জনৈকা বিধবা মহিলার কয়েকজন নাবালেগ সন্তান আছে। তাদের তিনি নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তার সাংসারিক খরচাদির কোনো ব্যস্থা নেই। তার ভাইরা তাকে সহযোগিতা করে। ভাইরা তার দূরাবস্থা দেখে তাকে যাকাতের টাকা থেকে দিয়ে আসছে। বড় ভাই একথা জানার পর অন্য ভাইদেরকে বললেন, তোমরা যে যাকাত দিচ্ছ তার কোনো টাকা-পয়সা বা গয়নাগাটি আছে কি না জান? তখন ভাইরা বলল, আরে না, সে গয়নাগাটি কোথায় পাবে? আমরা কোনোদিন তাকে গয়নাগাটি পরতে দেখিনি। আর তার সংসারই চলে না। সেখানে তার কাছে জমা টাকা থাকবে কি করে? পরে বোনকে জিজ্ঞাসা করে দেখা গেল তার কাছে ১ তোলা দুই আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন আছে। আর ৬ হাজার টাকা আছে। এখন জানতে চাই, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না? যদি যাকাত দেওয়া না যায় তাহলে এত দিন যা দেওয়া হয়েছে তার হুকুম কি? যাকাতদাতাদের যাকাত আদায় হয়েছে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
স্বর্ণের ঐ চেইনের মূল্য এবং ৬ হাজার টাকা মিলে নেসাবের (সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের) চেয়ে বেশি হয়ে যায়। আর এ পরিমাণ সম্পদশালী ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যায় না। তাই উক্ত সম্পদ থাকা অবস্থায় তার জন্য যাকাত গ্রহণ করা কোনো ক্রমেই বৈধ নয়। তবে প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ভাইগণ এতদিন যেহেতু তাকে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত মনে করেই যাকাত দিয়েছে তাই তাদের বিগত দিনের যাকাত আদায় হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যেন এ ধরনের ভুল না হয়।
বাদায়েউস সানায়ে ২/১৬৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৫২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪৭