এদেশের মানুষ সরলপ্রাণ ও ধর্মভীরু। এদেশের মানুষের অন্তরে পীর-ওলী-আউলিয়াদের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে।
আর সে ভক্তি ও শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী, অসাধু, ভন্ড ধর্মব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের অর্থকড়ি কেড়ে নিচ্ছে। সাথে সাথে ঈমানটাকেও।
মাজারকে তারা একটা লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
ওরশে গান-বাজনা, মদ-জুয়াসহ শিরকী কাজ ছাড়া আর কিছুই নেই।
তাই ওরশ সম্পূর্ণ না-জায়েয ও কবীরা গুনাহ। ওরশ যদি শরীয়তসম্মত হতো, তাহলে সর্বাগ্রে ওরশ হতো রাসূলুল্লাহ সা.-এর কবরে। ওরশ হতো হযরত আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রা.-এর কবরে।
এই মহান ব্যক্তিদের কবরে যখন ওরশ হয়নি তাহলে বুঝা যায় যে, বর্তমানের ওরশ এটি শরীয়ত বিরোধী কাজেরই অন্তর্ভূক্ত।
আজ দেখা যায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাল সালুতে আবৃত ডেক বসানো।
মাজারসমূহ রং-বেরংয়ের বাতি প্রজ্বলিত হয় ও আলোকসজ্জা করা হয়।
ঢোল-তবলার আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা, গান-বাজনা ও কাওয়ালীর মাধ্যমে উদযাপিত হয় ওরশ।
কোথাও কোথাও দুই-একজন বেদ’আতি আলিম দাওয়াত করে ওয়াজের নামে মূলত পীর-ফকীরের নামে মান্নত করা এবং মাজারে নযর-নেওয়ায করার তালকীনই করা হয়। অথচ মাজারে দান করা, মাজারে মান্নত করা, ওরশ করা, ওরশে চাঁদা দেওয়া সম্পূর্ণ না-জায়েয, এটা শিরকের অন্তুর্ভুক্ত।
স্মরণ থাকে যে, মাজারে শায়িত কোন ওলী বা বুযুর্গ এসব দান খয়রাতের প্রত্যাশী বা উপকারভোগী নন।
অন্যরা তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা করছে।
ওরশে যেসব গরু-খাসী যবেহ হয় তা পীর-ফকীরের নামেই উত্সর্গীত, সুতরাং ওরশের শিরনি খাওয়া হারাম।
ওরশ না-জায়েয বিদ’আত।
মাজারে কিছু উত্সর্গ করা হারাম।
সেখানে গরু-ছাগল যবেহ করা, তা খাওয়া হারাম।
তাদের সহযোগিতা না-জায়েয।
তাদের সাথে উঠা-বসা করা, সু-সম্পর্ক রাখা, তাদের কাজে সমর্থন করা এবং প্রতিবাদ না করা আযাবে ইলাহীতে গ্রেফতার হওয়ার কারণ।
সুতরাং আমরা শুধু নিজেরা এই কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকলেই হবে না; বরং যথাসম্ভব এগুলো বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।
নতুবা আল্লাহর গজব আসলে কেউই বাচঁতে পারবে না।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হিদায়াতের পথে চলার তাওফীক্ব দান করুন! আমীন।