আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক বিশ্বের সর্বপ্রাচীন ও বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় আল-আযহার থেকে সর্বোচ্চ গ্রেড নিয়ে ডক্টরেট অর্জন করলেন ড.নূরুল আবছার।
সময়ের ড. নুরুল আবসার Nurul Absar (তথাকতিথদের ভাষ্যানুযায়ি) ‘মধ্যযুগীয়’ শিক্ষাব্যবস্থা কওমি মাদরাসার সন্তান। সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই তার এ অবস্থানে আসার পেছনে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আপন প্রতিভাবলে তিনি এ পর্যন্ত এসেছেন। সহায় ছিলো একমাত্র আল্লাহ।
বাঙালি প্রতিভার জন্ম দেয়। কিন্তু সে প্রতিভা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হবার সুযোগ দেয় না। তবু কিছু মানুষ সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে ছুটে সাফল্যের চূড়ায়। শুধু বাংলাদেশ নয়,দক্ষিণ এশিয়ার কেউ যখন পি এইচ ডি হোল্ড করতে যায়, তখন আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরগণ একটু অবাকই হয়। কথাটি বাংলাদেশিদের নয় বরং মিশরীয়দের।
থিসীসের বিষয়বস্তু!
হাদিস শাস্ত্রের জটিলতম অধ্যায় ‘ইলালুল হাদিস’ ছিলো তার পি এইচ ডি-র বিষয়।
থিসীসের মূল্যায়ন!
আল-আযহারের ডক্টরগণ তার রেজাল্টের পর প্রস্তাব করেন যে, থিসীসটি যেন ছাপানো হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা পড়ানো হয়। এর চেয়ে বড় গর্ব বাংলাদেশের জন্য আর কি হতে পারে?
ড. নুরুল আবছারের রেজাল্ট ঘোষনাকালীন ভিডিওর অংশবিশেষে…
বিজ্ঞজনরা আরো ভালোভাবে বুঝতে তার পোস্টটি পড়তে পারেন-
بسم الله الرحمن الرحيم:
من باب التحدث بنعمة الله ، لقد حصلت ـ بفضل الله تعالى ـ على درجة العالمية « الدكتوراه » في الحديث وعلومه بالأمس الخميس، الموافق: 18/1، 2018م من قبل قسم الحديث بكلية أصول الدين، بجامعة الأزهر الشريف ـ زاده الله تعالى تعظيما وتشريفا وفضلا ـ بتقدير مرتبة الشرف الأولى مع التوصية بطبع الرسالة، وتداولها مع الجامعات الأخرى. عن اطروحتي الموسومة « قرائــن الترجــيـح أو الجمــع عنـد الإمـاميـن أبي حـــاتم وأبي زرعـــة الرازييـن في الروايات المختلف فيها في كتاب « علل الحديث » دراسة نظرية وتطبيقية، بإشراف: شيخنا العلامة المحدث، دارقطني هذا العصر، فضيلة الأستاذ الدكتور / أحمد معبد عبد الكريم.
فأتقدم بخالص الشكر وموفور الامتنان لإخواني الأفاضل، وأخواتي الفضليات الذين شرفوني بحضورهم الميمون في المناقشة، كما أشكر كل من دعا لي عن ظهر الغيب للفوز والنجاح، كما أشكر بالإخوة الذين قاموا بانتظام الحفلة، فجزاهم الله عني وعن جميع المسلمين خير الجزاء، وأسأل الله عزوجل أن يجعل ذلك في ميزان حسناتهم، وهو ولي ذلك والقادر عليه
পরিশেষে যা না বললেই নয়!
আজ ড.নুরুল আবছার শুধু তার নিজের নামই উজ্জ্বল করেননি, বরং বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নামকে উজ্জ্বল করলেন। এটা বাংলাদেশেরই গর্ব।
তবে দূঃখের সহিত বলতে হয় যে, আজ যদি কোন জেনারেল শিক্ষিত কোন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড.নুরুল আবছারের মত সর্বোচ্চ পিএইজডি ডিগ্রী লাভ করে আসতেন তখন তাকে সরকারি ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকার কর্তৃক সাদর সম্ভাষন দেয়া হতো,তেমনি যদি কোন ক্রিকেট টিম মেচ জিতে আসত তাদের ক্ষেত্রেও তাই করা হতো। কিন্তু না. তিনি তো তথাকথিতদের ভাষ্যানুযায়ি তিনি তো মধ্যযুগিয় শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা অর্জন করে, পরে আজহারে পিএইজডি অর্জন করেছেন।