বর্তমানের কিছু বাংলা পড়ুয়া ও টিভি শিক্ষিতরা বলে থাকেন যে, কুরআন ও হাদীসের কিতাব থাকতে মুফতী লাগবে কেন? অথচ, অনেক সেরা সেরা মুহাদ্দিসগণও ফকীহগণের যথাযোগ্য কদর করতেন। নিম্নে তাদের কয়েকজনের বক্তব্য তুলে ধরা হলোঃ
(১) ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন, ما كنا نأخذ (أي الحديثَ) إلا من الفقهاء অর্থাৎ আমরা কেবল ফকীহগণের কাছ থেকেই হাদীস গ্রহণ করতাম। – (কাজী ইয়ায, তারতীবুল মাদারিক, ১/১২৪)
(২) আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী একজন শীর্ষ মুহাদ্দিস। বুখারী-মুসলিমের দাদা উস্তাদ। তিনি বলেছেন, ما أصلي صلاة إلا وأنا أدعو للشافعي فيها অর্থাৎ আমি যখনই নামায পড়ি তখনই শাফেয়ীর জন্য দুআ করি। (সিয়ারুয যাহাবী, ইমাম শাফেয়ীর জীবনী)
(৩) ইমামুল জারহি ওয়াত তাদীল ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ আল কাত্তান বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও হাফেজে হাদীস ছিলেন। তিনি ইমাম বুখারী ও মুসলিমের দাদা উস্তাদ ছিলেন। তিনি বলেছেন, أنا أدعو الله للشافعي في صلاتي منذ أربع سنين অর্থাৎ আমি চার বছর যাবৎ নামাযে (ইমাম) শাফেয়ীর জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করি। (প্রাগুক্ত)
(৪) আব্দুল্লাহ ইবনে দাউদ খুরায়বী ছিলেন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও বুখারী শরীফের রাবী। তিনি বলতেন,
يجب على أهل الإسلام أن يدعو الله لأبي حنيفة في صلاتهم وذكر حفظه عليهم السنن والفقه
মুসলমানদের কর্তব্য হলো নিজ নিজ নামাযে আল্লাহর নিকট আবু হানীফার জন্য দুআ করা। এ প্রসঙ্গে তিনি (খুরায়বী) মুসলমানদের জন্য তাঁর (আবু হানীফার) সুন্নাহ ও ফেকাহ সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরেন। (খতীব বাগদাদী, তারীখে বাগদাদ, ১৫/৪৫৯)
(৫) ইমাম আহমাদ বলেছেন, وإني لأدعو للشافعي منذ أربعين سنة في الصلاة অর্থাৎ আমি নামাযে চল্লিশ বছর যাবৎ শাফেয়ীর জন্য দুআ করি। (প্রাগুক্ত)
(৬) আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহ্ব ছিলেন ইমাম মালেকের বিশিষ্ট ছাত্র ও বড় উঁচু মানের মুহাদ্দিস। তিনি বলেছেন, الحديث مضلة إلا للعلماء ফকীহগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য হাদীস শরীফ বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (কাযী ইয়ায, তারতীবুল মাদারিক, ১/৯১)
তিনি আরো বলেছেন,
لولا أن الله أنقذني بمالك والليث لضللت، فقيل له : كيف ذلك؟ قال : أكثرت من الحديث فحيرني فكنت أعرض ذلك على مالك والليث فيقولان لي : خذ هذا ودع هذا.
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে মালেক ও লায়ছ (ইবনে সাদ) এর দ্বারা রক্ষা না করতেন, তবে আমি বিভ্রান্ত হয়ে যেতাম। এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি বেশী বেশী হাদীস সংগ্রহ করে (হাদীসের পরস্পর বিরোধিতার কারণে) বেদিশা হয়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে মালেক ও লায়ছের নিকট সেগুলো পেশ করলে তারা বললেন, এটি গ্রহণ কর, আর এটি বর্জন কর। (ইবনে ফারহুন, আদ দীবাজ, ১/৪১৬)
(৭) মুহাম্মদ ইবনে ফাদল আল বাযযায বলেছেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, আমি ও আহমাদ ইবনে হাম্বল একবার হজ্জে গিয়ে একই স্থানে অবস্থান করেছি। ফজরের নামাযান্তে আমি আহমাদ ইবনে হাম্বলের খোঁজে সুফিয়ান ইবনে উয়ায়নার মজলিসে এবং আরো অন্যান্য মুহাদ্দিসের মজলিসে গেলাম। অবশেষে তাকে একজন আরবী যুবকের মজলিসে পেলাম।
ভিড় ঠেলে আমি তার নিকট গিয়ে বসলাম, এবং বললাম, আপনি সুফিয়ান ইবনে উয়ায়নার মজলিস ছেড়ে এখানে এসে বসেছেন! অথচ তার নিকট যুহরী, আমর ইবনে দীনার ও যিয়াদ ইবনে ইলাকাহ প্রমুখ এমন অসংখ্য তাবিঈর হাদীস রয়েছে, যাদের সংখ্যা আল্লাহই ভাল জানেন। একথা শুনে আহমাদ বললেন,
اسكت ، فإن فاتك حديث بعلو تجده بنزول ولا يضرك في دينك ولا في عقلك وإن فاتك عقل هذا الفتى أخاف أن لا تجده إلى يوم القيامة ، ما رأيت أحدا أفقه في كتاب الله من هذا الفتى القرشي ، قلت : من هذا؟ قال : محمد بن إدريس الشافعي.
অর্থাৎ “চুপ থাক, যদি উচ্চ সনদের কোন হাদীস তোমার হাতছাড়া হয়ে যায়, তবে নিম্ন সনদে হলেও তুমি তা পেয়ে যাবে। এতে তোমার দ্বীন ও জ্ঞানবুদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু এই যুবকের জ্ঞানবুদ্ধি যদি তোমার হাতছাড়া হয়, তবে আমার আশংকা হয় কিয়ামত পর্যন্ত তা তোমার হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে এই কুরায়শী যুবকের চেয়ে বেশী সমঝদার আর কাউকে আমি পাই নি। আমি বললাম, ইনি কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস আশ শাফেয়ী।”
(আল জারহু ওয়াত তাদীল, আব্দুর রহমান ইবনে আবু হাতিম, ৭/১১৩০)
(৮) সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না (রহঃ) ছিলেন অনেক উচ্চ পর্যায়ের মুহাদ্দিস। তিনি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের দাদা উস্তাদ ছিলেন। তিনি বলেছেন, الحديث مضلة إلا للفقهاء অর্থাৎ ফকীহগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য হাদীস শরীফ বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (ইবনুল হাজ্জ মালেকী, আল মাদখাল, ১/১২৮) তিনি আরো বলেছেন, التسليم للفقهاء سلامة في الدين অর্থাৎ ফকীহগণের হাতে নিজেকে ন্যাস্ত করাই দ্বীন কে নিরাপদ রাখার নামান্তর। (তারীখে বাগদাদ, ৭/৫৬১)
(৯) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) ছিলেন অতি উঁচু মানের মুহাদ্দিস, বুযুর্গ ও মুজতাহিদ। তিনিও ইমাম বুখারী ও মুসলিমের দাদা উস্তাদ ছিলেন। তিনি বলেছেন,
لولا أن الله أغاثني بأبي حنيفة وسفيان كنت كسائر الناس
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে আবু হানীফা ও সুফিয়ান (ছাওরী) এর মাধ্যমে রক্ষা না করতেন তবে আমি অন্যান্য মানুষের (মুহাদ্দিসের) মতো হয়ে থাকতাম। (খতীব বাগদাদী, তারীখে বাগদাদ, ১৫/৪৫৯)
(১০) আবুয যিনাদ আব্দুল্লাহ ইবনে যাকওয়ান ছিলেন ইমাম মালেক (রহঃ)-এর উস্তাদ ও হযরত আনাস রা.এর শিষ্য। তিনি বলেছেন,
وأيم الله إن كنا لنلتقط السنة من أهل الفقه والثقة ونتعلمها شبيها بتعلمنا آي القرآن
অর্থাৎ আল্লাহর কসম, আমরা ফকীহ ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিগণের কাছ থেকে সুন্নাহ ও হাদীস সংগ্রহ করতাম এবং কুরআনের আয়াতসমূহ যেভাবে শেখা হয় সেভাবে তা শিখতাম। – (ইবনে আব্দুল বার, জামিউ বায়ানিল ইলম, ২/৯৮)
(১১) ইবনে আবুয যিনাদ বলেছেন,
كان عمر بن عبد العزيز يجمع الفقهاء ويسألهم عن السنن والأقضية التي يعمل بها فيثبتها وما كان منه لا يعمل به الناس ألغاه وإن كان مخرجه من ثقة
অর্থাৎ উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ) ফকীহগণকে সমবেত করে সেসব সুন্নাহ ও ফায়সালা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন যেগুলো অনুসারে আমল করা হতো। তিনি সেগুলো বহাল রাখতেন। আর যেগুলো অনুসারে মানুষ আমল করত না, সেগুলো বাদ দিতেন, যদিও তা বিশ্বস্ত লোকদের সূত্রে বর্ণিত হোক।
(১২) ইমাম আহমাদের উস্তাদ শীর্ষ মুহাদ্দিস আবু আসিম আন নাবীল সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ বলেছেন,
حضر قوم من أصحاب الحديث في مجلس أبي عاصم ضحاك بن مخلد فقال لهم : ألا تتفقهون أو ليس فيكم فقيه؟ فجعل يذمهم فقالوا فينا رجل، فقال : من هو؟ فقالوا : الساعة يجيئ ،فلما جاء أبي قالوا قد جاء فنظر إليه فقال له تقدم الخ
অর্থাৎ মুহাদ্দিসগণের একটি জামাত আবু আসিম দাহহাক ইবনে মাখলাদের মজলিসে হাজির হলেন। তিনি বললেন, তোমরা ফেকাহ শিখ না কেন? তোমাদের মধ্যে কি কোন ফকীহ নেই? অতঃপর তিনি তাদেরকে ভর্ৎসনা করতে লাগলেন। তারা বললেন, আমাদের মধ্যে একজন আছেন। তিনি বললেন, কে? তারা বললেন, তিনি এখনই আসছেন। একটু পরে আমার পিতা (ইমাম আহমাদ) হাজির হলে তারা বললেন, তিনি এসে গেছেন। তিনি তাকে দেখে বললেন, সামনে চলে আস।…(ইবনে আসাকির, তারীখে দিমাশক, ৫/২৯৭)
(১৩) যুহায়র ইবনে মুআবিয়া একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তার সম্পর্কে শুআয়ব ইবনে হারব বলেছেন, শো’বা (রহঃ)-এর মতো বিশ জনের চেয়েও যুহায়র আমার দৃষ্টিতে বড় হাফেজে হাদীস। মুহাদ্দিস ইমাম আলী ইবনুল জাদ বলেছেন, আমরা যুহায়র ইবনে মুআবিয়ার মজলিসে ছিলাম, এমন সময় একজন লোক আসল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোথা থেকে আসলেন? লোকটি বলল, আবু হানীফার কাছ থেকে। তখন যুহায়র বললেন,
إن ذهابك إلى أبي حنيفة يوما واحدا أنفع لك من مجيئك إليّ شهرا
অর্থাৎ আমার নিকট এক মাস আসার চেয়ে আবু হানীফার নিকট একদিন যাওয়া তোমার জন্য অধিক লাভজনক। – (ইবনে আব্দুল বার, আল ইনতিকা, পৃ. ২০৮)
(১৪) হুমায়দী ছিলেন ইমাম বুখারীর উস্তাদ। বুখারী শরীফের প্রথম হাদীসটি তার সূত্রেই বর্ণিত। তিনি মুসনাদ নামক একটি হাদীসগ্রন্থের সংকলকও। বর্তমানে এটি মুদ্রিত। তিনি বলেছেন, আহমাদ ইবনে হাম্বল আমাদের সঙ্গে মক্কা শরীফে অবস্থান করে সুফিয়ান ইবনে উয়ায়নার মজলিসে হাজির হতেন। একদিন তিনি আমাকে বললেন, এখানে একজন কুরায়শী ব্যক্তি আছেন যার বিশ্লেষণ ও জ্ঞানের পরিধি যথেষ্ট। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ ইবনে ইদরীস আশ শাফেয়ী। পরে আমি তার মজলিসে গেলাম।
অনেক মাসআলা নিয়ে কথা হলো। বের হওয়ার পর আহমাদ বললেন, কেমন পেলেন? আপনি কি চান না একজন কুরায়শী ব্যক্তির এমন জ্ঞান ও বিশ্লেষণ হোক? তার কথা আমার মনে রেখাপাত করল। আমি তার মজলিসে উপস্থিত হতে লাগলাম। একপর্যায়ে সবার চেয়ে অগ্রণী হয়ে গেলাম। আবু বকর ইবনে ইদরীস বলেন,
فلم يزل يقدم مجلس الشافعي حتى كان يفوت مجلس سفيان بن عيينة وخرج مع الشافعي إلى مصر
অর্থাৎ তিনি এত বেশী পরিমাণে শাফেয়ীর মজলিসে হাজির হতে লাগলেন যে, সুফিয়ান ইবনে উয়ায়নার মজলিসে উপস্থিত হওয়া প্রায় ছুটেই গিয়েছিল। অবশেষে তিনি শাফেয়ী (রহঃ)-এর সঙ্গে মিসর চলে গিয়েছিলেন। – (ইবনে আবু হাতেম, আল জারহু ওয়াত তাদীল, ৭/১১৩০)
(১৫) ইসহাক ইবনে রাহুয়াহ ছিলেন ইমাম বুখারী ও মুসলিমের বিশিষ্ট উস্তাদ। তিনি বলেছেন, আমরা মক্কা শরীফে ছিলাম। শাফেয়ীও মক্কায় ছিলেন। সেসময় আহমাদ ইবনে হাম্বলও মক্কায় অবস্থান করছিলেন। একদিন আহমাদ আমাকে বললেন, এই ব্যক্তির: অর্থাৎ শাফেয়ীর: সাহচর্য অবলম্বন করুন। আমি বললাম,
ما أصنع به سنه قريب من سننا ، أترك ابن عيينة والمقرئ؟ قال : ويحك ، إن ذاك لا يفوت وذا يفوت فجالسته
অর্থাৎ তাকে দিয়ে আমার কী হবে? তাঁর বয়স আর আমাদের বয়স প্রায় সমান। আমি কি ইবনে উয়ায়না ও মুকরি’ (আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ)এর মজলিস ছেড়ে দেব? আহমাদ বললেন, আরে ওটা তো তোমার হাতছাড়া হবে না। আর এটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। এরপর থেকে আমি তার সাহচর্য অবলম্বন করি। (প্রাগুক্ত)
এই ইসহাক ইবনে রাহুয়াহ একসময় ইমাম শাফেয়ীর এতই ভক্ত হলেন যে, তিনি নিজেই বলেছেন,
كتبت إلى أحمد بن حنبل وسألته أن يوجه إليّ من كتب الشافعي ما يدخل في حاجتي فوجه إليّ بكتاب الرسالة
অর্থাৎ আমি আহমাদ ইবনে হাম্বলের নিকট পত্র লিখলাম এবং আরজ করলাম তিনি যেন শাফেয়ীর সেসব কিতাব আমার নিকট প্রেরণ করেন, যা দ্বারা আমার প্রয়োজন মিটে যায়। তিনি আমার নিকট আর-রিসালা কিতাবটি পাঠিয়েছিলেন। (প্রাগুক্ত)
ইসহাক ইবনে রাহুয়ার নিবাস ছিল আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী মার্ভে। তিনি সেখানে এক বিধবাকে বিবাহ করেছিলেন। যার প্রথম স্বামীর নিকট ইমাম শাফেয়ীর অনেক কিতাব ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ঐ নারী সেগুলোর মালিক হয়েছিলেন। বলা হয়, কিতাবগুলোর আকর্ষণই ছিল ইসহাক রহ.এর উক্ত বিবাহের মূল কারণ।
(মুকাদ্দিমা মাসাইলে আহমাদ ওয়া ইসহাক, ১/১৪২)
(১৬) হিলাল ইবনে খাব্বাব বলেন, আমি সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম,
ما علامة هلاك الناس ؟ قال : إذا هلك فقهاءهم هلكوا
অর্থাৎ মানুষের ধ্বংস হওয়ার আলামত কী? তিনি বললেন, যথন তাদের ফকীহগণ মৃত্যুবরণ করবে তখন তারাও বরবাদ হয়ে যাবে। – (আল ফকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ১/১৫৪)
লক্ষ করুণ উনারা সকলেই ছিলেন মুহাদ্দীস ও হাদীসের শিক্ষক। এরপরেও তাঁরা সকলেই ফকিহগণের দারস্হ হয়েছেন এবং মুফতীগণের ফতোয়ার অণুসারে কুরআন সুন্নাহর ওপর আমল করেছেন।
আর বর্তমানে একদল ইউটিউবের লেকচার ও বাংলা এপসের হাদীস পড়ে মুফতীগিরি করে ফতোয়া দিয়ে বেড়ায়। এদের থেকে দ্বীন শিখা মানে দ্বীনকে ধ্বংস করা। অতএব নিজে বাঁচুন এবং নিজের আহালদেরকে বাঁচান। আল্লাহ হেফাজত করেন আমিন।।