আমাদের এলাকায় দুটি মসজিদ আছে। নিকটস্থ মসজিদে ঈদের দুটি জামাত হয়েছে। একটি ৭:৩০ মিনিটে, অপরটি ৮:৩০ মিনিটে।
আমরা সাত শরিকে কুরবানী দিয়েছি। এক শরিক দ্বিতীয় জামাতে নামায পড়েছে। আমাদের কথা ছিল সকলে প্রথম জামাতে নামায পড়ে এসে কুরবানীর পশু যবাই করব। সে অনুপাতে আমরা প্রথম জামাতে নামায পড়ে এসেই পশু যবাই করে দেই। পরে জানা গেল আমাদের এক শরিক তখনও ঈদের নামায পড়েনি। লোকজন বলছে শরিকের নামায পড়ার আগে কুরবানী করার কারণে আমাদের কুরবানী নাকি হয়নি। এখন আমাদের করণীয় কী?
লোকদের ঐ কথা ঠিক নয়। আপনাদের কুরবানী সহীহ হয়েছে। কারণ এলাকার কোনো স্থানে ঈদের নামায হয়ে গেলেই উক্ত এলাকাবাসীর জন্য কুরবানী করা জায়েয হয়ে যায়। এমনকি ঐ সময় যে নামায পড়েনি তারও কুরবানী সহীহ। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু এলাকার ঈদগাহে নামায হয়েছে সুতরাং কোনো একজন শরিকের নামায পড়া না হলেও সকলের কুরবানী সহীহ হয়েছে।
-বাদায়েউস সনায়ে ৪/২১১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৪৭৭