প্রশ্ন
সন্তান জন্মের পর পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে তার জন্য কি কি করণীয়?
উত্তর
সন্তান জন্মের পর করণীয়
১৷ সন্তান জন্মের পর পিতা-মাতার উপর কর্তব্য হল, তাকে প্রথমেই ভাল করে গোসল দিবে। প্রথমে লবন পানি দিয়ে তারপর খালেস পানি দিয়ে, তাহলে
ফোড়া, গোটা ইত্যাদি অনেক রোগ থেকে শিশু মুক্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। শরীরে বেশি ময়লা থাকলে কয়েকদিন পর্যন্ত লবন পানি দিয়ে গোসল করাবে, ময়লা বেশি না হলে শুধু খালেস পানি দিয়ে গোসল করাবে।
২৷ ভেজা কাপড় দিয়ে শিশুর নাক, কান, গলা, মাথা ভালভাবে পরিস্কার করবে। অপরিচ্ছন্নতা থেকে শিশুর বহু রোগ জন্ম নেয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।
৩৷ সম্ভব হলে শিশুকে প্রথম দুধ পান করানোর আগে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নিয়ে সামান্য খেজুর চিবিয়ে
শিশুর মুখে দিবে। এটাকেই তাহনীক বলে। এটা করা মুস্তাহাব।
৪৷ জন্ম নেবার পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিবে মৃদু আওয়াজে।
৫৷ শিশু জন্ম নেবার সাত দিনের মাথায় মাথার চুল ফেলে চুল পরিমাপ করে সে ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপা বা তার মূল্য দান করা মুস্তাহাব।
৬৷ সন্তান জন্মের পর সপ্তম দিন ছেলে হলে দু’টি বকরী বা গরু-মহিষের ৭ ভাগের দুই ভাগ, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা গরু-মহীষের ৭ ভাগের একভাগ আক্বিকা হিসেবে জবাই করা এ মুস্তাহাব। আক্বিকার পশুর হাড্ডি ভাঙ্গবে না। আত্বীয় স্বজনকে খাওয়াবে গোস্ত, এবং গরীব দুঃখীদের খাওয়াবে। নিজেরাও খাবে। সেদিন ই ছেলেটির সুন্দর নাম রাখা মুস্তাহাব । ৭দিনের মাথায় আক্বিকা দিতে না পারলে ১৪দিনের মাথায়, না হলে ২১ দিনের মাথায় আক্বিকা দিবে। অথবা বালেগ হওয়ার আগে যেকোন সময় জন্মের সাত দিন হিসেব করে সাত দিনের মাথায় আক্বিকা দেয়া উত্তম। জরুরী নয়।
বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে গোসল দেয়া আবশ্যক নয়। তবে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলে ময়লাসহ রাখা উচিত নয়। কারণ ময়লা ও নাপাক ব্যক্তির কাছে ফেরেস্তা আসে না।
হযরত হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, যার সন্তান হয়, সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়।
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬৭৮০, মুসান্নাফে
আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৭৯৮৫৷
হযরত আবু মুসা আশআরী রাঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমার একটি ছেলে আমি তাকে রাসূল সাঃ এর
কাছে নিয়ে এলাম, তখন রাসূল সাঃ তার নাম রাখেন ইবরাহীম এবং তাকে তাহনীক করান খেজুর দিয়ে।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭৩৯, সুনানুল বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৯০৮৮৷
হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- প্রত্যেক বালকের পক্ষ থেকে আক্বিকা হল বন্ধক স্বরূপ, যা তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে জবাই করবে, এবং তার মাথা মুন্ডাবে, এবং তার নাম রাখবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৪০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৯০৪৭৷
উম্মে কুরযিল কা’বিয়্যাহ রাঃ বলেন- আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, ছেলের জন্য দু’টি একইমানের বকরী ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরী আক্বিকা দিবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৩৬, সুনানে তিরমিযী,
হাদীস নং-১৫১৩৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
১৷ সন্তান জন্মের পর পিতা-মাতার উপর কর্তব্য হল, তাকে প্রথমেই ভাল করে গোসল দিবে। প্রথমে লবন পানি দিয়ে তারপর খালেস পানি দিয়ে, তাহলে
ফোড়া, গোটা ইত্যাদি অনেক রোগ থেকে শিশু মুক্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। শরীরে বেশি ময়লা থাকলে কয়েকদিন পর্যন্ত লবন পানি দিয়ে গোসল করাবে, ময়লা বেশি না হলে শুধু খালেস পানি দিয়ে গোসল করাবে।
২৷ ভেজা কাপড় দিয়ে শিশুর নাক, কান, গলা, মাথা ভালভাবে পরিস্কার করবে। অপরিচ্ছন্নতা থেকে শিশুর বহু রোগ জন্ম নেয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।
৩৷ সম্ভব হলে শিশুকে প্রথম দুধ পান করানোর আগে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নিয়ে সামান্য খেজুর চিবিয়ে
শিশুর মুখে দিবে। এটাকেই তাহনীক বলে। এটা করা মুস্তাহাব।
৪৷ জন্ম নেবার পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিবে মৃদু আওয়াজে।
৫৷ শিশু জন্ম নেবার সাত দিনের মাথায় মাথার চুল ফেলে চুল পরিমাপ করে সে ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপা বা তার মূল্য দান করা মুস্তাহাব।
৬৷ সন্তান জন্মের পর সপ্তম দিন ছেলে হলে দু’টি বকরী বা গরু-মহিষের ৭ ভাগের দুই ভাগ, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা গরু-মহীষের ৭ ভাগের একভাগ আক্বিকা হিসেবে জবাই করা এ মুস্তাহাব। আক্বিকার পশুর হাড্ডি ভাঙ্গবে না। আত্বীয় স্বজনকে খাওয়াবে গোস্ত, এবং গরীব দুঃখীদের খাওয়াবে। নিজেরাও খাবে। সেদিন ই ছেলেটির সুন্দর নাম রাখা মুস্তাহাব । ৭দিনের মাথায় আক্বিকা দিতে না পারলে ১৪দিনের মাথায়, না হলে ২১ দিনের মাথায় আক্বিকা দিবে। অথবা বালেগ হওয়ার আগে যেকোন সময় জন্মের সাত দিন হিসেব করে সাত দিনের মাথায় আক্বিকা দেয়া উত্তম। জরুরী নয়।
বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে গোসল দেয়া আবশ্যক নয়। তবে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলে ময়লাসহ রাখা উচিত নয়। কারণ ময়লা ও নাপাক ব্যক্তির কাছে ফেরেস্তা আসে না।
হযরত হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, যার সন্তান হয়, সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়।
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬৭৮০, মুসান্নাফে
আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৭৯৮৫৷
হযরত আবু মুসা আশআরী রাঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমার একটি ছেলে আমি তাকে রাসূল সাঃ এর
কাছে নিয়ে এলাম, তখন রাসূল সাঃ তার নাম রাখেন ইবরাহীম এবং তাকে তাহনীক করান খেজুর দিয়ে।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭৩৯, সুনানুল বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৯০৮৮৷
হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- প্রত্যেক বালকের পক্ষ থেকে আক্বিকা হল বন্ধক স্বরূপ, যা তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে জবাই করবে, এবং তার মাথা মুন্ডাবে, এবং তার নাম রাখবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৪০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৯০৪৭৷
উম্মে কুরযিল কা’বিয়্যাহ রাঃ বলেন- আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, ছেলের জন্য দু’টি একইমানের বকরী ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরী আক্বিকা দিবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৩৬, সুনানে তিরমিযী,
হাদীস নং-১৫১৩৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
মেয়ে সন্তান জন্মের পর করণীয়
সন্তান জন্মের পর আযান দেওয়ার নিয়ম
সন্তান জন্মের পর কতদিন সহবাস নিষেধ
সন্তান জন্মের পর দোয়া
সন্তান জন্মের পর স্ট্যাটাস
সন্তান জন্মের পর করণীয় ইসলাম কি বলে
শিশু জন্মের পর টিকা
জন্মের পর শিশু কয়টি অভাব অনুভব করে