প্রশ্ন
আমরা হজ্বের বিভিন্ন বইয়ে পড়েছি , ইহরাম
করার আগে দুই রাকাত নফল নামায পড়া সুন্নাত।
কিন্তু কিছুদিন আগে এক ভাই থেকে শুনলাম , ইহরামের আগে কোনো নামায নেই। বরং তা বিদআত। কথাটি শোনার পর বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা কী ? দলীল প্রমাণসহ জানতে চাই।
করার আগে দুই রাকাত নফল নামায পড়া সুন্নাত।
কিন্তু কিছুদিন আগে এক ভাই থেকে শুনলাম , ইহরামের আগে কোনো নামায নেই। বরং তা বিদআত। কথাটি শোনার পর বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা কী ? দলীল প্রমাণসহ জানতে চাই।
উত্তর
একাধিক হাদীসে নামাযের পর ইহরাম করার কথা এসেছে। অতএব ফরয নামায আদায় করলে
এরপর ইহরাম করবে নতুবা ইহরামের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ে এরপর ইহরাম করবে। এটিই সুন্নত। সহীহ বুখারীতে আছে , উমর রা. বলেন , আকীক নামক স্থানে
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
বলতে শুনেছি , আজ রাতে আমার রবের পক্ষ থেকে আগমনকারী (অর্থাৎ জিবরীল আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন , এই বরকতময় স্থানে নামায পড়ুন এবং বলুন , আমি হজ্বের সাথে উমরার ইহরাম করলাম। সহীহ বুখারী , হাদীস ১৫৩৪৷
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
হজ্বের বিবরণ সম্বলিত হাদীসগুলোতেও
আছে ,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যুলহুলাইফাতে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ইহরাম
করেছিলেন। দেখুন সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৮৪ ; জামে তিরমিযী , হাদীস ৮১৯৷ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে এক বর্ণনায় স্পষ্টভাবে এসেছে , তিনি
বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যুলহুলাইফার মসজিদে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ঐ
মজলিসেই হজ্বের ইহরাম করেছিলেন। সুনানে আবু দাউদ , হাদীস ১৭৭০ ; মুসতাদরাকে হাকেম , হাদীস ১৬৯৯৷ প্রকাশ থাকে যে , এই মাসআলায় চার মাযহাবের সিদ্ধান্ত এক ও অভিন্ন। ইমাম নববী রাহ. “ আল
মাজমূ শরহুল মুহাযযাব ” লিখেছেন, ইহরাম করার
সময় দুই রাকাত নামায পড়া উত্তম। এ ব্যাপারে সবার
ঐকমত্য রয়েছে। আলমাজমূ ৭/২৩২৷
সুতরাং ইহরামের পূর্বের নামাযকে বিদআত বলা
সম্পূর্ণ ভুল ও মনগড়া কথা। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
এরপর ইহরাম করবে নতুবা ইহরামের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ে এরপর ইহরাম করবে। এটিই সুন্নত। সহীহ বুখারীতে আছে , উমর রা. বলেন , আকীক নামক স্থানে
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
বলতে শুনেছি , আজ রাতে আমার রবের পক্ষ থেকে আগমনকারী (অর্থাৎ জিবরীল আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন , এই বরকতময় স্থানে নামায পড়ুন এবং বলুন , আমি হজ্বের সাথে উমরার ইহরাম করলাম। সহীহ বুখারী , হাদীস ১৫৩৪৷
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
হজ্বের বিবরণ সম্বলিত হাদীসগুলোতেও
আছে ,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যুলহুলাইফাতে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ইহরাম
করেছিলেন। দেখুন সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৮৪ ; জামে তিরমিযী , হাদীস ৮১৯৷ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে এক বর্ণনায় স্পষ্টভাবে এসেছে , তিনি
বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যুলহুলাইফার মসজিদে দুই রাকাত নামায পড়ার পর ঐ
মজলিসেই হজ্বের ইহরাম করেছিলেন। সুনানে আবু দাউদ , হাদীস ১৭৭০ ; মুসতাদরাকে হাকেম , হাদীস ১৬৯৯৷ প্রকাশ থাকে যে , এই মাসআলায় চার মাযহাবের সিদ্ধান্ত এক ও অভিন্ন। ইমাম নববী রাহ. “ আল
মাজমূ শরহুল মুহাযযাব ” লিখেছেন, ইহরাম করার
সময় দুই রাকাত নামায পড়া উত্তম। এ ব্যাপারে সবার
ঐকমত্য রয়েছে। আলমাজমূ ৭/২৩২৷
সুতরাং ইহরামের পূর্বের নামাযকে বিদআত বলা
সম্পূর্ণ ভুল ও মনগড়া কথা। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন