#এক ফোঁটা মধু মাটিতে পরে আছে! পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি পিঁপড়া যাচ্ছিলো। মধুর ঘ্রান নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়ালো সে। ভাবলো একটু মধু খেয়ে নিই, তারপর নাহয় সামনে যাবো। এক চুমুক খেলো। বাহ! খুব মজাতো, আরেকটু খেয়ে নিই! আরেক চুমুক খেলো। তারপর সামনে চলতে লাগলো।
#হাঁটতে হাঁটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে খাচ্ছিলো পিঁপড়াটি। ভাবলো, এতো মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হতো না? আবার পিছনে ফিরলো সে, পূর্বে নিচের দিক থেকে খেয়েছিলো। ভাবলো, নিচের মধুই এতো মজা, উপরেরটা নাজানি আরো কতো মজার হবে!
#তাই, আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধুর ফোঁটার উপরে উঠে পড়লো সে। বসে বসে আরামসে মধু খাচ্ছে। খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেলো। ওইদিকে পা দুটো নিজের অজান্তে আস্তে আস্তে মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে, সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তার। তখনই হঠাৎ পায়ের দিকে নজর পড়লো। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে!
#মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে আপ্রান চেষ্টা করতে লাগলো পিঁপড়াটি। কিন্তু নাহ, মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখী অবস্থা। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না। নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো। অবশেষে, পিঁপড়াটি মধুর ভিতর আটকে পড়ে হাত-পা ছুড়তে ছুড়তেই মারা গেলো!
#হে আমার ভাই ও বোনেরা! আমাদের এই দুনিয়াবী জীবনটাও ওই এক ফোঁটা মধুর মতই। যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেলো। আর যে এই স্বাদের মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে হালাল-হারাম তোয়াক্কা না করে শুধু খেয়েই গেলো, আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকা পড়বেই। তখন তাকে আর কেউ উদ্ধার করতে পারবেনা। ধ্বংস তার অনির্বায। তার দুনিয়া ও আখেরাত দু’টোই শেষ।
#তোমাদেরকে ভুলিয়ে রাখে পার্থিব ভোগসামগ্রী লাভের পরস্পর-প্রতিযোগিতা, এমনকি (এ অবস্থাতেই) তোমরা কবরে উপনীত হও!” (কুরআন ১০২:১-২)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়ার মায়াজাল থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন,