আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা যাদের সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে একটি দল রয়েছে, যারা সত্য পথে চলে ও সে অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে’। ‘যারা আমাদের আয়াত সমূহে মিথ্যারোপ করে আমরা তাদেরকে ক্রমান্বয়ে পাকড়াও করব এমনভাবে যে তারা বুঝতেও পারবে না’। ‘আর আমি তাদেরকে অবকাশ দেই। নিশ্চয়ই আমার কৌশল অতি সুনিপুণ’। ‘তারা কি ভেবে দেখে না যে তাদের সাথীর (মুহাম্মাদ) মধ্যে কোন মস্তিষ্ক বিকৃতি নেই? তিনি তো একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’ (আ‘রাফ ৭/১৮১-৮৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর মাথায় একজন ব্যক্তিকে পাঠাবেন, যিনি উম্মতের কল্যাণে তাদের দ্বীনকে সংস্কার করবেন’ (আবুদাঊদ হা/৪২৯১; মিশকাত হা/২৪৭)। মিসরের খ্যাতনামা বিদ্বান শায়খ মুহাম্মাদ হামেদ আল-ফাক্বী (১৮৯২-১৯৫৯ খৃ.) বলেন, ‘ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব ছিলেন ‘দ্বাদশ শতাব্দী হিজরীর মুজাদ্দিদ’। মুসলিম সমাজে এ আন্দোলনের প্রভাব কিরূপ ছিল সে সম্পর্কে মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা প্রখ্যাত শল্যবিদ ও দার্শনিক আব্দুল করীম আল-খত্বীব (১৯২১-২০০৮ খৃ.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ওয়াহহাবী আন্দোলন ছিল এক প্রচন্ড নিনাদসম্পন্ন মিসাইলের মত; যা বিস্ফোরিত হয়েছিল এক গভীর রাতের অমানিশার মাঝে, যখন মানুষ ছিল নিদ্রামগ্ন। এর আওয়াজ ছিল এমনই তীব্র ও সুদূরপ্রসারী যে তা সমগ্র মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তুলেছিল এবং তা যেন সুদীর্ঘকাল পর নিদ্রাচ্ছন্ন বুভুক্ষ পাখীকে আপন বাসস্থানে চঞ্চল করে তুলেছিল’ (‘আত-তাহরীক’ জুন’১১ পৃ. ২৯)।
নাজদের অবস্থা : ওয়াহ্হাবী সংস্কার আন্দোলনের উপর সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ হুসাইন বিন গান্নাম (মৃ. ১৮১১ খৃ.) বলেন, নাজদের শহরাঞ্চলের মানুষ কবরপূজা, বৃক্ষপূজা, পাথরপূজা, পীরপূজা প্রভৃতিতে লিপ্ত ছিল। জুবাইলাতে হযরত যায়েদ ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর কবরপূজা হ’ত। এছাড়াও সেখানে আরও বহু ছাহাবীর নাম সংযুক্ত কবর ছিল। যেখানে পূজা হ’ত। কার্যতঃ নাজদের প্রতিটি গোত্রে ও উপত্যকায় বিশেষ বৃক্ষ ও কবর ছিল, যেখানে পূজা হ’ত। তারা সরাসরি মূর্তিপূজা না করলেও কবরপূজাকে তারা মূর্তিপূজার মতই করে ফেলেছিল। তাদের অবস্থা এমনই হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর চাইতে কবরবাসীকেই বেশী ভয় পেত এবং তাকেই অধিক প্রয়োজন পূরণকারী মনে করত’। হুসাইন বিন গান্নাম আরও বলেন, কেবল নাজদেই নয়, এমনকি খোদ মক্কাতেও বিভিন্ন ছাহাবীর নামে মাযার গড়ে উঠেছিল। মদীনায় রাসূল (ছাঃ)-এর কবরকে রীতিমত তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছিল। লোকেরা হজ্জের চাইতে নবীর কবর যেয়ারতকে অধিক গুরুত্ব দিত’।
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (১৭০৩-১৭৯২ খৃ.)-এর আবির্ভাব : এমনি এক নাযুক পরিস্থিতিতে বর্তমান সঊদী আরবের রাজধানী রিয়াদের ৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ‘উয়ায়না’ শহরে ১১১৫ হি./১৭০৩ খৃ. মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব-এর জন্ম হয়। পরে সেখানকার আমীরের সাথে মতপার্থক্যের কারণে তাঁর পিতা ১১৩৯ হি./১৭২৬ খ্রিষ্টাব্দে হুরায়মিলাতে হিজরত করেন। সেখানে ১৭২৯ সালে পিতার মৃত্যুর পর তীক্ষ্ণ ধীসম্পন্ন এই যুগসংস্কারক সেখানে ১৪ বছর পুরোদমে দাওয়াতী কাজ করেন (১১৩৯-৫৩ হি./১৭২৬-৩৯ খৃ.)। বছরাতে গিয়ে তিনি যখন বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তখন লোকেরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত। অবশেষে তিনি নেতাদের কোপানলে পড়েন। তিনি ‘কিতাবুত তাওহীদ’ বই লেখেন। তাতে আলেমগণ ক্ষিপ্ত হন। ইতিমধ্যে সর্বত্র তাঁর দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর ১১৫৩ বা ১১৫৫ হিজরীতে তিনি জন্মস্থান উয়ায়নাতে ফিরে যান। সেখানকার আমীর ওছমান বিন মুহাম্মাদ শায়খের দাওয়াত কবুল করেন। অতঃপর তাঁর সহযোগিতায় তিনি যখন নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াতে মনোনিবেশ করেন, তখন বিদ‘আতী আলেম ও ছূফীবাদীরা একযোগে তার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিতে থাকে। তারা পার্শ্ববর্তী আহসা রাজ্যের আমীর সুলায়মানের নিকট নানাবিধ মিথ্যা অভিযোগ পেশ করে। তিনি শায়খের সমাজ সংস্কারমূলক তৎপরতাকে নিজের জন্য হুমকি মনে করলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উয়ায়নার আমীর ওছমানের উপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে তিনি শায়খকে উয়ায়না থেকে চলে যেতে বলেন। অতঃপর শায়খ ১১৫৭ হি./১৭৪৬ খৃ. দিরঈইয়াতে গমন করেন। যা রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ২০ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সেখানকার স্বাধীনচেতা আমীর মুহাম্মাদ বিন সঊদ তার দাওয়াত কবুল করেন এবং আনুগত্যের বায়‘আত নেন। এই বায়‘আতই ঐতিহাসিক ‘দিরঈইয়া চুক্তি’ নামে পরিচিত। যা দুই মুহাম্মাদের ভাগ্যকে একসূত্রে গেঁথে দেয়। আর এর মাধ্যমেই আরব উপদ্বীপের ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন মোড় নেয়। সূচনা হয় আধুনিক ইসলামী রেনেসাঁ ও আরবীয় গণজাগরণের পাদপীঠে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়’। এই চুক্তির পর ছোট্ট দিরঈইয়া রাজ্য অতি শীঘ্র ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতির দিকে ধাবিত হয় এবং শায়খের দাওয়াতী তৎপরতাও বাধামুক্ত হয়। ফলে নাজদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষের ঢল নামা শুরু হয় তার দরসগাহে’। নাজদ সহ রিয়াদ, আল-ক্বাছীম, হায়েল, সুদায়ের, আহসা, মক্কা ও মদীনাসহ আরবের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর দাওয়াত পৌঁছে যায়। হজ্জের সময় আগত হাজীদের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে তথা মিসর, সুদান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামন, ভারতবর্ষ প্রভৃতি শিরক-বিদ‘আত অধ্যুষিত এলাকায় তাঁর দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ ছাড়াও অনেক আলেম-ওলামা তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন। তখন ১১৫৮ হিজরীতে পার্শ্ববর্তী উয়ায়না রাজ্যের আমীর ওছমান তাঁর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করেন এবং স্বীয় রাজ্যে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া হুরায়মিলা ও মানফূহার অধিবাসীরাও তাঁর হাতে বায়‘আত নেন। এভাবে জাযীরাতুল আরবে তাঁর আন্দোলন এক মযবূত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যায়। এভাবে বাতাস যখন এ আন্দোলনের অনুকূলে প্রবাহিত হচ্ছিল, চতুর্দিকে সম্প্রসারিত হচ্ছিল, তখন নাজদ ও আরব উপদ্বীপের ঈর্ষান্বিত বিদ‘আতপন্থী আলেম-ওলামা, ছূফী, কবরপূজারী এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাধর আমীর-ওমারাগণ তাঁর চূড়ান্ত বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। তারা তাঁকে খারেজী, কাফের, বিদ‘আতী নানা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলে এবং আন্দোলনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সংঘাতের চক্রান্ত করে। ফলে দিরঈইয়ার আমীরের সাথে তাদের সশস্ত্র সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহ শেষে ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর রিয়াদ দখলের মাধ্যমে আমীর আব্দুল আযীয ইবনে সঊদ-এর নেতৃত্বে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাবের বিশুদ্ধ ইসলামী দাওয়াতের বৈশিষ্ট্যযুক্ত আধুনিক সঊদী আরবের গোড়াপত্তন হয়। যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
মৌলিকভাবে ৬টি বিষয়ে তাঁর দাওয়াত সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে : (১) তাওহীদে ইবাদত : আল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে দূরে থাক’ (নাহল ৩৬)। এর আলোকে তিনি সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর দাসত্বের আহবান জানান ও অন্যের নামে নযর-মানত নিষেধ করেন। (২) অসীলা পূজা : আল্লাহ বলেন,
‘হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর ও তাঁর নৈকট্য সন্ধান কর’ (মায়েদাহ ৩৫)। এখানে বৈধ অসীলা হ’ল আল্লাহর উদ্দেশ্যে সৎকর্ম। আর অবৈধ অসীলা হ’ল মৃত ব্যক্তি বা জড়বস্ত্ত। (৩) স্থানপূজা : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নেকীর উদ্দেশ্যে কা‘বাগৃহ, মসজিদ নববী ও মসজিদে আক্বছা তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও সফর করা যাবে না’ (বুঃ মুঃ)। এর আলোকে তিনি লোকদের বিভিন্ন স্থানপূজা, বৃক্ষপূজা ইত্যাদি থেকে নিষেধ করেন। (৪) কবরপূজা : আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কোন কবরবাসীকে শুনাতে পারো না’ (নামল ৮০)। রাসূল (ছাঃ) কবর পাকা করতে, তার উপরে সৌধ নির্মাণ করতে ও সেখানে বসতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম)। সেকারণ তিনি কবরে গিয়ে ফরিয়াদ করা, কবরে গেলাফ চড়ানো, সেখানে বাতি দিতে নিষেধ করেন। (৫) তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাত তথা আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব : অর্থাৎ কোনরূপ পরিবর্তন, শূন্যকরণ, প্রকৃতি নির্ধারণ, তুলনাকরণ ও আল্লাহর উপর ন্যস্তকরণ ছাড়াই আল্লাহর নাম ও গুণাবলী যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেভাবেই তার উপর ঈমান আনতে হবে। যাতে মানুষ সর্বাবস্থায় কেবল আল্লাহকেই ডাকে ও তার উপর ভরসা করে। অন্য কাউকে শরীক না করে। (৬) সর্বপ্রকার বিদ‘আতের বিরোধিতা : যেমন মীলাদ মাহফিল, আযানের পূর্বে যিকর ও পরে দরূদ পাঠ, মুখে নিয়ত পাঠ এবং ছূফীদের আবিষ্কৃত নানাবিধ বিদ‘আতী রীতি। এসবের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তাঁর আন্দোলনকে ওয়াহ্হাবী, তাকফীরী, খারেজী ইত্যাদি মিথ্যা অপবাদে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ‘কারামতে আউলিয়া’কে অস্বীকার করেন বলেও মিথ্যাচার করা হয়। যেভাবে ভারতবর্ষে পরিচালিত আহলেহাদীছ আন্দোলনকে বৃটিশ ভারতে ওয়াহ্হাবী আন্দোলন বলে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল এবং আজও বিদ‘আতীরা এই মহান সংস্কার আন্দোলনের অনুসারীদেরকে লা-মাযহাবী, বেদ্বীন ইত্যাদি বলে গালি দিয়ে থাকে। এইসব সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সেযুগের স্বার্থপররা যেমন চিন্তা করেনি, এ যুগের স্বার্থপররাও তেমনি চিন্তা করে না। আল্লাহ সেযুগের শক্তিমানদের যেভাবে অবকাশ দিয়ে পর্যুদস্ত করেছেন, এযুগের শক্তিমানদেরও তেমনি অবকাশ দিয়ে পর্যুদস্ত করছেন। এভাবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই সংস্কার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে আল্লাহর ইচ্ছায়। বিরোধীরা তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না (মুসলিম)। বিভিন্ন দেশে যেনামেই পরিচয় থাক না কেন, আহলেহাদীছ আন্দোলন ছাড়া তা আর কিছুই নয়। ইমাম আবুদাঊদের ভাষায়, যদি আহলেহাদীছগণ না থাকত, তাহ’লে ইসলাম মিটে যেত’ (শারফ ২৯ পৃ.)।
এটাই স্বাভাবিক যে, যেকোন আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার অবর্তমানে তার অনুসারীদের মধ্যে শৈথিল্য দেখা দেয়। আধুনিক সঊদী আরব তার ব্যতিক্রম নয়। এই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক শত্রুর চাইতে ধর্মীয় শত্রু বেশী। বিশেষ করে ৫৪১ বছর পর ১৩৪২ হি./১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে কা‘বাগৃহের চারপাশে প্রতিষ্ঠিত চার মাযহাবের চার মুছাল্লা উৎখাত করা হ’লে এবং শিরক ও বিদ‘আতের ঘাঁটি সমূহ নিশ্চিহ্ন করা হ’লে এসবের শিখন্ডীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে তাওহীদ ও সুন্নাহর পতাকাবাহী এই আদর্শ রাষ্ট্রটিকে পুনরায় বিদ‘আতীদের কব্জায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে। যা আজও অব্যাহত আছে। এমতাবস্থায় সঊদী নেতৃত্ব যদি কথিত উদারতাবাদের ধোঁকায় পড়ে আদর্শচ্যুত হয়, তাহ’লে তাদের উপর থেকে আল্লাহর রহমত উঠে যাবে। বিশ্বের দিকে দিকে কোটি কোটি তাওহীদপন্থী মুসলমান হতাশ হবে। যারা এই রাষ্ট্রটিকে মনে-প্রাণে ভালবাসে। অতএব আমরা সর্বদা মুসলিম বিশ্বের উপর হারামায়েন শরীফায়েন-এর তত্ত্বাবধায়ক এই রাষ্ট্রের অব্যাহত নৈতিক নেতৃত্ব কামনা করি। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন- আমীন!