প্রশ্ন
হুজুর, আমার স্ত্রী ৭ মাসের গর্ভবতী ৷ এখন খুব বেশি অসুস্থ থাকে , বিশেষ করে সকাল বেলায় ৷ ডাক্তার বলেছেন সকালে ঘুম থেকে দেরিতে উঠতে ৷ তাই আপনার নিকট জানতে চাই, গর্ভবতী মহিলাদের নামাজের সময়ের ব্যাপারে কোন শীথিলতা আছে কি না? বিশেষ করে ফজর নামাজ দেরিতে পড়তে পারবে কি না?
উত্তর
কোনভাবেই নামাজের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ
ﻣَﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
“নিশ্চয় নিদিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করা মুমিনদের উপর ফরয করা হয়েছে।
সূরা নিসা- ১০৩
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি নামাজের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং ঐ সময়ে আদায় করাটাই আবশ্যক। ফজর নামাজের সময় সুবহে সাদিক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত। সুতরাং এই
সময়ের ভেতরেই আদায় করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকারের শীথিলতার অনুমোদন নেই৷ এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও নেই।
হ্যাঁ, শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় একজন নারী ও শিশুর
শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ঘুম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভাবস্থায় রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে স্বাস্থ্যহানী ঘটে। কিন্তু নামাযের গুরুত্ব এত বেশি যে এর কারনে ফজর- নামাজ সময় মত আদায়ের ব্যাপারে অবহেল প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই।
তাই আপনার স্ত্রীর জন্য পরামর্শ হলো,
১৷ তার মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে যে, আমি অবশ্যই ফজরের নামাজ আদায় করবো।
২৷ সে ইশার নামাজ সময়ের শুরুতে পড়ে নিবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়বে। দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া যাবে না অন্তত এতটা আগে রাতের বিছানায় যাবে যাতে করে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় এবং ফজর যথাসময় পড়া যায়।
৩৷ প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পর আসর পর্যন্ত ঘুুমাবে। এতে ‘কাইলুলাহ্’র সুুন্নাত আদায় হবে। স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
৪৷ গর্ভাবস্থায় যে ব্যাপারটি পরিবারের সকলকে মনে রাখতে হবে, সেটি হল, গর্ভবতী নারির এবং তার ভেতরে বেড়ে ওঠা শিশুর যত্ন নেয়া সকলেরই কর্তব্য। সুুতরাং তার শারীরিক- মানসিক সুুস্থতার প্রতি যত্নশীল-দৃষ্টি পরিবারের সকলকে বিশেষত স্বামীকে সবসময় রাখতে হবে। এতে গর্ভবতী মা যেমন সুস্থ থাকবে, সুস্থ থাকবে তার সন্তানও। মনে রাখা উচিত, সুস্থ-সন্তান যেমন অবশ্য-কাম্য, অনুরূপভাবে সন্তান নেক হওয়াও অপরিহার্য-কাম্য। আর গর্ভবতী নারির চাল-চলন ও গতিবিধির বিস্তর প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ইবাদত করার পাশাপাশি গোনাহ ছেড়ে দেয়ার ফিকির অধিক করাটাই হবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। এতে গর্ভবতী মা যেমন মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় হয়ে ওঠবে, এমনিভাবে তার ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্তানও নেক, ভাল হবে। ইনশাআল্লাহ্।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ
ﻣَﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
“নিশ্চয় নিদিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করা মুমিনদের উপর ফরয করা হয়েছে।
সূরা নিসা- ১০৩
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি নামাজের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং ঐ সময়ে আদায় করাটাই আবশ্যক। ফজর নামাজের সময় সুবহে সাদিক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত। সুতরাং এই
সময়ের ভেতরেই আদায় করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকারের শীথিলতার অনুমোদন নেই৷ এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও নেই।
হ্যাঁ, শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় একজন নারী ও শিশুর
শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ঘুম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভাবস্থায় রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে স্বাস্থ্যহানী ঘটে। কিন্তু নামাযের গুরুত্ব এত বেশি যে এর কারনে ফজর- নামাজ সময় মত আদায়ের ব্যাপারে অবহেল প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই।
তাই আপনার স্ত্রীর জন্য পরামর্শ হলো,
১৷ তার মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে যে, আমি অবশ্যই ফজরের নামাজ আদায় করবো।
২৷ সে ইশার নামাজ সময়ের শুরুতে পড়ে নিবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়বে। দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া যাবে না অন্তত এতটা আগে রাতের বিছানায় যাবে যাতে করে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় এবং ফজর যথাসময় পড়া যায়।
৩৷ প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পর আসর পর্যন্ত ঘুুমাবে। এতে ‘কাইলুলাহ্’র সুুন্নাত আদায় হবে। স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
৪৷ গর্ভাবস্থায় যে ব্যাপারটি পরিবারের সকলকে মনে রাখতে হবে, সেটি হল, গর্ভবতী নারির এবং তার ভেতরে বেড়ে ওঠা শিশুর যত্ন নেয়া সকলেরই কর্তব্য। সুুতরাং তার শারীরিক- মানসিক সুুস্থতার প্রতি যত্নশীল-দৃষ্টি পরিবারের সকলকে বিশেষত স্বামীকে সবসময় রাখতে হবে। এতে গর্ভবতী মা যেমন সুস্থ থাকবে, সুস্থ থাকবে তার সন্তানও। মনে রাখা উচিত, সুস্থ-সন্তান যেমন অবশ্য-কাম্য, অনুরূপভাবে সন্তান নেক হওয়াও অপরিহার্য-কাম্য। আর গর্ভবতী নারির চাল-চলন ও গতিবিধির বিস্তর প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ইবাদত করার পাশাপাশি গোনাহ ছেড়ে দেয়ার ফিকির অধিক করাটাই হবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। এতে গর্ভবতী মা যেমন মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় হয়ে ওঠবে, এমনিভাবে তার ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্তানও নেক, ভাল হবে। ইনশাআল্লাহ্।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
গর্ভবতী মায়ের নামাজের নিয়ম
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল
মহিলাদের চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার নিয়ম
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল
দোয়া গর্ভবতী মায়ের আমল
গর্ভবতী মায়ের আমল সমূহ
গর্ভবতী নারীর দোয়া কবুল হয়
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়