতা (আমৃর) হতে, তিনি বলেন,
বিদায় হচ্ছে আমি নবী করীম (সা) কে বলতে শুনেছি, লোক সকল ! (তিনবার) “এটি কোন
দিন ? র্তারা বললেন, প্রধান হব্বজ্জ্বর দিন ৷ নবী করীম (না) বললেন, “সুতরাং তোমাদের জান-
মাল ও ইজ্জত তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম ও পবিত্র, যেমন তোমাদের এ দিনটি পবিত্র
তোমাদের এ নগরীতে ৷
“কোন অপরাধী পিতার অপরাধে তার পুত্র অপরাধী হবে ! শয়তান তোমাদের
এ নগরে পুজা পাওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গিয়েছে ; তবে অচিরেই এমন কিছু কিছু আমলে
তার আনুগত্য হয়ে যাবে, যেগুলিকে তোমরা তুচ্ছ মনে করবে, তাতে তার মনস্তুষ্টি হবে ৷
শোনা জাহিলী যুগের সব সুদ রহিত করা হচ্ছে ; তোমরা তোমাদের মুলধন পেয়ে যাবে,
তোমরা যুলুম করবে না, আবার যুলুমের শিকারও হবে না ৷ হাদীসটি তিনি আনুপুর্বিক বর্ণনা
করেন ৷
আবু দাউদ (র)ৰুএর অনুচ্ছেদ : যারা দশ তারিখে খুতবা ও ভাষণ দেয়ার মত ঘোষণা
করেছেন হারুন ইবন আবদুল্লাহ (র) হিরসাম ইবন যিরাদ আল-বাহিলী (র) সুত্রে বলেন,
কুরবানীর দিন মিনার আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার আয্বা’ উটনীর উপরে লোকদের
উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখেছি ৷” আহমদ ও নাসাঈ (র)-ওৰিভিন্ন সুত্রে অনুরুপ রিওয়ড়ায়াত
করেছেন তিনি বলেন, “আমার পিতা আমাকে সহ-আরোহী করেছিলেন ৷ তখন আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে দেখলাম কুরবানী দিবসে মিনার তার আযবা’ উটনীর উপরে লোকদের উদ্দেশ্যে
ভাষণ দিতে ৷ ”-এ ভাষ্য আহমদ (র)-এর এবং এটি র্তার মুসনাদ’-এর ছুলাহী’ (তিন
মাধ্যমযুক্ত) হাদীস ৷
যাবতীয় হড়াম্দ আল্লাহ্রই জন্য ৷ তারপর আবু দাউদ (র) বলেন, সৃআম্মাল ইবনুল ফাযল
আল্ হাবৃরানী (র)আবু উমামা (বা) সুত্রে বালাছন,আমি দশ তারিখে মিনার রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর অজ্যিাষণ শুনেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রহমান (র)আবু উমামা
(বা) সুত্রে বলেন, আমি ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শৃনেছি ; আর সে দিন তিনি জাদআ’ (কান
কর্তিত) উষ্টীর উপরে পা-দানীতে তার দু-পা রেখে লোকদের গােনাবার উদ্দেশ্যে উচু হচ্ছিলেন ৷
তিনি তার উচৈচস্বরে বললেন, “তোমরা শুনতে পাচ্ছ কী? তখন একজন সাধারণ
লোক বলল, ইয়৷ রাসুলুল্পাহ্ ! আপনি আমাদের কা ছে কী অং গীক৷ ৷র নিচ্ছেন ? তিনি বললেনন্
“তোমাদের প্ৰতিপালকের ইবাদাত করবে, তোমাদের পাচবারেৱ সালাত আদায় করবে,
তোমাদের (রমযান) মাসের সিয়ম পালন করবে এবং আদিষ্ট হলে আনুগত্য করবে, তবেই
তোমাদের প্ৰতিপালকের জন্নাতে প্রবেশ করতে পারবে ৷ ” আমি (সুলায়ম) বললাম, তখন
আপনি কার মত ছিলেন ? তিনি বললেন, আমার বয়স তখন ত্রিশ বছর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
কাছে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উটের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে তাকে কিছুটা হারিয়ে দেয়ার প্রয়াস
পেতাম ৷ ” আহমদ (ব) হাদীসটি যায়দ ইবনুল হুৰাব (র) হতেও ঐ সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তিরমিষী (র) হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন মুসা ইবন আবদুর রহমান আলু-কুফী (র)
সুত্রে তিনি এটাকে হাসানসহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবুল মুগীরা (র)আবু উমামা আল বাহিলী (রা)-এর বরাতে
বলেন, বিদায় হাজ্জ্বর সময় প্রদত্ত তার ভাষণে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আমি বলতে
“আল্লাহ প্রত্যেক হকদারকে তার হক ষ্ও অধিকার নির্ধারিত করে দিয়েছেন, অতএব,
কোনও ওয়ারিছেৱ জন্য ওসিয়াত করা (বৈধতা) নেই ৷ সন্তান আইন সম্মত স্বামীর এবং
ব্যাভিচারীব জন্য পাথর (প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু), তাদের প্রকৃত হিসাব নিকাশ অ ৷ল্লাহ্র যিম্মায় ৷ যে
ব্যক্তি তার পিতা ব্যতীত অন্য কারো সাথে বংশ সুত্র দাবী স্থাপন করে, কি০ বা যে, গোলাম
তার মনিব ব্যতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক দাবী করে তার উপরে কিয়ামাত পর্যন্ত আল্লাহর
লাপাত৷ র অভিশাপ ৷ কো ন নারী তা ৷র স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে তার স সার থেকে খরচ
করবে না ৷ ” তখন কেহ বলল, ইয়া৷ র ৷সুলুল্লাহ্! খাব৷ র জিনিসও নয় ? তিনি বললেন,
গ্রাফো ৷ “তা তাে আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
—
“ধারে ণ্নয়৷ বস্তু পত্যাপর্তন্যযাগ্য, দুধ গানের জন্য দানের পশু প্রত্যাহারযােগ্য; ঋণ
, আদায় অপরিহার্য এবং যামিন (ক্ষতিপুরণের) যিম্মাদার ৷” চার সুনান গ্রন্থের সৎকলকগণ এ
হাদীসটি ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ (র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিষী (র) একে
হাসান বলে মন্তব্য করেছেন ৷
বু দাউদ (র)-এর অনুচ্ছেদ শিরোনাম ? কুরবানী দিবসে খুত্ব৷ প্রদানের সময় আবদুল
ওযাহ্হাব ইবন আবদুৱ রাহীম আদ্ দিমাশকী (র)রাফি ইবন আমর আলু মুযানী (রা)