?এক মুসলিম বোনের অশ্রুপ্লাবিত কান্নার আর্তনাদ”
পুরো গ্রামে আমি একটা বদনামি মেয়ে।আমি ওহাবী,জংগী,এ নামে ডাকে তারা?
গ্রামঃকাকাইলছেও,থানাঃআজমিরী গন্জ, জেলাঃহবিগন্জ,বিভাগঃসিলেট।
আমার বাবা বিনা পয়সায় মানুষকে চিকিৎসা করাতো।আমাদের এলাকার মানুষ খুব ডেন্জারাস।জোড় করে বাড়ি দখল করে এমন অসংখ্য নজির আছে,এমন সমস্যায় আমরাও ভুগছিলাম।বাবা আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমিতো পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো অতএব আমাকে বাড়ির ঐ কর্নারে দাফন করিও,এ সময় আরো বেশ কয়েক জন শুনছিল।তার দিন তারিখ মতে তিনি শুক্রবারে ইন্তেকাল করেন ।
২০০৭ সালে ইন্তেকাল করেন,এভাবে তার কবর বাড়ীতে করা হয়।কিন্তু ওরস করছে২০১২সাল থেকেই।এই এলাকায় আরও কতগুলো মাজার আছে সবগুলো এক সাথে তাল মিলিয়ে ওরস পালন করে।এই মাজারে এমপি মজিদ খান বড় অনুদান দিয়ে থাকেন।তাই বিদআতিদের শক্তি বেড়ে যায়।আমার আপন ভাই কে দিয়ে পীর সাজিয়ে তারা ওরস করত।আমার ভাই আমাকে ও মাকে ঘরে থাকতে দিতনা।আমরা ১বছর শহরে কষ্ট করে বাসা ভাড়া করে থেকেছি কিন্ত কতদিন থাকা যায়?মা মাজারে মোমবাতি জ্বালায় না বলে ভরন পোষন করেনা।নামাজ পড়লে পিছনে মোবাইলে গান বাজাত।কোরআন পড়লে গান বাজাত।কিছু বললে ধারালো ছুড়ি নিয়ে মারত।কিছু আলেম আলেয়া মাদ্রাসার এবং মসজিদের ইমাম আমার বিরুদ্ধে নতুন ফতোয়া দিতো।আমাকে মেরে পেলার হুমকিও দিতো।
প্রতি ভাদ্রমাসে ১৫ তারিখে ওরস হত,১বছর ধরে ওরস করছেনা।কিন্তু আমার কোন স্বাধীনতা নেই।বাড়ীতে কিছু মেয়েদেরকে কায়দা আমপাড়াপড়াতাম তাও এখন বন্ধ করে দিলো।ভন্ডপীর মানুষকে মোবাইলে ফু দেয়,হিন্দুদের কিতাব থেকে তাবিজ লিখে দেয়,কুফুরি করে।নিজেও নামাজ পড়েনা আবার নামাজিদের কাফের বলে।০১৭১৭০১৮৬৫৯এই নাম্বারে যদি ফোন দিয়ে বলেন আমার বড় একটা সমস্যা মোবাইলে ফু দেন তবে দিবে।যদি বলেন কোন মাজারে শিন্নি দেয়া লাগবে কি?তাহলে আপনাকে দাওয়াত করবে।এদেশের কিছু বিদআতি তাদেরকে চাষ করে।কিছু নালিশ করলে মুখের পর্দা খোলার হুকুম করে।তাই আইনকে ঘৃনা করি ইসলামি শাসনের আশায় আছি।
আমাকে তারা আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে শারীরিক ভাবে বেশি ক্ষতি করতে পারেনি।একদিন নামাজের মধ্যে হেজাবে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে আমার গলায় পা দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আমার ভন্ড ভাই।পরে মা ও ছোট বোন আমাকে আশ্রয় দেওয়ায় আল্লাহর হুকুমে বেঁচে আছি।পরে যখন বুঝলাম বাইরের পুলাপাইন দিয়ে আমার রুমের পর্দা সরিয়ে অত্যাচার করতে আসছে তখন আল্লাহ আমাকে হেফাযত করেছেন।আমি ঢাকায় আব্দুল্লাহপুর মহিলা মাদ্রাসায় চলে যাই।ফলে কেউ কিছু করতে পারেনি।
“””আমি চাই এই এলাকায় ছোট বাচ্চাদের দ্বীনের শিক্ষা দেওয়া।একটা প্রতিষ্টান করার জায়গা বের করা। আমার বাড়ীতে আমার অংশটুকু কাজে লাগানো।কেউ যদি সাহায্য করত ভাল হত।
আমি চাই এ সমস্ত ভন্ড বাতেল ওরস,মাজারের মূল উৎপাঠন চিরতরে বাংলার জমিন থেকে ধ্বংস হোক।
শ্রদ্বেও আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা,আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন দয়া করে সবাই এই পোষ্ট সর্বএে সেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে পারে আপনার এ ক্ষুদ্রটুকু মেহনতে আমার মনের তামান্না আল্লাহ তায়ালা ক্ববুলও করতে পারেন।আর আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সকল প্রকার ষঢ়যন্ত্র থেকে হেফাজত করে।