কুরবানীর সময় গরুর হাটে গরু পছন্দ করে দামাদামি শুরু করতেই কিছু লোক এসে উপস্থিত হয়। তারা ঐ গরুর মূল্য বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতে শুরু করে। সেই গরু ক্রয় করতে চাইলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। খোঁজখবর নিলে জানা যায় যে, ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের যোগসাজশ থাকে। যারা মূলত ক্রেতা নয়। কিন্তু ক্রেতা সাজে শুধু দাম বাড়ানোর জন্য। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের এ কাজের হুকুম কি?
ক্রয়ের নিয়ত ছাড়া শুধু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দামাদামি করা জায়েয নয়। হাদীস শরীফে এ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। প্রকৃত ক্রেতাগণ এ কারণে প্রতারিত হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘নাজাশ’ থেকে নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ২১৪২)
নাজাশ হল ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া শুধু অন্যকে প্ররোচিত করার জন্য দামাদামি করা এবং পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বলা।
আবদুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রা. এমন ব্যক্তিকে সুদখোর ও খেয়ানতকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী ১/২৮৭)
আর এ ব্যাপারে বিক্রেতার সম্মতি থাকলে সেও গুনাহগার হবে। বিক্রেতা তাকে কোনো কিছু দিলে তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত ও নাজায়েয হবে।
-সহীহ মুসলিম ২/৩; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৩২৭; হেদায়া ৩/৬৬; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১০১; ফাতহুল কাদীর ৬/১০৬; আলবাহরুর রায়েক ৬/৯৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/৪০৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/৪০৩