ইকরামুল হক (বিশেষ প্রতিনিধি) : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে গতকাল (৪ ঠা নবেম্বর ১৮) রোববার অনুষ্ঠিত হয় আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের শুকরানা মাহফিল। শুকরানা মাহফিলে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলহাজ আমেনা বেগম টাইটেল মাদরাসার মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একাদিক সুত্রে জানা যায়, আজ বাদ আসর মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২২) এর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাঈদ আল মামুন বলেন, ৬২ জন ছাত্র নিয়ে আমি শুকরানা মাহফিলে এসেছিলাম। মাহফিল চলাকালীন একটি খুঁটিতে থাকা বিদ্যুতের লাইনে হাত লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
তিনি বলেন, গতকাল বিকালেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে প্রথমেই ব্রাহ্মণাবিয়ার মাদরাসায় আনা হয়। এ সময় মাদরাসা ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মাদরাসা ছাত্রদের মধ্যে কান্নার রুল পড়ে যায়। যা দেখে আমি নিজেও হতভম্ব। রাতেই নিহত মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে তার নিজ বাড়িতে মাদরাসার তত্ত্বাবধানে পৌছাঁনো হয়। সেখানেও আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোক একদিনে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেন।
তার মৃত্যুতে মিডিয়া ও স্যোশাল মিডিয়াজুঁড়ে শোকের কান্নার রোল, কিন্ত শুকরানা মাহফিলের আয়োজক হাইআতুল উলয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো শোকবার্তা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হওয়া মর্মান্তিক। তার পরিবার, মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র সবাই এ ঘটনায় মর্মাহত। সাধারণত এসব মুহূর্তে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শোক, সমবেদনা ও সহযোগিতা শোককে কিছুটা হলেও দূর করে।
এছাড়া মাদরাসার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসার সনদের আইন পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা উপলক্ষে গতকালের শুকরানা মাহফিলে সারাদেশ থেকে জড়ো হয়েছিল কয়েক লক্ষ উলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী।
সূত্রঃ- কওমি ভিশন ডটকম