প্রশ্ন
অনেক লোক আছে, যারা নামায পড়ে, নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করে এবং তাওহীদে বিশ্বাসী, তথাপি তারা মনে করে, বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্ট দূর করা ও কল্যাণ সাধনের ক্ষেত্রে পীর-বুযুর্গদের অনেক ক্ষমতা আছে। তাই তারা সরাসরি মৃত ও জীবিত পীরের নিকট প্রার্থনা করে, সাহায্য চায় এবং তাদের কাছে মুক্তি চায়। অথচ আমরা জানি, এ ধরনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো নেই। সঠিক বিষয়টি জানিয়ে বাধিত
করবেন।
করবেন।
উত্তর
কল্যাণ-অকল্যাণ, ভালো-মন্দ, উপকার-অপকার,
দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী
একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীন। তিনি ব্যতীত
অন্য কারো এ ধরনের কোনো ক্ষমতা নেই। এর উপর ঈমান ও বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক
মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। তাই বিপদ-আপদ বা
দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া বা কল্যাণ-
অকল্যাণে সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে মুমিনের
কর্তব্য হল, একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনের শরণাপন্ন হওয়া এবং তাঁর কাছেই
সাহায্য চাওয়া। এগুলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য
কারো কাছে চাওয়া শিরক। কোনো পীর- বুযুর্গের নিকট বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য এ মর্মে প্রার্থনা করা যে, আপনি আমাকে অমুক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন বা
অমুক বিষয়ে সাহায্য করেন-এটা সম্পূর্ণ শিরকি ও
কুফরী কাজ। উপায়-উপকরণের উর্ধ্বের কোনো বিষয়ে
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া
শিরক ফিল ইসতিআনা, যা ﺍﻳﺎﻙ ﻧﺴﺘﻌﻴﻦ এর অঙ্গীকার পরিপন্থী। আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাযত করুন। তবে যদি জীবিত কোনো হক্কানী পীর-
বুযুর্গ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের নিকট এ মর্মে
দুআ চাওয়া হয় যে, আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করেন যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে বিপদ- আপদ থেকে উদ্ধার করে দেন এবং এক্ষেত্রে দুআপ্রার্থীর এ বিশ্বাস থাকে
যে, তিনি আল্লাহর মাহবুব ও নৈকট্যভাজন বান্দা
হিসেবে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর দুআ কবুল করবেন। তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। বরং এটি হাদীস ও
সাহাবীগণের আমল দ্বারা প্রমাণিত।-ফাতাওয়া
উলামাইল বালাদিল হারাম ৬০-৬২ -জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৫১৬; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৬৬৯; তাফসীরে রূহুল মাআনী ৬/১২৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ৩৭৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী
একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীন। তিনি ব্যতীত
অন্য কারো এ ধরনের কোনো ক্ষমতা নেই। এর উপর ঈমান ও বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক
মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। তাই বিপদ-আপদ বা
দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া বা কল্যাণ-
অকল্যাণে সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে মুমিনের
কর্তব্য হল, একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনের শরণাপন্ন হওয়া এবং তাঁর কাছেই
সাহায্য চাওয়া। এগুলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য
কারো কাছে চাওয়া শিরক। কোনো পীর- বুযুর্গের নিকট বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য এ মর্মে প্রার্থনা করা যে, আপনি আমাকে অমুক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন বা
অমুক বিষয়ে সাহায্য করেন-এটা সম্পূর্ণ শিরকি ও
কুফরী কাজ। উপায়-উপকরণের উর্ধ্বের কোনো বিষয়ে
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া
শিরক ফিল ইসতিআনা, যা ﺍﻳﺎﻙ ﻧﺴﺘﻌﻴﻦ এর অঙ্গীকার পরিপন্থী। আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাযত করুন। তবে যদি জীবিত কোনো হক্কানী পীর-
বুযুর্গ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের নিকট এ মর্মে
দুআ চাওয়া হয় যে, আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করেন যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে বিপদ- আপদ থেকে উদ্ধার করে দেন এবং এক্ষেত্রে দুআপ্রার্থীর এ বিশ্বাস থাকে
যে, তিনি আল্লাহর মাহবুব ও নৈকট্যভাজন বান্দা
হিসেবে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর দুআ কবুল করবেন। তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। বরং এটি হাদীস ও
সাহাবীগণের আমল দ্বারা প্রমাণিত।-ফাতাওয়া
উলামাইল বালাদিল হারাম ৬০-৬২ -জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৫১৬; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৬৬৯; তাফসীরে রূহুল মাআনী ৬/১২৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ৩৭৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
সম্পর্কিত পোস্ট:
আমি একদিন রমযান মাসে বিতির নামাযে ভুলে দুআয়ে কুনূত না- নফল নামাযে সিজদা অবস্থায় কোনো ধরনের দুআ করা জায়েয আছে
- মহিলারা নামাযের সময় চুল খোঁপা করে রাখা
- অনেক সময় নামায পড়ার সময় সেজদায় মাথা থেকে টুপি পড়ে
- বহুতল ভবনের নিচ তলায় ইমাম মুসল্লিসহ আছেন। আর এর বরাবর
- নামাযে মহিলাদের জন্য কান ঢেকে রাখা আবশ্যক কি না
- আমি একদিন মাগরীবের নামাযের ইমামতি করতে গিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে ভুলে
- জনৈক ইমাম সাহেব ফজরের নামাযে সূরা কিয়ামারولو القى معاذيرةএর স্থলেولو
- আমি এশার দুরাকাত সুন্নতের পর সাধারণত দু’চার রাকাত নফল পড়ে
- আমার ছেলের বয়স আড়াই বছর। সারাক্ষণ কোলে কোলেই থাকতে চায়
- চার রাকাত বিশিষ্ট নফল নামাযের প্রথম বৈঠকে দরূদ পড়া
- ছেলে মেয়ে বালেগ হবার বয়সসীমা
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব জুমার নামাযে মেহরাবের কাছে দাঁড়ান আর
- আমি একদিন আসরের নামাযে ইমামতি করছিলাম। চতুর্থ রাকাতের জন্য না
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব গত কয়েকদিন আগে আসরের নামাযের প্রথম
- আমি যোহরের নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ভুলে দাঁড়িয়ে যাই
- ঘরবাড়িতে মহিলারা যখন নামায পড়ে তখন সেখানে অধিকাংশ সময় মাহরাম
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে
- কিছুদিন আগে এক অপরিচিত জায়গায় আমরা কয়েকজন যোহরের ওয়াক্তে খোলা
- ক) নামাযে ইমাম রুকুতে থাকলে আগত মুক্তাদির করণীয় কী
- আমি একদিন একাকী নামায পড়ার সময় রুকুতে গিয়ে ভুলে কিরাত
- সিজদার সময় আমার দুই পা মাঝে মাঝে উঠে যায়। আমার
- যদি চার রাকাতবিশিষ্ট নামাযের জামাতে তিন রাকাত ইমামের পিছনে না
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে
- এক ব্যক্তি মাগরিবের ফরযের মধ্যে এক রাকাতে সূরা কুরাইশ ও
- ইমাম সাহেবকে দেখি, ফরয নামাযের পর নিজ জায়গা থেকে একটু
- সাধারণত আযানের পর শুধু দুআ পড়া হয়। দরূদ পড়া হয়
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে
- মসজিদে ইজতেমায়ীভাবে উচ্চস্বরে যিকির করা
- আমি একদিন একাকী মাগরিবের নামায আদায় করছিলাম। শেষ রাকাতে একটু