ক) আমরা যখন মসজিদে নামায পড়ি তখন বৈদ্যুতিক বাল্ব-এর কারণে আমাদের নিজেদের ছায়া আমাদের সামনে পড়ে। আর তা আমরা নামাযে থেকে দেখতে পাই।
অতএব আমার প্রশ্ন হল, এই ছায়ার কারণে কি নামাযে কোনো ক্ষতি হবে?
খ) আমাদের মহল্লায় কয়েক মাস আগে এক মুরববী মারা যান। আমি তার জানাযার নামাযে শরিক হই। নামায শেষে দেখলাম যে, যিনি জানাযার নামায পড়িয়েছেন (ইমাম) তিনি সকল মুসল্লিকে ডেকে একত্র করলেন এবং সকলকে নিয়ে দরূদ শরীফ পড়ে তার পর লাশকে সামনে রেখে অল্প সময় দুআ করলেন। এরপর লাশ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং লাশ দাফন করা হয়। দাফনের পর আরেকটি কাজ হুজুরকে করতে দেখি। তা হল, হুজুরের নির্দেশে চারজন লোক কবরের চার কোণায় দাঁড়ালেন। প্রত্যেকের হাতে ২ ইঞ্চি পরিমাণ গাছের ডাল। তার পর তারা চার কুল অর্থাৎ সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস ও সূরা কাফিরূন পাঠ করেন। এরপর চার জন ডালগুলো চার কোণায় গেঁথে দিলেন। তারপর সকলে কবরস্থানের বাইরে গিয়ে দুআ করে চলে গেলেন। এখন আমার প্রশ্ন হল-
ক) জানাযার পর লাশকে সামনে রেখে দুআ করা সম্পর্কে কুরআন-হাদীস কী বলে? এ সম্পর্কে জানাবেন। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এরূপ কোনো ঘটনা আছে কি?
খ) চার কুল পড়ে কবরের চার কোণে ডাল গেড়ে দেওয়ার হুকুম কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবা-তাবেঈন থেকে কি এরূপ করা প্রমাণিত আছে? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
ক) না, ছায়ার কারণে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।
খ) জানাযার পর দাফনের পূর্বে লাশের কাছে দরূদ পড়া ও দুআ করার প্রচলনটি বিদআত।
তদ্রুপ কবরের চার কোণে চার কুল পড়ে ডাল গেঁথে দেওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মনগড়া ও বিদআত।
কোনো হাদীসে বা সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে এই দুই আমলের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই উভয় আমলই পরিহার করা জরুরি।
-মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৪৯; আলবাহরুর রায়েক ২/১৮৩; আলফাতাওয়াল বাযযাযিয়া ১/৮০