এক প্রতিবেশী আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ চেয়েছে। তার একটি চার তলা বাড়ি আছে, যার ছাদ ও দেয়ালের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। তবে বাসোপযোগী হতে আরও কাজ বাকি আছে। আমি তাকে বলেছি, তোমার নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট পাঁচ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকায় ভাড়া দাও। এতে সে সম্মত হয়েছে। এখন আমি কি এই ফ্ল্যাটটি অন্য কারো কাছে ভাড়া দিতে পারব? আমি যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছি তার চেয়ে বেশি মূল্যে ভাড়া দিতে পারব কি?
ভবনের নির্মাণাধীন ঐ ফ্ল্যাটটি আপনি নিজে যেমন ব্যবহার করতে পারবেন তেমনি মালিকের অনুমতি থাকলে অন্য কারো কাছে ভাড়াও দিতে পারবেন। তবে আপনি যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছেন তার চেয়ে বেশিতে তখনই ভাড়া দিতে পারবেন যদি আপনি ফ্ল্যাটটিতে কোনো সংস্কার বা সংযোজনমূলক কাজ করেন কিংবা তা মেরামত করেন। যেমন দরজা, জানালা লাগানো, দেয়ালের প্লাস্টার বা ডেকোরেশন ইত্যাদি। আশআছ রাহ. বলেন, ‘আমি শাবী ও হাকামকে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি একটি উট ভাড়া নিয়ে যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছে তার চেয়ে বেশি মূল্যে অন্যত্র ভাড়া দেয়-এটা কি বৈধ? জবাবে তারা বললেন, সে যদি তাতে নিজে শ্রম দেয় বা কোনো মজুর রাখে তাহলে অসুবিধা নেই।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৩৭৬৩)
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমের রাহ. ভাড়া মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে অন্যত্র ভাড়া প্রদানকে অপছন্দ করতেন। তবে তাতে কোনো সংস্কার করা হলে অপছন্দ করতেন না।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৬৮)
ভাড়া নেওয়ার পর ভবনটিতে কোনো কাজ না করে অধিক মূল্যে ভাড়া দিলে যা বাড়তি নেওয়া হল তা সদকা করে দিতে হবে। ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, যে মূল্যে ভাড়া নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে অতিরিক্ত সুদ। (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৫৪)