প্রশ্ন
হযরত ! আজকাল জুমার দিন খুতবা চলাকালীন ব্যপক ভাবে মানুষ কথা বলতে দেখা যায়৷ এক হুজুর কে বলতে শুনেছি,খুতবা চলাকালিন কথা বলাও যাবে না৷ পাশে কাউকে কথা বলতে দেখলে নিষেধও করা যাবে না৷ একথাটি কতটুকু সঠিক? এ বিষয়ে বিস্তারিত দলিলসহ জানতে চাই৷
উত্তর
খুতবা চলাকালীন উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য চুপ থেকে মনোযোগসহ খুতবা শোনা ওয়াজিব। তখন মুসল্লিদের জন্য সব ধরনের কথা বলা নাজায়েয৷ এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে মৌখিকভাবে বারণ করাও নাজায়েয। কেননা হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন, ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় তুমি যদি পাশের ব্যক্তিকে বল ‘চুপ থাক’ তবে তুমি তা একটি অনর্থক কাজ করলে।
-সহীহ বুখারী, হাসীস ৯৩৪৷ তবে প্রয়োজন হলে মুখে নিষেধ না করে হাত বা
মাথা দ্বারা ইশারা- ইঙ্গিতে পাশের ব্যক্তিকে কথাবার্তা বলা বা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা যাবে। কেননা কেননা এ বিষয়টি আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা, সুফিয়ান সাওরী, আলকামা, ইবরাহীম নাখায়ী সহ একাধিক সাহাবা-তাবেয়ীর আমল ও আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৯; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৫৪৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৯৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
-সহীহ বুখারী, হাসীস ৯৩৪৷ তবে প্রয়োজন হলে মুখে নিষেধ না করে হাত বা
মাথা দ্বারা ইশারা- ইঙ্গিতে পাশের ব্যক্তিকে কথাবার্তা বলা বা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা যাবে। কেননা কেননা এ বিষয়টি আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা, সুফিয়ান সাওরী, আলকামা, ইবরাহীম নাখায়ী সহ একাধিক সাহাবা-তাবেয়ীর আমল ও আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৯; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৫৪৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৯৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
খুতবার সময় কথা বলা
খুতবার সময় নামাজ পড়া যাবে কি
হাদিসে কুদসি কাকে বলে