আমার এক বোন কুরআন মাজীদ পড়ান। আর্থিক সংকটে তাকে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে পড়াতে হয়। আবার সপ্তাহের ছয়দিনই পড়াতে হয়। তথা পুরো মাস তার এটাই কাজ। প্রশ্ন হল, এভাবে অসহায় মহিলার জন্য পর্দার সাথে বাইরে গিয়ে পড়ানো ঠিক কি না?
আর ঋতুর হালতেও কুরআনের সবক শোনা ও দেওয়ার জায়েয কোনো সুরত আছে কি? কারণ এই হালতেও তার বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কেউ কেউ বলে থাকে, এই হালতে পুরা আয়াত না পড়ে শব্দ শব্দ তাসবীহের নিয়তে পড়লে জায়েয। কথাটা সঠিক কি না? দয়া করে জানালে উপকৃত হব।
বাস্তবেই যদি ঐ মহিলার জন্য নিজের উপার্জন করা ছাড়া জীবিকার কোনো ব্যবস্থা না থাকে এবং ঘরে বসে জীবিকার ব্যবস্থা না হয় তাহলে পর্দার সাথে আশপাশের বাসায় গিয়ে নারী ও ছোট ছেলেদেরকে পড়াতে পারবে। বালেগ বা বালেগের কাছাকাছি বয়সের কোনো ছেলেকে পড়াতে পারবে না। আর কুরআন শিক্ষাদানকারীনী মহিলা ঋতুমতী থাকা অবস্থায়ও পড়া শুনতে পারবে। কিন্তু এ অবস্থায় আয়াত বা আয়াতের অংশবিশেষ বলে দেওয়া জায়েয হবে না। প্রয়োজন হলে এক দু শব্দ করে বলে দিতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, শিক্ষিকাগণ মাসের নির্ধারিত ঐ দিনগুলোতে ছাত্রীদেরকে শুধু মাসআলা-মাসায়িল, দুআ-নামায ইত্যাদি শিক্ষা দিতে পারেন।
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮, ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯