ছিল, যেমন অজ্ঞাত ছিল অইিশা (রা)-এর বর্ণনা প্রদানের আগে অন্যান্য নবী সহধর্মিনীণণের
অনেবেল্ম কাছেও ৷ অবশ্য র্তারাও পরে আইশা (রা)-এর সংগে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন ৷
আর আবু বকর সিদ্দীক (বা) কতৃর্ক বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে ফাতিমা (বা) তাকে মিথ্যা
কথনের অভিযোগ দেবেন এমনঢিও কল্পনা করা যায় না ৷ ফাতিমা ও আবু বকর (রা) উভয়ই
এমন পারস্পরিক অবিশ্বাসের অবস্থান হতে অনেক অনেক উর্ধে ৷ আর তা কী করে হতে পারে,
যখন নাকি এ হাদীস বর্ণনায় আবু বকর (রা)-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন উমর
ইবনুল খাত্তাব, উছমান ইবন আফ্ফান, আলী ইবন আবু তালিব ৷ আব্বাস ইবন আবদুল
মুত্তালিব, আবদুর রহমান ইবন আওফ, তাল্হা ইবন উৰায়দুল্লাহ, যুবায়র ইবনৃল আওয়াম,
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, আবু হুরায়র৷ ও আইশা রাযিয়াল্লাহু আনহুমের ন্যায় বিশিষ্ট
সাহাবীণণ (বিবরণ ণরে আসছে) ৷ অথচ সিদ্দীক (বা) এ হাদীসটি একাকী বর্ণনা করলেও
তার বিওয়ায়াত গ্রহণ করা এবং ৎশ্রিষ্ট বিষয়ে তীর আনুগত্য করা গোটি৷ ৰিশ্ববাসীর জন্য
অপরিহার্য হত ৷ আর যদি ধরে নেয়া হয় যে, ফাতিমা (বা) তার দাবীকৃত তুসম্পত্তি মীরাছ না
হয়ে সাদাকা সাব্যস্ত হওয়ার কথা আমার পরেও তার স্বামীকে সে সম্পত্তির তত্তুাবধায়ক
(যুতাওয়ড়াল্লী) নিয়ােগের আবেদন করেছিলেন এবং তা গৃহীত না হওয়াই ছিল তার অসন্তুষ্টির
কারণ, তবে তো আবু বকর (বা) যে বিযয়ও তার অপারণতা প্রকাশ করেছিলেন ৷ তার
বক্তব্যের সার কথা ছিল এই যে, যেহেতু তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) এর খলীফা ও
স্থালাভিষিক্ত, তাই তিনি মনে করেন যে, ঐ সব ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (না) যে কর্তব্য সম্পাদন
করতেন (পদাধিকারী হিসাবে) তা সম্পাদন করা এবং রাসুলুল্লাহ যে দায়িতৃ বহন করতেন তা
বহন করা তীর জন্য অপরিহার্য ৷ এ কারণেই তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ্র কসম! তাতে
রাসুলুল্পাহ (না) যা কিছু সম্পাদন করতেন তার কােনটিই সম্পাদন করা আমি ত্যাগ করব না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তখন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ফাতিমা (রা) তীর সাথে বাক্যলাণ বন্ধ রাখেন ৷
বর্ণিত পরিস্থিতিতে তার এ সম্পর্কাচ্ছদ বাতিল পন্থী রাফিযী উপদলের জন্য বিশাল অকল্যাণ
ও অপরিসীম অজ্ঞতার দুয়ার খুলে দেয়া এবং এ কারণেই তারা অর্থহীন বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে ৷
অথচ তারা বিষয়টি যথাযথ অনুধাবনে সচেষ্ট হলে অবশ্যই তারা সিদ্দীক (রা)-এর মাহাত্ম্য
উপলব্ধি করতে সক্ষম হত এবং র্তার সে ওযর মেনে নিতে স্বীকৃত হত যা গ্রহণ করা
প্রত্যেকের জন্যই অপরিহার্য ৷ কিন্তু ওরা তো আল্লাহর সাহায্য বর্জিত পরিত্যাক্ত ও প্রত্যাখ্যাত
উপদল যারা ঘুতড়াশাবিহ (সাদৃশ্যতাপুর্ণ জঢিলতম বিষয়) এর পশ্চাতে ধাবিত হয়ে সে
মুহ্কাম (সুস্পষ্ট সুনিশ্চিত) বিষয় বর্জন করে যা সাহাবী-তাবিঈন (বা) হতে শুরু করে সব
যুগের ন্যায় পন্থী মহান বিদ্বান মনীষীবর্পের পসন্দীয় ও সর্বজন স্বীকৃত অভিমত ৷
আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর বর্ণিত হা ৷দীসের সংগে হাদীস সৎকলকবৃন্দের
একাত্মত৷ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়৷ ত ৷দের রিওয়ায়াতের বিবরণ
বুখারী (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন বুকায়র (র) ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
মালিক ইবন আওস ইবনুল হাদাছান (র) আমাকে হাদীস অবহিত করেছেন ইতোপুর্বে
মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন মুতইম (র) মালিক (র) বণিতি এ হাদীসের কিছু উল্লেখ আমার
কাছে করেছিলেন ৷ তাই আমি চলতে চলতে মালিক ইবন আওস (র) এর নিকটে পৌছে তাকে
হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন, আমি চলতে চলতে উমর (রা)এর নিকটে
পৌছে গেলাম ৷ তখন তার একান্ত সচিব ইয়ারফা (রা) এসে বললেন, আপনি কি উছমড়ান,
আবদুর রহমান ইবন আওফ, যুবায়র ও সাদ (রা)-কে প্রবেশের অনুমতি দেবেন ? তিনি
বললেন, হী ৷ তাদের অনুমতি দেয়া হলে পরে ইয়ারফা (রা) আবার বললেন, আপনি কি আলী
ও আব্বাস (রা)-কে প্রবেশানুমতি দেবেন? তিনি বললেন, হী ৷ আব্বাস (রা) বললেন,
আমীরুল মুমিনীন ! আমার ও এর (আলীর) মাঝে মীমাংসা করে দিন ৷ উমর (রা) বললেন,
(উপস্থিত সকলকে লক্ষ্য করে) আমি আপনাদের সে আল্লাহর দােহইি দিচ্ছি যীর হুকুমে
আসমড়ান-যমীন দাড়িয়ে আছে, (আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমরা
মীরাছ রেখে যাই না, আমরা না রেখে যইি তা সাদাকা ৷ এতে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) নিজেকে
বুঝাতে চেয়েছেন? সমবেত দলটি বলল, তিনি তো বলেছেনই ৷ তখন উমর (রা) আলী ও
আব্বাস (রা) এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনারা দু’জনও জানেন কি যে রাসুলুল্লাহ (সা)
এরুপ বলে গিয়েছেন? র্তীরা বললেন তিনি তো বলেছেনই ৷ এবার উমর ইবনৃল থাত্তার (বা)
বললেন, এখন আমি আপনাদের সামনে বিষয়টির বিবরণ উপস্থাপন করছি ৷ আল্লাহ পাক এ
ফায়’ (সন্ধি-লব্ধ শত্রু সম্পদ)-এ রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য বিশেষ অধিকার ৎরক্ষিত
রেখেছিলেন যা অন্যদের তিনি প্রদান করেন নি ৷ তিনি ইরশাদ করেছেন-
“আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তার রড়াসুলকে যে ফায়’ দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা
ঘোড়া কিৎবা উটে চড়ে যুদ্ধ কর নি; আল্লাহ তো যার উপর ইচ্ছা তার রড়াসুলদের কতৃতৃ দান
করেন ৷ আল্লাহ সব বিষয় সর্বশক্তিমড়ান (৫৯ : ৬) ৷ যেটিকথা, তা ছিল আল্লাহর রাসুল (সা)-
এর একান্ত (খাস) অধিকার ৷ আল্লাহ্র কসম ! তিনি তা আপনাদের বাদ দিয়ে কুক্ষিগত করেন
নি এবং তাতে আপনাদের উপরে প্রাধান্য বিস্তার করেন নি ৷ বরং তিনি তা আপনাদের দান
করেছেন এবং আপনাদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ৷ পরে এ সম্পত্তি অবশিষ্ট রয়ে গেলে তা
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যক্তিগত অধিকারে ছিল ৷ এর আয় উৎপাদন দিয়ে তিনি নিজের
পরিবারবর্গের সারা বছরের খরচ দিতেন ৷ তার পরে অবশিষ্ট অংশ নিয়ে আল্লাহর মালের
প্রয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার ইনতিকাল পর্যন্ত এভাবে আমল করে
গিয়েছেন ৷ আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে আপনাদের বলছি ! আপনারা কি তা (অবগত রয়েছেন?
তার! বললেন, ত্মী হী ! পরে আলী ও আব্বাস (রা)-কে বললেন, আপনাদের দুজনকে আল্লাহ্র
কলম দিচ্ছি! আপনারা কি তা জানেন ? তার! বললেন, জী হী উমর (রা) বলে চললেন পরে
আল্লাহ তার নবীকে ওফাত দান করলে আবু বকর (রা) (খলীফা মনোনীত হয়ে) বললেন,
আমি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর উত্তরাধিকারী তত্ত্ব!বধায়ক ৷
তাই তিনি তা স্বীয় কর্তৃত্বে গ্রহণ করে তাতে তদ্র্যপ কার্য পরিচালনা করলেন যেমনটি
রাসুলুল্লাহ (সা) করেছিলেন ৷ তারপর আল্লাহ আবু বকর (রা)-কে মৃত্যু দান করলে আমি
বললড়াম, যে, আমি আল্লাহর রাসুল (সা)-এর উত্তরাধিকারীর উত্তরাধিকারী তত্ত্বড়াবধানকারী ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াংমােজ্যো৪ : ৭৩
আমিও তাই দুবছর যাতে তা স্বীয় কর্তৃত্বে রেখে তাতে তেমন কাজই করলাম যেমন
করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এবং আবু বকর (রা) ৷ তারপরে আপনারা দুজন আমার কাছে
এলেন ৷ তখন আপনাদের বক্তব্য ছিল অভিন্ন এবং আপনাদের ব্যাপার ছিল সমন্বিত ৷
অবশেষে আপনি (আব্বাসী) এসেছিলেন আমার কাছে, আপনার ভাতিজা (রাসুল সা ) হতে
আপনার প্রাপ্য অৎহৃ শের দাবী নিয়ে; আর ইনি (আলী) এসেছিলেন আমার কাছে, তার ত্রীর
পিতা হতে প্রাপ্য অংশে র দাবী নিয়ে ৷ আমি বলেছিলাম, আপনারা দু’জন চাইলে আমি তা
(তত্ত্ববেধানের জন্য) আপনাদের হাতে তুলে দেব ৷ এখন আপনারা আমার কাছে অন্য কোন
মীমা০ সার আবদার নিয়ে এসেছেন?! তবে, যে আল্লাহ্র হুকুমে আসমান-যমীন স্থির থাকে তার
কসম! কিয়ামত কায়েম না হওয়া পর্বত ও বিষয়ে অন্য কো ন সিদ্ধান্তের ফয়সালা আমি দেব
না ৷ আপনারা যদি (যথাযথ কর্তব্য পালনে) অপারগ হয়ে থাকেন তবে তা আমাকে প্রত্যর্পণ
করুন! আমি আপনাদের জন্য যথার্থ কর্ম সম্পাদন করে যার ৷ বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
বিভিন্ন স্থানে এবং মুসলিম (র) ও অন্যান্য সুনান গ্রন্থ সং কলকবৃন্দ যুহ্রী (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের রিওয়ায়াত রয়েছে, উমর (রা) বললেন, আবু
বকর (রা) তার (সে সম্পত্তির) দায়-দায়িতৃ গ্রহণ করে তাতে তেমনই খাতে ব্যয় করলেন
যেমনটি রাসুলুল্লাহ (সা) করেছিলেন ৷ আর আল্লাহ জানেন যে, তিনি ছিলেন স৩ ব্লব,াদী
পুণ্যবান, কল্যাণকামী ও ন্যায় পন্থা র অনুসারী ৷
তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে আগমন করলে আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ
করলাম, যেন আপনারা তাতে তেমনই আমল করেন যেমন আমল করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (মা)
ও আবু বকর এবং যেমন আমল করেছিলাম আ ৷মি ৷ আল্লাহর নামে আপনাদের কসম দিয়ে
বলছি, আমি যে রুপেই তা আপনাদের কাছে অর্পণ করেছিলাম কি ? তারা বললেন, জী হা !
তারপর উমর (রা) আবার তাদের বললেন, আ ৷মি আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে বলছি, ঐ শর্তেই
আমি তা আপনাদের হাতে অপ্নি করেছিলাম কি ? তারা বললেন, জী হ৷ ! উমর (রা) বললেন,
এখন কি আপনারা আমার কাছে অন্য কো ন মীমাং সার আবদার করছেন ? না, যার হুকুমে
দাড়িয়ে থাকে আসমা ৷ন ও যমীন তার কসম! (তা হবে না) ইমাম আহমদ (র) বলেছেন,
সৃফিয়ান (র) মালিক ইবন আওস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন
আওফ, তালহা, যুবায়র ও সাদ (রা)-কে উদ্দেশ্য করে উমর (রা) কে আমি বলতে ওনছি,
আপনাদের আমি কসম দিচ্ছি, সে আল্লাহ্র কসম ! আসমানযমীন দাড়িয়ে থাকে র্ষার হুকুমে !
আপনারা কি অবগত রয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমরা মীরাছ রেখে যাই না;
আমরা যা রেখে যাই তা (হবে) সাদাকা” ? তারা বললেন, জী, ই৷ ! এটি সহী গ্রস্থদ্বয়ের শর্তে
উত্তীর্ণ ৷
মন্থকা রের মন্তব্যং তত্ত্ব ৷বধানের দায়িত্ব তাদের হাতে সমর্পিত হওয়ার পরেও তাদের
প্রার্থিত বিষয় ছিল তত্ত্ব ৷বধানের কর্তব্যটি তা ৷দের হাতে তুলে দেয়৷ ৷ অর্থাৎ তাদের প্রত্যেককে
আইনগত ওয়ারিছ ও উত্তরাধিকারী ধারে নেয়া হলে যে পরিমাণ সম্পত্তিতে তার অধিকার
সাব্যস্ত হত যে হারে তত্ত্বাবাধানের দায়িতু তাদের মধ্যে ভাগ করে দেয় ৷ সম্ভবত এ বিষয়
সুপারিশ করার জন্য তারা উছমড়ান, ইবন আওফ, তালহা, যুবায় ও না দ (রা) প্রমুখ সাহাবীকে
আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ বন্তুত তত্তুাবধানের দায়িত্ব যৌথভা ৷বে থাকায় তাদৈর মাঝে
চরম বিরোধ দেখা দিয়েছিল ৷৩ তাই, তাদের আগে পাঠানো সাহাবীগণ বললেন, হে আমীরুল
মু মিনীন! এদের দুজনের মাঝে ফয়সাল৷ করে দিন কিংবা এদের এক জনকে অন্য জন হতে
শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিন ৷ কিন্তু উমর (রা) রড়াসুলুল্পাহ (সা) এর বাণী, “আমরা মীরাছ
রেখে যাই না, যা রেখে যাই তা সাদাকা এর মর্ম বাস্তবায়ন করার জন্য মীরাছ বণ্টানর স গে
সাদৃশ্যপুর্ণ হয়, যদিও তা বাহ্য দৃষ্টেই হোক, তেমনভাবে তা’ বন্টন করে দিতে তিনি কুণ্ঠাবােধ
করলেন ৷ ত ই, তিনি তাদের সকলের সুপারিশ অগ্রাহ্য করলেন এবং তাদের প্রস্তাবে সায়
প্রদানে দৃঢ়তার স০ গে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ৷ (আল্লাহ তার প্ৰতি সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাকে
সন্তুষ্ট করুন ) এরপরও আ নৌ ও আব্বাস (বা) তাদের পুববিস্থায় বহাল রইলেন এবং উছমান
(বা) এর খিলাফত কাল পর্যন্ত সম্মিলিত ভাবে তত্ত্ব ৷বধান কাজ পালন করতে থাকলেন ৷ পরে
আলী (বা) তাতে নিজের প্রধান বিস্তার করলেন এবং উছমান (বা) এর উপস্থিতিতে আব্বাস
(বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ (বা) এর ইৎগিতে বিষয়টি আ ৷লী (বা) এর হাতে ছেড়ে দিলেন ৷
যেমনটি আহমদ (র) জার ঘুসনাদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে তা আলী বংশীয়দের অধিকারই
থেকে যায় ৷ মসনাদৃশং০ ৷ড়ায়খায়ন নামক পুস্তকে আ ড়ামি দুই প্রবীণ সাহাবী (শায়খায়ন) আবু
বকর ও উমর (রা) সুত্রে বর্ণিত হড়াদীসসমুহের স০ কলনে এ হাদীসের সব বর্ণনাসুএ ও তায্যের
আপা গোড়া সন্নিবেশিত করেছি ৷
আল্লাহ্র শুক্র যে, রাসুলুল্লাহ (না) থেকে এ দু’জনের সুত্রে বর্ণিত হাদীস যথার্থ কার্যকর
ফিক্হ সম্বলিত এদের অভিমত সং গ্রহ করে আমি এদের প্রতেদ্রকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ও বেশ
মোটা স০ কলন স০ গ্রহ করছি এবং তা বর্তমানের প্রচলিত ফিক্হী বর্ণনা ধারায় বিন্যস্ত
করেছি ৷
আমরা পুর্বেই রিওয়ড়ায়ড়াত করে এলেছি যে, প্রথম দিকে ফা ৷তিমা (বা) কিয়াস’ এবং মীরাছ
সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের ব্যাপক ভিত্তিক আয়াত দিয়ে জ ৷র ৷দাবীর অনুকুলে প্রমাণ উপস্থাপন
করেছিলেন ৷ তখন আবু বকর সিদ্দীক (বা) জড়াকে জবাব দিয়েছিলেন এ নিষেধাজ্ঞাটি ছিল নবী
করীম (না)-এর জন্য খাস ৷ ফাতিমা (বা) আবু বকর (রা)-এর বক্তব্য স্বীকার করে
নিয়েছিলেন ৷ আর ফাতিমা (রা)-এর প্রতি অনুরুপ ধারণা পোষণ করাই সষীচীন ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আবু সালামা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা (বা)
আবু বকর (বা)-ফে বললেন, আপনি মারা গেলে কারা আপনার ওয়ারিছ হবে? আবু বকর (বা)
বললেন, আমার সন্তান ও পরিবারবর্গ ৷ ফাতিমা (বা) বললেন, তা হলে আমরা রাসুলুল্লাহ
(সা) এর মীরাছ পাচ্ছি না কেন? তখন আবু বকর (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি
বলতে শুনেছি, : “নবী কাউকে ওয়ারিছ বানান না ৷”
তবে, রাসুলুল্লাহ (সা) যাদের দায়-দায়িতু বহন করতেন আমিও তাদের দায়-দায়িতৃ বহন
করব, এবং রাসুলুল্পাহ (সা) যাদের ব্যয় নির্বাহ করতেন আমিও তাদের ব্যয় নির্বাহ করব ৷
তিরমিযী (র) ও তার জা ড়ামি’ গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত ৩করেছেন মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্না (র)
আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে ৷ তিনি স০ যুক্ত সনদে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য
করেছেন, হাদীসটি একক সুত্রীয় হসােন-সহীহ ৷
তবে ইমাম আহ্মদ (র)-এর বর্ণিত অন্য একটি হাদীস, যাতে তি নি ব ণো ছেশ্৷ , আবদুল্লাহ
ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু শায়বা (র) আবৃততুফারল (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে ফাতিমা (বা) আবু বকর (বা) এ র কাছে সংবাদ
পাঠালেন ৷ আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওরারিছ হয়েছেন, বাকি তার পরিবার বর্গ? আবু
বকর (বা) বললেন, না, (আমি নই ) বরং তার পরিবার বর্গ ৷ ফাতিমা (বা) বললেন, তবে,
রাসুলুল্লাহ (সা) (হতে প্রাপ্য আমার) অংশ কোথায়? তখন আবু বকর (বা) বললেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি,
“আল্লাহ যখন কোন নৰীকে কোন ভাগ্য বিনয় ভোগ করান এবং পরে র্তাকে তুলে নেন তখন
সে দায়িতু স্থলবর্তীর উপর অর্পণ করেন ৷ ” সুতরাং আমি মনে করছি যে, তা মুসলমানদের স্বার্থে
প্রতার্পিত করব ৷ তখন ফাতিমা (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে আপনি যা শুনেছেন তা
আপনিই ভাল জানেন ? আবু দাউদ (র) ও উছমান ইবন আবু শায়বা (র) সুত্রে অনুরুপ
রিওরারাত করেছেন ৷ এ হাদীছের ভাষ্য বিরলতাদৃষ্ট ও প্ৰত্যাখ্যানযােগ্য ৷ সম্ভবত কোন রাবী
তার উপলব্ধিগত অর্থকে নিজস্ব তাবায় শব্দরুপ দিয়েছেন এবং রাবীদের মাঝে শিয়া মতবাদের
প্রতি অনৃরক্ত কেউও থাকতে পারেন ৷ বিষয়টি অনুসন্ধান যোগ্য ৷ এ বর্ণনার উত্তম অংশ হচ্ছে
ফাতিমা (বা)এর উক্তি, “আপনি রাসুলুল্লাহ (সা) হতে যা শুনেছেন, তা আপনিই ভাল বুঝেন ৷”
কেননা, ফাতিমা (রা)-এর ন্যায় মহিয়ষী , বিদুষী, ধর্মপরারণা ও নবী-তনরাব জন্য এরুপ জবাব
দানই সংপত এবং র্তার সম্পর্কে এমন উন্নত ধারণাবই সমীচীন ৷
তবে, এরপরে তিনি জর স্বামী (আলী)-কে এ সাদাকা-সম্পত্তির তত্ত্বাববায়ক নিয়োগের
আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু পুরুবাল্লিখিত কারণে আবু বকর (বা) তার এ আরেদনে সাড়া দিতে
পারেন নি ৷ এতে তিনি আবু বকর (রা)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন ৷ বলা বাহুল্য, তিনিও
আদম সন্তানের নড়ারীকুলের অন্যতমা নারী; দুঃখ ণ্বদনার উর্ধে কোন অতিমানবী নন ৷ বরং
অন্যরা যেমন দুঃখিত বাথিত হয়, তিনিও তেমনিই ৷ তিনি তো আর নিস্পাপ থাকার গ্যারান্টি
প্রাপ্ত নন ৷ বিশেষত: রাসুলুল্লাহ (সা) এর বাণী এবং তাতে আবু বকর (বা) এর সাথে
বিরুদ্ধাচরণের পরেও ৷
তবে আবু বকর (বা) সম্পর্কেও আমাদের কাছে রিওয়ায়াত রয়েছে যে, ফাতিমা (বা) এর
মৃত্যুর আগে তাকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা আবু বকর (বা) চালিয়েছিলেন এবং তিনিও তাতে
সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷ হড়াফিয আবু বকর বড়ায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন
ইয়াকুব (র) শাবী (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ফাতিমা (বা) ব্রোণাক্রাত হলে আবু বকর
সিদ্দীক (বা) তীর কাছে এলেন এবং অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷ আলী (বা) বললেন, হে
ফাতিমা ! এই যে আবু বকর (বা) তোমার কাছে অনুমতি চাচ্ছেন ৷ ফাতিমা (বা) বললেন,
আমি জকে অনুমতি দেই তা কি আপনি পসন্দ করেন ? আলী (রা) বললেন, হী , তখন ফাতিমা
(বা) তাকে অনুমতি দিলেন এবং তিনি প্রবেশ করলেন ৷ আবু বকর (বা) ফাতিমা (বা) কে তুষ্ট
করার প্ৰরাসে বললেন, আল্লাহ্র কসম ! আমি আমার বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ ও পরিবার-
সমাজ সব কিছু পরিত্যাগ করেছি শুধু আল্লাহ্র রিযামন্দী এবং তার রাসুলের সন্তুষ্টির জন্যে
এবং যে নবী পরিবার আপনাদের তুষ্টির জন্যে ৷ এভাবে তিনি বলতে থাকলেন, (পর পর্যন্ত
ফাতিমা (রা) সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন ৷ এ সনদ বেশ সরল ও উত্তম ৷ রলারাহুল্য (তাঘিঈ) আমির
আশ-শাবী (র) এ ঘটনা আলী (রা)এর নিকটে সরাসরি শুনে থাকবেন কিংবা আলী (রা)-এর
কাছে শুনেছেন এমন কারো মাধ্যমে শুনে থাকবেন ৷ অন্য দিকে, আহড়ালে বায়তের আলিমপণও
এ ব্যাপারে আবু বকর (রা)-এর সিদ্ধান্তের যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছেন ৷ যেমন, হাফিয
রায়হাকী (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আলু হড়াফিয (র) ফুমায়ল ইবন মারবুক (ব)
সুত্রে বনর্না করেন ৷ তিনি বলেন, মায়দ ইবন আলী ইবনুল হুসড়ায়ন ইবন আলী ইবন আবু
তালির (র) বলেন, আমিও যদি আবু রকরের স্থানে হতাম তার কাদাক’ ভমি বিষয় আবু বকর
(রা) যেরুপ স্থিদ্ধাম্ভ প্রদান করেছিলেন আমিও তন্ধ্রপ সিদ্ধাম্ভই প্রদান করতাম ৷
রাফিষী শিয়াদ্বেয় অপব্যাখ্যার খণ্ডন
রড়াফিযী মতালঘিরা এ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা প্রসুত ব্যক্তব্য উপস্থাপন করেছে ৷ তারা এমন বিষয়
নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে যে সম্পর্কে তাদের ৰিন্দুমাত্র অবপতি নেই এবং তাদের অজ্ঞাত
বিষয়ের যথার্থ উপলব্ধি ও তার প্রকৃত ব্যাখ্যার অবপতি না থাকার কারণে সরাসরি বিষয়টিকেই
মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে ৷ এভাবে তারা নিজেদের ঠেলে দিয়েছে অর্থহীন কর্মকাণ্ডে এবং
অবশেষে উপড়ায়ত্তর না দেখে তাদের কেউ কেউ এ যুক্তি উত্থাপন করে আবু বকর (রা) কতৃর্ক
বর্ণিত হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ এই বলে যে, তা কুরআনের তায্যের পরিপন্থী ৷ যেহেতু
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন ৩ড্রুা১ গ্লু ;প্রুঠু ত্র-দুঃড্রু এবং সুলায়মান হয়েছিল দাউদের
উত্তরাধিকারী (২৭ : ১৬) ৷ আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন, রাকারিয়্যা (আ) এর দৃআর
প্রসঙ্গে ৷ যাকারিয়্যা (আ) বলেছিলেন,
“সুতরাং তুমি দান কর আমাকে তোমার নিকট হতে উত্তরাধিকারী, যে আমার উত্তরাধিকারিতু
করার এবং উত্তরাধিকারিতৃ করবে ইয়াকুবের বংশের ; এবং হে আমার প্রতিপালক! তাকে
করবে সন্তোবভাজন পসন্দনীয় (১৯ ও ৫৬) ৷ (রাফিযীদের বক্তব্যের তার কথা হলো এ সব
আয়াত নবীর সন্তান, নবীর ওয়ারিছ উত্তরাধিকারী হওয়া প্রতিপন করে) ৷
কিন্তু তাদের এ সব যুক্তি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বাতিল ও অসার ৷ প্রথমত আয়াতে
উল্লিখিত যীরাছ ও উত্তরাধিকার আমাদের আলোচ্য উত্তরাধিকার নয় ৷ বরং এবং সুলায়মান
উত্তরাধিকারী হল দাউদের আয়াতে উত্তরাধিকার বলতে নবুয়ড়াত ও রান্থীয় ক্ষমতা বুঝানো
হয়েছে ৷ অর্থাৎ পিতা দাউদ (আ) এর পরে পুত্র সৃলায়মান (আ)-ফে রাজকীয় ক্ষমতা ও
প্রজাপড়ালন এবং বনী ঈসরাঈলের মাঝে শাসন পরিচালন কর্তৃত্বে অভিষিক্ত করা হল এবং
পিতার ন্যায় তাকেও নবুয়্যাতের মহান মর্যাদার ভুষিত করা হল ৷ পিতাকে যেমন রাজতৃ ও
নবুয়্যাত এ উতয়বিদ ক্ষমতা ও মযদািব অধিকারী করা হয়েছিল, পিতার পরে পুত্রের জন্যও
তদ্রাপই করা হল ৷ সুতরাং এখানে সম্পদের উত্তরাধিকারীৎ উদ্দিষ্ট নয় ৷ £কননা অনেক
মুফাসৃসিরের বর্ণনা মতে দাউদ (আ)-এর সন্তান সংখ্যা ছিল বিশাল কারো কারো মতে প্রায়
একশ ৷ কাজেই সম্পদের উত্তরাধীকারিতু উদ্দিষ্ট হলে দাউদ (আ)এর এত সন্তানের মধ্য হতে
একমাত্র সুলায়মানের নাম উলেখ করা হয়ে কোন যুক্তিতে ? বরং আঘাতের লক্ষ হচ্ছে দাউদ