জনৈক ইমাম সাহেব ওয়াক্তিয়া নামাযের জামাতে একাধিক সূরা পড়েন। যেমন-ফজরের জামাতে প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা বুরুজ পড়েন অতপর সূরা ত্বরিক পড়েন। দ্বিতীয় রাকাতে প্রথম রাকাতের ন্যায় সূরা ফাতিহার পর সূরা দুহা এবং সূরা আলাম নাশরাহ পড়েন।
উল্লেখ্য যে, একাধিক সূরা পড়ার মাঝে আস্তে বিসমিল্লাহ পড়েন। আমার প্রশ্ন হল, এভাবে জামাতের নামাযে বা একাকী নামায একাধিক সূরা পড়া আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমানিত কি না বিস্তারিত জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
ফরয ও অন্যান্য নামাযের এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়া জায়েয আছে। তবে ফরয নামাযেএকাধিক সূরা না পড়াই উত্তম। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমল এমনইছিল। তিনি যেসব সূরা পড়তেন হাদীসের কিতাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। তিনি ফরয নামাযেএকেক রাকাতে অনেক বড় বড় সূরাও পড়েছেন। কিন্তু একই রাকাতে একাধিক সূরা পড়তেন না।সাহাবী-তাবেয়ীগণের আমলও এমনই ছিল। যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী থেকে বর্ণিত, তিনিবলেন, আমি এক রাকাতে দুটি সূরা মিলানো পছন্দ করি না। যদিও আমাকে অতি মূল্যবান লাল উটদেওয়া হয়।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৭২৮
উল্লেখ্য, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাযে সূরা তাকবীর, সূরা তূর এবংএ জাতীয় সুরা পড়তেন।
এছাড়া সূরা ইয়াসীন, সূরা মুমিনুন, সূরা রুম ও অন্যান্য সূরা ফজরের নামাযে পড়ার কথাও হাদীসশরীফে এসেছে।
-সহীহ মুসলিম ১/১৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৩/২৫৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৯৮; ফাতহুল কাদীর ১/২৯৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৬৭