আমাদের মসজিদের জন্য ওয়াকফ কৃত জমি প্রায় ২০ কাঠা। এদিকে আমাদের এলাকায় একটা হেফযখানা ও কওমী মাদরাসার খুব প্রয়োজন। এখন এলাকার লোকেরা মসজিদের জমিতে মাদরাসা করতে চাইছে। এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কী? মসজিদের জমিতে মাদরাসা করা যাবে?
আপনাদের এলাকায় হেফযখানা ও কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জরুরত হলে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকেই অগ্রসর হতে হবে। এজন্য যৌথ উদ্যোগে পৃথক জায়গা রেজিস্ট্রি করে তাতে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত মসজিদের ঐ পুরো জমি যদি মসজিদের কাজে না লাগে তাহলে সেখানে মসজিদের অধীনে কুরআনী তালীমের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা জায়েয হবে। জেনে রাখা দরকার যে, কুরআন-হাদীসের শিক্ষা, দ্বীনী শিক্ষার প্রচার-প্রসার মসজিদের উদ্দেশ্যাবলীর অন্তর্ভুক্ত। দ্বীনী তালীমের এ ধারা মসজিদে নববী থেকেই চলে আসছে। তাই মসজিদের খালি জায়গায় মসজিদের ব্যবস্থাপনায় কুরআন-হাদীস ও দ্বীনী মৌলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া জায়েয হবে।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২২৭; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৪, ৩৬