চলল এবং মদীনার চৌহদ্দীতে প্রবেশ করে তার কোন এক প্রান্তে তার বকরী পাল জড়ো করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এসে নেকড়ের সাথে তার কথোপকথন বিষয় তাকে অবহিত করল ৷
তখন ঘোষণা দেয়া হল রুএ “সালাতের জামাঅড়াতে হাযির হও ৷” তারপর রাসুল
(সা) বেরিয়ে এসেরড়াখালকে বললেন, উপস্থিত লোকদের তোমার ঘটনা অবহিত কর ৷ রথোল
তাদের অবহিত করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
“সে সত্য বলেছে; কসম সে সভার যার অধিকারে মুহাম্মদের জীবন ! কিয়ামত সংঘটিত
হয়ে না যতক্ষণ না হিংস্র প্রাণীরা মানুষদের সাথে কথা বলবে, আর যতক্ষণ না মানুষের
(হাতের) চাবুক ঝুলাবার রশি তার সাথে কথা বলবে, জুতাব ফিতা মানুষের সাথে কথা
বলবে এবং যতক্ষর্ণ না মানুষের উক তার অনুপন্থিতিকালে তার ত্রীর কৃতকর্ম বিষয় তাকে
অবহিত করবে ৷ ”
তিরমিযী (র) এ হাদীস সুফিয়ান ইবন ওয়াকী ইবনুল জাররড়াহ (র)কড়াসিম ইবনৃ
ফায্ল সুত্রে উল্লিখিত সনদে রিওয়ায়ড়াত করে মন্তব্য করেছেন “এটি একক সুত্রীয় উত্তম
বিশুদ্ধ বর্ণনা ৷ (প্লুন্ন্ -এ ধ্ৰুল্গু)ও ;ন্ ) কারণ, কাসিম ইবনুল ফায্ল ব্যতীত অন্য কারো
সুত্রে আমরা এ হাদীসের পরিচিতি লাভ কবিনি ৷ তবে হাদীস বিশাবদগণেব মতে কাসিম
বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য রাবী ৷ বিশিষ্ট ইমাম ইয়াহয়া ও ইবন মাহদী (র) তাকে নির্ভরযােগ্য’
বলেছেন ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য ঘ্র ইমাম আহমদ (র)-এর আবুল ইয়ামান (র)আবু সাঈদ আল থুদরী
(বা) সনদেও হাদীসখ্যনি বিওয়ায়ড়াত করেছেন এবং তাতে আরো বিশদ বর্ণনা রয়েছে ৷ আহমদ
(র)-এর আরো একটি রিওয়ায়ড়াত রয়েছে আবুন নাবৃর (র) , শাহ্র (বা) এবং আবু সাঈদ
(রা) থেকে ৷ এ বর্ণনা অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত এবং এ সনদ সুনান
গ্রন্থসঘুহেব শর্তানুরুপ ; তবে সুনানা ত্কলকগণ এ হাদীস উদ্ধৃত করেননি ৷
জীনদের প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
হিজরতেব আগে মক্কা শরীফে জীন জাতির প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৷
সুরড়াতৃল আহকড়াফএর “স্মরণ কর, আমি
তোমার প্রতি ধাবিত করেছিলাম এক দল জিনকে, মারা কুরআন তিলড়াওয়াত শুনছিল ( ৪৬ ষ্ক
২৯) ৷ এ আয়াতে প্রসঙ্গে এ বিষয় সুবিন্তুত পরিঘিতে আলোচনা পর্যালোচনা করেছি এবং
প্রাসঙ্গিক হাদীস ও আছারসমুহও উল্লেখ করেছি ৷
বিশেষত সাওয়াদ ইবন কারিব (রড়া)-এর হাদীস ও ঘটনা যিনি জ্যেড়াতিষী ও গণক ছিলেন
এবং ইসলাম গ্রহণের সময় তার বশীতুত জীন তাকে যে কবিতা বলেছিল-
জীব জাতি ও তাদের অপবিত্র (কাফির)-দেব অবস্থা দেখে এবং তড়িঘড়ি সাদা-কাল
উটের পিঠে গদি জাটা দেখে আমি বিস্ময়াভিতুত হয়েছি;
অলি-বিদায়ড়াঔয়নেনিহ্য়েন্ ১৭৭
সে কাফেলা বাবিত হচ্ছিল মক্কাভিম্প্নে হিদায়াত অবৈবণে ক্ট মুর্দিৰী মিঃ
আর সমতুল্য নয়
হড়াশিমীর (শ্রষ্ঠ ব্যক্তির উদ্দেশ্যে উঠে পড়; তোমার চোখ দুড়াটা উচিয়ে রেখো তার মাথায়
গ্মব ১
পরবর্তী উক্তি ল্পীন জাতি ও তাদের সন্ধার্নী তৎপরতা দেখে এবং সাদা-কাল উর্টেয়
পিঠে তাদের হাওদা বাধা দেখে আমি অতিভুত হলাম ৷
হিদায়াত অন্বেবণে মোঃ ন্সেহে মক্কা পাড়ান, তার সামনের ভাগ তার লেজের মত তাে নয় ৷
হাশিযী নিবাচিত’ ব্যজ্যি উদ্দেশ্যে উঠে পড়; তোমার দুচােখ নিবদ্ধ রেখো তার দরজা
এবং তার পরবর্তী উক্তি জীন জাতি ও তাদের খবর আদান-প্রদান দেখে এবং সাদা-
কাল উটের পিঠে পান্ধী চড়ানো দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি;
হিদায়াত অন্বেষণে এগিয়ে চলছে মক্কাভিযুখে; অকল্যাণধারীরা তো আর কল্যণেধারীদের
সমান হয় না ৷
-হাশিমী মনােনীত’ ব্যক্তির উদ্দেশ্যে এগিয়ে চল; মু’মিন জীনগণ তাদের কাফিরদের
সমতুল্য নন ৷
এ ধরনের আরো কবিতা রয়েছে যা মক্কায় বারবার প্রতিনিধিরুপে জীনদের আগমনের
প্রমাণ করে ৷ (যথান্থানে আমরা এর যথেষ্ট বিবরণ দিয়ে এসেছি ৷ আল্পাহ্র জন্য যাবতীয়
হাম্দ; সব অনুগ্রহও র্তারই এবং তিনিই তাওফীক দেয়ার মালিক) ৷
ইবলীসের অন্যতম বৎশধরেৱ আগমন প্রসঙ্গ
হাফিজ আবু বল আল বায়হাকী (র) এ পর্যায়ে একটি বিরল বরং অস্বীকৃত কিংবা
ৰানেশ্নোট হাদীস উংল্পখ করেছেন ৷ তবে তার সুত্র অভিনব বিধায় বায়হাকী (র) এর অনুসরণে
আমরা তা উল্লেখ করছি ৷ তদুপরি বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে তিনি তার দালইিলুন-নড়াবুওয়া
গ্রন্থে বলেছেন, হামা ইবনুল হড়ায়ছাম ইবন লাকীস ইবন ইবলীসএর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
আগমন ও তার ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গ ৷ আবুল হাসান মুহাম্মদ ইবনুল হুসড়ায়ন আল-আলাবী
(র)ইবন উমর (রা) থেকে বংনাি করেছেন ৷
তিনি বলেন, উমর (রা) বলেছেন, আমরা তিহামার পর্বতমালার কোন একটিতে নবী কবীম
(না)-এর সাথে বসা ছিলাম ৷ তখন সেখানে লাঠি হাতে এক বুড়াে লোক এসে নবী কবীম (সা)-
কে সালাম করল ৷ তিনি তাকে সড়ালামেয় জবাব দিয়ে বললেন,
এ যে জীনের সুর গুণগুনানী ! তুমি কে? সে বলল, আমি আশা : ইবনুল হড়ায়ছাম ইবন লাকীস
ইবন ইবলীস ৷
নবী কবীম (সা) বললেন, তা হলে তোমার ও ইবলীসের মাঝে মাত্র দু’পুরুষ; তবে তোমার
বয়স কত? যে বলল, দুনিয়া তার বয়স প্রায় শেষ করে ফেলেছে, কাবীল যখন হাবীলকে খুন
করে তখন আমি ছিলাম কয়েক বছরের বালকমাত্র, কথাবার্তা বুঝতে পারি, চিনি ও টিলায়
লাফিয়ে বেড়াই আর খাদ্য নষ্ট করা ও আত্মীয়তা ছিন্নকরণে প্ররেড়াচনা দেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)