ওয়াকিদী বলেন, এই যুদ্ধাভিযানে মুসলমানদের সাথে প্রায় বার হাজার উট এবং অনুরুপ
, ৎথ্যা ঘোড়া ছিল ৷ আর মুসলমানদের যোদ্ধা সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার ৷ রাবী বলেন, এ সময়
এত অধিক পরিমাণ বৃষ্টি বর্নিত হল যে, তা’ ভুপৃষ্ঠকে প্লাবিত করে ফেলল, এমন কি গর্ত ও
নালাসমুহের পানি একটা থেকে উপচে অন্যটড়াতে পৌছতে লাগল ৷ আর সেটা ছিল গ্রীষ্মের
প্রচন্ড দাপদহে ৷ তার প্রতি আল্লাহ্র সালাত-সালাম ৷ আর বিশুদ্ধ সহীহ হাদীসে নবী করীম
(সা)-এর এরুপ কত ঘটনা বিদ্যমান ৷ ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, কুরায়শদের হঠকারিতা ও
ঔদ্ধত্যের কারণে তিনি যখন বদদুআ করলেন, যেন আল্লাহ্ ইউসুফ আলইিহিস সালামের
কালের দৃর্ভিক্ষের সাত বছরের ন্যায় সাত বছর দ্বারা কুরায়শদের আক্রান্ত করেন, তখন তারা
এমন দুর্ডিংক্ষর শিকার হল, যা সবকিছু নিঃশেষ করে দিল ৷ ফলে তারা হাড়, কুকুর, নিম্নমানের
ইলহীজ শাক প্রভৃতি আখাদ্য যেতে বাধ্য হল ৷ তারপর আবু সুফিয়ান তার কাছে এসে তাদের
এই দুরবন্থা দুর করার জন্য দু’আর সুপারিশ করলেন ৷ তখন তিনি দুআ করলেন ৷ ফলে তাদের
এই দৃরবস্থা উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ বুখারী হাসান ইবন মুহাম্মাদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব অনাবৃষ্টি দেখা দিলে হযরত আববড়াসের
ওসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন হে আল্লাহ পুর্বে আমরা আপনার কাছে আমাদের
নবীর ওসীলায় ফলে আপনি আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করতেন ৷ আর এখন আমরা আপনার নবীর
চাচার ওসীলায় আপনার নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করছি আপনি আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করুন ৷ ৱাবী
বলেন, এভাবে তারা বৃষ্টি লাভ করতেন ৷ এটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷
ভৃমণ্ডলীয় মুজিযাসমুহ
এর মধ্যে কোনটি জড়বন্তুর সাথে সম্পৃক্ত আর কোনটি জীব-জন্তুর সাথে ৷ জড়বন্তুর সাথে
সম্পৃক্ত মু’জিযাগুলির অন্যতম হল, বিভিন্নভাবে একাধিক স্থানে পানি বৃদ্ধিকরণ ৷ অচিরেই
আমরা এর বর্ণনা সুএসহ উল্লেখ করব ৷ আর আমরা এর মাধ্যমে এই পরিচ্ছেদের সুচনা
করলাম; কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক পানি প্রার্থনা এবং তার প্রার্থনায় আল্পাহ্ তাআলার
সাড়াদানের বিষয় আলোচনার পরবআত উল্লেখের জন্য এটাই অধিক প্রাসঙ্গিক ৷ বুখারী
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখলাম, তখন আসরের নামাষের সময় ঘনিয়ে এসেছিল,
অথচ লোকজন উবুর পানি পাচ্ছিল না ৷ তার কাছে উবুর পানি আনা হল, তখন তিনি সেই
পাত্রে তার হাত রাখলেন, তারপর লোকদের সেই পাত্র থেকে উবু করার নির্দেশ দিলেন ৷ তখন
আমি তার আঙ্গুলসমুহের নিম্নদেশ থেকে পানি উৎসারিত হতে দেখলাম ৷ এভাবে লোকেরা
সকলেই উয়ু করল ৷ মালিকের বরাতে একাধিক সুত্রে মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসখানি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর তিরমিযী হাদীসখানি হাসান সহীহ’ বলেছেন ৷
ভিন্ন সুত্রে হযরত আনন্দের আরেকটি বর্ণনা
ইমাম আহমাদ ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন একদিকে বের হয়েছিলেন, তার সাথে ছিল সাহাবাদের একটি দল ৷
পথচলা অবস্থায় নামাজের সময় হল; বিক্ষ্ম উযু করার মত কোন পানির সন্ধান পাওয়া গেল